বিশেষ কারন বশত রাত ১২ টায় প্রকাশ দিতে পারি নাই।তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ আবার রচিত হলো "চুম্বন"
"চুম্বন"


ওষ্ঠদুয়ার প্রজাপতি প্রাণ যুগল মিলন ধ্বনি
অস্ফুট অব্যয় অব্যক্ত
প্রেম সিঞ্চিত বাণী।
মোহিত আবেশে মুগ্ধ পরশে দোঁহে মিলন কাতরো প্রাণ-
প্রেম প্রীতি ভালোবাসা-
হৃদ উছলিত জীবন তারনো গান।
বিহঙ্গ মতি দুটি প্রান ধায় পুলকিত-
অধরে অধরে গতি
মিলনো সে বাসনাতে গগনেতে হেসে ভেসে
সুমধুর প্রাণ অতি।
প্রিয়ারো পরশে হৃদ সে হরষে হিয়ারো-
যাবতো স্তব্ধ সে গতি
উদ্বেল হৃদদ্বয় নিবেদিত দেহ মন
উড়ে ভেসে প্রজাপতি।  
কুন্ডলিত আলিঙ্গনে শত চুম্বনে তন মন গতি ধায়
রতি কাম বাসনায়-তন মন-
চুম্বন বন্যায়।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "অমর সে ক্রান্তি সাত নমেম্ভর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অম্লান


রাশিয়া গগনে উদিত সূর্য
লেলিন দিলেন রব ওই-
খাদ্য ভূমি আর
চির শান্তির ভূমি কই।


সে দাবীতে কাঁপিল ধরা
জাগিয়া উঠিল সর্বহারার দল-
হত দরিদ্র প্রাণ শৃঙ্খল মোচনে
গড়িল সৈন্য দল।


ক্রুর সরকার দিল ফেলে
সাম্যের করিতে আবাদ-
শুরু হল সে কমিউনিষ্ট শাসন
আজাদ পেট্রোগাদ।


লেলিন দিলেন শান্তির বাণী
যুদ্ধ পরিহার।
ভূমি দিলেন সর্বহারায়
শ্রমিকেরে দিলেন অধিকার-
কারখানা আপন শাসন রচিবার।


শ্রমিকের জয়োগানে অম্লান দিনটি
সাত ওই নভেম্ভর-
প্রণাম শ্রমিক তোমায়
সঁপিনু মন প্রাণ অন্তর।


প্রিয় কবি মোঃ নিজাম গাজী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গুমরে কাঁদছে গনতন্ত্র" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
একদিন


অবশ্যই একদিন না একদিন সে সুদিন ফিরে আসবে দ্বারে
যেথা সাম্যের বায়ু বহে-অন্যায় বহুদূর-
সুখ শান্তির সুধানীড়ে।
অবশ্যই একদিন না একদিন সে সুদিন ফিরে আসবে দ্বারে।
সুশীতল সমীরণ বইতে আকাশ কোমল লহরিত-
বেদনার ঘ্রাণ না রবে বাতাস
হবে না মুখরিত।
একদিন বিহঙ্গ সুরে কথা সদা শান্তির স্নেহনীড়-
সদা বসন্ত কোকিলের কুহুতান-
বেদনার হলাহলে হৃদমন-
হবে না অস্থির। একদিন............।
সে আশায় ভাসিতে তরী উদ্বেল হয় চিত্ত-
অশান্ত ধরা মাঝে-গরল সে বায়ু যেথা-
প্রাণ হরা হলাহলে-
সবে রহে মত্ত।
অবশ্যই একদিন না একদিন সে সুদিন ফিরে আসবে দ্বারে
যেথা সাম্যের বায়ু বহে-অন্যায় বহুদূর-
সুখ শান্তির সুধানীড়ে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত " জোছনা ঝরানো রাতে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(উনি সন্ধ্যা অবধি লিখেছিলেন। তারপর আমি রাতের কাহিনীটা লিখে দিলাম)
মোর গ্রাম
(দিনের কাহিনী)


আলোরং ঢেলে দিতে তুলি রং তোলে হাতে
তরুদল জেগে ওতে-ডালি ভরে পুষ্পেতে।
আলোকের ছোয়া লেগে বিহঙ্গ কূল জাগে
গুঞ্জণে মুখরিত মাতে প্রাণ আলোসাজে।


ধীরে ধীরে বাতায়ন একে একে যায় খুলে-
আলোরং দেখে প্রাণ হৃদ ওঠে হেলেদুলে।
ঘুম ঘুম আবেশেতে-অলস সে ধীরগতি-
কাঁখে হাড়ি নুপুরেতে-ঘাটে যায় পার্বতি।


কিছুকাল হলে গত-চঞ্চল হয় প্রাণ-
দিকে দিকে মাঠে মাঠে লাঙ্গলের শুরু গান।
বীজ নিয়ে মাঠে ঘাটে-নিকানো সে হয় শুরু-
আকাশেতে মেঘ আসে-গম্ভীর গুরু গুরু।


হরষেতে চাষি প্রাণ-আনন্দ বরষণে-
বাদলেতে ভিজে ভিজে-লাঙ্গলের কর্ষণে।
আলোছায়া ধূপখেলা-খেলা চলে দিন বহে-
সাঁজকালে অজয়ের-সুশীতল হাওয়া বহে।


ধীরে ধীরে আলো যায়-ঘন কালো আসে ধেয়ে-
প্রানান্ত কাজ সেড়ে-ঘরে আসে চাষি ফিরে।
স্নানাহার আহারাদি-শান্ত সে মিঠা প্রাণ-
অজয়ের কোল ঘেষে-সুমধুর মোর গ্রাম।