(কিছু ভুল থাকলে কাল সংশোধন করে দেব)


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো "অনন্ত মরন"
"অনন্ত মরন"


জীবন ক্ষনস্থায়ী মরন চির অমর অম্লান
মরনের তরে জন্মেছি ধরায়
মরনের তটে ধাবমান।
পাহার নদী আকাশ ভুমি-আকাশ চন্দ্র তারা
লক্ষ কোটি মরন মাঝে
মনন হৃদয় ধরা।


জন্মে ধরায় মাতৃক্রোরে মৃত্যুর বীজ বপন হয়
মৃত্যু শ্বাশত মৃত্যু মুক্তি-
মৃত্যুর তরে নাই ভয় তায়।


মৃত্যু আমার আকাশ বাড়ি চন্দ্রলোকের জ্যোছনা আলো
মৃত্য করাল মৃত্যুই জীয়ন-
মৃত্যু অনেক বাসিতে ভালো।
হৃদ মনেতে কাম ক্রোধ রাগ-বাসনা-লিপ্সা ও ভোগ
সব জীবনের প্রাণ অবসান
মৃত্যুই অমোঘ।


জীবন মৃত্যু মৃত্যুই জান মৃত্যুর মরন আর নাই
জীবন ভাবি মৃত্যুই আমি-
মৃত্যুর পানে ধাই।
মহাকাল স্রোত অনন্ত বয় ক্ষনিক জীবন প্রাণ
মহাধাম মাঝে বইতে চলি
মৃত্যুতে অম্লান।


জীবনের জয়োগানে অনন্ত ভাবি প্রাণ-দিশাহীন ভাবনাতে
বিষয়েতে ডানা মিলি উড়ে চলি পথে ঘাটে।
মায়া মোহ মমতার বন্ধনে হৃদ মেলি
প্রেম প্রীতি ভালোবাসা
ধূপ ছায়া খেলা খেলি।
তন কায়া মন ধায় অনন্ত ভাবি প্রাণ
মরনেতে ভাবি নাই-
জীবনের জয়োগান।


রচনাতে প্রাণ মেলি রসনাতে জলকেলি
মৃত্যুর দ্বারে ঘরে ক্রন্দন রোল তুলি।
ভাবি নাই মিলে যাব অনন্ত ধারা সনে
মৃত্যু কি তাহা আমি-
ভেবে চলি আনমনে।
মরনের ওই পারে-কি যে লেখা দেখি নাই
গভীরেতে গহীনেতে হৃদ মনে
আলো পাই।


মৃত্যুর দ্বারগোরে মমতার জঠরেতে-ধরা আলো দেখেছিনু
প্রাণ ভয়ে অকাতরে
বহু কাঁদা কেদেছিনু।
শৈশব বাল্য লহমাতে কেঁটে যায়
অনন্ত গতি পানে দ্রুতলয়ে প্রাণ ধায়।


অনন্ত শিখা ধ্রুব যেন প্রাণ মন দুলি
মরনের জীবনেতে অনন্ত সুর তুলি।
মৃত্যুই জীবনটা-জীবনটা মৃত্যুই
মৃত আমি ভাবি তাই-
মৃত্যুর স্বত্তাই।


তাই আমি কাঁদি নাই অনন্ত মৃত্যুতে
মৃত্যুই শ্বাশত-মুক্তির বাণী ধরা
প্রাণ ধারা জীবনেতে।


প্রিয় কবি রিঙ্কু রায় (আবৃত্তিকার) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "মনোরথ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
চিরন্তন


জীবন আর মরন দুইটি চির সত্য শ্বাশত চিরন্তন
আত্মা চির অমর-
এ বিধাতার অমোঘ বিধান।
যাহা মৃত্যু তাহা মৃত্যু নহে-কোনো বৃহৎ সাধনো তরে
ঈশ্বর আপন করেছেন তাকে-নিয়েছেন কোলে টেনে
চির কুহেলিত কুয়াসা ঘেরা মায়াজ্বালে।


কাঁদি আমি কেঁদে ওঠে মন-আঁখিতে ঝরিতে বারি
হোক মহাপ্রাণ ঈশ্বর মহান-
এ ব্যথা সহিতে নারি।
আঁখি ছল ছল ধারা বহে শোকে-উদাস আকাশ চাহি
শূন্য এ বক্ষেতে মোর পরমো আপন
বিরহের গীত গাহি।


জানি না ; কোন খানে প্রশান্তি ঝরে এ ধরাতে কোনায় কোনায়
গরল বাতাস হৃদয় প্রদাহিত
চিন্তনে মানিক সোনায়।
কোন সে পরম বৃহৎ উদার কর্ম সে ভগবান
শুধোই তোমায় দুচোখ বন্যায়
কেন তারে করিলে আপন?


জীবন আর মরন দুইটি চির সত্য শ্বাশত চিরন্তন
আত্মা চির অমর-
এ বিধাতা অমোঘ বিধান।
যাহা মৃত্যু তাহা মৃত্যু নহে-কোনো বৃহৎ সাধনো তরে
ঈশ্বর আপন করেছেন তাকে-নিয়েছেন কোলে টেনে
চির কুহেলিত কুয়াসা ঘেরা মায়াজ্বালে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পুরো হিত-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ইতি কথা


হিতের তরে বাম্বু মেরে ঘচাং করে কাঁটলে গলা
দোহাই কবি পরছি পায়ে-কোরো নাকো ফালা ফালা।
নরাধম সব উৎরে যায়-পুরোহিতের পুঙ্গ ধরি
খোল করতাল বাজাও কেন? আ'মরি আ'মরি।
চোকলা ছাড়ায় মৃদু ঘষায়-মন্দ ওহে বোলছো কেন!
ভাবখানি নাস্তি দেব-গড়ান বুঝি দেওনি যেন।
মন্দিরের ওই ঘন্টা ধ্বনি-গয়া কাশি তাও যাবেনা!
বৃন্দাবনের হরির লুটে-বললে এমন পার পাবেনা।
কেমন ডাকাত বলছো তুমি-সময় কালে লুটিয়ে যাও
ক্ষীর খিচুরি মন্দিরেতে-বার কালেতে উপোস রও।
তাও ভাবনা নাই কি মনে-মন্দ মতি বলতে কথা
নরক যাবে দুঃখ পাবে পুরোহিতের ইতি কথা।