রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো "অনন্ত প্রেম"।
(মূলত প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস হাসি বোনের প্রেরনাতে কবিতাটি পুনঃ রচিত হলো)
"অনন্ত প্রেম"


ওগো চিরন্তন নিখিল ভুবন সাগর আকাশ ভুমে
ভ্রমিয়াছি কতনা প্রেমের সাগরো তব তপোবনে।
উদাস হয়েছি বিরহে জ্বলেছি বন্ধন হৃদয়ের গান
কতনা ব্যথার ভুবনে দুলেছি-
প্রেম প্রীতে অজ্ঞান।


বিশ্ব হেরিয়াছি আঁখিতে পল্লব সপ্ত সাগর বারি
যুগে যুগে কালে কালে-দিয়েছি প্রেমেরো সাগর পাড়ি।
হলাহলে কোলাহলে ভরা নদে-ভালোবাসা সিঞ্চিত প্রাণ
কোটি কোটি প্রেম ভুবন ভুলেছে-
তুমি আমি অজ্ঞান।


ভ্রমর ভুলেছে কলিতে মিলিতে দেখিবারে করে ত্বরা
দরবার যুগে যুগে দরগার কিনারেতে-দ'লে দিতে ধরা।
বিচ্ছেদ বেদনা কতনা সয়েছি-লক্ষ হাজার বর্ষ কাঁদে
মিলেছি তবুও যুগে যুগে মোরা-
নব নব নব সাঁজে।


কবিগান অঞ্চল সিঞ্চিত রসে বিশ্ব কানায় কানায়
পূর্ণ মোদের অনন্ত প্রেম-মিলেছে পাখির ডানায়।
মাহাকাল কতনা বয়েছি-রজনী তিমিরো ঘন কালো
ঘনশ্যাম আমি রাধা হে তুমি-
আমায় বাসিতে ভালো।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কানামাছি-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
প্রীত


জীবন দারুন করুণ কারন-স্বার্থ দ্বেষ জর্জরিত
হানতে আঘাত হৃদয় ক্ষরণ-
হর হামেশা সংঘটিত।  
বিষের বীণে ঝরছে গরল-শুদ্ধ মতি ধরতে মানা
গোস্পদেতে ডুবছে তরী-
সাগর অনেক দূর ঠিকানা।
বৈঠা হালের ধরতে ধরা-জীবন সবে দিশেহারা
ঘর বার পথ নাইকো সুখ-
করুণ রসের বিস্বাদ ধরা।
গাইতে জীবন কান্না ঝরে-আপন হেথা কেউ না রহে
বিষ জড়ানো আগুন রঙ এ-
গরল বাতাস তপ্ত বহে।
ক্ষনিক জীবন শ্মশান গতি-কেউ না ধরে মন
নরক জীবন সৃষ্টি স্বরূপ-
গড়তে তপোবন।
দুঃখ দারুন হৃদয় জ্বলে-দ্বেষ বিদ্বেষ হিংসা জ্বালায়
হীরের মালা মোতির বালা-
সুখ যে অনেক দুঃখে পালায়।
এমন গতি দিলেন কেন-বইতে ধরা জীবন গীত
হায় বিধাতা এক পৃথিবী-
বন্য কেন হিয়ার প্রীত।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ে আছ আমবন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আমাদের গ্রামখানি


শালগাছ বন আছে উঁচু দেওয়ালেতে ঘেরা
শহুরে বাবুর জমি-উঁচু কাঁটাতার প্রাচীলেতে গড়া।
মাঝে মাঝে বাইকেতে বাবু সাবু ঘোরাফেরা-
জমি গুলি মাপঝোক-ফিতে হাতে দালালরা।


মাছ ধরা সখ যারা শহরটা উড়ে আসে
সারি সারি ছিপ নিয়ে-অজয়ের ধার ঘেসে।
রেলগাড়ি ঝম ঝম-মাঝে মাঝে কেঁপে কেঁপে
অজয়টা পার করে-ধীরে ধীরে মেপে ঝুকে।


দুইধারে তরু ঘন উঁচু গড়া রেল পথে
ঢেকিশাক মেলে বহু-বধু গুলি তোলে হাতে।
গোবরের ডালি হাতে-দেওয়ালে ঘষি মেলা
বাবুদের প্রাচীলেতে-নাই বাধা খোলামেলা।


ঘন নীল আকাশেতে-উড়ে চলে গাং চিল
কলোরবে দিনে মাতে-আশেপাশে খাল বিল।
আকাশেতে ওড়ে ঘুড়ি-কাঁটাকাঁটি খেলা মেলা
আমাদের গ্রামখানি-ঝরঝরা প্রানমেলা।


প্রিয় কবি রুনা লায়লা (কাদম্বরী) মহাশয়ার গত পরশু প্রকাশিত কবিতা ধুত্তোরী ছাই কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কালিকা


কি করছেন-করছেন কি!
ঠান্ডা একটু মাথা করুন-
হেস্তনেস্ত করতে গিয়ে-
যদি আবার ডান্ডা ধরেন।


ধ্যুত ত্যরিকা রূপ কালিকা
ধরলে ওমা! আসবে নাকি!
ভয়ের চোটে মিথ্যে বলে
যদি আবার দিলোই ফাঁকি।


তার চেয়ে বরং খান না আদা
লেবু জলের মন্ডা গুলি-
মন তো তাও ঠান্ডা হবে-
এমন রব তুলবে নি।