প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিবেক-২" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হতশ্রী


ভুলিতে গাহিতে প্রভুর গীত হতশ্রী ধরা-
যে বিবেক কহিলেন কত্তা রহে যে অধরা।
ধর ধর ধরা ধরিতে বিবেক সাধিতে কল্যাণ হৃদ-
নাই নাই নাই কত্তা-নাই সে সুহৃদ।
বিবেক তারনে কার্যকারনে নাই নাই নাই ক্ষেদ-
নাই কত্তা দুঃখ ও শোক-হারিয়ে বিবেক।
তাই লহুসোতে ভাসে ধরা নাফ নদীতে বানের স্রোত-
দেশে দেশে দিকে দিকে-ঘুরে ফেরে নির্বোধ।
বিবেকের দাস নাহি রয় প্রাণ-নাহিকো বারিকো চিত্তে দুখ-
শ্বাপদো ধ্বনিরবে কাঁপিছে ধরা কেঁপে কেঁপে ওঠে বুক।
হৃদয় মধুরা ছন্দো সে গান-না রহে অবশেষ-
ধ্বংস কবলিত করুণ সে ধরা-হিংসা ও বিদ্বেষ।
জয়গুরু কৃপা ধর বিবেক টা জাগাও না-
আর কিছু নাহি চাহি-কবি প্রাণ প্রার্থনা।


প্রিয় কবি মধু মঙ্গল সিনহা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত নীল সাগরে কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
স্মৃতি


শৈশব সে দিনগুলিতে-হারিয়ে গেলাম এই ভুবনে।
স্বপ্নজড়া সেই প্লাবনে-
অবাক চেয়ে রই।
যেথায় প্রাণ গগনতলে-পুঞ্জ মেঘে হারিয়ে যেত-
বিহঙ্গ রব কুলকুলু নদ-
স্মৃতির পাতায় উড়ছে কত।
স্বর্ণঝরা দিন সে কথা-নয়ন পানি ঝরায় শত-
কঠিন জীবন বইতে গিয়ে-
কান্না ঝরে অবিরত।
হৃদয় পুরে বাঁধন ছাড়া-শৈশব সে দিনগুলি কই-
জীবন নদে বইতে তরী
হারিয়ে যেতে দারুন খেই।
খেই হারিয়ে দারুন দুখে-হৃদয় পাষাণ বইতে চলি-
সংসারে ওই ভুলভুলিতে-
করুণ হৃদয় কথাকলি।
হে ঈশ্বর দাওনা ফিরে-শৈশব সে জীবন দান-
বইতে নারি সইতে নারি
জীবন কঠিন জয়োগান।


আজ কোনও এক কবির আমার দেওয়া কমেন্টে উত্তরে তার দেওয়া কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা। কবির নাম নোট করি নাই ভুলে গেছি। তবে কবিতাটি এক লাইনের ছিল "১৮ গন্ধহীন বর্ণহীন রূপহীন" এরকম কিছু। আমার উত্তর ছিল "তাই কি!" আমার উত্তরে প্রতিউত্তরে তিনি লিখেছিলেন "এখনও শেষ হয়নি লেখা" তা দেখেই আমি বুলবুলকে ডাক দিলাম।
নন্দবন


রে বুলবুল হয়নি শেষ আরো কিছু লিখতে চায়
তাই কি ভাল হবেই বোধহয়-লম্বা যদি কলম ধায়।
এবার ভাবি রঙ্গিন হবে আঠারোতে ফুল চন্দন
দিতেই বোধহয় সুবাস কিছু জীবনখাতার নন্দবন।
শিস কেন তুই বাজাস বে-আঠারো কি শুধুই প্রেম-
গাছের নিচে ঝোপের পিছে-মন আর তন লেনদেন!
চিপাগলি ধরিস তুই দিন জমানা জানিস কি বে!
রসটুকু সব খেয়ে নিয়ে-ছিবড়া বানায় ছেড়ে দেবে।
জয় মা বলি পাঁঠাবলি-ছাগল হবার ইচ্ছে নাকি-
পাকলো কি বেল কাঁঠাল নাকি-করিস কেন টেপাটেপি।
আঠারতে সাঁজলি সং-তাই সংসার করুণ গতি-
হাটে ঘাটে বাজার মাঠে-হীম আঠারো হার বজ্জাতি।
আবার শিস বাজাস বুল-বুলি তুই বোঝনা রে বে
কাপড় টাপড় জড়া গায়ে-ধর্ষণেতে প্রাণটি নেবে।


প্রিয় কবি আফরিনা নাজনীন মিলি মহাশয়ার গতকাল প্রকাশিত কবিতা ইচ্ছের অকাল মরণ কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
ডালখিঁচুরি


হায় রে হায়!
আমায় কাঁদায় এমন সব কাব্য বুলি-
আই মদনা আই কানাই
দেখনা সাধের বুলবুলি।
হাসতে যদি মানার দেশে-
আমায় নিয়ে এক্ষুনি চল-
পেট যে ফাঁটে হাসির তোড়ে-
কেমন তেমন কাব্য বল!
ডাল খিঁচুরি মিস্রি তালের-
দুচার কিলো আননা বুল-
দেখনা কানাই কাব্যবুলি
ফুটায় কেমন দারুন হুল।
তুমি কবি তাও তো ভাল-
ডাকতে নাক মানা নাই-
ডালখিঁচুরি বাচ্চা কোলের
লিখলে দারুন কবিতাই।