রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে বাস্তব কাহিনীচিত্র রূপক কবিতায় পুনঃ রচিত হলো আজ "তালগাছ"
"তালগাছ"


তালগাছ ঠ্যাংঠাঙ্গা লম্বা সে উঁচু শির-
যেন বলে উদ্ধত-যেন বলে আমি বীর।
পাতাগুলি হিল্লোলে-যেন করে নৃত্য-
সব গাছ হতে উঁচু-আর সবে ভৃত্য।
দেমাকেতে নাক উঁচু-যেন ধরা ছোয়া নাই-
আমিত্ব্যে চূর সে যে-গোল গোল পাতা তাই।
তালপাখা হাত পাখা বলে সে যে মোর দান-
সুস্বাদু সে তাল বড়া-মুখে দিলে ভরে প্রাণ।
আর কোনো ফল সে তো-কোনো ধার ধারে না-
ঝড় এলে বট গাছ-সেতো জোরে পরে না।
ঝড় এলে মাথা নাড়ে বলে ঝড় পাড়বেনা-
আমি তাল রাজা গাছ-কক্ষোনো হারবেনা।
আর সব গাছগুলি-একদিন জেগে গেল-
বিদ্রুপে বিদ্রুপে তাল গাছ ভরে দিল।
ওরে তুই মূর্খ-তাল তুলি রাজা হলি-
যে তোরে পুতেছিল-তারে কিছু ফল দিলি?
তোর মত আহাম্মকে-দীন প্রাণ অধোগতি-
দিকে দিকে লহু স্রোত-হানাহানি দুর্গতি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দ্বন্দ্ব" কবিতার উররে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
অজ্ঞান


হিংসা দ্বেষে জর্জরিত ওষ্ঠাগত প্রাণ-
এক পৃথিবী আকাশ ভাঙ্গা করিতে রোদন।
কামনায় হৃদ বাসনায় মতি-রতি আর কাম ক্রোধ-
লভিতে অভীষ্ট লাভ-হানাহানি কাটাকাটি-
দিকে দিকে নাই বোধ। ।
জ্ঞান সে মন জানে বেশিদিন-রবে না খাঁচাখানি প্রাণ-
ভুরি ভুরি উপভোগে মত্ত সদাই-ধরিতে দারুনো জীবন।
জীবকূলে নাই দয়া-দান সে করুন-বিনাশীতে মানবতা-
দশ দিকে ত্বরিতো জাগরুক-দশানন দানবতা।
হিংস্রক রাজ কপটো ছলনাতে-ব্যাপীতে ভুবন নীলে-
মৎস্যস্যন্যায় অরাজক রাজ-দিকে দিকে মাথা তোলে।
গার্হস্থ্য গহনো গভীরে-স্বামী জায়া মিলে নাই-
আপনো সে পর হয়-ভালোবাসাবাসি নাই।
সংগ্রাম জীবনেতে-তনয়া ও পুত মাতে-বিলাসীত জীবনতা-
দিকে দিকে দিকে দিকে-পূতি বায়ু মলিনতা।
দ্বন্দ্ব ও দ্বেষ বিষে-কলুষতা মেলে প্রাণ-
গরলো সে প্রাণবায়ু-হৃদ জানি অজ্ঞান।
যোনি পায় মানবের-হিংস্রক পশু প্রাণ-
বিধাতায় মাথা ঠোকে-করুণায় অবশান।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদারের আজ প্রকাশিত "বেটা মডেমের নেটখানি" কবিতার উত্তরে লেখা কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আম'রি


এরকম হলে ভীষণ বিরক্ত লাগে।
তাই তো একটা ডোঙ্গেল রেখে দি সাথেপাচে-
যদি চলে যায় লাইন-তাও তো আসর বাঁচে।
ঝটপট ডোঙ্গেলে দি কানেকশান-
আসরেতে দিতে মনপ্রাণ।
সেদিনের কথা স্মরণে এলে-খুব ব্যথা পাই মনে-উদভ্রান্ত।
ঠিক বারোটা বাজলো যখন-
কেঁটে গেল কানেকশন-পরিশ্রান্ত।
ত্বরিৎ বেগেতে নেটকে ধরিতে-ডোঙ্গলে দিলাম টান-টানটান-
হায়রে সাথী দুঃখ অনেক-পয়সা বারন্ত-
হায়রে ডোঙ্গল অন্ত প্রাণ।
প্রাণপন করি ভ্রান্ত চেষ্টা-কেষ্টার মত জীবন-
করুনায় উত্তরণ।
অস্থির হলো মতি প্রাণ-যেন অজ্ঞান-
জানি নাই টাকা তাও বারে বারে ঢোকা-
ঈশ্বরে করিনু স্মরণ। একি!
কি দেখি এ ডোঙ্গলে এসেছে জান-
ত্বরিতে আসরে-লেখা সে ছাপোরে-
সঁপিতে মনপ্রাণ।
হেরিনু পাতায় লেগেছে দোলা-আনন্দে উচাটন-
ফের কেঁটে গেল তাল-বিকল ডোঙ্গল-
ভাবি কি দিল কেউ-সুমধুর সম্ভাষণ।
বারে বারে করি-ঈশ্বরে স্মরি-ফের মিলিল কানেকশন।
প্রণামে প্রভুরে-পাতার হেরিনু-দুটো কলি এসেছে উড়ে।
দেখিতে না দেখিতে তারে-
ফের গেল প্রাণপাখি উড়ে।
সেই যে গেল আর না এলো-মনে মনে প্রভুরে স্মরি-
আম'রি!তাও তো ছাপা হলো।


প্রিয় কবি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত মরীচিকা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (ফাউ কবিতা)
হরিবোল


এই তো জীবন মরীচিকা সম প্রাণ-
ধূ ধূ প্রান্তর-
জীবন তারন কঠিন সাধন-মাঠ সে তেপান্তর।
এই প্রান্তে নয়ানজুলি-ওই পাড়েতে-গহীন ঘাত-
দিনমান রয় রবির কিরণ-
অস্ত গেলেই করাল সে রাত।
দিবারাতের ভুলভুলিতে-
কান্না কভূ হাসির রোল-
করুণ জীবন জরা কালে-এক সময় হরিবোল।
বল হরি হরি বোল।