প্রিয় কবি "কবি অঞ্জাত" কবিতা আপন-পর-উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(গদ্য কবিতা)
লজ্জা


বিধির ছলনাতে সাঁত পাঁকে বাঁধা পড়তে হলো-
এছাড়া আর কোনো উপায় ও তো ছিল না।
বাবা ক্যান্সারের পেশেন্ট আর মা কিডনি ফেলিওর-
মাসে দুবার ডায়ালিসিস করতে লাগে।
বাবা যদিও চিকিৎসায় সুস্থই আছেন-
তবে আর কতদিন থাকবেন-
তা কেবল মাত্র ঈশ্বরই জানেন।
একমাত্র কন্যার বিবাহ দেবার জন্যে
তাই তারা পাগল হয়ে উঠেছিলেন-
পাত্রও তো খারাপ ঠিক করেন নি।
প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী-ধনে বলে বিত্তমান।
সর্বোপরি শিক্ষিত পাত্র।
একদিকে বেকার প্রেমিক আর এক দিকে মানবতা।
আমি অমানুষ হতে পারিনি প্রিয়তম।
সে আমাকে ভালবাসে-সে তো কোনো অন্যায় করেনি।
অনেক খুশি রাখতে চায় আমায়-তার অধিকার।
লজ্জা লাগে এখন তোমার কথা চিন্তা করবার-
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবার।
প্লিজ আমাকে ভুলে যাও প্রিয়তম।প্লিজ।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মানব কেন অপারক" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শয়তান


হেরিনু দিকে দিকে অশান্ত বহে বায়ু-
রক্ষ সে প্রাণোহারা নিনাদিছে প্রাণোবায়ু।
আর্ত সে ধ্বনি রবে বসুমাতা কাঁদে-
লহুস্রোতে দিকে দিকে কপট সে ফাঁদে।
উন্মাদ হিংস্রক শত প্রাণে ঢালে বিষ-
লুন্ঠনে মানবতা দংশনে অহর্নিশ।
আমি কবি কেঁদে যাই অনন্ত ব্যথা বুকে-
ধ্বংস সে ধ্বনি বোল হল্লাতে দিকে দিকে।
কেন প্রাণ শয়তান দানবতা জ্বাল বোঁনে!
সীমাহীন দুখ হৃদে ভাবি আমি আনমনে।
ধর্ম সে ছলনাতে বায়ু বহে অজ্ঞান-
শতধায় কেড়ে নিতে লহমাতে শতপ্রাণ।
দেশে দেশে দিকে দিকে যুদ্ধ সে রোল কেন!
গরলেতে প্রাণোবায়ু-রুদ্ধ সে হৃদ যেন।
মানবতা ধ্বংসেতে বুদ্ধের দেশে প্রাণ
কচুকাটা করে লাস সু চি নামে শয়তান।
ক্ষমা দয়া আদি গুণ-প্রেম প্রীতি ভালোবাসা-
হেরিনু সে দিকে দিকে-নাই প্রভু নাই আশা।
তপ্ত এ ধরাতলে-প্রশান্তি দিতে প্রাণ-
জোড় করে প্রনতিতে হে প্রভু-
হয়ে নাকো অঞ্জান।


কি ছিল ওই চোখে? (গদ্য কবিতা)


কিছুদিন আগের ঘটনা খুব ব্যাস্ত ছিলেম বিবিধ কাজে-
একটা লোন একাউন্টের সেটেলমেন্টের কাজে-
প্রায় ঘন্টা তিনেক ব্যাঙ্কে সময় অতিবাহিত হয়।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাহির রাস্তায় সময়-অতিবাহিত করা, ধুমপান-ইত্যাদি।
সেসময় নজরে এল ব্যাঙ্কের ঠিক প্রবেশদ্বারে-এক দীর্ণ শীর্ণ ভিখারীনি।
ততোধিক শীর্ণ-বছর দেরেকের এক শিশুকন্যা।
এতটাই শীর্ণ যে লিখে প্রকাশ করা দুঃসাধ্য।
শিশুটি টলমল পায়ে সামান্য পরিধিতে-ছিল তার গতিবিধি।
ব্যাস্ত মানুষজন একবার চোখ ফেলেই ব্যাস্ত-উধাও হয়ে যাচ্চে তাদের ঠিকানায়।
কচিত দু একজন দু-একটা রেজগি-ছুড়ে দিচ্ছিল তার বাটিতাতে।
চোখ ছলছল করে উঠলো। মনে মনে ভাবছিলেম-
পথচলতি মানুষগুলি সবাই যদি অন্তত-
একটি করে টাকা দিত তবে কি ভালই না হোত।
প্রবল আবেগে চোখে আসা জল প্রতিরোধে-
মাথায় প্রচন্ড চাপ পরে-মাথা টনটন করে।
মনে হচ্ছিল হাত পেতে ভিক্ষা করে ভিখারীনির-বাটিটা ভরিয়ে দেই
তবে তা তো আর-শোভা পায় না।
পকেটে হাত দিলাম। সবচেয়ে ছোট নোটটি ছিল ২০ টাকার।
ভাবলাম ধুমপান পানবাহার ইত্যাদিতে-ওটাই দিলেম বাটিটাতে।
ভিখারীনি যেন একটু অবাক চোখে আমায় দেখলো।
আমি সহজেই অনুধাবন করলাম তার –বিহ্বলতার কারন।
ও তো আর জানে না আমার কবিমন।
কিন্তু তারপরও মনটা যেন কেমন কেমন করছিল।
কিছু যেন একটা অপূর্ণ থেকে গেল।
একটা বিস্কুটের দোকানের খোজ শুরু করলাম পেয়েও গেলাম।
ছোট এক প্যাকেট-বিস্কুট কিনলাম।
ফিরে এসে বাচ্চাটার হাতে ধরিয়ে দিলেম সে বিস্কুটের প্যাকেটটা।
বাচ্চাটি অবাক বিহ্বলভাবে একদৃষ্টে সেই যে আমার দিকে চেয়ে রইল।
নয়ন-আর সরে না।অনেক অনেকক্ষন।
আমাকেই দৃষ্টি ফেরাতে হোল।
তারপর যতবার ওখানে দাড়িয়েছি-বাচ্চাটি ওই একইভাবে আমাকে দেখে গেছে।
ভিখারীনিকে আমার ছোট্ট উপদেশ-একটু দুরে একটি মন্দির আছে-
ওখানে গিয়ে বস।
তারপর থেকে শুধু ভেবেই যাচ্ছি-
কি ছিল ওই চোখে?


প্রিয় কবি অনন্ত গোস্বামী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হারিয়ে গেছে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
জয়গুরু


মানুষ আছে মানবতা নেই-
দয়া মায়া ক্ষমা দান প্রীতি ভালোবাসা-
গুণ গুলি নেই।
মন্দির মসজিদ গির্জা তো আছে-
ভাব ভক্তি হয়েছে লীন-
পাশবিক আচরণ-হিংস্রতা অশালীন।
শিক্ষা তো আছে ডিগ্রী কলেজ-
নলেজটা নাই কোনো-
বিনয়াদি গুণাবলী ভাব ধারা-নাই যেন।
বেশভূষা আছে দেহে-তবুও উন্মুক্ত কায়া-
ভাবনাতে কাম রতি-
যেন সুখ চাঁদ মায়া।
জলবায়ু আছে প্রাণ-বায়ুটাই নাই নাই-
পিতা মাতা একই রয়-
তাও নাই ভাই ভাই।
হরিবোল হরিবোল-
জয়গুরু কৃপা দেহ মানবেরে।