জুতা আবিস্কার
এই পৃথিবীতে দুই বার জুতা আবিস্কার হলো। একবার করেছিলেন রবি ঠাকুর আর একবার করলাম আমি। (এই কবিতার একটা ছবি আছে-জিনসের কাপড়ের জুতা)


হবু রাজা ফতোয়ায় জুতা পরা যাবেনা!
চামরার জুতা পড়ে পায়ে শুধু কড়া পরে-
পরা নয় এত সোজা খুললেই যায় বোঝা-
শুধু করে গন্ধ-তাই বন্ধ।
আজি হতে মানা হলো-কানে কেউ দিয়ে তুলো-পরলে!
সাত কথা শোনা নাই-কোনো দয়া মায়া নাই
শুলে দাও তুলে।
রাজা আমি জগতের কেন শুকি গন্ধ-
জুতা মোজা আজি হতে
মোর দেশে বন্ধ।
সেই জুতা মোর চাই-যে সে জুতা হবে না-গন্ধও রবে না-
সেই জুতা মোর চাই-
সাত দিনে সেই জুতা গড়া চাই।
হবু রাজা ফতোয়ায়-যেন সবে প্রাণ ধায়।
খালি পায়ে চলে চলে-ফোস্কাতে গলে গলে-
ব্যথা সনে কথা বলে জীবন।
ভেবে ভেবে মুচিগুলি-আর্ত সে সুর তুলি-
চিন্তায় দিন রাত-লৌহের জুতো গড়ে।
হবু রাজা পায়ে পরে-দিল সবে জেলে ভরে।
পায়ে যেন বল নাই-শুধু কঠিনাই-
ঘর্ষণে ঘর্ষণে-জ্বালা শুধু দেয় প্রাণে-
হবে না।
মন্ত্রীর ঘুম ছোটে-যদি দেয় ছুটি তাকে-
রাজ কর্ম।
দিন কয় গত হলে-দর্জির বেশ ধরে-
বলে রাজা আমি পারি-
হালকা জুতো গড়ি।
জিনসের কাপড়েতে-বেঁধে দিয়ে সোল টাকে।
গন্ধও রবে না-বেশি ভারি হবেনা-
এই নিন জুতোখানা।
গবু বলে এ হিসাব-পূর্বেই ছিল জানা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সময়ের মহত্ত্ব" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তমানিশা


ভবসাগরে বিচিত্র শত কত রূপ রং রঙ্গে-
অঙ্গে অঙ্গে শোভিত কেউ হাসে-
কেউ বা কান্দে।
কান্না জড়িত হৃদয় জারিত খরো বায়ু বহে প্রাণ-
কভু কি নাপিয়াছ আপনো গরিমা-
করিয়াছ কি বিশ্লেষণ।
বল দিয়েছেন বাহুতে তিনি পদ করিতে চারণা-
হৃদয় দিয়েছেন বুদ্ধি বিকাশ-
আকাশ দিয়েছেন প্রেরণা।
কাঁদিছো ভুবনে কিছু পাও নাই-শরম কি জাগেনা চিত্ত-
ধন লাগিয়া বৃথা রোদনেতে-
কর্ম রহিতো বিত্ত!
ওঠো জাগো এখনো সময়-ধরিতে প্রাণের দিশা-
কর্ম ঝাপিতে দূর হবে দূর-
দূর তমানিশা।


প্রিয় কবি শেখ লিটন সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লতিফা'র কথা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সুহৃদ


অবাক পৃথিবী অবাক করলে আরো!
ক্ষুদার সাম্রাজ্য আর ধনীর ধন বর্ণাঢ্য-
অবাক পৃথিবী অবাক করলে আরো!
ধন রাখিবার নাহি স্থান তাই-
কালো ধনের ছড়াছড়ি-
এক পৃথিবী ক্ষুদার্ত-আস্তাকুরে করে গড়াগড়ি।
অবাক পৃথিবী অবাক!
সোনার চামুচ মুখে জন্মে ধরায়-
ক্ষুদা কি নাহিকো বারিকো জানা-
এক আকাশ মরিছে ব্যথায়-
রয় তা অচেনা অজানা।
জারজ সন্তানে ভরিছে ভুবন-কান্না রাশি রাশি-
খাদ্য কণা আস্তাকুরে-পচনশীল বাসি।
এক সাগর মর্ম ব্যথায়-কাঁদিতে পরান হৃদ-
জন্মেই ধরাতে চক্ষু মেলিতে-
নাই রে নাই সুহৃদ।
অবাক! অবাক পৃথিবী অবাক।
দেশদরদী! মন্ত্রীমশাই কুম্ভিরাশ্রু চোখে-
লুটিতে চুষিতে ধন-নিদারুন দিকে দিকে।


এ ধরার অধিকার-জীবন সমান সবে-
এক পৃথিবী জাগিতে ধরা-সময় এসেছে সমন-
কালো ধন লুন্ঠিত হবে।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হ্যাপি বার্থডে টু সোমালীনিরঝরা(মৃণালিনী)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (ফাউ কবিতা)
শভ জন্মদিনে


জন্মদিনে দেবার মত কিছুই আমার নাই-
প্রিয় কবির আরগ্য কামনাতে-
হে ঈশ্বর প্রার্থনা জানাই।
বছর বছর দিনটি ঘুরে-আসুক বারেক শত-
কাব্যগাথা দারুন দারুন-
লিখতে হাজার কত।
বিদ্যামনি সরস্বতী জাগুক তোমার হৃদ-
কলম চলুক ঝর ঝর ঝর-
কাব্য আর গীত।
জন্মদিনে দেবার মত কিছুই আমার নাই-
প্রিয় কবির আরগ্য কামনাতে-
হে ঈশ্বর প্রার্থনা জানাই।