রবি ঠাকুরের পর আজ (২/২৮ মিঃ দুপুর) ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হলো "অচলা বুড়ি"


"অচলা বুড়ি"


হায় হায় ধ্বনি রব মস্ত সে কান্ড,
রায়গড়ে বুড়ি সে যে
ভেঙ্গে দিছে ভান্ড।
ভিটেমাটি বাড়ি গাড়ি সোনাদানা যত ধন,
অনাথের কল্যাণে দিয়ে গেছে
বুড়ি দান।
আশ্রমে হই হই খুশি যেন দিশা নাই,
অপত্য নিজ তার বলে বুড়ি
হোস নাই।


যৌবনে বুড়ি সে তো মৃন্ময়ী ছিল রূপ,
বিয়ে সাধি হয়েছিল-ঘনঘটা
অপরূপ।
জ্যোছনায় আলোকিত ঘর বার দ্বার তার,
ধনে বলে বলিয়ান উদ্দাত্ত
মন তার।
দিন যায় মাস যায় বৎছর হয় পার,
অভাব তো কিছু নাই অপত্য
নাই তার।
বন্ধা সে মরূভূম রোদনেতে কাঁটে দিন,
আরো কত সাল যায় বেদনাতে
হয়ে লীন।
আসমান দিল জ্যোতি দেবালয়ে বহু কেঁদে,
মানিক সে সোনাধন দিল ধরা
দেব ফাঁদে।  


ধীরে ধীরে বিকশিত শিশুপ্রাণ বাল্যেতে,
স্নেহ আর মমতায় ভরে দিল
মৌতাতে।
প্রাচুর্য ছড়াছড়ি বায়নার নাই শেষ,
কিছুতেই মানা নেই মৃন্ময়ী
দিল বেশ।
যৌবনে ভরা শশী যুবক সে প্রেমে ভেসে,
বহু কত নচ্ছারি বিয়ে হলো
অবশেষে।


ততদিনে গত হলো কর্তা সে গৃহপতি,
সবই ধন লিখে যায় মৃন্ময়ি
তার প্রতি।
সংসারে খুটিনাটি বঁধু সে তো মুখরা যে,
শয়তান শালা বুড়ি-কহিতে অচলা
প্রতি প্রতি প্রতি
পদে।
কাল স্রোতে ভেসে যায় অশক্ত মৃন্ময়ী,
ঠেলা গুতা গালি দেয় আধুনিকা
চিন্ময়ী।


ছেলে তার আরও বেশি গলা দেয় ধাক্কা,
বলে বুড়ি লেখ ধন হিসেবটা
পাক্কা।
অচলা সে বুড়ি কাঁদে দেখভাল নাহি কেহ,
দুর্বল অশক্ত নড়িবারে নাহি
দেহ।
দিন যায় যন্ত্রণা দিনে দিনে নেয় গতি,
ভাবে বুড়ি ছেলে বউ কেন
হেন মতি
গতি।


হটাৎ সে হই চই বুড়ি ছেড়ে গেছে বাড়ি,
সম্পদ লেখে নাই-তারে পেতে
তদ্বিরি।
দুইদিন গত হলে শমনটা হাতে পেল,
আশ্রম হতে চিঠি ডাক তারে
হাতে দিল।
বাপান্ত গালি রবে ছেলে ছুটে আশ্রমে,
অচলা সে বুড়ি সে তো
চলে গেছে মহাধামে।
অচলা বুড়ির গল্প ফুরালো নটে গাছটি
মুড়ালো।

প্রিয় কবি জয়শ্রী কর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "পঞ্চকলি (৫৭ ও ৫৮)" র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বাংলাদেশের বিজয় দিবশ উপলক্ষে অধমের ক্ষুদ্র উপহার।


সেলাম


মাগো তোমার চোখ ছলছল আনন্দের ওই অশ্রুবানে,
আজ বাংলা স্বাধীন মাগো
শহীদেরই অবদানে।


মাগো ব্যথার অশ্রুনীলে-লক্ষ ত্রিশ দামাল ছেলে,
জয় বাংলা জয় মুজিবর-অগ্নিপথে
রক্ত ঢেলে।


মাগো তোমার আঁচল তলে-অনেক লহু অশ্রু ঝরা,
এই ধরনীর এই তলেতে-বিশ্বলোক
অবাক ধরা।


লাল সবুজে আলোক আঁকি দিব্যি দিলাম মাগো তোমায়,
তোমার গরব বীরের গাথায়-বিশ্ব তোমায়
সেলাম জানায়।


রাখব ধরে বলটি বুকে শিরায় শিরায় ফল্গুধারা,
মাগো তোমার শৌকত শান-
মুষ্টিতে প্রাণ,
চাইলে তুমি উজার
করা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের "যদি আসে সে সময়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রাজকীয় উন্মেষ


বিরাজে অন্তিম কাল-কলি ঘোর ঘন,
দুঃশহ স্বপ্নেতে কম্পিত
হৃদ মম।
জাগরণে নিদ্রাতে সুখ নাই ধরা পল,
ধরা প্রান ধ্বংসেতে অনলেতে
গলগল।
অশান্ত ঘূর্ণিত পাঁক বায়ু শনশন,
যেন হৃদ ফেঁটে যায়
ঝনঝন ঝনঝন।
তর্জনে গর্জনে কাঁপে ধরা দশ ভিত,
দিকে দিকে শুনি তাই
ধ্বংসের সঙ্গীত।
হানাহানি টানাটানি মূর্খ সে রাজ পতি,
কোন্দলে কোন্দলে টেনে আনে
দুর্গতি।
আমি কবি ভাবি মন কেন হেন মতি হলো,
ভাবনায় সাম্যতা ধন ধান
গতি নিল।
এক ধরা এক জাতি এক নাই টাকাটাই,
ডলারেতে তফাতেতে উঁচু নিচু
দেশ তাই।
সম্পদ বিপননে নাই নীতি নাই প্রাণ,
পেট্রো সে ডলারেতে ছিনে নিতে
মন প্রাণ।
সাম্যতা ছিনে নিতে পশ্চিমী দেশটাই,
উন্মেষ হিংসার-দিকে দিকে
রব তাই।
আমি কবি ভাবি মনে একান্ত নির্জনে,
কেন দ্বেষ হবে নাকো-দুখ ধরা
দেশ প্রাণে!
হুমকিতে দমকিতে উঁচু ধরা নাক তার,
দেমাকেতে ছড়ি ঘোরে
আজ ধরা দোষ তার।
কায় মন প্রাণ তনু ভাবি তাই এক ধরা,
ডলার কি রুপিয়াতে-তফাৎটা
নাই গড়া।
এক ধরা এক রাজা ধরনীতে মহাদেব,
নেমে এসো দূর করো
রাজকীয় উন্মেষ।


প্রিয় কবি অন্তরা ইয়াসমিন শান্তি মহাশয়ার সেদিন প্রকাশিত "এক অক্ষরের নাম" কবিতার উত্তরে সেদিন কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মা


মা! আর কে আছে এ দুনিয়ায়
যে সদাই ভালো চায়।


আর কিছু না চাই,
মাগো তামায় হৃদয় ভরি
গানটি তোমার
গাই।


জনম জনম তোমার কোলে
স্নেহের আঁদর মাখা,
লজ্জা আমার হৃদয় ভাঙ্গে-
ভাবলে আমার
কথা।


জীবনভরই কষ্ট দিলাম
সংসারেতে অনেক দুখ;
কাছে থেকেও অনেক দূরে
দিলেম নাতো রত্তি
সুখ।


জেনো মাগো হৃদমন্দির
দুঃখ অনেক কাঁদে
বন্দনা মা চরণ কমল
রেখো আমার
হৃদে।