বি.দ্রঃ আজ আরও বেশ কয়েক জনের লেখার উত্তরে কবিতা লিখেছি। ধীরে ধীরে সবার টাই প্রকাশ দেব।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অনেককালের একটিমাত্র দিন"
"অনেককালের একটিমাত্র দিন"


চৈত্রের ঝরা পাতায় পাতায়  
অবসন্ন ক্লান্ত আঁখিতে আঁকিতে
গাহিনু সে মর্মর বাণী,
উদাস আকাশ ঘন নীল-ঘন নীল
রাখিনু সে হৃদখানি।
অসীম অনন্ত মায়াজ্বাল ঘেরা কুহেলিত কাল,
বসন্ত ধরেছিল পলাশ ও বকুল
অঙ্গে অঙ্গে পুস্পিত লাল।
বসন্ত বিহারে প্রশান্ত অন্তরে
ধরনী দুলেছিল উদ্বেল,
পাখনা মিলিয়ে সুদূরে উড়িতে
খেলিতে মেলিতে হরিৎ এ দুলিতে-
দুটি প্রাণ দুটি মন লেনদেন।
অনেক সাগর ভাসাভাসি পাশাপাশি
হৃদয় আঁকিনু আঁখি,
নির্ঝর ঝর ঝর বহিনু কতনা-
আকাশ উড়িনু পাখি।
বিধাতায় হাসে মহাকাল রচে
কালেরো পরশে চরম সে শিহরণ,
যোনিতে কালেরো প্রসব বেদনা
কাড়িতে সে প্রাণ।
কালের সৃষ্টি সে অমোঘ দানেতে
বিচ্ছেদ গীতি শূন্যে বহে,
অনেককালের একটি মাত্র দিন-
রিক্ত এ প্রাণ বেদনাতে রহে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মিনতি-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সুখী


হায় হায় কন কি! কন কি!
কত্তা!মোরে ডুবাবার বাসনা কি!
সাধিছেন মনে ভাবি আনমন;
যতেক যাতনা প্রাণেতে সহেনা-
ছলনা রহিত-
কবে কে পেয়েছে ভুবন।


এ জীবনে ধরি-শতেকো আজাহারি
লক্ষ জোনাক তলে,
শশী রবি তাও তো উদয়-
নিশীথো প্রদীপ ভুলে।


করজোড় করি কপাল ঠুকিতে
বেদনা নাহি পাহি বেদনাতে,
ধারা কত বহে চলে-
নাহি চলি অশ্রুতে রোদনেতে।


তপ্ত ধরাতে জীবন বহিতে
আনন্দ গান গাহি,
শতেকো বেদনা ভুলিতে রোদন
আমি সুখী অবরাহী।


প্রিয় কবি ড প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত প্রজাপতির রং কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ব্যথা


জীবন নদেতে হাসিতে খেলিতে
আঁকিতে ছবিতে রঙ্গেতে তুলিতে,
ব্যথা কেন-কেন কেন কেন!
বারে বারে ঘুড়ে ফিরে-ঘুড়ে ফিরে!
দ্বারে দ্বারে জেগে রয়।


স্বপ্নের ঢুলিতে নয়নো মেলিতে
প্রজাপতি রং এ আকাশ ভরিতে
বিহঙ্গ মতি মন পাখনা মেলিতে
ব্যথা কেন-কেন কেন কেন!
বারে বারে ঘুড়ে ফিরে-ঘুড়ে ফিরে!
দ্বারে দ্বারে জেগে রয়।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "শীত" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(ফাউ কবিতা)
শীতবুড়ি


ওটাই মজা
তিলের খাজা,
তিল তিলানি গল্পটা,
সাওয়ার ছেড়ে
গরম জলের
নিতেই হবে
বাস্পটা।
গরম জলে
স্নানের পরে-
হার কাঁপানি
শীত ধরে।
শীত বুড়িটার
থুর থুরানি,
হার জিরজির
কাঁপন চলে।
রোদ মামাতে
অনেক গান,
ভুলতে বুড়ির শীত-
ধান ভানতে
শিবঠাকুরের-
শীত বুড়িমার
গীত।