খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা ও পোষ্ট করা। বানানে কিছু ভুল থাকলে কাল দেখে ঠিক করে দেব।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অন্তর মম বিকশিত করো"
"অন্তর মম বিকশিত করো"


অন্তর মম বিকশিত করো হে প্রভু-
তপ্ত গরলো বায়ু,
দিকে দিকে হায়েনারা-ক্ষয়িষ্ণু প্রাণোবায়ু।
অশান্ত ধ্বনিরবে প্রদূষণে ভরে মন
জীব জ্বালা যন্ত্রণা শয়তান ধরে তান।
পারি নাকো নির্মল হৃদ মন অধোগতি,
অন্তর মম বিকশিত করো বিকশিত করো
বিকশিত করো হে প্রভু-
দুর করো দুর্গতি।
দুর্গতিনাশিনী রূপে তোমা সদা চিনি,
যুগে যুগে কালে কালে তোমারই জয়োধ্বনি।
ত্রস্ত ধরা রুক্ষ মতি রক্ষ করে রাজ
জীবন কাহন দস্যু পুরে-
মাথায় পরে বাজ।
এক পৃথিবী আকাশ ছোঁয়া মন্দ করণ মতি,
বিকশিত করো বিকশিত কর অন্তর আত্মা-
জ্বালো জ্বালো হে প্রভু বন্ধন
প্রেম গীতি সম্পৃতি।
অন্তর মম বিকশিত করো-বিকশিত করো হে
নন্দিত করো নন্দিত করো-ছন্দিত করো হে।
ছন্দ লিখিতে ছন্দ বলিতে ছন্দ ছড়াব ধরা-
তপ্ত লহুতে বিকশিত প্রাণ দিতে
লিখে যাব ছড়া।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রভাত সময় কালে"কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (জন্ম কাহিনীঃ  মেঝ মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে ঘরে ঢোকার আগে চেম্বারে ঢুকেছিল। তখন আমি এ কবিতাটি পাঠ করছিলাম। মেয়ে বলল বাবা এ কবিতা পড়ে একটা কবিতা লেখ না। আমি বললাম ঠিক আছে বসো লিখছি। দু মিনিটে লেখা কবিতা। কবিতা মেয়েকে সামনে বসিয়ে লেখা। হাসতে হাসতে গল্প করতে করতে লেখা কবিতাটি। কবিতাটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আশাকরি আপনাদেরও খুব ভাল লাগবে।)
কনক বারি


কুচুর কুচুর গরুর গাড়ি-
ধানের বোঝায় অনেক ভারি
ধান পেকেছে ধান উঠেছে-
তাইতো নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি।


ধুলোয় ভরা মেঠো পথে-
রাম শ্যাম ওই গুলটি হাতে
বক কবুতর খুজতে গাছে-
দু চার পিস মাংস পেতে।


আকাশ রাঙ্গা সিঁদুর রঙ্গে
একতারা গান সেই ভুবনে
ভুবন মাঝি বৈঠা চালায়
ভরিয়ে নদী গানে গানে।


অজয় নদীর দুকূল বাঁকে
পম্ম শালুক অনেক ফোঁটে
স্তব্ধ জলের ওই কিনারে-
তুলতে শালুক সবাই জোটে।


সন্ধ্যাকালে বিকার হেলায়
সূর্যি মামা ওই ঢলেতে
ফুটছে শতেক মাধবি লতা-
স্নিগ্ধ মধুর ওই ডালেতে।


মোদের গাঁয়ে আসতে যদি-
বসতে যদি বসন পেতে
দেখতে সোনা কনক বারি-
দৃশ্যে এমন হৃদয় মেতে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অঙ্গদের পা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
জগদ্দল


ভাবি তাই কবিতাই কবিতায় ডানা মেলে,
কত কথা বলে যাই চিৎকারে
জোরে জোরে।
শোরগোলে মাথা ঘোরে টপ টপ পানি ঝরে,
জগদ্দল শিলা সে যে হেলাহেলি-
নাহি করে।
অং বং ভং চং বিচিত্র রং চং সাত রঙ্গে ঘোলাগুলি
পালতোলা নাক উঁচু বাঘা বাঘ
কোলাকুলি।
কাঁটা ছেড়া কাটাকাঁটি চুলচেঁরা ফাটাফাঁটি!
বাকি সবে নচ্ছার রব তোলা-
যেন খাঁটি।
নারে বাপু প্রাণান্ত-বাড়ি দিলে হেলে নাতো!
অঙ্গদ পা দিলে যন্ত্রণা-
শত কত!


প্রিয়কবি রণজিৎ মাইতি  মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "আমি যদি পাখি হতাম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট  বক্সে লেখা কবিতা।
পাখি


মনটি আমার উড়ো উড়ো
নীল গগনে মিলতে ডানা-
প্রাণ বিধাতা দিলেন মানুষ-
নাইকো বাঁধা উড়তে মানা।


দূর গগনে উড়তে চলি-
যেথা ইচ্ছে সেথায় ফিরি-
নীল তারা ওই আকাশ গগন-
চাঁদ তারা ওই মুঠোয় ধরি।


ডানা আমার মন দু-খানা-
আকাশ উঁচু বড়-
নেই ভাবলা পাখির মতই-
পাখিই মনে কর।