রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো "অন্তর মম বিকশিত করো"
"অন্তর মম বিকশিত করো"


অন্তর মম বিকশিত করো হে প্রভু ধরিতে ধবল শুদ্ধ মতি
জাত বেজাতের ধন্দ ধরায়
মানব করুণ হিয়ার গতি-
হের হে -হের হে প্রভু ।
ডুবছে মানুষ পঙ্ক তলে হায়না তোলে রব
লহুস্রোতে ভাসছে ধরা
করুণ কলরব।
হৃদয় স্ফুরণ করতে প্রভু বিকাশ দিতে প্রাণ
বিকশিত কর বিকশিত কর -হে প্রভু নির্মল
করো হে নির্মান।
অন্তর মম বিকশিত করো হে প্রভু-ধরিতে ধবল শুদ্ধ মতি
উন্মেষিতে প্রেম গান দাও
ধরিতে মানব প্রেম ভাব সম্প্রীতি।


মানুষ আজিকে মানুষ নাই দিকে দিকে হিংসা ও দ্বেষ
বিকশিত করো বিকশিত করো মন হে প্রভু
মানবতা দান-দিয়ে যাও সন্দেশ।
অন্তর হৃদ কাঁদে হে প্রভু নিরন্তর
বিকশিত কর বিকশিত করো মন
আজিকে মানব ও পশু-
হৃদ নাই অন্তর।
বিষ ভাপে ভরা গরল সে মতি মানবতা হরা হৃদ
বিকশিত কর বিকশিত করো অন্তর মম
গাহিতে ধরায় আলোক উছলিত
প্রেম গান সঙ্গিত।


অন্তর মম বিকশিত করো হে প্রভু
বিকশিত করো হে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পশুত্ব ধর্ম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা
পশুরাজ


এই ধরাতে বিকশিত প্রান উদ্ভিদ ও প্রাণী
জীবশ্রষ্ট মানব ধরায়-হৃদ মননে মানি।
জীবের মাঝে জীবশ্রেষ্ট জীবের বাহির নহে
পশুরাজ মন ও মননে-তাই অহং বোধে চলে।


কে বলেছে সিংঘ রাজা রইতে মানব কূল
দানব আজি হার মেনেছে ভাবনায় ব্যাকুল।
এ কূল ও কূল দলতে ধরা মারতে নিজের জাত
জীব কূলের লজ্জা সে যে হিম হার বজ্জাত।


আকাশ বাতাস কাঁদছে ধরা ভূতল কাঁপে বোমা
ধ্বংস গানে যুদ্ধে মাতে মারতে অণু বোমা।
কাঁপছে ধরা আগুন আঁচে প্রলয় নাচন গাইছে গীত
দুর বহুদূর প্রেম ধন গান-ভালোবাসা সঙ্গীত।


বজ্জাতি তার রক্তে মেশা পাষাণ কঠিন অতি
ধরতে আকাশ হাত সে মারে লুঠতরাজে মাতি।
হিংসা দ্বেষ তূণ সে মারা ওস্তাদ অতিশয়
রূপ সে ধরা দেবতারই হৃদ মনেতে নয়।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "গাঁয়ের অজয় নদী চলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মহানন্দা


আমাদের শহরেতে আদি মহানন্দায়
এঁকে বেঁকে বয়ে চলে মিলে আদি গঙ্গায়
পাহাড়ের খাত বেয়ে ঝর ঝরে নেমে আসে
বর্ষাতে খরস্রোতা দুই কূল যায় ভেসে।


দুই পারে ঘাট বাধা শ্মশানটা একপারে
অশনিতে জ্বলে শব মন্দির তারি ধারে।
দীন দুখী তারি পাড়ে নীড় তারা গড়ে তোলে
ছোট ছোট কুটিরেতে বস্তিতে মন ভোলে।


নাগরিক জঞ্জালে প্রদুশিত জল তারি
শোধনেতে মৃদু হয় যায় সব বাড়ি বাড়ি।
ছয় খানা ব্রিজ গড়া গাড়ি ঘোড়া হয় পার
একখানা পার হতে দিতে হয় কিছু কর।।


কালিপূজা দূর্গা মা-এলে পরে শোভা বাড়ে
ঘাট বেঁধে একপাড়ে-জনরোল সুর তোলে।
শহরের প্রাণ আদি জল খাই ঘরে ঘরে
তাই স্তুতি করি আমি-করি তারে বারে বারে।


প্রিয় কবি ফরহাত আহমেদ এর আসরে প্রকাশিত "গোড়া" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
মতিভ্রম


মন বেলেহাঁস মরুভূমিতে মরীচিকার মতিভ্রম
এক টুকরো ঘন কালো মেঘ
হৃদপিন্ডের ছুরি বিদ্ধ অঞ্চলে হটাৎ
দীপাবলির আলোক রোশনাই।
কেউটে বিষে নিমেষে মানুষ মরে
জীবনদায়ক ঔষধ অট্ট হাসিতে ফেঁটে পরে।
ওষ্ট কিনারায় এক চিলতে হাসির পরশ
ভালোবাসা বিষে কি কাঞ্চন বারি।
রেল লাইনে ইতিহাস রচিত হয়।
অনন্ত প্রেমে গুল্ম লতা বৃক্ষ
পত্রে পত্রে রচিত হয় ক্লোরোফিল।
ফটিক বারি ফটিক বারি!
সূর্য ঢলে পশ্চিমাকাশে
রসুই ঘরে ভীষণ ব্যাস্ততা
ট্রাফিক জ্যামে নাজেহাল শহর
বাতাস উড়ে যায়
শুভ সকাল-সংবাদ পত্র।