রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অবিচার"
"অবিচার"


যুগে যুগে কালে কালে দ্বারে দ্বারে লাঞ্ছনা
গঞ্জনা ধরাতলে পলে পলে পদে পদে
পারি নাতো পারি নাকো
দিতে সান্তনা।


প্রহসন দিকে যুগে কালে কালে জেগে ওঠে
নির্দয় নির্মম প্রহারেতে শত ঘাতে।
পর্দানশীনো প্রথা সতীদাহ কতকথা
ধর্মের কদাচারে
বলি দিতে সতী মাতা।


ক্রন্দন রোল বহে আকাশটা কেঁদে ফেরে
যুগে যুগে কালে কালে দ্বারে দ্বারে
বারে বারে।
নারী মাতা কৃষ্টি নারী প্রাণ সৃষ্টি
নরকেতে কেন দিতে,
প্রভু কেন নির্দয় নাহি দিলে নির্ভয়
নির্জনে প্রাণ কাঁদে
নিরবেতে নিভৃতে।


অধীনতা স্বাধীনতা নাই কেন দিতে প্রভু;
পরাধীন জীবনেতে পুরুষেরি শাসনেতে
কেন কেন কেন-
স্বাধীনতা হরা প্রভু।


কালে কালে জাতাকলে পন্য সে ভোগ কাম;
ভাবে নাই ভবে নাই পুরুষেরা
দিতে নারে তারে দাম।
দর দামে বিকে মাতা বাল্য সে বিবাহেতে
অবলা সে নারী মাতা ক্রন্দন মাতমেতে;
শত ঘাত প্রতিঘাত-
অবিচার মেনে নিতে।


কেন প্রভু অবিচল অন্যায় দিতে কেন?
রচিলে সে নারীপ্রাণ
অবিচার দিতে হেন।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফলাফল-(ব্যঙ্গ)" কবিতার  উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নমস্কার


নমস্কার পুস্প বিল্যপত্র সুসজ্জিত পুস্পক রথ
হে মহান ধ্রুপদি বিদ্যান গুরু
তোমারি অপেক্ষায়।
তুমি বেগ তুমি গতি তুমি ধ্রুবতারা আকাশের গায়,
সমুজ্জ্বল চির অমর তুমি
চাঁদ তারা রবি শশী-
তোমারি গুণ গায়।
দানি তুমি মানি তুমি জ্ঞানী তুমি জ্ঞান দায়,
কোকোনদ তুমি মহীরুহ তুমি
কহে বিধাতায়।
জীবত তো ক্ষনকাল চারি স্তরে বিভাজিত,
শৈশব বাল্য তারুণ্য আর
জরাকাল সমাহিত।
প্রণাম তোমায় বিদ্যান তুমি
দান দিলে ধরা-
তোমারি আশিষে তোমারি ধনেতে
ধনী বসুন্ধরা।
নমস্কার পুস্প বিল্যপত্র সুসজ্জিত পুস্পক রথ
হে মহান ধ্রুপদি বিদ্যান গুরু
তোমারি অপেক্ষায়।


প্রিয় কবি মৌটুসি মিত্র গুহ (কেতকী) মহাশয়ার আসরে প্রকাশিত "সত্যবাদী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
আয়না


আয়না আয়না প্রণমি তোহারি পূজ্য চরণখানি,
মিছা নাই মিছা নাই মিছা নাই
অঙ্গে তোহারি-
সাত সত্যের খনি।
ভ্রমতে ভ্রমিছি খেলেছি কাঁনামাছি
জীবনো ধরিতে গীত,
আরশি তোহারি চরণে হেরেছি বারে বারে
চকিত শিহরণে চমকে উঠেছি-
সত্যের জ্বালা দ্বীপ।
অঙ্গার হৃদ মধুরিত বোলে উষ্ণ করেছি ফেরি;
পাপের সাগরে বইতে কতনা
করেছি কতনা হেরাফেরি।
হৃদয়ো হেরিতে আরশি বোলেতে
চমকে চমকে উঠি,
হৃদয় জাগিতে উন্মেষ প্রাণে
আরশির জয়োগীতি।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বড় ঠাকুর" কবিতায় উত্তর্র দিতে এইমাত্র লেখা কবিতা।(ফাউ কবিতা)
গুরু


চালাও গুরু চালাও জোরে
ধা কুর কুর মন্ত্র ঐ,
ঢাকের তালে ঢ্যাক ঢ্যাকিয়ে
মারতে চুল্লু জ্যান্ত কই।


তাও কি রব ঢুকতে কানে
বয়রা শালা গুলান যত,
কাঁচকলা ওই দেখতে গুরু
চেষ্টা কর কত শত।