প্রিয়কবি যাদব চৌধুরীর আজ লেখা "সৎ চিকিৎসা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
। হরিবোল
হিসাব কিতাব কাঁদলো কবি-চিকিৎসার এই করুণ ছবি-
মানুষ মারার কারখানাতে-
আজব রোগে সেই দ্বারেতে-বাঁধলো রোগের তরী-
বাদ্যি বাজায় চিকিৎসক-
সবাই কর্মচারী।
ড্যানকুরাকুর বাদ্যি বাজে-ব্যাস্ত সবাই বিবিধ কাজে-
মেশিন গানের গতি-
ঝর ঝর ঝর-টাকার ঝড়ে-
করুণ পরিনতি।
কেউ ছুটে যায় রক্ত নিয়ে-পথ্য নিয়ে কেউ বা আবার-
আই সি ইউ ঢুকতে বারন-
সেথায় কেরামতি।
একদিনেতে পথ্য গোনা-লক্ষ টাকার গল্প বোনা-
প্রাণটি প্রজাপতি।
এবার লাসের খালাস তরে-পকেটখানি খালাস করে-
শুদ্ধ (!) প্রানের মতি-
বল রে হরি-হরিবোলের-
নয়কি মাতামাতি।
(প্রিয়কবি রীনা বিশ্বাষ এর আজকের কবিতা এ কটু শুধু কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা)
একটু শুধু
হাজার ফুল লক্ষ মানিক-শতেক চোখের ধারা-
একটু শুধু মধুর বুলি-
দেয় যে অনেক-
নাড়া।
সেই নাড়াতে হৃদয় মাঝে-শান্তি সুখের ধারা-
হল্লাবোলে হারিয়ে গিয়ে-
মুগ্ধ নয়নতারা।
দেও না প্রিয়ে একটুখানি-মধুর সুরের বুলি-
সেই বুলিতে দিলাম লিখে-
ছন্দেতে সুর তুলি।
হারিয়ে গিয়ে গহন গভীর-ওষ্ট মধুর কলি-
চুম্বনেতে চুম্বনেতে-
ভালবাসায়-
মিলি।
ঝিলমিল ওই তনয় কায়া-সাগর মোহনায়-
দুনিয়াদারি থাক না দুরে-
মিলবো মোহনায়।
(উত্তরে উত্তরে চতুর্থ ভাগে প্রিয়কবি অনিমেষ দন্ড্পাঠ মহাশয়ের কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।)
সত্যি কথা
ভগবানের দয়ার দান-কাব্যে তুলে রাখি ভাই-
ভাব আর ছন্দে মেতে-তার দুনিয়ায়-
হারিয়ে যাই।
সেইখানেতে ভাবের হাটে-দুহাত জোর করি-
ভাবনা আর ভক্তিসনে-
ঈশ্বরেতে মিলি।
একটুকু নয় মিথ্যে বুলি-তাহার হাতেই কলম তুলি-
বস্তু আমি আর কিছু নই-তাহার মাঝেই –
জগৎ ভুলি।
পরম সুখের সেই দুনিয়ায়-তাহার সনেই ছন্দে দুলি-
সেই দুনিয়ার ভাবটি ছুটে-অবাক হই-
চোখটি মেলি-
রং রেরং এর কব্যকথা-বাস্তবেতে তখন দেখি-
দুহাত জুরে প্রণাম জানাই-হৃদয় পরম-
সুখপাখি।
কোথায় হারিয়ে গেল-প্রিয়কবি অজিত কুমার কর মহাশয়ের লেখা কবিতায় উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা)
শ্রদ্ধাঞ্জলী
নয়নতারায় অযুত নিযুত-লক্ষ দুখের বারি-
নির্বানেতে অমর প্রাণ-
শ্রদ্ধাতে মন ভরি।
দুহাত জুরে কান্নাজরা-সুর যে আমার আজি-
ফুলের তোরায় চন্দনেতে-
ডালায় ডালায়-
সাজি।
নয়ন তোমার প্রকাশ তলে-আপন মহিমায়-
দীপ্তিসুধা আলোক ঝরা-
জ্যোছনা আলো-
ছায়।
হৃদয়তারার অমর লোকে-আসন তোমার সদা-
এই ধরাতে তোমার লেখায়-
অমর জীবন-
বাঁধা।
ওইপারেতে দীপ্তিলোকে-মধুর তোমার বুলি-
তারায় তারায়-প্রকাশ তুমি-
তোমায় শ্রদ্ধঞ্জলি।
(নারী দিবস-কবি গনেশ চৌধুরীর লেখা কবিতায় উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা)
নারী সন্মান
নারী মহীয়সি নারী মহান-দীন এ সমাজ-
তারে কোথা দিল-স্থান!
অবাক পৃথীবি-
অবাক!
যে নারী সৃষ্টি-তারে নাই ভক্তি-
হেথা পেশীশক্তিতে সবে-
বলীয়ান-
পুরুষো শাসিত ধরাতলে-সতত নারী-
নীর্যাতন।
অবাক পৃথীবি-অবাক!
হেথা সদা বেদনার ঢেউ-হাটে ঘাটে পথে মাঠে-
ধর্ষণে লাঞ্ছিত-সে তো সমাজেরি-
কেউ।
সে তো প্রাণ-নারী সে তো মা-
মমতারি উপমা-
অবাক পৃথীবি অবাক-
দিনে শতবার রুদ্ধ-
এ বাক-
অবাক-অবাক পৃথীবি-
অবাক!
(প্রতিদান (ব্যঙ্গ)-গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের লেখা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা)
বিধান
পরমো সে তৃপ্তিতে-মহাশয় কয় হেসে-
যাক ওরা বানভেসে-
দীন প্রাণ তুচ্ছ-
হেথা আমি-হেথা আমি-ধনো বলো মানে মেতে-
উল্লাসে প্রাণে ভেসে-
প্রাণ ধরা বৃক্ষ।
বিধাতায় কয় হেসে-দিনু তোরে ভালবেসে-
ধন বল ধরাতল-হেথা হলি দীনমতি-
ছলে বলে কেরামতি-
রসাতল।
সিঁদুরেতে মেঘ ভাসে-ভরা সেই মাঘ মাসে-
কোজাগরি পূর্নিমা-
ভরা ক্ষেত মহাশয়-প্রাণ গেনু দুই ছা'য়-
বাপে কাঁদে কাঁদে-
মা।
বিধাতার বিধানেতে-পথে পথে ঘুরে কাঁদে মহাশয়-
অত সব মহাশয়-জেনে রাখ দৃষ্টি-
দীন প্রাণ দীনতা-করো সবে-
পুষ্টি।
(ছেলে<ছ্যাওয়াল<ছায় ঠাকুমার মুখে শোনা-
পুরাতন বাংলা শব্দ)