কবিতা আর কবিতার আসরকে প্রাণের চেয়েও ভালোবাসতাম
কারণ কবিতাই ছিল আমার একাকিত্ব ভরা জীবনের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সঙ্গী,
কবিতায় হাসতাম, কবিতায় কাঁদতাম। কবিতাকে পেলে সারা দুনিয়াই ভুলে যেতাম।
কৌতুকভরা কমেন্ট দিতে খুবই ভালোবাসতাম অন্যের লেখা কবিতায়।
অনেকেই পাগল কবি বলতে দ্বিধাবোধ করতো না আমাকে।
বাঁধন ছাড়া বল্গাবিহীন পাখা মিলে উড়তাম কবিতায়।  
কবিতার কারণে সংসার ধর্ম প্রর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছিলাম।
কবিতাই ছিল আমার জীবনের একমাত্র এন্টারটেইনমেন্ট।
আর ঠিক সেই কারণেই আবেগের বশে অনেক নিয়ম বহির্ভূত লেখাই ব্যান হয়েছিল আলোচনা বিভাগে এমনকি কবিতাও।  
কিন্তু এ সবই আমার আচরণগত দোষ ভেবে কখনই প্রতিবাদ করি নাই বা
মন খারাপ করি নাই কিন্তু-
আজ যখন বুঝতে পারি কবিতার আসরে শুধুমাত্র বৈরিতার কারণেই
আমাকে আঘাত করা হয়, আর দশজনের চেয়ে সঞ্জয় কর্মকারের জন্য
অন্যরকম ভাবতে কেহই দ্বিধাবোধ করে না তখন
আমার জন্য কবিতা আর এন্টাটেইনমেন্টের পর্যায় থেকে যায় না।
কেহই বলতে পারবে না আজ অবধি কোনও অশ্লীল লেখা এখানে লিখেছি বা
কোনো হেইট স্পিচ এখানে কবিতায় রেখেছি।
একটি পাতায় কত কবিই না দুটো চারটে লেখা একসাথে প্রকাশ দেয়,
আলোচনা বিভাগে কবিতা প্রকাশ পায়, ব্যান হয় না তা।
ভালো লেখা ব্যান হলে বুকে শেল বিঁধে যায়।
নিয়মের জাতাকলে পিষ্ট হয়ে কবিতা আজ আর আমার কাছে এন্টারটেইনেন্ট বলে মনেই হয় না।
তাই আমি এখন দাবা খেলি, বাংলা নাটক দেখি, কাজের কথা চিন্তা করেই সময় কাটাই আমার।  
তাও বলে যাই কবিতা ছাড়া আমার জীবনে আর কেহই ছিল না। জানি না কবে আবার
তার সাথে একাত্ম হতে পারবো!!
চেষ্টা করে চলেছি শুধু।