“ঝড় উঠেছে-২য় পর্ব”


ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে
ঝড় উঠেছে ঈশান কোণে মন্দ বায়ুর কোলাহল
হিংসা দ্বেষে জর্জরিত বর্বরতা হলাহল।
ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে।
ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে
ঝড় উঠেছে হৃদ মানেতে সইতে নারি প্রাণ,
সম্ভ্রম তার লুন্ঠনেতে সইতে
অপমান।সইতে অপমান।
মা'গো আমায় দে'না বুকে দীপ জ্বেলে দে আজ,
সাধ্য না হয় সাধব আজি ভাঙতে
দানব রাজ।
ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে
ঝড় উঠেছে হৃদ মানেতে সইতে নারি প্রাণ,
সম্ভ্রম তার লুন্ঠনেতে সইতে
অপমান।সইতে অপমান।
রক্ত নদী খেলব রে মা-সিক্ত হবে ধরা,
কাঁদবি নে মা প্রাণটি গেলে
অশ্রুজলে ভরা।
সইতে নারি বইতে নারি ইজ্জত আর মান,
ভগ্নী মাতার ভূলুন্ঠিত, কাঁদছে রে
আসমান।কাঁদছে রে আসমান।
শিশির কণা মুক্তো রাশি পথ ঘাটে মা লহু,
লুন্ঠনেতে বাস ট্রামেতে, আর ছলেতে
বহু। আর ছলেতে বহু।
রক্ত নদী খেলব রে মা-সিক্ত হবে ধরা,
কাঁদবি নে মা প্রাণটি গেলে
অশ্রুজলে ভরা।
ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে ঝড় উঠেছে
ঝড় উঠেছে হৃদ মানেতে সইতে নারি প্রাণ,
সম্ভ্রম তার লুন্ঠনেতে সইতে
অপমান।সইতে অপমান।
সইতে অপমান।


unesco বাংলা ভাষাকে সবচেয়ে মধুর ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। এ সংবাদ দিয়ে প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয় আমি কতটা খুশি জানতে চেয়েছিলেন। তার পরিপেক্ষিতেই এ লেখা।


“আকাশ ভেলা”


পরান মোর উইড়া গেল আকাশ ভেলায় চইড়া,
দারুন দারুন ধ্বনির গান
দিমু আমি গইড়া।
হেই ধ্বনিতে ইনুস্কুর ভুলায় দিমু প্রাণ,
আর ভেলাতে আঁইক্যা দিমু
ভালোবাসার গান।
লটকা দিয়া রথের মেলায় জগন্নাথের ভক্তিগীতি,
আর জমুনার লহর উছল, বন্ধন আর
ভাতৃপ্রীতি।
মায়ের ভায়ের প্রেমের আঁচল দিব্য তারই রঙ্গরূপ,
আর মহলায় বসন্তোরই, রং পলাশে
ছায়া ধূপ।
দূর ছাই মুই কইছি রে ভাই কলসি কানা মারতে বধু,
চমক চমক ঝমক ঝমক, ওই দিকেতে চাউ'নি
দাদু!
দাদু গো দাদু!
পরান মোর উইড়া গেল আকাশ ভেলায় চইড়া,
দারুন দারুন ধ্বনির গান
দিমু আমি গইড়া।
হেই ধ্বনিতে ইনুস্কুর ভুলায় দিমু প্রাণ,
আর ভেলাতে আঁইক্যা দিমু
ভালোবাসার গান।
বুঝিলেন কত্তা।


“পাল”


খা! কত খাবি তুই খা
খাঁড়ার বাড়ি পরবে মাথায়,
দিসনা খাবার
‘মা’!
খল মনেতে জাল বুনিতে
খাইতে রে তুই পাল,
খোকা যখন ছিলিস তুই
খাওয়ালো কে রে
বল!
খাঁবি তুই খাচ্ছিলি রে
খয়রাতি দেয় মা,
খাল কেঁটে তুই গড় বানালি
খল হলো রে
মা!
খোকন সোনা আর নাই তুই
খল সে প্রাণের মতি,
খবর তোর নাই রে ভালো
খসলে প্রাণের
গতি।