গানে গানে দিগন্ত-প্রথম পর্ব । দিশা তার শত তম।


“দিগন্ত আজি নব প্রদ্যুতে”


দিগন্ত আজি নব প্রদ্যুতে তব সুর ধ্বনি লয়,
হিল্লোলে প্রাণ সুরের সাধন
নাহি গ্লানি নাহি ভয়।
হেরি সে তমা লয়েতে গতি ধাবমান প্রত্যুষে
রিক্ত সে প্রাণ সিক্ত আজিকে
সুরেতে লয়েতে ভেসে।
দেবারতি আজি আকাশ চুমিতে বহতা নদীর ধারা,
দিক হতে দিক দিগন্ত আজি
সুশীতল মনোহরা।
হেরি সে লগন তব আরাধন গানে গানে দিগন্ত,
গাহিতে মানবো সোপান তলেতে,
আজিকে সে তাজ
ভ্রান্ত।
আজিকে প্রলয় নিরোধ বায়ু নির্মল নাহি প্রাণ
গাহিতে সে গীত আজিকে ধরায়
মানবতা জয়োগান।
দিগন্ত আজি নব প্রদ্যুতে সুর ধ্বনি লয়,
হিল্লোলে প্রাণ সুরের সাধন
নাহি গ্লানি নাহি ভয়।


“ওরে মনোপাখি”


ওরে মনোপাখি মুক্ত গগনে শয়নে স্বপনে
পিঞ্জরে নাহি রাখি, ওরে মনোপাখি।
পাখনা তোর ওই রঙ এর চ্ছটা ভাসাই দরিয়ায়
স্বপ্ন কমল নীল আকাশে আয় রে পাখি আয়।
আয় রে পাখি আয়।
আয় ভুলে যাই দুঃখ দরদ ব্যথায় অভিপ্রায়
আয় তুলে তান বিলাই ভবে
সুখের দরিয়ায়।
আয় রে পাখি আয়।আয় রে পাখি আয়।
পাখনা তোর ওই রঙ এর চ্ছটা ভাসাই দরিয়ায়
স্বপ্ন কমল নীল আকাশে আয় রে পাখি আয়।
আয় রে পাখি আয়।
পথ হারিয়ে ক্লান্ত ভোলা ভবের দরিয়ায়
ছুটছে পথে ভ্রান্ত লয়ে
আয় রে পাখি আয়, আয় রে পাখি আয়।
ওরে মনোপাখি মুক্ত গগনে শয়নে স্বপনে
পিঞ্জরে নাহি রাখি, ওরে মনোপাখি।
সুখের নিলয়ে বহিতে ধরায়
তোরে ডাকাডাকি।


“ওরে আমার ফুলকলি”


ওরে আমার ফুলকলি
ফুল দিয়ে তুই কই গেলি।
তোর ওই গোলক ধাঁধায়
তর ল্যাজে ওই ঘুরি
ঘোরাঘুরি,
আর কোলেতে ফুর্তি মারি
গড়গড়িয়ে আকাশ
গাড়ি।
ফুলকলি রে ফুলকলি
ফুল দিয়ে তুই কই
গেলি।
রস টসা টস আর কি বস
মন মানেনা হেঁচকি দশ,
ছেচকি বারি লঙ্কা বাঁটা
আদা জিরায় ফোরন
পাটা,
পাটা রে পাটা।
ওরে সই ফুলকলিরে,
মারলি আমায় জলকেলি
রে,
ফুল দিয়ে পাট মারলি সপাট
আর ধরাতল করতে
রপাট।
ওরে সই ফুলকলি রে
মারলি আমায় জলকেলি
রে।