“সন্দেশ”


কভু হাসি কভু কাঁদি-সিক্ত নয়ন ধারা,
লিখিতে পরান হৃদয়ের গীত
প্রাণ সে মাতাল করা।
দিগন্তে চাই অশ্রুসজল-করাল দেখি বেশ,
নাই সেথা প্রাণ ভালোবাসার
প্রেমের সন্দেশ।
ক্ষুব্দ হিয়া রব সে নিশান যুদ্ধ কলোরোল,
আর ভাসি প্রান দুঃখের গান
হিংসা দ্বেষের বোল।
তাই লিখে যাই অশ্রু কণা মানবতার গীত,
চাই ধরা প্রাণ-শান্ত নিবাস
আর সে প্রেম প্রীত।
কভু হাসি কভু কাঁদি-সিক্ত নয়ন ধারা,
লিখিতে পরান হৃদয়ের গীত
প্রাণ সে মাতাল করা।
দিগন্তে চাই অশ্রুসজল-করাল দেখি বেশ,
নাই সেথা প্রাণ ভালোবাসার
প্রেমের সন্দেশ।


“অপমান”


আকাশ কাঁদে তীব্র নাদে-অঝোর ধারা বয়,
যুগ যুগ কাল প্রহর লহর
বহ্নি জ্বালাময়।
ইতিহাসের নীরব ব্যথায় মানবতার শান,
গহীন ক্ষতে দহন জ্বালায়
শতেক অপমান।
পারিজাতের পুষ্প কলি-ধন সে বাঢ় ফোটে,
আর শত প্রাণ নাই যে রাহা
কান্না শুধু জোটে।
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে-কাঁদছে তারা অঝোর ঝোরে,
আর বহ্নি ধর্ম সোপান-প্রাণ কেড়ে নেয়
তাদের দ্বারে।
গৃদ্ধ হানায় শবের সারি রক্ত লহুর রেখা,
আর গগনে বিজলী চমক
গগন ক্ষোভে ক্ষ্যাপা।
বজ্র আছাড় মারতে দেশে-নিনাদ তারি হুঙ্কারে,
আর অঝোরে কাঁদতে পরান
তীব্র ব্যথায় অন্তরে।


“গল্প”
(লেখাটির মানে কারুর বুঝতে অসুবিধা হলে, যে কেউ আমায় প্রশ্ন করতে পারেন, জবাব দিতে আমি প্রস্তুত)


আকাশ ঝকঝকে কালো কলমটা দাও আমায়,
সাগর তলে মুক্তোর ব্যাথার গল্প ফাঁদি,
রক্তের সাগরে রাখালিয়া বাঁশির সুর
প্রেশার কুকারে দমবন্ধ নাভির উচ্ছাস
জলতরঙ্গে ভেসে আসে নৈঃশব্দ্যর গীতি।
নৈবেদ্যের ডালিতে হৃদয় ধরা,
আম্র শাখে বোল ফুটলেই দৈত্যের হানা,
গোলাপের পাঁপড়িগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে।