প্রিয় কবি মহিউদ্দিন মিয়া মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "পতিতা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (গদ্যছন্দে লেখা)
পতিতা


পতিতা। অভিধানগত মানে দাড়ায় যার পতন হয়েছে।
প্রশ্ন জাগে প্রাণে পতন হয়েছে কার-পতিতার অথবা-
সুস্থ ঘর সুন্দরী গৃহিণী সমাজ পিছে ফেলে-
যে সমস্ত ভ্রান্ত মুখোশ পরা সমাজ সচেতন ব্যক্তিত্ব্য-
যারা সভ্যতার মুখোশ এঁটে সূর্যের আলোকে-
ঝলমলে পোশাকে নিজেদের আবৃত করে-
সমাজ সচেতন ব্যক্তিত্ব্য হিসাবে জাহির করে।
আমি পতিতাকে সম্মান দেই কারন-
নিতান্ত শখের বশে আধুনিক অসভ্য অভিজাত মহিলা-
দশ ঘানির জল পান করতে পারে কিন্তু
কোন সুস্থ মহিলাই নিতান্ত শখের বসে-
এ বৃত্তিতে আসে নাই। আসতে পারে না।
এক বুক দুঃসহ যন্ত্রণা বুকে চেপে-
কঠিন এ সমাজের অনেক শোষন বঞ্চনা বুকে ধরে-
কখনো বা সামাজিক কীট দলের বিষাক্ত ছোবলে-
ক্ষুদা আর অভাবের তারনায়-
চোখে জলের বন্যা এনে-এ পেশায় আসতে বাধ্য হয়।
লিখতেই যেখানে চোখে জল এসে যায়-
ভাবছি কি দুঃসহ যন্ত্রনার নদী না-
বয়ে চলে তাদের বুকে-অবিরাম।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সোনার ফসলে ভরা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। উনি সন্ধ্যা অবধি ছেড়েছিলেন। তার পরের টুকু আমি লিখে দিলাম।
গ্রামখানি


ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে প্রদীপের শিখা-
লন্ঠন কুপি আলো ছায়া ছায়া দেখা।
রসুই ঘরে চলে-ঘরে ঘরে বধু
উঁনুনেতে আঁচ দিয়ে রাধে ডাল সাথে কদু।


মিতু মিঠু জোরে জোরে বই খুলে পড়ে-
এক পায়ে তালগাছ-দাঁড়িয়ে সে দুরে।
আলিচাচা ভ্যান নিয়ে ফিরে আসে বাড়ি-
গোয়ালেতে গরুগুলি খেতে দিতে চারি।


এ রি মাঝে শোরগোল-ছাগলের ম্যা ম্যা-
অজগর খেয়ে নিল-কাকা কাঁদে ভ্যা ভ্যা।
ভিড় কিছু খালি হয়-লোকজন দূরে গেলে-
খেয়ে নে রে তাড়াতাড়ি-বধু জোরে সুর তোলে।


খাওয়া দাওয়া হলে শেষ ঘুম দেশে সবে যায়-
অজয়ের কূল হতে শান্ত সে হাওয়া বয়।
প্রহরেতে প্রহরেতে মোরগ সে ধ্বনি তোলে
রাত ঘন শেষ রবি-গ্রামখানি কালো ভোলে।


প্রিয় কবি ইমতিয়াজ আহমেদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অপ্রিয় সত্য" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
শুভস্য শীঘ্রম-


যে যত বড় সে তত জোরে পরে-
যেজন মুরখ সে তুচ্ছ করে অবলারে।
এক ধরা সাম্যের গান-
গাহিতে হৃদয় দিল দান ভগবান।
নিঠুর মানব দীন গতি পায়-হীন গতি প্রাণ-
দীন গরীব তুচ্ছ মতি-কেড়ে নেয় সম্মান।
হানাহানি কোন্দলে মাতে শত ভাবে বীর-
হৃদানল সেচনেতে-উন্নত করে শির।
শোষণেতে লুঠরাজে-উঁচু গতি প্রাণে ধায়-
দাবানলে শত প্রাণে-ঘোর করে অন্যায়।
দশ দিশা সিন্ধুতে-হাসি প্রাণ হুল্লোর-
শয়তান অরাজক-দিকে দিকে খোলে দোর।
সমাজটা ক্ষয়ে দিতে-অশান্ত হিল্লোলে-
হানাহানি ভেদাভেদি-ধর্ম সে বুলি তোলে।
লহুস্রোতে কেড়ে নিতে-ধন বাড় প্রাণ শত-
গিরগিটে গিরগিটে-হানাদারি শত কত।
অন্যায় নিঠুরতা-দীনো প্রাণে জাগে দুখ-
অব্যক্ত কান্নায়-ভরে দেয় শত বুক।
আমি কবি কেঁদে উঠি-করালতা দেখে দিকে
পাষন্ড শয়তান-শেল যেন বিঁধে বুকে।
কবিগানে কথাকলি-শোন বুলি শয়তান
অভিশাপে অভিশাপে-ভরে গেছে তোর প্রাণ।
জনমন জাগরণে-বিপ্লব ধ্বনি শোন-
হাঃ হাঃ হাঃ-শুভস্য শীঘ্রম-
শেষ দিন হাতে গোন।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত সুখ-সূত্র কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(আজ ফাউ কবিতা না দিতে পারবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)। লেখা হয়েছে আগামী কাল পাবেন)
সুখ


হায় হায় কয় কি! তিতা পচা বাসি-
কবি তুমি ঝোলা ধর-যাবে গয়া কাশি।
এতটুকু জ্ঞান নাহি-ধনী মোরা উঁচু জাত-
হেলাফেলা কর তুমি-করে দেব বরবাদ।
বিরিয়ানি চাল খাই-ঠাটে বাঁটে চলি-
কবি তুলি তোল সুর-কর কথাকলি!
বুলবুলি খাঁচা সোনা-পুসিটাও বিলাতি-
ভাব তুমি ধন আমি-দেব দান ক্ষয়রাতি।
হেন মতি নাহি মোরা-কোটি কোটি টাকা ঘরে-
ভয় লাগে কবে হানা-নিতে দিল আয় করে।
ভাব তুমি সুখে আছি-পল মোর ঘুম নাই-
নিত্য সে দুইবেলা-ঔষুদের বিল পাই।
বুবুলটা মরে গেল-আমেরিকা যেতে গিয়ে-
শূন্যেই বলি হলো-দুধ সাদা বউ ঘরে।
বিধাতা সবি দিল-সুখটাই দিল নাতো-
খেলা করে কবিগানে-না জানি সে শত কত!