গায়ত্রী পাল


হৃদয় দুয়ার খুলে দিলাম
ঝড় এসেছে ঝড়।
মোর নৌকা খানি বাঁধা ছিল
খেয়া ঘাটের পর।
ছিড়লো বাঁধন এক নিমেষে
ভাসলো সে তো খরস্রোতে।
জানি না যাব কোথায় ভেসে।
কোন সে সুদূর কোন সে দেশে।
দিশাহীন আমি
কোন পথে চলেছি আমি না জানি।
শুধু ধরেছি ঝড়ের হাত।
যেথা নিয়ে যাবে যাব সেথা।
জানি না কি আছে অদৃষ্টে লেখা।
পাল তোলা ঐ নৌকাতে
বেঁধেছি মোরা ঘর।
জানি না কখন আসবে আঘাত
ভাঙবে সুখের ঘর।
দুরু দুরু বুকে তবু চলি ঝড়ের সাথে
বলি মনের কথা ঝড়ের কাছে।
শুকনো ঝরা পাতার মতো
ছুটে চলি ঝড়ের ডাকে।
জানি ফেলে যাবে একদিন
কোনো মোহনাতে।
পড়িব অকূল পাথারে আমি
তবু ঝড়কেই ভালোবাসি আমি।
আমি শুধুই ঝড়ের প্রেয়সিনী।
একদিন ডুবিব নিশ্চিত আমি জানি।


সঞ্জয় কর্মকার


এই মেয়ে তুই করিস কী রে! মরবি নাকি শেষে
সব হারিয়ে ঝড়ের দেশে ঘুরিস সর্বনেশে!
ঝড় ওঠে মন দু-পল সে তার, তীব্র আঘাত হানে
উড়ায় ঘুরায় ঘূর্ণি তাহার রুদ্র তার ওই গানে।
সে রূপ সে তার দূর হতে মেয়ে, দেখতে লাগে ভালো
কপাল পোড়ে সামনে গেলেই জীবন যে হয় কালো।
ঝড় হতে দশ, দশ হাত দূর থাকিস জীবন ভর
শান্তি তার ঐ তপস্যাতেই স্নিগ্ধ জীবন গড়।
জীবন টা শোন ঝড়ের বাতাস বইছে হেতায় খরো
প্রশান্তির ওই মলয় সে বায় সেই বায়ুটাই ধরো।
জীবন হবে শ্যামলীমার দেশের রাজের ঢল
ও মেয়ে তুই থাকবি দূরে , থাকবি কী না বল?


গায়ত্রী পাল


ভালোবাসি আমি ঝড়।
তবু জানি না কোথায় তাহার ঘর।
শুধু জানি থাকে সীমান্ত পর।
সে যে জ্ঞানী গুণী শিক্ষক মহাশয়।
সাধুসন্ত সম আচার আচরণ তাঁর হয়।
নারীদের দেন যথোচিত মান।
আমিও করি তাঁরে সমুচিত সম্মান।
সর্বদা দেন ধর্ম পথে বাঁচার উপদেশ।
তিনি তো জানেন না আমার মনের হদিশ।
অনন্ত দূরত্ব মোদের মাঝে করিবে বিরাজ।
এই ইচ্ছাই রাখে ঈশ্বর রাজাধিরাজ।
তবু ঝড়কেই ভালোবাসি আমি অহর্নিশ।
সে যে অমৃতধারা নয় সে বিষ।


সঞ্জয় কর্মকার


সে কর তায় অসুবিধা, নাই রে আমার বোন
ঝড়ের থেকে দূরে থেকেই ঝড়ের গাথা বোন।
স্বপ্ন দেশের রাজকুমারী-স্বপ্ন গাথা বোনে
তার তরে প্রাণ আনমনেতেই, প্রহর ও কাল গোনে।
লাবণ্যের ঐ রূপের ছটা, অমরাবতীর দ্বার
তোর হলো জিত এবার বুনু আমার হলো হার।