প্রলয় বায়ু ধ্বংস নিশান উড়ছে সে মোর ধর্ম ফাঁদে
বুলবুলি আর বলিস না খল-আমার তো ভাই রাধে রাধে।।
যে জাল বোনা ধর্মে আমার প্রাপ্তি শুধুই গরল হায়
ঘর আর ঘরে মন্দ মতি হিংসা ও দ্বেষ পালন তায়!!
আজ আধুনা রাধাই সবে শিষ্টাচারের নাই ঠিকানা
অশ্লীলতার বীজ বপনে লীলাই সে তার কারনামা।।
তাই বলে কি হারাম খাবি হাড়ের ঘাড়ে মি এর চালে
পরকীয়ায় মোদের মতি গর্ব মোদের ঢল আর ঢলে।
এক বরে তে আর চলেনা অঙ্গ রে তাই খুল্লাম খুলা
ঘর পরিবার যাক না ভোগে চাটতে চলে পথের ধূলা।
সমাজ দূষণ বেড়েই চলে নিত্য দিন ওই প্রবল বেগে
আর বললে ও রে বুলি কইছে যাবই ঘাতক ক্রোধে।।


আমার জাতি হারাম অতি বেজাত যারা সুস্থ শ্লীল
কইতে শরম আর লাগে নাই-গর্ব মোদের দরাজ দিল।।
অসার যাহা ধর্ম তাহা গরব মোদের নাই কি বটে
এমন অনেক গরব গাথা রয় ধরা মোর চিত্র পটে।।
গর্ব খানিক খর্ব হলো কতোই না ভাই বুকের ভিতর
হাজার হাজার গর্ব গাথা আজ শুনে যা বুঝলি ইতর।।



যারা পূর্বের লেখা পাঠ করেননি তারা ইচ্ছে হলে দেখে নিতে পারেনঃ-


হাড়ের ঘাড়ে মি এর চালে
- সঞ্জয় কর্মকার, বৈদূর্য কবি
Sanjay Karmakar
Top Contributor
  · odtpSnroesc45i381im8ham9gh48u79105t48037mfu97ag7lu18at7h8
tc4  ·


বুঝলি হাঁদা বুলবুলি তুই কোথায় গেলো রোয়াব তোর
আয় দেখে যা আয় না হেথায় আজ হলো রে বন্ধ দোর।।
চুলকালে ঘা ঘাত ওই পাবি শিস বাজানো পোড়ার মুখো
দ্যাখ না এদিখ করলো কি হাল আজ বাসরে কাব্য খেকো!!
গর্ব খানিক খর্ব হলো কতোই না ভাই বুকের ভিতর
হাজার হাজার গর্ব গাথা আজ শুনে যা বুঝলি ইতর।।
এক গর্বে আঙুল গেছে একলব্য তীরের খেলায়
আর একে ভাই কতোই শিশু বুড়োর সাথে বিয়ের মালায়।।
সতীদাহ গর্ব রে ভাই আমার জাতি বলেই কথা
গর্বে আমার বুক ফেটে যায় পাই নি মোরা একটু ব্যথা।
আরও কতই আছে গরব ইতিহাসের পাতায় পাতায়
কইবো সব ঐ একে একে তোর সাথে ভাই কথায় কথায়!!
এক নারী তার পাঁচটি পতি মা এর বাতে অন্ধ মোরা
তাকেও জুয়ায় লাগাই মোরা হৃদয় মোদের লোহায় গড়া।
কুট ক্যাচালী কৈকেয়ী তার-মোদের গরব দ্যাখরে বনে
আর সীতা তার সতীর পতি পাতাল পাঠায় সঙ্গোপণে।
ভাই ভাইতে যুদ্ধ শুরু-মহাভারত সেই থেকে চল
আমার জাতি কতোই গরব গর্ব কতোই নামছে ঢল।।
এমন গরব আর কোথায়ে বল দেখি ভাই আর কি পাই!!
গর্বে ছাতি ফুলছে কিনা ঠিক করে তা বল তো ভাই!!


তাই বলে কি হারাম খাবি হাড়ের ঘাড়ে মি এর চালে
পরকীয়ায় মোদের মতি গর্ব মোদের ঢল আর ঢলে। (গরব গাথা চলবে আরও)


আজ ৫ চৈত্র ১৪৩০
হাড় এর ঘাড়ে মি এর চালে-দুই
- সঞ্জয় কর্মকার, বৈদূর্য কবি


জাত হারামি নই কি মোরা বল দেখি ভাই বুলবুলি
সন্দেশেতে দে মেলে দে শিস বাজিয়ে সুর টি তুলি।।
আয় ভুলি সব গরব সকল কইলে রে ভাই খাঁড়ার ঘা
পালাই পালাই রব রে হৃদে ঝাটার বাড়ি তুই-ই খা।


কর্ণ সে তার জন্মে পাপ-ই সূর্য নাকি বীর্য তার
সূর্য কি আর চক্রে মানব-আসল কথা পরকীয়ার!!
এমন গরব আর কোথায়ে বল দেখি ভাই আর কি পাই!!
গর্বে ছাতি ফুলছে কিনা ঠিক করে তা বল তো ভাই!!


আয়ান ঘোষের পত্নি রাধা কানুর প্রেমে মগ্ন হলে
সেই হয়ে যায় দেবীর দেবী-বজ্জাতের ওই আঁচল তলে।।
মন্দ মতি কইলে জাতি উঠবে রে জাত বেলচা হাতে
পালাই আমি মর গে বুলি-মর গে যা গা হাড় হাভাতে!!


মন্দ মতি মেয়ে সে এক-নষ্টা কলির মরুর দেশে
পাইলো কি আর কানুর চরণ জল যমুনায় মরলো শেষে!!
এসব বুলি আমার না হয়- ধর্ম তার ওই পাতায় পাতায়
যাও গো দেখো সে বই খুলি-ধর্ম গ্রন্থে সেই বারতায়!!


বুঝলি ইতর জানলে ভিতর হাড় হবে তোর হিম হয়ে
আমার জাতির স্বরুপ যাহা-বুলবুলি যা যাচ্ছে কয়ে!!
উপর উপর রাধে রাধে খোল নলচে ভিতর যাহা
অন্দরেতে গহীন খাদে-পাই নি সুধা শোন রে ভায়া।।


এক পুরুতের বিশ টি বিয়ে বছর বারো বউ রে সবে
সতীর ফাঁদে মরলো যে প্রাণ সেই কথা বল কেই বা কবে!!
বিদ্যাসাগর দয়াল যিনি বুঝলো যাহা ফিরিঙ্গি ও
নই কি মোরা জাত হারামি-কেনেই করিস দল আর দ্রোহ!!


ম্লেচ্ছ(মুসলমান) ছুঁলে গোবর গুলে করতি তার ঐ প্রতিকার
এমন জাতি শরম প্রাণে-হিংসা দ্বেষ আর অহঙ্কার!!
আঘাত দিলে প্রত্যাখাতেই-ভাইচারা কি আর রে রয়
এমন হিসেব করলি রে জাত-আজ ও দুই=দ্বন্দ্ব সয়!!


জাত হারামি নই কি মোরা বল দেখি ভাই বুলবুলি
সন্দেশেতে দে মেলে দে শিস বাজিয়ে সুর টি তুলি।।
আয় ভুলি সব গরব সকল কইলে রে ভাই খাঁড়ার ঘা
পালাই পালাই রব রে হৃদে ঝাটার বাড়ি তুই-ই খা।


(গরব্ গাথা চলছে চলবে)


(আমার জাতি জাত হারামি কথাটি মন্তব্য কবিতায় ব্যাবহার করবার জন্য আমার মন্তব্য দেবার ক্ষমতা এক মাসের জন্য রদ করা হয়েছে। এ কয়দিন আপনাদের কবিতায় মন্তব্য না দিতে পারবার জন্য দুঃখিত থাকবো।)