"যাযাবর"


দিনে রই পথে ঘাটে রাতে মশা মাছি
শূল ধরা বেদনায় রাহেতেই বাঁচি।
আজ হেথা কাল হোথা নাই মোর ঘর
আপনার জনা নাই আমি যাযাবর।।


চাঁদ তারা সবে তারা রাতি মোর সাথী
সমীরণ গায়ে মেখে শুয়ে আঁখি পাতি।
নীলাকাশে গগনেতে কেহ নহে পর
আপনার জনা নাই আমি যাযাবর।।


"আঁধারের জয়োগানে"


রাত হলে কাত হলে সজীবতা আনে প্রাণে
তাই কবি মাতি আমি আঁধারের জয়োগানে।
দিনে পতি রবি তার
রাজ জাগে কবিতার,
রাতি নহে খয়রাতি চাহে জনে জনে।


"হনির হাঁড়ি'


জীবন সরল তরল হলে-গরল ধরা যাচ্ছেতাই
নাথিং লাফিং নাথিং রোমিং যেমুন ধরো হাঁদার ভাই!!
কোর্ট কাচারী ঘুরতে হলে
খেলতে গো হয় ছল আর খলে,
জীবন সাধা কঠিন ধাধা, ওরে সত্য সৎ-এর ভাত-ই নাই।


সেই কারণে চাল আর দানে করতে চলি বাজিমাত
দু-চার টাকা উকিল খেলে-আমার তো ভায় টাকার লাট।
সাগর হতি বিন্দু পানি
সে আর বিপুল কী আর হানি,
তাই বলে কি হনির হাঁড়ি, বিনা বজায় করবো কাত???


"রসে বসে ধরা তং"


রসে বসে ধরা তং ধরিতেছে ধনী জনে
কবি মাতে কবিতায় পূজিতং হরিজনে।
গান্ডিবে ছিলা নাই
নুন ভাত যাহা পাই,
গরীবের চুলা জ্বলে ধনী তার অবদানে।