"শ.ম.শহীদ"


ইনার বড় উনি-
ওনার বড় তিনি!
ইনার কাছে ওনার কাছে
ঘুরতে গেল দিনই!


লাভের মাঝে হল শুধু-
কথার বিকিকিনি-
জানা হলো-ওনারা খান
পান্তাভাতে চিনি!


বড় সা'বের খোঁজটা নিলাম-
'কোথায় আছেন তিনি?'
বললো পিয়ন-'ট্যুরে গেছেন
পাপুয়ানিউগিনি!


কী আর করি আমি?
অফিস ঘুরি। ঘামি!
পাই না দিতে চিনির যোগান
হয় না কোন কামই।।


"সঞ্জয় কর্মকার"


ইরাম বাছা খেলছো কাঁচা
খাগড়া বনে ঊলু
এবার কাছা খুইলা ধরো
নানা কি'বা খালু।


কাম কী ধরা দেয় কী পণে
দৌড়ে কী হয় গোল!
হাবিজাবির নাই রে কিতা
শুধুই গন্ডগোল।


ফিতা সিতা সবই পাবা
খালুর খরম ধরো
উচ্চ যে জন তাহার চরণ
তাহার পূজা করো।


স্বজন পোষণ এ দেশ বাড়া
চলছে কলের চাকি
বুড়াকালেও বুঝলে না ধন
চিনির বদল টাকি।


"শ.ম. শহীদ"


চিনির বদল লাগবোটা কি
আছরে ভাই জানা
কিন্তু মাথার উপরে নাই
চাচা, খালু, নানা!
কষ্টে বোঝা টানা!


তেমন কেহ থাকলে দাদা
দিতাম ঠিকই হানা,
মজার আসর- সুখের বাসর
করে দিতাম ফানা
বিবেক যাদের কানা!


এখন শুধু দু' হাত পেতে
চাই বিধাতার পানা!
তাদের দু'হাত চেপে ধরি
করছে যারা না না!
গাইছি দুখের গানা।।


"সঞ্জয় কর্মকার"


অনেক হলো কান্না কাটি
চল রে এবার জ্বালাই বাতি
কানা গলির অন্ধ কূপে
ঝাঁপ দি চল বীরের রূপে
বাজাই রে চল বাদ্যি রণের
শত্রু যারা সমাজ জনের
তাদের ঘরে হানা।
না না করিস নে আর মানা।


মটকে তাদের স্কন্ধ তারে
ফেলবো আজি পথের ধারে
বজ্জাতির ওই আতুর ঘরে
কাটবো ধারে ভারে, যা রে;
যা রে ওরে আন রে কৃপাণ
নেবই আজি তাদের প্রাণ
ভ্রষ্টাচারী যারা;
করছে অহিত দেশ ও দশের
নাই রে আজি মন রে বশের
করবো আজি সারা।