রাত 9/37 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 74 তম কবিতাটি। “আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া”


তাহার লেখাটি এইরূপ_“আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া”


আর নাই রে বেলা, নাল ছায়া
ধরণীতে
এখন চল রে ঘাটে কলসখানি
ভরে নিতে।


জলধারার কলস্বরে
সন্ধ্যাগগন আকুল করে,
ওরে ডাকে আমায় পথের 'পরে
সেই ধ্বনিতে।
চল রে ঘাটে কলসখানি
ভরে নিতে।


এখন বিজন পথে করে না কেউ
আসা যাওয়া-
ওরে, প্রেম-নদীতে ঊঠেছে ঢেউ
উতল হাওয়া।


জানি নে আর ফিরব কিনা,
কার সাথে আজ হবে চিনা,
ঘাটে সেই অজানা বাজায় বীণা,
তরণীতে।
চল রে ঘাটে কলসখানি
ভরে নিতে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া”
“আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া”


আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া
করাল গরল বইতে প্রাণ,
কান্না ঝরা হৃদয় হরা
করুণ সুরের গরল
গান।
ওরে,
আর নাই রে বেলা নামল ছায়া,
ওঠ রে জেগে পরান মতি,
দিকবিদিকে হিংসা ঝরে
দশ মানবের
দুর্গতি।
ওরে,
আর নাই রে বেলা ধর রে কৃপাণ,
শস্ত্র সাঁজি আজ,
আজ বেলাতে উদ্ধারেতে
মানব জাতির
কাজ।
জাগ রে মিঁয়া মিউ মিউ নয়,
হুহুঙ্কারে আজ সে ভাতি,
ডুবছে আজ নৌকা ভাঙা
আজ চল সে পরান
মাতি।
রব দিব রে গর্জন সেই
উঠতে কেঁপে ধরা,
লহুর স্রোতে ভাসিয়ে দেব
আজ সে দানব
যারা।
চিন্তা কি'রে! আমার হৃদে রবের ধরা দেশ,
রব দিয়েছে আজকে আমায়,
তেজ ধরা
সন্দেশ।
আয় আমারি আঁচল তলে যুদ্ধ দিব রব,
শহীদ হতে নাই রে মানা,
ধরতে কলরব।
আয় রে নবীন আয় রে প্রবীন আজকে আমার তল,
ভাসিয়ে দিয়ে দানব সবে-সাধতে মানব
বল।
বল'বি কি'রে! বল দেখিনি ভগ্নী মাতার ব্যথা,
দেখলি কি ভাই আজ ধরাতে,
দানব কতকতা।
আজ জ্বালাতে আগুন প্রাণে জান মিলে দি চল,
আজ আশাতে আজ ডেকেছি,
আজ সে সোপান
তল।
আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া
করাল গরল বইতে প্রাণ,
কান্না ঝরা হৃদয় হরা
করুণ সুরের গরল
গান।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ- “It is the high time”
“It is the high time”


It is the high time, tis the high time
The world entire is covered up
By the sin and poison of
Terror.
All the world has gone to mourn.
It is not the time to think a while,
Please awoke up, I am calling the race,
Be awoke up and jump over
To remove the misery of the
Suffering people.
No no no, not a while to think.
We have to rescue them,
They are in great, great danger.
Oh my brothers and sis,
We have to go forward immediately,
This is an urgency.
No mercy at all those who are
Creating such like situation and
They have to pay for their
Such Monster like activities and
And we will pay them with the
Open sword.
I announce a war against them.
You have to come to join with me.
To frighten them, we will roar
As high as we could.
Today we will kill them and will flood
Their poisonous blood and
Will finish it.
This is the order which I get
From the God almighty,
My dear brothers and the sis.
It is not matter that whether you young or old,
Come and join with me boldly.
I will send you to fight against them.
Oh my dear, please do not think of life,
If you died then you will get the honour
As a Mártir.
So why, please come and join me today,
It is an urgency, my dear.


প্রিয় কবি সুব্রত নন্দী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শুভ বিবাহবারষিকী", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আজু মঝু মজিলাম বিবাহের ঘন্টা সে,
মাইয়া রে ভব প্রভু,-দিব্য সে
মিলনেতে।
মাধবেরি মধু গান ঝরিতে কি ধরা তোর,
মহিমায় তোহা প্রান-আনে যেন
ঊষা ভোর।
রবে বলি আজু মধু মধুর সে কামনাতে,
আজু মোহি উত্তাল-আনন্দ রব
মেতে।
ভব দিশা কূলোপতি মাধব সে গাহি গান,
তোহা আর তাহাতেই-রহে যেন
অম্লান।


বিকাল 5/44 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 72 তম কবিতাটি। “কে গো অন্তরতর সে”


তাহার লেখাটি এইরূপ_“কে গো অন্তরতর সে”


কে গো অন্তরতর সে।
আমার চেতনা আমার বেদনা
তারি সুগভীর পরশে।


আঁখিতে আমার বুলায় মন্ত্র,
বাজায় হৃদয়বীণার তন্ত্র,
কত আনন্দে জাগায় ছন্দ
কত সুখে দুখে হরষে।


সোনালি রূপালি সবুজে সুনীলে
সে এমন মায়া কেমনে গাঁথিলে,
তারি সে আড়ালে চরণ বাড়ালে,
ডুবালে সে সুধাসরসে।


কত দিন আসে কত যুগ যায়
গোপনে গোপনে পরান ভুলায়,
নানা পরিচয়ে নানা নাম লয়ে
নিতি নিতি রস বরষে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“কে গো অন্তরতর সে”
“কে গো অন্তরতর সে”


কে গো অন্তরতর সে।
কে গো অন্তরতর সে,
দিবানিশি তারি বাণী তারি সাধ সাধনাতে
বন্দনা গীতি গাহি-তারি মেতে
ছন্দেতে।
কে গো অন্তরতর সে,
কে গো অন্তরতর হে।
নন্দিত কাননেতে পারিজাত কলি,
দুলে ওঠে তারি দোলে
তারি কথা কলি।
বিহঙ্গ তানে রবে বসন্ত রবে সে'তো,
বয়ে চলে যুগে কালে
বয়ে চলে অবিরত।
কুলুকুল রবে নদী মিলনেতে সাগরেতে,
মিলন কি মহাপ্রাণ-চলে তারি
গরিমাতে।
শৃঙ্গ সে উঁচু ধরা মরুপ্রান মেদিনী,
শ্যামলা সে প্রান্তর-তারি রব
ধ্বনি শুলি।
অভিসারে প্রিয়া যায় বসন্ত কুঞ্জেতে,
ধারা তারি বয়ে চলে-
অন্তর হৃদয়েতে।
তারি ধ্বনি শুনি রব অন্তরতর সে,
যাপিত সে রজনী-দিবারাতি
তারি দেশে।
কে গো অন্তরতর সে
কে গো অন্তরতর হে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ।
“It is thou”


It is thou who reside in the innermost
Part of my heart.
I worship him and spread his message
Throughout the day and night long.
It is thou. It is thou, my lord.
Entire the world and its activities
Are going on as he wishes to.
The flowers in the garden bloom up
Out of his wish.
The Birds singing the song divine,
The river flowing down towards the sea
To meet with oceans great and
Thএse are going on...। eternal.
Hills the high, the dry desert and
The green forest and lands
All, all, all is under his control.
Even when lover meets, the love
They could render by and on
His glory of love.  
It is thou who reside in the innermost
Part of my heart.
I worship him and spread his message
Throughout the day and night long.
It is thou. It is thou, my lord.


বিকাল 4/19  মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 68 তম কবিতাটি। “তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া”
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া
এ আমার ধরণীতে ।
সায়াদিন দ্বারে রহে কেন দাঁড়াইয়া
কী আছে কী চায় নিতে।
রাতে আঁধারে ফিরে যায় যবে, জানি
নিয়ে যায় বহি মেঘ-আবরণখানি,
নয়নের জলে রচিত ব্যাকুল বাণী
খচিত ললিত গীতে।


নব নব রূপে বরনে বরনে ভরি
বুকে লহ তুলি সেই মেঘ-তত্তরী।
লঘু সে চপল কোমল শ্যামল কালো,
হে নিরঞ্জন, তাই বাস তারে ভালো,
তারে দিয়ে তুমি ঢাক আপনার আলো
সকরূন ছায়াটিতে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া”
“তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া”


তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া
সমুজ্জল প্রাণ সে হাসি,
ত্রাণ তোহারি গান সে সোপান
তোহায় ভালোবাসি।
রব সে কানাই দিক বিদিকে
ধন্য ওহে ধরা,
তোর আশিসে তোর করে'তে
দিব্য সে প্রান
ধারা।
ঝরতে প্রভু ঝরলি পাহার ঝর্ণা তাহার দেশে,
উথল সাগর রব সে বাণী
হৃদয় মনোকাশে।
শ্যামল ভূমি শস্য ভরা হরিৎ ক্ষেত্র তলে,
মেঘ সে আকাশ,রঙ ফাগুনে
দিব্য সে রব তোলে।
গগন তলে ভাসতে পরান
দিব্য দিলি বুলির ঝুলি,
তোর ঝোলাতে ঝুলতে আমায়
লিখতে আমার কথা-
কলি।
আহা! প্রাণ মেতেছে দিব্য ধারায়
তোরই তরনীতে,
তব রবিকর আসে কর বাড়াইয়া
এ আমার ধরনীতে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ- “The divine ray of thee”
“The divine ray of thee”


The divine ray of thee comes upon to me and
I find myself significantly and I
I goes to write your message
As you wish to, to create a
Better and sensible world.
I like it, I like it, my lord
I love you thou. I love you thou.
I rich in with the great divine beam of thy
I rich in, I rich in, my lord and
I love thy, my lord, Oh my lord.
Where thee you absent from!
You are in the fountain of the high hills
You are in the great oceans,
You reside in each and every mind.
You are present in the field of farmers,
You are in the clouds and making
Vigorous clolours of the sky.
All these are the glory of your presence, thy,
I have got your divine folder of love and
I am taking the divine thoughts from there
To produce the wonderful lyrics
Each and every time.
Oh my lord! oh my lord,
I am greatly blessed thy,
I like and love you, my lord, and my lord.


বিকাল 4/10  মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 67 তম কবিতাটি। “একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়”
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়


একাধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়।


হে সুনর, নীড়ে তব প্রেমে সুনিবিড়
প্রতি ক্ষণে নানা বর্ণ নানা গন্ধে গীতে
মুগ্ধ প্রাণ বেষ্টন করেছে চারি ভিতে।


সেথা ঊষা ডান হাতে ধরি স্বর্ণথালা
নিয়ে আসে একখানি মাধুর্যের মালা
নীরবে পরায়ে দিতে ধরার ললাটে;


সন্ধ্যা আসে নম্রমুখে ধেনুশূন্য মাঠে
চিহ্নহীন পথ দিয়ে লয়ে শান্তিবারি।


তুমি যেথা আ'মাদের আত্মার আকাশ,
অপার সঞ্চারক্ষেত্র, সেথা শুভ্র ভাস;
দিন নাই, রাত্রি নাই, নাই জনপ্রাণী,
বর্ণ নাই, গন্ধ নাই-নাই নাই বাণী।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়”
“একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়”


একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়
তোমারি চঞ্চুতে কথাকলি,
আগুন ঝরায়ে প্রভাত ও ঊষায়
রবেতে আকাশ
চলি।
একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়,
তোমারি বেষ্টনে তরু সে দল
উড়িতে ঘুরিতে ভবেরো দেশেতে
মেলিতে সে হলা-
হল।
তোমারি ছায়াতে তোমারি দয়াতে
উজলিত হই গানে,
স্নিগ্ধ কলি সে বর্ষণ অবিরাম
নিয়ত হৃদয়
পানে।
একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়,
হৃদ সে সাগর-হাজার মোতির আলো,
রোশনিত রব ধ্বনিতে সরব
গাহিতে সে গান
কালো।
দিবি কি'না বল ছলনা প্রভু
বিভায় মানব দিশা,
দূর করে দূর মানবাকাশে
দূর করে তমা-
নিশা।
উছলি আলোক বহিতে পরান
দে না আমার পরান প্রভু,
গাইতে সে গীত-ধন্য ধরা
ছাড়ি আমায়
প্রভু।
কান্না হৃদে রইতে দেখে
দিক বিদিকে শূন্য তমা,
জোড় করেতে কইতে প্রভু
দে'না প্রভু, দে'না প্রভু
আজ ছড়া না-তোরই
প্রভা।


আমার লেখাটির আমার করা বাংলা অনুবাদঃ “You are the sky”
“You are the sky”


You are the sky and as sweet
As the nest.
Tis great the scenario in the morn and
On the time of sunset.
I find myself charmed at that time
And I goes to write lyrics
Efficiently.
I could getting mixed with thy
I could fly in your nation and
I could able to place to you
The terrible misery of the
Suffering people.
Its your pleasure to enlighten me
With your holy thoughts to write
The lyrics spontaneously
At a stretch, all day and night.
I had put on you the request to please
Remove the misery of the poor people.
Now I would like to know, thee.
Are you taking some measures
By means of which, the poverty and the misery
That I marked and show you, my lord
Will it be removed from the society?
Are you! Are you!! Are you?
I would like to request you once again, my lord,
Please, please, please.
If you will doing so, I will be able to write
The lyrics of joy, only, my lord
My lord.
I always feel pain in my heart
To rebuke you , my lord, oh my lord.
I love you, I love you thy.


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮৯", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অমৃত”


মহানতা দম্ভে নহে আসে ভালবাসায়,
সে ঘিঁ ভষ্ম, দম্ভ যেথায়
অমৃত আশায়।
সে শৌধ নহে মর্মর বিতান,
গান গেয়ে যায় অশ্রু সেথায়
নাহি নাহি কুঁহু-
তান।
দানেতে দানীর দেশে-প্রেম সে রচিতে ধরা,
নাহি ধন দরবার-দরবেশে
আলো করা।
দীন আমি গাহি তাই মানবতা জয়োগান,
এসো বীর আজি ধরা-সাম্যতা
গাহি গান।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গরীবের দুরাবস্থা", কবিতা উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ল্যাং”


বুলবুল তুই কই গেলি রে আইজও কবি গান ধরিছে,
ন্যাতা স্যাতার সাতকাহনে আজি আবার
ল্যাং মারিছে।
ধন্য ধরা গরীব সরিব কান্না এত কাঁন্দে ক্যান,
ফান্দে পইরা ন্যাতা স্যাতার ধান্দা বারিক
রইতে দ্যান।
তাও তো মদ খাইতে পায় ন্যাতা স্যাতার গুনে,
যখন মিছিল রাজ দরবার মাঠ ভরিতে
জনে।
জনম দিছে হেই বিধাতা দেখবে রে সেই জনা,
ও ললনা ব্যঙ্গকারি-আর বলি ভাই
আর কেঁদোনা।
ন্যাতা গুলির গুষ্টি মাইরা পুষ্টি হতেই কাব্য লেখা,
হেতাক বারি চাতক জল! আর পাইবেন
তাদের দেখা!
ভাস ভাষণে গল্পগানে চা দোকানীর বিক্রী চা,
চাইতে রবে দ্যাসের পানে-জি এস টি-র
আগুন লাগা।
আজ ফাগুনে চর চর চর-উব্ধগতি পন্য দাম,
হোতাক বাড়ি বুলেট টেরেন-চড়তে
কন জনগন।
চন চনা চল চলবে তারা শূন্যে চলে কাব্যগাঁথা,
চামরা ওদের পুরু অনেক-তাই খাতা পেন
লুকায় রাখা।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয় নদীর তীরে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“কুঁহু”


অজয় নদী অজয় নদী দিব্য সে তার ধারা,
বইতে নদী কুলুকুলু-অবাক
মনোহরা।
দিব্য প্রেমের ঘাট সে ভূমি স্মরন ধরি হৃদে,
দুখ ভুলে যাই দিব্য প্রভায়-
দিব্য সে রূপ-
রাগে।
অজয় নদীর প্রাণোধারায় ভাসিয়ে দিলেম মন,
কুল কুল কুল বইতে চলি
গাইতে সে সুর
গান।
বিহগ ক্রীরা জলকেলিতে কোকিল গাহে কুঁহু,
আজ মাতিতে অজয় সে নদ
প্রাণ মনেতে
বিঁহু।
আকাশ ফাগুন রঙ ঢেলেছে অজয় নদীর জল,
অস্তরাগে সূর্য তখন-করতে
কোলাহল।
বঁধুর চোখে বিধুর হাওয়া ওই পারেতে শ্মশানেতে,
শব দেহতে কান্না ঝরা-আকাশ বাতাস
দুঃখ মেতে।
হরিৎ ক্ষেতে নামলো করাল সূর্যি দিল মুদে,
সফেদ ভেষে বঁধুর চুরি-আসলো
ফিরে ঘাটে।
বস্টুমেতে তান ধরেছে জীবন কী হাল দিশা রে,
ভবনদীতে কান্না কেন-ওরে কানাই
কেনই দিতে।
অজয় নদী সাক্ষী সে রয় দুঃখ শোকের গাঁথা,
আজ প্রাণেতে অজয় নদী
দুহাত জুড়ি
মাতা।


প্রিয় কবি আলমগীর সরকার লিটন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বর্ণ ছোঁয়া ভালোবাসা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ও আমার দেশের মাটি”


ও আমার দেশের মাটি ধন্য তোহার গাইতে গান
রফিক সালাম আর বরকত-মুজিব
তোমার গাইতে
মান।
মা'গো তোমার আঁচল তলে, হাজার মুজিব
রব সে তোলে, পালকি চলে বিজয় রথের
দুঃখ দরদ যাই সে
ভুলে।
মা'গো তোমায় হাজার সেলাম
আর ধনেতে মান যে মোদের,
গর্বে উঁচু শির ধরি মা
আকাশ উঁচু দান
সে তাদের।
ধন্য জীবন মা'গো আমার এই মাটিতে জন্ম নিতে,
তাই তো মা'গো জীবন ধরি-
ধন্য তোমার হাজার
গীতে।
বিতান তোমার কুঞ্জে ভরা আকাশ তোমার নীল,
বসন্তের ওই শ্যামন কানন
আকাশ শঙ্খ-
চিল।
গাইতে আমি গাইছি আমি ধন্য ধরা মাঝে,
মা যে মোদের রাজরানী সে
গাইতে সে সাঁজ
হৃদয় মাঝে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভাতার", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নানার হোতা”


ভাগ রে ভাগ নাপিত ভায়া
ভাগ্য তোর আজ ভাল নাই
ভাল চাইলে কেটে পর
ভরতি নানার চোনার
চাঁই।
ভাবছি আমি নানার কথা
ভাল করে দেখছি মোতা,
ভরভরিয়ে করছে রে ভাই
ভালুক যেন নানার
হোতা।
ভাবছি রে কি ঢালবে না'কি
ভরিয়ে দিতে তোর ওই মুখ,
ভাল চাইলে ভাগ রে নাপিত
ভালই খাবি নইলে
মূত।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পথহারা", কবিতার উত্তরে একটু আগেই কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“বিয়ের ভোজ”


বিয়ের ভোজ খা'য়ে কত্তা
হোস কি গেল উড়ে,
না'কি প্রেমে পাগল হলেন
পরান গেল
ঘুরে।
হ্যারে বুলবুল, হেলায় কয়
ব্যথার কথা আজি,
বিয়ে বাড়িত প্রেম হইছে
নইলে কেন
কাজি!
হেই কত্তা বয়স তো আর
কম হইছে কী!
গিন্নি বানায় দিব তক্তা
শুটকি মাছের
ঘি!
বুঝেন কত্তা বাঁচান প্রাণ
হেই ভুলটা আর করেন!
ভুলেন ও-সব
কাব্যগাঁথায়, আজু আবার
পরান মেলেন।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া আমি কি সইতে পারি এ ব্যথা,
হাস্যোজ্জ্বল দিনগুলির সে কতকথা,
শিউলী ঝরা প্রভাতের সে কলতান।
তোমার অঙ্গে অঙ্গে হেসে ওঠা
সে কলরোল।
আজ কেন বিদীর্ন মেদিনী!
কেন কেন কেন। সুতনয়া।
তুমি কি ভালবাসো অন্তর!
তুমি কি এখনো ভালবাস সুজন মাঝির
ধনে গড়া সে উপবন।
তুমি কি মানতে পারছ না
গরীবের জীর্ণ পর্ণ কুটির!
সুতনয়া, তবে হাসসো না কেন তুমি!
কী ব্যথায় বাঁধিলে অন্তর।
সুতনয়া, আজ তোমায় হাসতেই হবে।
আজ তোমায় হাসতেই হবে।
সুতনয়া, তুমি কি দেখতে পাও না
সে রুধির ধারা,
আমার হৃদয়ের অনন্ত কান্নার ধ্বনি,
সুতনয়া, হেসে ওঠো , হেসে ওঠো
আজ,
আমার মেদিনী তোমার হাসির অপেক্ষায়।
সুতনয়া, তুমি কি পাথর হ'লে আজ।
সুতনয়া, হাসতেই হবে,
আজ পাষাণ তলে বইছে আমার হৃদয়,
অনেক কান্না জমে আছে গলে।
তুমি হাস, তুমি হাস, তুমি হাস।
তোমার সে হাসিতে বয়ে যাব আমি অশ্রুধারায়,
সিক্ত হবে ভুবন।
বেদনা ঝরে ঝরে পরবে ভূমিতে
শোষণ হবে বেদনার।
সুতনয়া, হাসো হাসো, একটি বারের জন্যে হলেও
হেসে ওঠো আজ
সুতনয়া।