সকাল ১১/৩৯মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৭৭ তম কবিতাটি। "দেবতা জেনে দূরে রই দাড়ায়ে"।


তাহার লেখাটি এইরূপঃ
"দেবতা জেনে দূরে রই দাড়ায়ে"


দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে,
আপন জেনে আদর করি নে।
পিতা বলে প্রণাম করি পায়ে,
বন্ধু বলে দু-হাত ধরি নে।


আপনি তুমি অত সহজ পেমে
আমার হয়ে এলে সেথায় নেমে
সেথায় সুখে বুকের মধ্যে ধরি
সঙ্গী বলে তোমায় বরি নে।


তাই তুমি যে ভায়ের মাঝে প্রভু,
তাদের পানে তাকাই না যে তবু,
ভাইয়ের সাথে ভাগ ক'্রে মোর ধন
তোমায় মুঠা কেন ভরি নে।


ছুটে এসে সবার সুখে দুখে
দাঁড়াই নে তো তোমারই সম্মুখে,
সঁপিয়ে প্রাণ ক্লান্তিবিহীন কাজে
প্রাণসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ি নে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে”
“দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে”


দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে,
ভকতি জানাই হৃদপ্রাণ,
অচ্ছুত ভাবি মোর দীন
গাহি তারি জয়ো-
গান।
দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে,
মলিনতা মোর অঙ্গে জড়ায়,
ভাবিতে আপনে জরা প্রাণ মোর
হৃদয়েতে স্থান
লয়।
দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে,
দুঃখ জড়াই প্রাণ মোর,
কেন হে জীবন বিভেদতা মাঝে
কেন কেন প্রভু অনা-
দর।
রচিতে বিশ্ব অসমান নর,
সৃষ্টিতে মজিতে প্রভু,
পন্ডিত জনে তোমার সে প্রাণ,
হরিজন ছোঁয়াচ না পেতে
কভু।
দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে,
আড়ালে কাঁদে চিত্ত মম,
সাধনায় প্রাণ ধরিতে আকাশ
হৃদ মন্দির
সম।
মন্দিরে নাই স্থান সে মোর
আড়ালেতে গুন গাহি,
উচ্চমার্গে দেবারতি দি
অন্তরে ধারা
বহি।
অবাক পৃথিবী হরিজন কবে মোরে,
অচ্ছুত রুধিতে ধরা,
কেন কেন কেন-কেন প্রভু
এমন হৃদয়
হরা।
সমাজ রচিতে কেন হে দেব
শুচি আর অশুচিতে,
কেন কেন কেন-কেন প্রভু
এমনো আজবো
রচিতে।
ক্ষুন্ন হিয়া মোর শূন্য হৃদ
হরি সে গাহি গুনগান,
রাহি সে তোর অশুচিতে খুঁজি
পাহিতে তোহারি
বরদান।
মন্দির নাহি মোর হৃদয়েতে ধরি,
পূজ্য তোহারি নয়নো ধারায়
কান্না হৃদে বইতে ধরা
পূজিতে তোহারি
হরি।
হরি ধাম মোর চিত্ত মাঝার
মন্দিরে নাই ঠাঁই,
উচ্চমার্গ যেথা ধনের পাহার
আঁধারে হারায়ে
যাই।
বিভেদতা কেন জিগাই তোরে
আজি ভগবান,
রচিতে বিশ্ব চরাচর প্রাণ
হেতাক হেন অস-
মান।
চিত্ত মম উচ্চমার্গে ধ্বনিতে আকাশ রব,
নাহি দিলি তুই মন্দির মোরে
নাহি রে খেদ রে
ভব।
আপনো মহিমাতে রহি অচ্ছুতে আরাধনা,
জ্ঞান সে যপিতে হৃদ মন্দির গড়ি
সহিতে যতেকো
যাচনা।
তোহারি দেশেতে না চাই মান
নাহিকো বারিকো আশা,
নাহিকো খেদ হৃদয়েতে মোর
নাহিকো নিরাশা।
আপনো বলেতে রচিব ধরা
শক্তি সে মোর ধরি,
আজ শুন আজ ভেঙ্গেছে বাধ
শুনে রাখ
হরি।
দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে,
ভকতি জানাই হৃদপ্রাণ,
অচ্ছুত ভাবি মোর দীন
গাহি তারি জয়ো-
গান।


আর আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
“You wish to”


You are the God and so
I do worship you but
But you always keep safe distance from us
You wish to.
The God you are so.
You keep safe distance from us,
Dirtines is the reason as
We perform the dirty work
In the society.
The Harijon the dalit we are.
Though we are not allowed to you but
We worship in our soul and mind.
The God you are so! We are to
Maintain distance.
We do not allowed any temple
To worship you.
Even we are not allowed to touch
The temple. it’s your pleasure!
You made in your creation.
Why? Why? Oh my lord,
Why you made so many differences
In your creation? Insult such!
You love the rich people but for them
Those who perform the dirty work
To clean the atmosphere, the metropolitan
The cities and the villages are
Not allowed to touch temple,
Or to worship.
Why my lord lord? Why my lord!
We cry in our heart and sole, my lord
We cry, we cry, we cry my lord.
How much amazing your
Creation is!
Thy created a clean difference
Between they and us.
How ridiculous it is! You too!
In spite of these we worship you
In the temple of our heart and sole
With a weeping heart.
You are in our heart, my lord.
You are in our heart.
Temple that is the rich people for!
Those who are higher in cast
What a creation amaze! My lord.
But today it is enough, my lord
You have to answer it.
You have to answer it.
We are not agree to abide by
The rules any more.
It is the high time now.
It is the high time now, my lord.
Listen my lord, we are able,
We are able. We do not need you any more
We do not need you any more.
We will create our world by our
Will and power. We do not need your
Pity, my lord. We do not need a temple,
We do not need a temple, my lord,
We do not need you.
We do not live under a mock,
We will make the equality
By the strength of our
Heart and sole.
You are the God so……..


রাত ৯/২৭ মিঃ পুনঃ নব রূপে নব ভাবনাতে রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৯৭ তম কাব্যটি, " আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে"।


তাহার লেখাটি এইরূপঃ- "আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে"


আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তখন কে তুমে তা কে জানত।
তখঞ্ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে
জীবন বহে যেত অশান্ত।


তুমি ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
যেন আমার আপন সখার মতো,
হেসে তোমার সাথে ফিররেছেলেম ছুটে
সেদিন কত-না বন-বনান্ত।


ওগো সেদিন তুমি গাইতে যে-সব গান
কোনো অর্থ তাহার কে জানত।
শুধু সঙ্গে তারি গাইত আমার প্রাণ,
সদা নাচত হৃদয় অশান্ত।


হঠাৎ খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি,
স্তব্ধ আকাশ, নীরব শশী রবি,
তোমার চরণ্পানে নয়ন করে' নত
ভুবন দাঁড়িয়ে আছে একান্ত।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে"
"আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে"


আমার খেলা ছিল যখন তোমার সনে
কি জানিত ভ্রমর গুঞ্জনে অলি
গানে,
আমার খেলা ছিল যখন
তোমার সনে।
কিবা রবি দিবাকর কি বাণী সে জ্যোছনাতে,
কিবা রব সাগরেতে, লহর সে প্রেমে
মেতে!
আজু সেথা বিরহন কাঁদি প্রাণ অণু মেতে,
ধাবতায় নাই জান, নাই প্রান
অসীমেতে।
আমার খেলা ছিল যখন তোমার সনে,
দিয়েছিলে কথা সখী-ভাবি আজি
আনমনে,  
আমার খেলা ছিল যখন
তোমার সনে।
দিব্য সে শিখা ছিল ভাবনাতে নীহারিকা,
কেন সখী দিতে প্রাণ-অম্লেতে
দিতে দেখা।
ভাবি নাই রোদনেতে দিতে হবে কোরবানি,
ভাবি নাই দিতে প্রাণ, দুখ জরা
প্রাণে টানি।
আমার খেলা ছিল যখন তোমার সনে,
কি জানিত ভ্রমর গুঞ্জনে অলি
গানে,
আমার খেলা ছিল যখন তোমার
সনে।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "তুমি আমার নিত্য ভ্যালেনটাইন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে গতকাল লেখা ও  গতকাল খেয়ালে প্রকাশিত কবিতা।
ইংরাজি অনুবাদ সহ মূল কবিতাটি দিলাম।
(ভালোবাসার ছোঁয়া। লেখাটি আমার স্ত্রীকে আমি উপহার দিয়েছিলাম  ভ্যালেন্টাইস ডে তে। মন্ত্রমুগ্ধের মত কাজ হয়েছে। ঘন্টা দুয়েক বাদে সে আমার চেম্বারে আনন্দে উদ্বেল হয়ে এসে বলে, "তাই কি বলতে চাও, আমার রূপ আছে গুন নেই। আর তারপর আমায় জিজ্ঞাসা করে তুমি যেন রাতে কি খাও-নামটা বল। আমি বলি ম্যাগডোল হুস্কি। সে বলে আজ তোমায় আনতে হবে না, আজ আমি এনে দেব আর তার সাথে কষা মাংস। চোখে জল আসে আমার। তা'হলে আজও ভালবাসা টিকে আছে।)


“বিপত্তি”


একটি গো দিন মাত্র-তাও দিলেনা ধরা
তোমার কঠিন হৃদয় দ্বারে
একটু আদর
করা।
এই তো কাল দিলেম দানে ত্রিশ লক্ষের সম্পত্তি,
তাও কিনা কও কঠিন কথায়
করতে চলো
বিপত্তি।
আকাশ ধরো হুহুঙ্কারে চাল চিপ্টে কঠিন তূণে,
বাসতে ভাল একটি দিন
পারলে নাতো প্রেমের
গানে।
অরে আমার সোনার বউ রূপ তো ঝলসানি রে,
তাই ই বলি-বলতে চাস
রূপ ধুয়ে কি জল খাব
রে!
বাইস বছর কাঁটিয়ে দিলেম ভালবাসার ক্ষরা,
বাইস টা দিন পারলি না'রে
একটি ফুল
ধরা।
কি চাইলাম কি পাইলাম হিসেব তো আর করি না'রে
এখন মন কাব্যগাঁথায়
প্রাণ জুড়েছি বিশ্ব
দ্বারে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“Just a day”


Just a day in a year
I expect your love and lovely deeds
On the occasion of the
Valentines Day, my dear.
But you did not respond,
Not a single word of
Love, my lovely.
Yesterday I denoted you the property
Worth rupees thirty lakhs,
In spite of it you are talking
Most difficult to me
Today.
You failed to to render love
Towards me in this twenty two years.
You are the lovely creatures of the earth,
But without love, what is the meaning
Of it.
We spent twenty two years together,
But I did not get twenty two days only
You in love with me, my dear.
Never offer a rose to me
Nor a word of love.
It is beyond my exception but
I am not unhappy with it as
I dedicated myself in the world of
Poetry and there are too many followers
To love me, my lovely.
I need not love from you now
My darling.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গোলাপ দিয়ে কেনা ভালবাসা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দীন ভালোবাসা”


আজ দীন ভালোবাসা কান্না সে কিনিতে,
গোলাপের গুলাবিতে-আর ধন
ধ্বনিতে।
আজ দীন ভালোবাসা কান্না সে কিনিতে,
যুবক আর যুবতিরা-আজ দীন
প্রাণ মেতে।
আজ দীন ভালোবাসা কান্না সে ধ্বনিতে,
কপটতা ছলনাতে-প্রকট সে
বাণীতে।
আজ দীন ভালোবাসা কান্না সে ধ্বনিতে,
ভাবি মন আনমন-রুধিত সে বাতাসেতে,
দীনো গতি হেন মতি-আজি প্রাণ
লহরেতে।
আজি দীন ভালবাসা-কান্না সে বাতাসেতে,
আজি মন দীন গতি, আজি মঝু
কাঁদি হৃদে।
শঠতাতে হৃদ মেতে কায়া তনু আরাধন,
আরোধ্য রতি কামে-অশুচি সে
করে তন।
আজি কাম ভালবাসা কিনে নিতে দড় দাম,
মানবতা কিনারেতে-মাতে শত
যুব প্রাণ।
গুলাম কি গুলাবিতে রক্ত সে দেখা দিতে,
ভালবাসা দিবশেতে-অশুদ্ধ আড়ালেতে;
রতি কাম মন্দ সে
নিষিদ্ধ কামে
মেতে।
আজি ধন ভালবাসা-ভালবাসা
দিবশেতে।
প্রানো হরি শঙ্কাতে সমাজ কি রোদনেতে,
সমাজেতে ভ্রান্ত সে-নব দিশা
আরোহেতে।
গতি দিশা ভ্রম মতি সমাজ কি কূলো ক্ষয়,
রুদ্ধ কি দ্বার আজি-ক্ষয়িষ্ণু
ভাবনায়।
আজু মঝু দীনান্তে-প্রাণ বই সীমানাতে,
জানি নাই আর দিন-বেশি দিন
জীবনেতে।
তাই গতি দিতে দিশা-লিখে যাই অন্তর,
ডাকি প্রাণ যুব সবে-শুদ্ধ সে
কর দ্বার।
তুমি যুবা কশেরুকা-মজ্জা সে সমাজের,
আজি প্রাণ নিবদনে-গতি ধর
জীবনের।
ঊষা পানে চেয়ে রই-হৃদয়টা উঁচু ধর,
ভালবাসো শুদ্ধ সে-রতি কাম
দূর করো।
আজু মঝু কথা দাও-বুকে রেখে হাত গো,
জোড় করে পূজি তোহে-কথা মোর
আজি রাখো।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সত্যের নেই ক্ষয়", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“কুহেলিকা”


ভাবি মন আনমন সত্য কি প্রহশণ
দ্বার সে যে মানবের-উন্নত
প্রাণ ধন।
বিকশিত ধরা মাঝে বিকচিত রুচি,
পাষাণ সে মানবের-ইন্ধন
সূচি।
মানে নাকো যতিকো সে সত্যের প্রহেলিকা,
ধর্ম সে আরাধন-কুজ্ঝ সে
কুহেলিকা।
ধর্মের দ্বারগোরে আরাধন কেন মন?
সত্য সে মানবের আরাধনা,
উন্নত হও বীর-সাধি আমি
আর জনা।
আজি প্রাণ অন্ধ সে-দানবেতে ধরা মাঝে,
ওহে মাঝি বৈঠা সে-টানো আজি
হৃদ মাঝে।
সত্য সুন্দর, সত্য কমল শতদল সত্য সে,
আজি পণ করো সবে-গাহিতে সে
প্রাণোকাশে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পাপের স্তুপ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“পা!”


পা! পা দিল রে ঈশ্বর মোর
পা ধরে তোর সাধব না'রে!
পুলি পিঠা আর বানাবো
পাটিসাপ্টা আমার
দোরে।
পাইতে আমার জীবন টাকে
পাঁপরি দ'লে মেতে,
পাতাল রেলের গতিত ছুটে
পাইতে রে সুখ
মেতে।
পাওভাজি আর কোপ্তা পোলাও
পান্ডা আমি হব না'কো;
পা ডুবিয়ে করবো রে কাজ
পালিয়ে আমি যাব
না'কো।
পাইলে কি'রে দুখ অতি
পাষাণ হৃদয় ভাবলি নাকি!
পা ধরে কই সাধছি রে সই
প্রাণ টা আমার নিতেই
বাকি।
পালাই পালাই রব কেন তোর
পা কেন তোর গলল না!
পাইতে চাস হীরে মানিক
এই কি তোর
কল্পনা।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮৬", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ধনী”
মান বিনা মানুষ কি! ধন রইত বয়,
মান আর হুষে মানুষ গড়ে
মান্য অতিশয়।
ধনের পাহাড় ধনী সে রব সাতকাহনেই শেষ,
মানীর সে মান অমর রহে,
ধন্য কহে
দেশ।
দেশ বিদেশে চর্চা চলে মানীর গুনের ধ্বনি,
ধন কি আর সাধ্য তারি,
ধন সে অনেক
গুনি।
হায় রে ধন ধনীর ধূণ ধন্য নহে ধরা,
ধন ধান্যে গেলেও জীবন
অম্লান নয়
তারা।
অতঃ গুণীর করিতে জয়োগান
আজি ধন্য গাহি সে
কুঞ্জ-বিতান।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পাপের স্তুপ", কবিতার উত্তরে একটু আগেই কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ব্যথা”


পা ধরে সাধা রাধে,
পাইনা কেন তোরে-
পাইতে তোরে হৃদয়দোরে
পান সুপারি
ধরে।


পাওনা গন্ডা মিটিয়ে দেব
পা ধরে আজ সাধি,
পাইলে তোরে কাঁদছি রে প্রাণ
প্রাণটি ধরে
আজি।


পারবি না'কি দেখতে কানাই
পাই যে অনেক ব্যথা,
পাবার আমার আর কিছু নাই
পাইলে রে তোর
দেখা।


প্রিয় কবি মোঃ আরিফ হোসেন সর্দার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "খোকন (ছড়া)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ম্যাও”


খোকন খোকন করে মা'য়
খোকন চড়ে দোলনায়,
আয়না খোকন কোলে আয়
চল রে খোকন দেখতে
ম্যাও।
দুষ্টু খোকন ম্যাও তো মামা,
মোচগুলি তার বাঘের মতো,
দুধ খায় সে চুরি করে,
আর সে মাছ অনেক
কত।
খোকন রে তুই বাঘ নাকি রে!
হালুম মালুম করিস কেন?
আয় দিকিনি চার পা দিয়ে
ভয় দেখিয়ে আমায়
যেন।
আজ যে খোকব বি'য়ে দেব
পুতুল আর খেলনা দিয়ে,
টোপড় মাথায় শ্বশুর বাড়ি
ময়না ফিঙ্গে আর যে
টিয়ে।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া, আজ আকাশ জানতে চায়
আজ বাতাস জানতে চায়,
সুতনয়, সাগরে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে আজ
বিহগ ভুলে গেছে তার কলতান,
আকাশ ঘন করলেও ময়ূর আজ
পেখম মেলছে না।
সুতনয়া, সৃষ্টি তার ধ্বংসে দ্বার গোরায়,
অশ্রুসিক্ত মেদিনী।
সুতনয়া, হাসো হাসো,
হেসে ওঠো খিলখিলেয়ে, হিল্লোলে
বয়ে যাক অঙ্গে অঙ্গে তোমার
ঘন যৌবনের হরিৎ বসন্ত।
সুতনয়া, তুমি কি হাসবে না?
তুমি কি ভুলে গেলে সে হাসি।
শিউলী ঝরা সকা সুতনয়া,
আজ কি একটি একটি করে
তুলবে না সেই ফুলগুলি।
সুতনয়া, সেদিন ও কেঁদেছিলাম আমি
যেদিন তুমি আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলে
সুজন মাঝির বায়ে,
আজও কাঁদছি তোমায় কাছে পেয়ে,
সুতনয়, তোমার ম্লান মুখে
একটি হাসির কণা।
সুতনয়া, আকাশ এনে দেব চাঁদ,
বাতাস বেয়ে দেব সুগন্ধির উচ্ছাস,
সুতনয়া, সাগর এনে দেব বারি,
লহরেতে লহরেতে ভাসিয়ে দব অন্তর,
বসন্তে ভরে দেব অঞ্চল,
সুতনয়া, একবার শুধু একবার,
অশ্রু মুছে দাও চোখে,
সুতনয়া হাসো হাসো হাসো,
শুধু একটি বারে জন্যে হলেও
হাসো সুতনয়া হাসো
একটি বার।