দুপ্রহর ৩/০৭ মিঃ  ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৬৯ তম কবিতাটি। "এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়
যে প্রাণ-তরঙ্গমালা রাত্রিদিন ধায়


সেই প্রাণ ছুটিয়াছে বিশ্বদিকবিজয়ে,
সেই প্রাণ অপরূপ ছন্দে তালে লয়ে
নাচিছে ভুবনে; সেই প্রাণ চুপে চুপে
বসুধায়র মৃত্তিকার প্রতি রোমকূপে
লক্ষ লক্ষ তূণে  তূণে সঞ্চারে হরষে


বিশ্ব্ব্যাপী জন্মমৃত্যু-সমুদ্রদলায়
দুলিতেছে আন্তহীন জোয়ার-আঁটায়।


করিতেছি অনুভব, সে অনন্ত প্রাণ
অনে অনে আমারে করেছে মহীয়ান।
সেই যুগগূগান্তের বিরাট স্পন্দন
আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়”
“এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়”


এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়
উত্তাল আজিকে রুধির ধারায়,
শূন্য প্রাণে বিকার হেলায়
ঢেউ খেলে যায় প্রলয় বাতাস,
হেরিতে বিশ্ব করুণ সে রস
লোহিত রুধির
ধারা।


বন্য সে প্রাণ হিংসা সোপান
রক্ত গড় করা।
খোল রে কারা হৃদ সে পরান
আজ মেতে চল-ধরার সে তল
আজ খেলিতে রক্ত হোলি
ধ্বংস দিতে হিংসা
ধরা।


আজ খুলে দে রুদ্ধ সে দ্বার
রুদ্রবীণা্য় ধর রে তান
কপট ছলের অন্ত শেষে
ধরতে ধরায় প্রেমের
গান।


লোল্যুপ শিখা জ্বলছে রে ভাই
কোতল নিধন মানব তলে,
মানবতার প্রাণ হরা সে
রক্ত পিচাশ দানব
দলে।


আজকে হোলি খেলব রে ভাই
আয় রে আয় ছাতার তলে,
আজ শস্ত্র ধরব সে তান
আজকে কৃপাণ দেবই
মিলে।


দেব দেবা দেব আজকে গতি
দেখিয়ে দিতেই মোদের বল,
মুষ্ঠি ধরে আজ মানবে
গড়তে দৃঢ় মনো-
বল।


আজ ডেকেছি আজকে ধরা
আসবি কি'না আসবি ভাই,
মায়ের আঁচল তলে থেকে
মা'র সে দফন দেখবি
তাই!
দিক বিদিকে হিংসা ঝরে
ঝরবে রে ভাই তোর ও ঘরে,
সেদিন কি তুই মেলতে নয়ন
আজ যাবিনা দ্বারে
দ্বারে।


কশেরুকায় নাই কি বল ধ্বজভঙ্গ হলি,
ভয় কি'রে তোর বলছি আজ-
আজকে খেলি রক্ত
হোলি।


ওই শোন ওই শঙ্খ নিনাদ
বাজায় মা'য়ে দ্বারে দ্বারে,
বলছে মাতে যুদ্ধে যেতে
থাকবি না'রে আজকে
ঘরে।


এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়
উত্তাল আজিকে রুধির ধারায়,
শূন্য প্রাণে বিকার হেলায়
ঢেউ খেলে যায় প্রলয় বাতাস,
হেরিতে বিশ্ব করুণ সে রস
লোহিত রুধির
ধারা।


আর আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“flood of blood”


Having seen the fierce bloody world
The terror and the flood of blood
I find myself extremely sad
In my mind and soul and
I feel myself very angry and
Destructive.
Wild like terrorist are killing the
Innocent people producing
Bloody situation in all and entire
World.
They have no heart in them
They are killing, blasting in public places
They kidnap the peoples
Destroying everything to flow
Human blood each and
Everywhere. They are not human but
The monster they are.
I would like to appeal to all to
Open their heart to realize the situation and
To come out of house with open
Weapon to start a war
Against them and to destruct
Their infrastructures.  
Today we will start war
To protect the humanity.
I appeal to my brothers and sisters,
To come and join with me.
Today we all will be furious enough
To kill them.
We will show our strength of our
Heart and soul to God
Almighty.
Would you not come out to join with me?
When do u understands?
You are the coward? You will
Understand on that day when
They will enter your house to
Destruct your family.
Are you not an able person?
Are you suffering from illness?
You the coward are.
Con you not heard the roar of
Your mother. Can you not
Heard that she is telling
To go out of the house and
Worship the God praying
Our success in that
War.
So please come out of house and
Join with me.
Having seen the fierce bloody world
The terror and the flood of blood
I find myself extremely sad
In my mind and soul and
I feel myself very angry and
Destructive today.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভালবাসার প্রতিশ্রুতি", কবিতার উত্তরে রিয় কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা, “প্রতিশ্রুতি”
খেয়াল ৫০ তম পর্বে প্রকাশিত আজ এটির ইংরাজি অনুবাদ মূল কবিতা সহ প্রকাশ দিলাম।


“প্রতিশ্রুতি”
ও মোর জান হৃদয় আমার প্রতিশ্রুতি কেনই চাও,
কোথায় কেমন কিসের তরে
বলছি ওগো মোহ-
ময়।
আমার তুমি তোমার আমি এক দেহতেই লীন,
বইতে ভবে কান্না হাসি,
গাইতে সুখের
দিন।
পারিজাতের সেই কাননে ধন্য তোমার গান,
মুগ্ধ আমি তোমার সুরে-নাই রে সখী
মান।
গাইতে সে গান মুখর ধরা অমর প্রেমের ফল্গুধারায়,
গোলাপ বকুল শিউলী সে ঘ্রাণ
সেই দেশেতে ঘ্রাণটি
হারায়।
দিব্য প্রেমের অমর গানে প্রতিশ্রুতির বানটি নাই,
তোমার আমি আমার তুমি-
দীন প্রাণেতে বইতে
নই।
সেদিন ধরা অস্তাচলে গাইবে না আর রবি শশী,
মর্ম মরে জ্যোছনা আলোক-রইতে না আর
বিভায় নিশি।
মর্মর তান উঠবে ধরা নিশীথ যাবে ঢেকে,
যেদিন তোমার হৃদাকাশে
তমায় যাবে
ডেকে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
Why do you want my promise?


Why do you want my promise?
You the merry,
I want to ask you
Why do you want a promise!
You and me are blended in
One sole and body to sail and
To sing the song of the immortal love.
So why and how could I make
A promise to you.
I reside in the paradise of your love and
I am in love with you having
No complain at all.
We are the complement of each other.
So why do you want my promise
You  the merry mine.
As and when the rose and other
fragrant flower comes to you,
It  losses it's fragrance having the divine
Fragrance of your love.
Our love is divine and there are no
Promises at all but the love and
Love only.
The day when the confusion will
Reach and capture your heart and soul
The sun will not rose up and
The moon;
Will not scatter it's glory of light and the world
Will go to blackout
entirely.
Oh my love there are no promises
At all. There are no promises
At all.


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নেতার পাঁচালি-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“গুঁতাগুতি”


গুঁতো রে গুঁতো গুঁতাগুতি হুটাপুটি ধিতাং ধিতাং বোল,
উড়ছে দেদার ধনের মেলা
রব সে হরি-
বোল।
হরিবোল! হরিবোল!
ছাতিম গাছে লাটিম বাঁধে ধাধার ধাধা ভাই
এক্সিলেন্সি ওরে দাদা-ইলেসেগুড়ির
চাঁই।
আহা রব উঠেছে কাঁদেন কেন? হরিবোলের দ্যাসে,
মানুষ খেকো ন্যাতার গানে-
কবিতারি
ভেষে।
ভাসলে কি আর দিতেই ধরা পুচ্ছ নাড়ে ফিঙ্গে,
ভাবতে রে ব্রিজ দুলছে কেমন
দারুন তারি
অঙ্গে।
রঙ্গ রে ভাই রঙ্গ।
নিনাদ দিয়ে ভাবলি কি'রে ন্যাতার আসন টলো-মলো,
না রে কানাই ভুল ভেবেছিস
ফিঙ্গের মতই দারুন
জেলো।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাসয়ের আজ প্রকাশিত "মহা শিবরাত্রি ব্রত", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জয় জয় মহাদেব জয় মাতা গৌরী,
হর হর বোল মেতে
আজ তোরে পূজা
দি।
হেরি মাতে মহাদেবে জল ঢালি মন প্রাণ,
ঢেলে দি চাইতে রে,
স্বরূপেতে পতি
দেন।
বছরেতে এই দিনে রই মাতে উপাসেতে,
পূজি তারে মন প্রাণে
ফুল পাতা
বিল্বেতে।
প্রদীপের শিখা জ্বালি হৃদয়টা মেলে ধরি
বর পেতে লিঙ্গেতে
দুধ ঢেলে গড়া-
গড়ি।
তুহি মাতা জোড় করে শ্রেষ্ট সে পতি তোর,
পেতে মা'গো গড় করি
তোহে মাতে কর-
জোড়।
নিবেদনে ওগো মাতে বন্দনা দিয়ো দানে
হেন মতি যেন পতি
সতী ওগো অব-
দানে।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তুমি আমার নিত্য ভ্যালেনটাইন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“বিপত্তি”


একটি গো দিন মাত্র-তাও দিলেনা ধরা
তোমার কঠিন হৃদয় দ্বারে
একটু আদর
করা।
এই তো কাল দিলেম দানে ত্রিশ লক্ষের সম্পত্তি,
তাও কিনা কও কঠিন কথায়
করতে চলো
বিপত্তি।
আকাশ ধরো হুহুঙ্কারে চাল চিপ্টে কঠিন তূণে,
বাসতে ভাল একটি দিন
পারলে নাতো প্রেমের
গানে।
অরে আমার সোনার বউ রূপ তো ঝলসানি রে,
তাই ই বলি-বলতে চাস
রূপ ধুয়ে কি জল খাব
রে!
বাইস বছর কাঁটিয়ে দিলেম ভালবাসার ক্ষরা,
বাইস টা দিন পারলি না'রে
একটি ফুল
ধরা।
কি চাইলাম কি পাইলাম হিসেব তো আর করি না'রে
এখন মন কাব্যগাঁথায়
প্রাণ জুড়েছি বিশ্ব
দ্বারে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নাড়াবন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নাপিত”


না রে না! হবে না,
নানান জ্ঞানে দিলেম ভরে,
নাই কামে তা গেল,
নানা নাপিত কান্ড যেন
নাকটি  কাটা
গেল।
নাপিত হ'বি জীবনে তুই
না'হলে আর হবি কি?
নানান জ্ঞান দিচ্ছি কত্তি
না নিলি তুই এক
রত্তি।
না! আর না, আর দেবোনা জ্ঞানের বাণী
নাঙ-এর এবার তূণ দিব রে,
নাকান চোবান খাওয়ায় হ্যালায়
নাক রগরান সেই
পিটানি।
.
bibhuti babu


গুলাব কি গুলাবি ছড়াবে ভালবাসা!
ভালবাসা তো অন্তর হৃদে
বাসা, বাসা রে
বাসা! ভালবাসা!
গুলাব তুচ্ছ সেথা কি চুম্বন!
কি আর করিবে
আরাধন!
যদি হৃদ না মিলে
হৃদে। বাকি সব
মেকি-
চায় গুলাব কি
পারিজাত
ই!


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া, তোমার চোখে জল!
সুতনয়া তুমি কি কাঁদতে পারো!
তুমি কি কাঁদতে পারো!
সুতনয়া আজ আকাশ ভেঙ্গে পরবে,
হরপা বানে ভেষে যাবে
সমগ্র মেদিনী,
দারুন দোলানিতে শহর নগর ধাম
ভেঙ্গে পররে অট্টালিকার সারি।
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ জীবনের
হবে পরিসমাপ্তি।
সুতনয়া, তোমার চোখে একবিন্দু অশ্রু
কেড়ে নিতে পারে কোটি কোটি
জীবনের স্পন্দন,
সুতনয়া, হাসো হাসো,
শিউলী ঝরা সকালে যেভাবে হেসে উঠেছিলে,
তোমার দেহশৈষ্টবে যেভাবে
উঠেছিল হিল্লোল, ঠিক সেভাবেই হাসো।
সুতনয়া, হাসো হাসো হাসো আজ।
সুতনয়া, যেদিন তুমি আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলে-
তোমার সুজন মাঝির কাছে,
সেদিন আমার দুঃখের কথা চিন্তা করে
একবিন্দু অশ্রু আসেনি তোমার চোখে।
কেঁদেছিলাম শুধু আমি আর আমি।
বন্যা বয়ে গিয়েছিল ধরা,
জীবনটাকে একটা দারি টেনে দিতে চেয়েছিলাম আমি,
বন্ধা তোমার অঞ্চল থেকে
বিতারিত হতে চেয়েছিলাম
স্ব ইচ্ছায়।
সেদিন তোমার চোখে একবিন্দু
শিশির জমেনি।
শীতল বাতাস তো যায়নি বয়ে।
তবে আজ! আজ কেন
বিশ্ব মানবেতে তোমার হৃদয় কেঁদে ওঠে,
অশ্রু সিক্ত হয় অঞ্চল।
সুতনয়া, বলো বলো বলো-
আমাকে শুধু বলে দাও,
এ তোমার ছলনা মাত্র।
নৃভীতে নিরবতে লোক চক্ষুর অন্তরালে
হেসে ওঠো সুতনয়া।
কেউ জানতেও পারবেনা, কেউ জানতে পারবেনা
কেউ শুনতে পারবে না, সে হাসির
কলতান।
সুতনয়া, হাসো হাসো।
সুতনয়া হাসো
একবার।