(উফ! কিভাবে যে আজ লিখতে পারলাম আর প্রকাশ দিতে পারলাম একমাত্র তিনিই জানেন। তাকে হাজার সেলাম। কত গালিই না দি তাকে, চোখে জল চলে এল।)


সকাল ১১/৫০ মিঃ নব রূপে নব আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গিতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৪৮ তম কবিতাটি, "তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে" । তাহার লেখাটি এইরূপ। আর আমার লেখাটি এইরূপ।


তাহার লেখাটি এইরূপ।
"তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে"


তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে
পাখিরা গান গেয়ে।
তখন পথের দুটি ধারে
ফুল ফুটেছে ভারে ভারে,
মেঘের কোণে রঙ ধরেছে
দেখে নি কেউ চেয়ে।
মোরা আপন-মনে ব্যস্ত হয়ে
চলেছিলেম ধেয়ে।


মোরা সুখের বশে গাই নি তো গান,
করি নি কেউ খেলা।
চাই নি ভুলে ডাহিন-বা্যঁএ,
হাটের লাগি যাই নি গায়ে,
হাসি নি দেউ, কই নি কথা,
করি নি কেউ হেলা।
মোরা ততই বেগে চলেছিলেম
যতই বাড়ে বেলা।


শেষে সূর্য যখন মাঝ-আকাশে,
কপোত ডাকে বনে-
তপ্ত হাওয়ায় ঘুরে ঘুরে
শুকনো পাতা বেড়ায় উড়ে,
বটের তলে রাখালশিশু
ঘুমার অচেতনে,
আমি জলের ধারে শুলেম এসে
শ্যামল তৃণাসনে।


আমার দলের সবাই আমার পানে
চেয়ে গেল হেসে।
চলে এল উচ্চশিরে,
চাইল না কেউ পিছু ফিরে,
মিলিয়ে গেল সুদূর ছায়ায়
পথতরুর শেষে।


ওগো ধন্য তোমরা দুখের যাত্রী,
ধন্য তোমরা সবে।
লাজের ঘায়ে উঠিতে চাই,
মনের মাঝে সাড়া না পাই,


মগ্ন হলেম আনন্দময়
অগাধ অগৌরবে,
পাখির গানে, বাঁশির তানে,
কম্পিত পল্লবে।


আমি মুগ্ধতনু দিলেম মেলে
বসুন্ধরার কোলে।
বাঁশের ছায়া কী কৌতুকে
নাচে আমার চক্কে মুখে,
আমের মুকুল গন্ধে আমায়
বিধুর ক'্রে তোলে-
নয়ন মুদে আসে চৌমাছিদের
গুঞ্জনকল্লোলে।


শেই রৌদ্রে-ঘেরা সবুজ আরাম
মিলিয়ে এল প্রাণে।
ভেলে গেলেম কিসের তরে
বাহির হলেম পথের 'পরে,
ঢেলে দিলেম চেতনা মোর


ছায়ায় গন্ধে গানে-
ধীরে ঘুমিয়ে প'লেম অবশ দেহে
কখন কে তা জানে।


শেষে গভীর ঘুমের মধ্য হতে
ফুটল যখন আঁখি,
চেয়ে দেখি, কখন এসে
দাঁড়িয়ে আছ শিয়রদেশে
তোমার হাসি দিয়ে আমার
অচৈতন্য ঢাকি।
ওগো, ভেবেছিলেম আছে আমার
কত-না পথ বাকি।


মোরা ভেবেছিলেম পরানপণে
সজাগ রব সবে।
সন্ধ্যা হবার আগে যদি
পার হতে না পারি নদী,
ভেবেছিলেম তাহা হলেই
সকল ব্যর্থ হবে।
যখন আমি থেমে গেলেম, তুমি
আপনি এলে কবে।


আর আমার লেখাটি এইরূপ।“তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে”
“তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে”


তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে
লক্ষ মেঘের কুঞ্জ বিতান,
তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে
মর্মে আমার রব তুলে
গান।
দৌড়ে গিয়ে বন সে ফাগুন
রক্ত রাঙ্গা মেঘের আগুন।
ঝর ঝরিয়ে প্রেমের সে গান
ভরিয়ে দিল আমার
ভুবন।


সেই ভুবনে মন মদিরায়
ধন্য সখী তোমার ধারায়,
চঞ্চল প্রাণ মুগ্ধ হল
চাইতে সখী আমার
ধারায়।
বইতে সখী গাইতে গান,
আকাশ ফাগুন হৃদ সে তান
হারিয়ে গেলাম
ধরা।


ওষ্ঠে তোমার অধর ধরো,
ও সখী গো আদর করো
সুবাস আনো
চোখে।
ওরে ও সখী রে মাতলো যে মন
মাতাল হাওয়ার আকাশ আগুন
আজ ফাগুনে
দেখে।


আজ মদিরায় মন মেতেছে
অঙ্গে তোর ওই মাতাল হাওয়া,
রং লেগেছে বাতাস আগুন
দে সখী রে, দে'রে
ধরা।
আজ আছিলায় বাঁধব তোরে
অঙ্গন মোর আদর ধরে,
আলিঙ্গনে অধর চুমুক
চুমায় তোরে বাঁধব
রে।


আজ ফাগুনে রং মেতেছে
আকাশতলে ঢল বহেছে,
রং মেতেছে
ধরা,
ও সখী লো দ্বার খুলে দে
আজকে মনো-
হরা।


দীন দুখিনী আজ হেসেছে
তাজ সে মুকুট স্নিগ্ধ পরান,
আজ গরবে মন ভুলেছে
চায় রে সখী শুনতে সে
গান।
সে গান গা'রে দ্বারে দ্বারে
দুলতে সে দুল অভিসারে,
জনম দুখী মা যে আমার
দীন গরীবের
সংসারে।
দে না ভুলায় তার ওই ব্যথা
দিক বিদিকে উঠছে রব,
তোর ওই প্রমে সিক্ত ধরা
চাইছে রে তোর
কলরব।


আকাশ তলে ঢেউ তুলেছে
ভালোবাসার ফল্গুধারা,
হাজার তারা মন মেতেছে
দে না সখী, দে না
ধরা।


হৃদয় আমার গেলই ভেসে......।
তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে
আর কি আর রইতে দূরে,
চল সখী আয় পরান মাতি
দীন দুঃখীর দুঃখ
দ্বারে।
ঘুচাই তাদের দুঃখ আজি
আজ ফাগুনের আগুন রঙ,
সাধ্য মোদের সাধন করি
মানবতার গাইতে
সোপান।


সেই গানেতে জাগতে ধরা
আকাশ হবে রব,
গাইবে বিহগ কূঁহুর তানে
জাগতে উঠে
ভব।


অবাক চোখে দেখবে সে'রে
মানব আজি উব্ধে তাহার,
ব্যথার সাগর তার ওই দানে
প্রেম সে গান গাইল
বাহার।
জড়িয়ে আমায় ধরবে সে'রে
কান্না রবে চোখে,
চোখ রাঙ্গিয়ে শাসন তারে
করব অনেক
ব'কে।


দেখিয়ে দিতে শক্তি আমার
ভক্তি আমার হৃদে,
তোর তুলনায় মজবে সে'জে
আশিষ অনেক
দেবে।
তুই কি গান গাইবি না'রে
নাদ শোন ওই কান্না ধ্বনি,
দিতেই প্রভু এক ধরা প্রাণ
দুঃখে ভরা এই
ধরনী।


হৃদয় আমার গেলই ভেসে.........।
তখন আকাশতলে ঢেউ তুলেছে,
লক্ষ ফণা ভবের সাগর
দুঃখ দেখে মন
ভুলেছে;
তখন আকাশতলে ঢেউ
তুলেছে.........।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ।
“The waves of the clouds”


The waves of the clouds are huge now
My heart and soul are also undulate
In the great rhythm of
love.
I got spellbound with the marvelous
Red colour of the clouds seems like blood.
The scenario overwhelmed my heart and soul
With the acute feelings of love and
You have come to my heart and soul
With great remembrance and I feel
Thy should come in my life
To make a heavenly home
today.
I sink down into the sea of love.
Oh merry! Please join in me
Please let me get the fragrance of
Our lovely deeds of
love.
Please please please come and
Bind me into you.
I will keep you in my heart and soul and
Worship the love and love
only.
Both we will sing the song of love and will
Spread message of love throughout the
World ,at present  which is
weeping.
We both will work for them to remove
Their misery with the tune of
Love.
Besides all the pains and sorrow
Today it seems that all are laughing and
I also come in calmness after a long
Period.
So, this is the day we should blend in
Each other and start spreading the
Message of love towards the
Restless world.
We should, we should, my darling,
We would be the example of love
In this world.
All the world will learn what is the
Meaning of love?
The God almighty will also be
Amazed with such a heavenly love
And our work towards suffering
Humanity,
And will praise you.
And I will get chance to rebuke him.
Let us show him our strength
And dedication so that he would be
Compelled to think of us
How much strong
We are............!


প্রিয় কবি এম ডি সবুজ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফাগুন অনুকাব্য", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“বাসন্তি”


আজি বসন্ত বাসন্তি রঙ এ রাঙ্গা
আয় রে সখী আর দুলিনা,
দোলনচাঁপায় মন ভুলিয়ে
লাল সবুজে রং গুলিয়ে
করতে চলি
খেলা।
আয় না সখী আজ বেলা আয়
আজকে প্রানের
মেলা।
আজ এসেছে সুবাস তারি
অঙ্গে অঙ্গে ঢেউ সে খেলে,
দুঃখ ধরার আজ অবসান
আজ সুবাসে ঘ্রাণ সে
মেলে।
হরিৎ হলো শস্য শ্যমল
বৃক্ষরাজি আজ,
আয় রে সখী আয় রে পরান
আজ ফেলে দে
কাজ।
আজি বসন্ত বাসন্তি রঙ এ রাঙ্গা
আয় রে সখী আর দুলিনা,
দোলনচাঁপায় মন ভুলিয়ে
লাল সবুজে রং গুলিয়ে
করতে চলি খেলা-
আজ আকাশে ভাসতে সখী
পরান দিছে
দোলা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নিশ্চিন্ত-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“পাগলা দাসু”


গান গান আর গান!
গাইতে রে তোর পাগলা ভোলা,
পার করে দে ভবের তলা-
ভবের তলা ভবের তলা
ভবের তলা।
ওরে ওই পাগলা দাসু
তোর ঘরত অনেক আসু!
আসু রে বাপ আসু!
আসু আসু!
আসলি যে ভব দুহাত নিয়ে
পা গুলি তোর ঠাংঠেঙ্গিয়ে
কেনই দিল বল?
মর্ম দিল বুদ্ধি দিল হৃদয় দিল বল,
যা কিছু তোর সেবার তরে
তাই নিয়ে তুই
খেল।
না'রে তিনি দেখেন না-দেখান।
তার তরে তুই করিস আশা মূল্য কিছুই নাই,
ভব সাগরে সাঁতরে তোরে
পার হতে
কানাই।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভালবাসার লাল গোলাপ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“কিস কি মারি”


কিস কি মারি কিস রে জানু কিসের চিন্তা ওরে,
কিস কিসানি কিস কি মানি-
আরে, মানি রে মানি!
আছে অনেক
ঘরে।


দবদবানি চুপচুপানি মানির দেব খাইয়ে ঘোল,
ওরে, ও সখী লো পরান আমার
কিস মেরে তুই
হাওয়ায়
দোল।


দোল দুলানী দুলানী তুই যে আমার মনের রানী
বৃন্দাবনের সাথ সহেলী; ও সখী লো
আজকে সখী কিস কি
গলি।


গলি রে বাবা! গলি।


কিস কি মারি কিস রে জানু কিসের চিন্তা ওরে,
কিস কিসানি কিস কি মানি-
আরে, মানি রে মানি!
আছে অনেক
ঘরে।


প্রিয় কবি ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আশুর মা ১ম", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে একটু আগেই লেখা।
"গুণগান'


দুই চোখ ছলছ্ল ভাবিতে কি আমি কবি,
আঁখিধারা বরিষণে আনমনে
শুধু ভাবি।
একদিন ভবনদী করে যাব ওই পার,
কি হবে রে জীবনেতে শত
করে দরবার।
বিদ্বেষ হিংসাতে কি হবে রে হৃদ মেতে,
এইদিন এরকমই রব
দেবে মাতমেতে।
দুই হাত জোড় করে তারে দেই সম্মান,
ভাবি মনে রব বাণী গাহি
তারি গুণগান।
মাতাময়ী স্বর্গং গতি যেন ধারা পায়,
ঈশ্বরে হৃদ ধরি যেন তারে
পার দেয়।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ধাপ্পা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"ধানি লঙ্কা"


ধানি লঙ্কার তেজ সে অতি
ধান ভেঙ্গে চাল হয়
ধনধান্যে বাঁচতে হলে
ধাপকি মেরে চলতে
নয়।
ধান্দা তোমার আজ দেকিনি
ধোকলাবাজি আমার সনে!
ধরধরিয়ে কাল যে দিলাম
ধান ভেঙ্গে জ্ঞান পয়সা
বি্নে।
ধনী ধরায় হলেই হতে!
ধন কামনো সস্তা নহে,
ধান্দাবাজের দল বানালে
ধন সে কামাই তুবও
হবে।
ধন্য তবে হয়না জীবন
ধাপকি মারা পয়সা দিয়ে
ধন দিয়ে পার পাহার সমান
ধনে পাতাই র'বে
পরে।
ধন দিয়ে মান হয় না খোকন
ধন্য জীবন হয় না বে,
ধবলগিরির শুভ্র চূরায়
গুণীর থাকে মান
রে।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অগর চাবি খো যায় তো?", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"হায় রে হায়!"


হায় রে হায়! কি কয়! অহনে তুই ক বুলবুল,
হেইডা কি নির্যাতন হইলো না।
আইজকার দিনে-মাইয়াগুলি উইড়া ঘুইরা বেড়াইতে চায়,
হাই হ্যালো হাগ এইগুলি না হইলে ওদের চলে!
খোলামেলা বাঁধন ছাড়া লাগামছাড়া বল্গাবিহীন!
আর তো আর কবি কইল কি!
হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয় শিকল দিয়া বাইন্ধা তালা দিয়া
চাবিটা নাকি মহাসাগরে ফেলায় দিব!
হায় রে হায়! কি কয়!
হেই কবিটারে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি বুলবুল,
এই শর্তে জুদি পেপারে বিহার বিঙ্গাপন দেয়!
টাই টাই ফিস দেখব চোখে।
কেউ সাড়া দিব না।
তুই একখান শিষ বাজাই দে অহনে।
কোন কিছুই বেশী বাড়াবাড়ি
ভাল নয় রে বুল।
খুব বেশী ভালবাসাও একপ্রকার অত্যাচারের
সামিল।
ঠিক কইছি না কর্ত্তা!


প্রিয় কবি সৌমেন বন্ধ্যোপাধ্যায় (পীযূস কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রত্যায়ন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"সাধা"


ভাল-বাসা বাঁশীর সুরে
হারিয়ে গেছে মন,
আকাশ রাঙ-আ ফাগুন মেঘে
আদুর আহ-
বান।
বানের জলে ভাসতে চলি
মন যে আমার উড়ো উড়ো,
সব ভুলেছি প্রেম গলিতে-
টলছি রে ভাই টলো
মলো।
কাহনাই সাঁজে আজ ধরেছি
সাঁজতে তুমি রাধা,
হিতাক পরান দৌড়ে আসো
হাত পা ধরে
সাধা।
সাধ্য কি আর তোমায় দেব
এক আকাশের জ্যোছনা
আলো,
আলিঙ্গনে বাঁধবো তোমায়-
বাসব অনেক অনেক
ভাল।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
"সুতনয়া"


সুতনয়া দেখেছো কি
আজ তপ্ত হয়ে উঠেছে দেউল,
আকাশ আজ আগুন ঝরায়
হিংসার দোদ্যুল দোলে
বিদ্বেষ বিষে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে ধরা,
দিকে দিকে যুদ্ধর হাতছানি,
নাফ নদীতে বয়ে চলে রুধির ধারা,
কান্নায় কান্নায় বাংলার
পবিত্র ভূম।
নিরন্ন উপবাসি লক্ষ লোকের
আজাহারি।
ধর্ম মেতে উঠেছে কোন্দলে
ভগবান বুদ্ধের ভগবান হবার
আগের সেই রুহ।
জাগ্রত হয়েছে আজিকে আবার।
হিংস্র থাবার তলে
শিশুদের ক্রন্দন ধ্বনি।
হিংসার আগুনে জ্বলছে ঘরবাড়ি,
ক্রোধে উন্মত্ত ধরা।
সুতনয়া তুমি কি দেখতে পাও না!
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না।
তাহলে, তা'হলে কেন তুমি হাস না-
সুতনয়া।
তোমার পাষাণ হৃদয়ে
আজ কি একটি কলিও ফোটে না,
বিহগ কি ভুলে গেছে
মধুর কলতান।
সুতনয়া, হাসো হাসো সেদিনের
মতো হাসো।
প্রাণ খুলে হাসো-সুতনয়া
হাসো-একটি বার, একটি বার
মন প্রাণ খুলে হাস।
হাস সুতনয়া-একতিবার
হাস।