সন্ধ্যা 6/24 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 52 তম কবিতাটি “ভেবেছিলাম চেয়ে নেব” কবিতাটি।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


ভেবেছিলাম চেয়ে নেব
চাই নি সাহস করে-
সন্ধেবেলায় যে মালাটি
গলায় ছিলে পরে-
আমি চাই নি সহস করে।
ভেবেছিলাম সকাল হলে
যখন পারে যাবে চলে
ছিন্নমালা শয্যাতলে
রইবে বুঝি পড়ে।
তাই আমি কাঙলের মতো
এসেছিলেম ভোরে-
তবু চাই নি সাহস করে।
এ তো মালা নয় গো, এযে
তোমার তরবারি।
জ্বলে ওঠে আগুন যেন,
বজ্র-হেন ভারি-
এ যে তোমার তরবারি।
তরুণ আলো জানলা বেয়ে
পড়ল তোমার শয়ন ছেয়ে,
ভোরের পাখি শুধায় গেয়ে
'কী পেলি তুই নারী'।
নয় এ মালা, নয় এ থালা,
গন্ধজলের জারি,
ভীষণ তরবারি।


আর আমার লেখা কবিতাটি এইরূপঃ-ভেবেছিলাম চেয়ে নেব
“ভেবেছিলাম চেয়ে নেব”


ভেবেছিলাম চেয়ে নেব
পাহার প্রমান ধনের গাঙ,
ভেবেছিলেম চেয়ে নেব
মুক্তোকণা হীরের
গান।
অট্টালিকা আকাশ ছোয়া
মেঘের সাথে উড়ব সেথায়,
চাঁদ মিতালী নীল গগনে
ধনের পাহায় বসব
মাথায়।
সখ যত প্রাণ পুষিয়ে নেব
মদ মদিরা আর মেনকা,
রব ধরাতে ধন বাঢ় সুখ
রাজার রাজা স্বপ্ন
দেখা।
আস্ত সাগর চেয়েই নেব
আলাদিপের চিরাগ খানি,
ঘস ঘষাতে সোনার পাহার
ভব সাগরের
বৈঠাখানি।
আকাশ পাখি ধরবে গান
সেলাম ঠুকে ধরবে লোকে,
পায়ের তলায় দ'লিয়ে সে প্রান
ভিক্ষা দিব গর্ব
বুকে।


সেদিন তোমার দীপ্তি পেলাম
দিব্য প্রভা আলোক মেখে,
প্রাণ ধারা মোর রুদ্ধ হলো
জ্যোর্তিময়ী মায়ার
রূপে।

কইলে তুমি কি চাস বল
করবো আজি পূরণ তোরে,
মাগ, মেগে নে আজ এসেছি
রুদ্ধ তোর ওই পরাণ
দ্বারে।


মন ভুলে প্রাণ দু'কর জোড়ে
চক্ষু মুদে কইতে, প্রভু
কিচ্ছু না চাই, তোর চরণে
ভুলিস না'রে আমায়
কভু।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজিতে অনুবাদঃ-
“I thought I will take”


I thought I will take
A lot of treasure, the diamonds and
All the gems if my lord be pleased and
Ask me my wants.
The palace as high as the sky
That will touch the clouds.
In the footsteps of wealth, sitting at the top
With wine and my Sweetie,
I will be able to fulfil
All my dreams.
I will be the king of the world
With the abundance of wealth.
I will take the Aladin's magic lamp,
That I will rub and will get
As I want.
With the great pleasure of mind
I will sing song like bird.
All will remain at my foot and
I will rule them and will give
Alms of pity.


On that day I got the light
Divine light flashes and
He said-
What do you want to take?
I got myself spellbound
What a divine complexion
He looks.


Forgetting the mind, I shut my eyes and
I pray to my lord,
O Lord be kind enough to me and
Let me reside at your feet only.
Please do never forget
Me.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অন্ধজনে দেহ আলো" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“সুবাস”


এক আকাশ সুবাস আসিলো পাহার নেমে,
অপরূপ হেরি মানবতা
অপার মানব
প্রেমে।


প্রণাম হে মাতে জাহান্নম আজিকে ধরা,
তাহারি মাঝারে অন্তর প্রাণ হেরি সে
মনোহরা।


হে আকাশ হে বাতাস হে বসুন্ধরা,
হেরিছো কি মাধুরিমা প্রাণ-
অন্তর হৃদ
হরা।


আজিকে পরাণ শান্ত হলাহল বারিকো অমৃত সুধা
নয়ন আজিকে জান্নাত পানে
প্রণান করি হে
প্রভা।


"বাজ"


"আশার কিরণ জেগে তা যখন নিবে যায়
তখন যেন আকাশ
ভেঙ্গে পরে
বাজ,
হে ভগবান বিচিত্র তোমার লীলা,
বিচিত্র তোমার
সাঁজ।
অপরূপে আরাধনে কেন ব্যথা দিলে প্রাণে
ভব কূলপতি,
ভ্রমে আর ছলনাতে হৃদয়ের মন্থণে-
নিদারুণ গতি।
করজোড়ে পদতলে মাগি প্রাণ প্রজাপতি,
দয়া ধর কাঁদে প্রাণ-শুন মোর
হৃদারতি”


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ডাল কাটা কলিদাস-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
"কপাল!"


কপাল! হায় রে কপাল, কপট ছল,
জ্বল জ্বল জ্বল জ্বলে,
কাপালিকের কপাল তিলক,খর্গ
কথা বলে।
খর্গ তলে সাপের বীণে চলতে দেশের ধা,
উপর নিচে ডাইনে বামে
নি পা মা!
ও মা'রে! ও মা'রে! মাগো দয়া ধরো দয়া ধরো,
আজিকে মা'গো পাষান তলে
আমায় ক্ষমা
কর।
দিন দুনিয়া চলতে ধরা চর্তুপানে বিষের বীন,
গরল বাতাস হলকা ছোঁবল
কাটতে মা'গো রাত কি
দিন।
হায় রে হায়! পরাণ যায় দিন কি'গো মা রাত,
উপর থিকে নিচের তলায়
ঘুষ কি মারি
বাত।
ঘুষঘুসানি জ্বরে মা'গো কপালপুরে ছাই,
আই কি'গো মা, মানব বোমা
ন্যাতার গুষ্টিটাই।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৭২", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অন্ধ গলি”


ওরে গগন ভাসা তরী অন্তর প্রাণ চাইতে দিশা,
খুজিস কি রে সাগর লহর-রইতে সে পথ
মাটিত মেশা।
ঘর্ম কেন ঝরাস ওরে দিক বিদিকে দরবারে,
দরবেশ ওই খুজতে পরাণ-
দশ দিশাতে ঘরে
ঘরে।
মাটির সনে খেলছে ওরে পরাণ নদী ধর রে দিশা,
আপন সে ঘর চারিভিতে-চাইতে সে প্রাণ
তমানিশা।
আজ গগনে লহর প্রাণে চাইতে সে পথ কথাকলি,
আজ অপরূপ নয়ান মিলে-ধরতে সে পথ
অন্ধ গলি।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "ঘাতক ভূত", কবিতার উত্তরে আজ কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


“ঘচাং ফু”


ঘা দিল রে পরাণ মোর
ঘাটাঘাটি দিলই রব,
ঘানির বলদ বানাই দিল
ঘাত দিয়ে সে
কলরব।
ঘাঁ হলো রে দগদগানী
ঘারটা আমার চুলকে দে মা,
ঘর থেকে কক্ষোনো না
ঘাটকাবাড়ি আর
যাব না।
ঘসির জ্বালা পরাণ মোর
ঘর ঘর মোর প্রাণ,
ঘরের পানে দৃষ্টি মোর
ঘচাং ফু তে
জান।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চ্যালা!" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নয়নমণি”


চেয়ে চেয়ে নয়নমণি
চাকুর মতই শাণিত বাণী,
চ মদনা কাম নাই রে
চাপর দিয়ে শন
শনানি।
চায় যুদি রে আমার পানে
চুপচুপানি ধরেই কানে,
চাল চুলেতে মারেই যদি
চলকে বারি উছল
প্রাণে।
চাইলে যদি হৃদয় পরাণ
চচ্চ্চরিতে দিলই
ফোঁরন
চাল চিঁবানি হার চিঁবিয়ে
চাই কি রে আর আমার
মরন।
চ! ভাগি অহন।