"আজ ব্যাস্ত তম দিন ছিল। লেখবার পর যেটুকু সময় পেয়েছি কবিতা পাঠ করেছি, বানান চেক করতে পারি নাই। কিছু ভুল থাকলে কাল সকালে সংশোধণ করে দেব। "


দুপ্রহর 11/36 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 73 তম কবিতাটি


"কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি", কবিতাটি।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


বৈরাগ্যে সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়।


আসংখ্য বন্ধন-মাঝে মহানন্দময়
লভিব মুক্তির স্বাদ।


এই বসুধার
মৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারংবার
তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত
নানা-বর্ণগন্ধময়।


প্রদীপের মতো
সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়
জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়
তোমার মন্দির-মাঝে।


ঈন্দ্রিয়ের দ্বার
রুদ্ধ করি যোগাসন, সে নহে আমার।
যে-কিছু আনন্দ আছে দৃশ্যে গন্ধে গানে
তোমার আনন্দ রবে তার মাঝখানে।


মোহ মোর মুক্তিরূপে উঠেবে জ্বলিয়া,
প্রেম মোর ভক্তিরূপে রহিবে ফলিয়া।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ- “বৈরাগ্যে সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়”
“বৈরাগ্যে সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়”
(মহামহিম শ্রস্টার আসন টলিয়ে দিতেই এ লেখা)


বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়।
ওগো দয়াময়, কি বিধান লিখিতে বিধি
ভাম তব ভাবনায়।
বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার
নয়।


নয়নো সোপানে দুঃখের গীতি,
পরানো আমারি কাঁদে,
তোমারি দেশেতে দীন সমাজেতে
শত'না কতই
ফাঁদে।


রচিতে সে দেশ দুঃখে গড়া
ভব সাগরের কিনারাতে,
সুখ সায়েরী দুর চলে যায়
দিন প্রতিদিন-দিন কি
রাতে।


কি রব দিলে কান্না হৃদে
সদাই চলে বয়ে,
ধন গরিমার এক ধরা প্রাণ,
গরীব সে প্রাণ
ধেয়ে।


ধেয়েই আসে দুঃখ প্রভু
এক পৃথিবী গড়তে ধরা,
দীন দুঃখীর নাই যে পরান
কেমন দিতেই অবাক
ধরা।


ধরতে সে প্রাণ সেই দিশাতে,
মোক্ষ করি গড়,
নাই নাই প্রাণ মুক্তি না চাই
বৈরাগ্যে নর।


সে আমার নয় প্রভু
সে আমার নয়ঃ
বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার
নয়।


আর আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ-
“I will not”


Monasticism is not my way
To to get you
Oh! my Lord;.
Regardless of the rules,
What kind of rules are there
Written by you,
My lord?
I do always repent observing the differences
Between rich and poor and
The misery of the poor people and their
Life.
You have made hundreds of trap
To fall them down into
Misery.
You have made a miserable world
Around mine here;
No peace in Heart and sole,
Poor in health and wealth
The people are.
They have to lead their life in in great
Misery.
They have to cry a lot
Day-to-day
Oh! God, the Almighty.
You have made nothing for them.
The rich people jump on and
Sucking their blood, my lord.
My lord. I am greatly amazed with
The rules you have created
My lord.
I do not want to get you my lord
Rather I will serve them.
I will not go to the Monasticism
I will not, I will not
My lord.


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮০", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মিঁয়াও”


ওহো! কবি লিখলে গাঁথা অপরূপের কল্পনায়,
হেতাক বাড়ি দেয় যে মানব-
রঙ বাহাড়ি আল্প-
নায়!


কেমন ধরা মিষ্টি অতি হোতাক বারি চাও,
দৃষ্টি ভ্রমে দেখতে ধরায়-
মিষ্টি মধুর
ম্যাও!


ম্যাও রে ম্যাও! মিঁয়াও
মিঁয়াও!


চুরির ধনে পোদ্দারিতে ধন মানবের গদির তলে,
আর দিকেতে দীন দুঃখীর, জীবন
পাষাণ, জাতার
কলে।


নাই ভগবান নাই রে প্রাণ, হেতাক মতি নাই যে ধরা,
আর সরোবর ধনের পাহার-চৌদিকেতে
অবাক করা।


নাই ঈশ্বর না ভগবান আজকে মতি আমার রব,
নাই চিনিনা রব সে তোমায়-
না আছ রে, তুলতে
ভব।


দুনিয়াদারি সেলাম তোমায়! তোমার পাষাণ তল,
দীন গরীবের দুঃখ তলে, ঢালতে গরল  
ঢল!


বিষের বীণের পরশ মেতে, আজ কবি আজ বলতে চাই,
তোমার দেশে নাই রে শাসন, না আছে রে
সুখের বালাই।


তবে তোরে পূজব কেন রে
কানাই!


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শায়েরি-২", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ধনেখালি”


ও দাদা কাঁদেন কেন, হেতাক পানে চান,
অর্ডার করেন দুই মিনিটেই
করব খান
খান।
ভাঙতে পারি নিমিষ মানেই-জুড়তে পারি নাকো,
বলেন যুদি অর্ডার দ্যান,
দেখায় দিব
সাঁকো।
মান ভেঙ্গেছি জান ভেঙ্গেছি ভালবাসার ডালি,
ক্যামন কেন কন কত্তা-
বলেন ভাঙ
খালি!
খালি রে খালি!ধনেখালি!
ধনেখালি সন্দেশটাও, খালির দেশে রব,
সজনেখালি তাও কি চান
করবো কলরব।
খালির দ্যাশে মা'কালি কই, সত্তি এক্কেবারে,
জুড়ান আমার না হয় কত্তা,
ওস্তাদ ভাঙচূরে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভালবাসার রক্ত গোলাপ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“চক্কো”


আহা! আহা!চকোলেট! মিষ্টি দারুন চুম্বনেতে,
ও রাঁধা তুই, বাঁধনা বাসা-
আমার দহন
হৃদয়টাতে।
চকলেট তার সুবাস মেখে মিষ্টি চুমা দিব রে,
ও রাঁধা সই আয় না আজি, মিষ্টি গানে
হৃদয় ভরে।
ক্যাডবেরী আর ফাইফ স্টারে জীবনটাকে বাঁধব সখী,
ও সখী লো চলনা উড়ি-আজকে পরান প্রাণো
পাখি।
ও সখী লো দূরে কেন, তোর হাতের ওই মিষ্টি মাখা,
দে না আমার হৃদয়টাকে-দারুন সুবাস
চক্কো রেখা।
চট করে ফট চক্কোটাকে চাল চিঁবানী দিস না রে,
চুষবি শুধু হৃদয়টাকে-বাসতে অনেক
ভাল রে।
আয়, আয় বলছি, আয় না কাছে
চকোলেট টা নিবি কিনা!
নইলে সখি একটুকও না
বাসতে ভালই পারব
না।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গতি দাতা-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“বাত”


হায় রে গতি দুর্গতি, কবি তোমার হৃদ কি নাই,
তাল তোবা কি হারিয়ে গেল
ওরে ওরে শুন রে
কানাই।


কয় কি রে ছ্যালার তলে, পাতব কি'রে পাত,
দেখ না হেতায় যেমন তেমন
কোরছে কেমন
বাত।


বাত রে বাবা বাত!


বাতা ভাইংগা বেত দিয়া রে তোরে দিমু, ধ্যাৎ!
মাথা মুইরা দেশ ঘুরামু-ভুইলা যাবি
বাত।


বাত রে বাবা! বাত।


কলমখানি চালাইস ভালো মন্দমতে কইতে হ্যালা,
রইতে সময় চুপ কর বাপ-ধুম কি দিয়ে দৌড়ে
পালা।


পালা রে বাপু পালা।


আমরা হইলাম আমিরজাদা রোস কি রোসনাই,
গরীব সরিব দীন দুঃখীর-পুঙ্গি ধরে
কেন গাই।


গাই রে গাই।


গাই আছে রে চড়াক না ভাই ঘাসেই দিক মুখ,
মূর্খ হেলা আর কি চায়-চাইতে ওদের
দুখ!


দুখ রে বাপ
দুখ।


হায় রে গতি দুর্গতি, কবি তোমার হৃদ কি নাই,
তাল তোবা কি হারিয়ে গেল
ওরে ওরে শুন রে
কানাই।


প্রিয় কবি শেখ দিদার উদ্দীন আহম্মদ মহাশয়ের আজ আমার লেখা খেয়াল-৪৭ তম'তে তার কমান্ট এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“সুন্দর”


তুমি সুন্দর তোমার চোখ সুন্দর
তাই তো গাহি সুন্দরের
জয়োগান।
সুন্দর এ বসুন্ধরা সুন্দর
অন্তঃকরণ।
জীবনটা ধরা তাতে যেন ভাসে মৌতাতে
কলি যেন করে রব-জীবনেতে
প্রতি প্রাতে।
এস, সেই পণ করি, দুই হাতে জোড় করি,
ঈশ্বরে কই; সারা দিন যেন প্রাণ
শুদ্ধতে রই।
মরমেতে যেন মরি শঠতাতে ছলনাতে,
আজি পন করি চল-আজি গানে
প্রাণ মেতে।
দীন যারা সমাজেতে যেন পাণ ভুলি নাই,
যেন হৃদ ভেসে যায়-তাহাদেরই
কান্নাই।
তুমি সুন্দর তোমার চোখ সুন্দর
তাই তো গাহি সুন্দরের
জয়োগান।
সুন্দর এ বসুন্ধরা সুন্দর
অন্তঃকরণ।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নাটা গারু", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নানা নাপিত কীর্তি”


নাক রগরে কান মুচরে
নাপিত ভায়া কাঁটে,
নানা চোনার ঝুটি ধরে
নানান ভঙ্গি
বটে।


নানার সেদিন বেজার গরম
নাক কান সব লাটে,
নাপিত ভায়া কাঁটতে দাড়ি
নাক যে তারি
কাঁটে।


নানার তো ভাই গরম মাথা
নাক ধরে সে রাঁধে
নাকান চোবান এমন দিল
নাক কাঁটা
অপরাধে।


নানান বাক্যে নাপিত ভায়া
নাক রগরে মাটিতে,
নানার চোনা ছড়িয়ে সেথা
নানার ছিল
বাটিতে।


না রে ভায়া হাসছি নাতো
নানা নাপিত কীর্তি জেরে,
না রে নাপিত এখন যা'রে
নানার থেকে একটু
দুরে।


প্রিয় কবি রিঙ্কু রায় (আবৃত্তিকার) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "শতবর্ষ পূর্বে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“আড়ি”


বেদনায় ভরে গেল মন, রিক্ত হল ধরা
আকাশ যেন পরলো বাজ
কর কর কর
কড়া।
উঠল জেগে মর্মর তান অশ্রুধারা আঁখি,
মনের দুয়ায় যমের দুয়ার-রক্ত ছবি
আঁকি।
রুদ্ধ হলো প্রাণের দুয়ায় উঠল জেগে রব,
লক্ষ হাজার বিষ ধরা সে-গরল
কলরব।
কাঁদতে পরান আকাশ দিশা শান্তি দিল দোল,
দ্যোদুল দুলে যায় সে দূরে
বন্ধ হল
বোল।
জাগতে প্রাণ প্রশ্নবাণে তাহার দেশে রব,
ঈশ্বরেতে প্রবল ক্রোধে-হানতে শাণিত
ঘাত।
কই রে প্রভু পাষাণ কেন তোর গড়া এই ভব,
দুয়ার কেন রুদ্ধ করিস-মায়ের মুখের
রব।
তুই পাষাণী কি প্রেলি রে দুঃখ দিতেই বাড়ি,
এই কি তোর দেবের দেবের!
দিলাম তোরে
আড়ি।


প্রিয় কবি পি কে বিক্রম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বদলে যায় সব বদলে যাও তুমি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দুঃখ”


এক দুঃখ পরান গেল, আকাশ গেল ভরিয়া,
আজ গোলাপে মাতল না মন
হৃদয় গেল
গলিয়া।


গলগলিয়ে রক্ত ঝরে, ও সখী লো পরান মোর,
দিনের আলোয় চোখ না দেখি
বন্ধ যে রে হৃদয়
দোর।


ও সখী লো আয় না সোনা হেতাক পানে তাকাই দেখ,
অশ্রুগুলি ঝরছে কেমন-
দেখ রে দেখ, কেমন
ব্যাবাক।


আয় রে আয় টিয়ে, করবো তোরে বি'য়ে,
হর জহরত মোতির মালা
সোনায় মুড়ায়
দিয়ে।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আনু-১" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“যুদ্ধ”


হায় হায় কয় কি রে
মদনা ওরে শুনস কি!
মদ খাবি না দিন দাহারে
কইলো যে রে দ্যাসের
কবি।
পরানডারে শুদ্ধ কর
যুদ্ধ হব কইরতে,
এমন তেমন না হয় বাপ
রক্ত নাহি
ঝইরতে।
পারবি কি'রে হেলার পো
হেতাক পানে চা,
আজ হোতি ভাই শুদ্ধ পরান
হিংসা ভুলি
যা।
তুই বুলবুল শিষ বাজালি
ভাবলি কি রে পারব নি,
দ্যাশের মাথা হোগলা পাতা
ইতাক কথা বুঝব
নি।
তাইলে গান ধর
সা রে গা পা পানি!
পানি রে পানি
কবির বাণী
পানি!