দুপ্রহর ১/১১ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৬০ তম কবিতাটি। "জগৎ-পারাবারের তীরে"।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-
“জগৎ-পারাবারের তীরে”


জগৎ-পারাবারের তীরে
ছেলেরা করে মেলা।
অন্তহীন গগনতল
মাথার 'পরে অচঞ্চল,
ফেনিল ওই সুনীল জল
নাচিছে সারা বেলা।
উঠিছে তটে কী কোলাহল-
ছেলেরা করে মেলা।
বালুকা দিয়ে বাঁধিছে ঘর,
ঝিনুক নিয়ে খেলা।
বিপুল নীল সলিল-'পরি
ভাসায় তারা খেলার তরী
আপন হাতে হেলায় গড়ি
পাতায়-গাঁথা ভেলা।
জগৎ পারাবারের তীরে
ছেলেরা করে খেলা।


জানে না তারা সাঁফ্তার দেওয়া,
জানে না জাল ফেলা।
ডুবারি ডুবে মুকুতা চেয়ে,
বণিক ধায় তরণী বেয়ে,
ছেলেরা নুড়ি কুড়ায়ে পেয়ে
সাজায় বসি ঢেলা।
রতন ধন খোঁজে না তারা,
জানে না জাল ফেলা।


ফেনিয়ে উঠে সাগর হাসে,
হাসে সাগর-বেলা।
ভীষন ঢেউ শিশুর কানে
রচিছে গাথা তরল গানে
জননী দেয় ঠেলা।
সাগর খেলে শিশুর সাথে,
হাসে সাগর-বেলা।


জগৎ-পারাবারের তীরে
ছেলেরা করে মেলা।
ঝঞ্ঝা ফিরে গগনতলে,
তরণী ডুবে সুদূর জ্জলে,
মরণ্দূত উড়িয়া চলে,
ছেলেরা করে খেলা।
জগৎ-পারাবারের তীরে
শিশুর মহামেলা।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“জগৎ-পারাবারের তীরে”
“জগৎ-পারাবারের তীরে”


জগৎ-পারাবারের তীরে
আজিকে মিলন মেলা,
জুই শেফালী গোলাপ বকুল
রইতে ডানা
মেলা।
জগৎ-পারাবারের তীরে
আজিকে মিলন
মেলা।
আয় রে আয় মিলতে দ'লে
আয় রে আয় ছাতার তলে
ডালিম গাছে মৌ কি ফলে
ছাতিম তলে
বৌ;
না'রে প্রাণ করিস না'রে
বিভেদখানি
কেউ।
কি হবে রে গাইতে ধন
পূজতে তারি আরাধন,
এই ধরনী প্রাণ যে মোরা
চল না মানব গাইতে
গান।
সেই গানেতে উজল দিশা
দূর হতে দূর তমানিশা
ঝর্ণাতলে বই;
আজ আকাশে দিলেম সে রব
চল না সখা
সই।
আজকে ধরা রুদ্ধ দ্বারে
ভয় ভীতি রে সেই প্রহরে,
হিংসা দ্বেষের রব সে ওঠে
কুঞ্জ বিতান তল;
কি হবে রে বল না সখী
আগুন ঢেলে
ঢল।
আয় না আয় এক সোপানে
শান্তি বীণে বাঁধতে পরান,
আয় না মাঝি মাঝ দরিয়ায়
বইতে তরী গাইতে সে
গান।
জগৎ-পারাবারের তীরে
আজিকে মিলন মেলা,
জুই শেফালী গোলাপ বকুল
রইতে ডানা
মেলা।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“On the shore of the life”


On the shore of the life
Let us meet all together.
Let us think the soft
Corner of our heart
Soft like Flower that place is.
Let us meet together with today.
I would like to appeal to all
Irrespective of religion and the creed.
Whether poor or rich
To join into grid of love
To lead the life significantly.
For what, the best creature
Of the earth the human is.
How much significance of the
Wealth and treasure!
One day all have to passed away
Leaving it behind.
Let us pray to God to get the divine light
So that we could be able to save and serve
The suffering humanity.
Today I would like to appeal to all to bring that day,
When poverty will be removed all and entirely and
The darkness of the society.
All will get the light of relieve
All will be equal in this world.
Today the world is full in sin and
The terrorist activities
Hate and fear engulf the world.
What could we achieve out of enmity!
Rather we worship the peace and
The equality.
Today I called thy to pray to you
Please, please, please
Realize it and to drive into the society
To uplift it.
On the shore of the life
Let us meet all
Together.
On the shore of the life
Let us meet all together.
Let us think the soft
Corner of our heart
Soft like Flower that place is


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮১", কবিতার উত্তরে একটু আগেই কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“আলুবকরা”


প্রাচুর্য্য যেথা আকাশ প্রমাণ জীবন সেথা ক্ররো,
কারণ তোলা ধনের শিকেয়
প্রাণ যে হয়
জরো।
দৃ্ষ্টি প্রবল ধনের টানে হয় রে হানাহানি,
ধন লভিতে কপট ছলের-
চলতে সে রয়
টানাটানি।
শঙ্কা জাগে পরান মতি রয় সে চঞ্চল,
দিন রাত মান আঁখ দুখানি
জুড়তে নারে
অঞ্চল।
তাক ধিনা ধিন তাই তো তাদের
হাজার কিসিম রোগের বারি,
তাই কি বলি টেনশনেতে
ভাত কি রাইস
খেতেই
দারি।
তাই গুলামি ধন রে পোষা-কারাগারের যন্ত্রণাই,
চল বুলবুল ভালই আছি-
ঘুম তো আর দেয় না
কামাই।
পোস্ত দিয়ে সুক্তো রাঁধা রাঁধাই খাবে ঘোল,
আলুবকরা সেদ্ধ ভাতে
আমরা খাই
দোল।  


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যদি পৃথিবী উল্টো ঘোরে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অ-মা-রে”


অ-মা-রে কয় কি'রে  কিঁড়া দিলাম তোক
তুকতাকেতে তূণ সে মারস
গিলতে যে রে
ঢোক।
ঢোক রে বাবা ঢোক!
তাল তলাতে বাদ্যি বাজাস হইচই কি ধ্বনি,
ন্যাতায় নাইরা সমাজ ধরস-করস
কানাকানি।
কান ঘুসানি ঘুসঘুসানী কবিতারি বাণী,
খোঁট লাগে রে সন্দ মনে
ভাবতে পরান
টানি।
টাইনা টুইনা টুনাটুনি চলছি রে তো বেশ,
উল্টা ঘুরুক সুজা ঘুরুক
হোক না দ্যাস
শেষ।
শেষ বেলাতে কই রে তোরে ঘন্টা হবে টান,
লিখনা হাজার লক্ষ শতই
যতই মারস
ল্যাং!
ল্যাং রে বাবা ল্যাং-
ল্যাংচা না হয়! ল্যাং!
অ-মা-রে কয় কি'রে কিঁড়া দিলাম তোক
তুকতাকেতে তূণ সে মারস
গিলতে যে রে
ঢোক।


আজ প্রকাশিত মাননীয় এডমিন সাহেবের বিজ্ঞপ্তি "বইমেলার আসরের সদস্যদের সম্মিলন ১০/০২/২০১৮" তে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"উপায় কই"


ইচ্ছে থাকলেও উপায় কই,
তুই বুলবুল কইস
কি!
হেতাক পানে যাইতে রে বুল,
চাট্টিখানি কথা
না'কি!
হেইটা বিদেশ জাইনা রাখ,
বলছি রে জেদ করিস
না'রে,
হাত জুড়ছি পা জুড়ছি-
পারবো না'রে যেতেই
উড়ে।
জানিস বুল হ্যাপা অনেক
যাইতে লাগে পাসপোর্ট,
ভিসাও লাগে
ভাই,
ভিরমি খেলি শিষ বাজালি-
দেখছি তো'রি রঙ্গ
টাই।
তার চেয়ে ভাল রোড পান চা,
দেখনা রে বে আসছে
নাকি,
শিষ ধরবি তুই রে বে-
আমি চুপটি-করে
দেখি।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তালাক!" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“গুতো”


তারকেশ্বর তারা পীঠে
তাল উঠে, দৌড়ে ভোলা,
তাল তাল সব মাল্য ফুলেল
তারি ঘ্রাণে হৃদয়
দোলা।
তার তো সব ঠিকই ছিল
তাল বোল সব ভালই তো,
তবলা তালে কে বাজালো
তাকে দিল বেদম
গুতো।
তাই কি আর সাধেই বলি
তাল তলাতে যাস না রে,
তাল খিঁচুরি বানিয়ে রে ভাই
তালতালিয়ে মারবে
বে।
তুই কি কথা শুনবি না'কি
তোর ওই বন্ধু গুলা,
তাদের পিছে ছুটলি রে তুই
তরতরিয়ে পাগল
ভোলা।
তার পরেতে গল্প শোন
তাল পাঁকিয়ে দখছো কি?
তার ওই দিশা মতিভ্রমে
তোমার কিছু হবে
কি?
তাই তাইতে শোন এবার
তালতলা সেই গল্পটা,
তার সে ফুলেল গন্ধ ঘ্রাণে
তাল দিয়ে সে দৌড়ে সে রব
আসলো ধেয়ে ষার
ব্যাটা।
তাই হলো যা হবার ছিল
তাল বোল সব হারিয়ে গেল,
ধপাস করে পাগলা ভোলা
তালতলাতে বেঁহুষ
হলো।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ "টেডি দিবসে", আজ লেখা "বসন্তে আজ রং ছড়ালো",কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“টেডি বিয়ার”


টেডি বিয়ার টেডি বিয়ার কোথায় তোমার বাসা,
তোমার ত'রে আমার প্রাণে-অনেক
ভালবাসা।
মিষ্টি তোমার গড়ন অতি মন ভোলানো রূপ,
তোমায় নিয়ে খেলায় মাতি
আলোক ছায়া
ধূপ।
ধূ ধূ করা প্রান্তর প্রাণ, কান্না হাসির দোল দুলানী,
হৃদ প্রাণেতে ঢেউ ওঠে রব
তোমায় মেতেই দুষ্টু
আমি।
মিষ্টি মধুর গালটি ফোলা রূপের র্চ্ছটা চোখে,
বলের মতো উদর তোমার
হৃদ যে ভরে
দেখে।
নাই নাই নাই দুঃখ আজি তোমার সাজে আজ,
করবো খেলা তোমায় মেতে
আজকে তোমার
রাজ।
টেডি বিয়ার টেডি বিয়ার কোথায় তোমার বাসা,
তোমার ত'রে আমার প্রাণে-অনেক
ভালবাসা।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যতক্ষন মৃত্যু নেই", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“জানু”


হেই কত্তা, কান্দ কেন? বুকের মাঝে ব্যথা লাগে,
কই কত্তা হেই কথাটা-আবার ফুলেন নাকো
রাগে!
রাগ তো বুল সবার আছে, বেরাগ আছে কে!
বৈরাগীতে বোষ্টমেতে-আজকে আর
কে আছে রে!
তাই কই কি জানিস বুল-ধন্দ লাগে প্রাণ,
দেয় যুদি রে-লাঠেল লাগায়
নেয় যুদি রে
জান।
না! থাক কত্তা, হেই কথাটা কইতে লাগে ডর,
ফিস ফিসায়ে কই রে বুল
যাইতে 'ক রে-রবের
ঘর।
হেই খানেতে মিলতে সুহাগ জানুর গত জান,
হল্লা বোলে হর হর ধ্বনি
গাইতে প্রেমের
গান।
কইস না কিন্ত-রাইগ্যা
যাব।


প্রিয় কবি তমাল ব্যানার্জি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবিতার ফাঁদে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“প্যালা”


হেই কবিতা হিতাক কলি কই শুন রে কবি,
হেলায় ফেলায় দুই চারি খান
বউ খানি লিখবি।
রূপ লিখবি চন্দ্রবদন, কন্ঠ কোকিলা,
আর লিখবি বউ তোমারে
দিবই হীরের
মালা।
কইতে ভাল কয় খান দিন চুপটি করে র'বে,
তারপর ভূত ঘাপটি মেরে
হীরের মালা
চাবে।
তাই কি ভাই কাঁদতে না'কি! পালিস করে ডায়ামন্ড,
আমেরিকার তৈরী সে'যে-
এমন কিছু নয় রে
দাম।
দুই চার দিন রব দেবে না তারপরেতে প্যালা,
সই যে তারে ধরায় দিবে
এই ব্যলাতে
পালা।


প্রিয় কবি জয় শর্মা মহাশয়ের "আমার আমি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আজকে কবি জন্মদিনে দিলেম তোমায় ভালবাসা,
ঘৃত কুমারী সুগন্ধিতে-জীবন ভাসুক
অনেক আশা।
দিলেম তোমায় হৃদ ভরে তা, পূর্ণ করুক রব,
চৌদিকেতে উষার আলো-বিহগ
কলরব।
প্রাণটি ভাসুক হাসির গানে, ফল্গুধারা বইতে প্রাণ
শততীর্ণ বছর বছর-গাইতে তোমার
অমর গান।


শুভ জন্মদিন।


প্রিয় কবি এ কে এম শহীদুল ইসলাম মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আজব সময়", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“বিনে পয়সায়”


আহা! সততা! কি বলে বুল শোন!
আজ সততা! হাঃ হাঃ হাঃ,
বুলবুলি কর
গোন।
চিপা গলি বড় গলি আর কি দিব রব,
সত সত্য ভাত নাই রে-কান্না
কলরব।
তুই কি বুল সত্য বলিস বাজাস যখন শিষ,
মাইয়া গুলায় পটাস যখন
সব ই তো কইস
বিষ।
বিষের বীণে বাজতে ধরা বাঁচতে আজি ওগো,
সত্য দিবেন জলাঞ্জলি-বাস্তবটা
ভাবো।
নইলে চিরা চ্যপ্টা হবে হাতেই হ্যারিকেন,
জীবন কাহন হবেই মিছে
মিছাই জান-
বেন।
আর কিছু কি কইতে হবে!
দয়া ধরেন কত্তা-যাই
তবে।
বিনে পয়সায়
দিলাম!


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অভিব্যক্তি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে একটু আগেই লেখা কবিতা।
“যন্ত্রণা”


হায় রে হায়! কেমন বিধায়,
দ্বিধায় যাত্রা কল,
নারী পুরুষ দহন জ্বালা
রইল অবিকল।
এমন তেমন নয় হে কথা
নারীর কেমন যন্ত্রণা,
হীনোমনে করছে কেন
এমন বিরুপ
মন্ত্রণা।
সন্দেশ কি দিতেই কিছু
সমাজটারে কই,
নারী মাতা ভগ্নী আবার
জানিস কি'না
সই।
তাইলে কেন কুনুই গুতা
মারতে চলিস ওরে,
একই সিটে বসলে রে বাস
গা কনকন
করে।
আজ বলি  ভাই, আর যেন না
যাদব বাবু বলতে পারে,
বাসের সিটে ধরিস খেলা
বসলে পাশে আদর
ধরে।


কয়া দিছি কত্তা-আর
হব নি।
এইবার গোস্তাফী মাফ করেন
কত্তা।


(চলবে। আর এটাই হবি পৃথিবীর দীর্ঘ তম আধুনিক কবিতা)।
প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে আজ শুরু হল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।


“সুতনয়া”


সুতনয়া তোমার প্রেমের ফল্গুধারায়
উন্মত্ত উত্তাল বয়ে চলি মদিরায়
তৃষ্ণার্ত কাকের মত
জল খুজে চলি অন্ধ গুহায়,
কলসীতে আটকে যায় গ্রীবা,
চৈতীর আকাশ, নেই কালোমেঘ
জলপ্রপাত, সে ঝর্ণার
কলকল ধ্বনি।
সুতনয়া, তোমার রোমকূপ রোমকূপ
খুঁজি সে অঞ্চল, তোমার বক্ষে
করি অন্বেষণ,
শীতল হাওয়ার যেন বাজে মাদল।
হাহাকার রুক্ষ ধরা,
মাটি ফেঁটে চৌচির।
বন্ধ্যা দাবানলে উত্তপ্ত ধরনী,
জীবনের স্পন্দন পাই জীবাশ্মে।
শ্মশানে মুগ্ধতায়,
সুতনয়া! আজ কি ভোর হবে না,
আজ কি ধরা দেবে না,
চঞ্চুর ফলকে জলকে ঝলকে-
বারিকণা।
সুতনয়া! আমার স্বয়নে স্বপনে তুমি,
গাহি তোমারি জয়োধ্বনি,
আজ আকাশে বজ্রপাতে,
অশনির চমকিতে!
হিরোসিমা নাগাসাকির উন্মত্ত উল্লাস,
ভিসুভিয়াস যেন উঠেছে জেগে,
ওগো প্রাণোতমা, হে মোর সখা,
আজ কি দেবেনা দেখা।
টিকটিকিটার লেজ খসে যায়,
নিরব যন্ত্রণায়,
হৃদয় যেন রেল গাড়ির চাকা,
নির্মম আওয়াজ তোলে
ঝম ঝমা ঝম।
সুতনয়া, তুমি কি শুনতে পাও'না
সে ধ্বনি।
উচ্চগ্রামে বাজিতেছে, আমার
পরান আর হৃদ মাঝারেতে।
সুতনয়া, উদাস বাতাস বহে,
কোকিল ভুলেছে সুরোতান।
কর্কশ কাঁ কাঁ ডাকে মেদিনী,
ফুটপাতে চলে মৃত্যুর মিছিল,
কানামাছি ভো ভো-
যাকে পাবি তাকে ছোঁ।
ছোঁ মারে বাজ, সুতনয়া
তুমি কি দেখতে পাও,
শকুনেরা উড়ছে আকাশে,
বাতাসে কান্নার ধ্বনি,
সুতনয়া, আর দেরী নয়-
আর দেরী নয়,
মিলতে এক্ষুনি।
জাহান্নমে যাক ধরা
সাগর ভেসে যাক কান্নায়,
হীরে মোতির গহ্বরে
কান্না বয়ে যাক অবিরত
শিউলী বকুল ঘ্রান সে হারাক
জীবনের কূলে!
সুতনয়া, বাঁধন খোল,
পুরাতন যা কিছু যাও ভুলে,
রুমালে জড়াও শরীর টাকে,
স্বল্প বস্ত্রে চলছে মেদিনী,
হুঙ্কার ডাকুক লালসা,
দিক বিদিক চূর্ণ হোক তব
বক্ষের উল্লাসে।
ধর্ষিত হোক ধরা!
আজ চলো মাতি
প্রাণেরই আধুনিক
আভরনে...............।