মাফ করবেন প্রিয় কবি সকল, যেভাবে আছে সেভাবে প্রকাশ দিলাম। রাতে সম্পাদনা করে দেব। আজ সময় হয় নাই।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিধাতা কেন পাষাণ হেন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিধাতারে দুষি নাই


বিধাতারে দুষি নাই কোনো কালে দুষি নাই,
ভব নদী পারাবারে উঁচুনিচু বারেবারে,
শুধু হাসি খুশি
নাই।
নিচু প্রাণ সওয়া চাই, কান্নাতে ডুবে নাই,
এমন কি আছে কেউ-দরিয়ায়
কিনারাই।
ভয় নাই ভয় নাই দেবতারে দুষি নাই,
উছলেতে বারে বারে-তারে ছাড়া
গতি নাই।
কলি শত কাননেতে, থরে থরে থরে ফোটে,
আলো আর আঁধারিতে-কলি কটা
পুষ্পেতে!
ঘটা কলি করি নাই আনন্দে মেতে প্রাণ,
দীন জনে দুঃখেতে-হই নাতো
শয়তান।
শয়তান আছে যত সমাজেতে ওত পেতে,
যার প্রাণ হৃদ নাই-অপরের
দুঃখেতে।
বাণী তাই কবিতাই-কলি খেলে কৃপাণেতে,
ক্ষুরধার শাণিত সে-প্রতিঘাত
আঘাতেতে।
বিধাতারে দুষি নাই কোনো কালে দুষি নাই,
ভব নদী পারাবারে উঁচুনিচু বারেবারে,
শুধু হাসি খুশি
নাই।


প্রিয় কবি মহঃ সানারুল মোমিন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ক্ষণিকের বেদনা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
এই তো জীবন


এই তো জীবন কান্না হাসি উছল কলরোল,
কান্না ঝরে তোমার কথায়
প্রেমের দিলে
দোল।
দোল দুলানী দুলতে চলি, হৃদ প্রাণ মোর মন,
যেমন চলে নদীর ধারা
শান্ত প্রবাহণ।
অবাক ধরা দিল দরিয়া ভব সাগরের ঢেউ,
উছল পরাণ প্রেম মদিরায়
ডাক দিলে সে
কেউ।
কান্না হাসি ভালোবাসি হৃদয় দিলাম তোহে,
সেলাম জানাই কবি তোমায়
তোমার গানই
গেয়ে।


প্রিয় কবি J. R. Agress মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "কবি মনের ভাবনা)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কবিতা


সারা দুনিয়াটাই তো কবিতা,
কখনো শ্রাবনী
আবার কখনো ববিতা।
প্রেম তো কানাই ভালোই খেলে,
রাঁধাই শুধু কাঁদে,
কৃষ্ণ কানাই বাজায় বাঁশী-
রাধাই পাঁকে ফাঁদে।
বাঁশীর সুরে পাগল হলেম
সারে গামা পাধা,
জীবন কেমন কান্না হাসি-
যেমন গোলকধাঁধা।


laxman bhandari to ans 40


কাঁদিলে কি দিবে ধরা আকাশের ধ্রুবতার, কই,
তাই প্রাণ কাঁদি নাই, শোকতাপে ভুগি নাই
দেবতার আরাধন।
যা হবে তা হবে তাই-জোড় করে তারে
নিবেদন,
অশান্ত ঘূর্ণিত বায়ুজল হলাহলে
রিক্ত এ মন
প্রাণ।
ভগবান, দিশা যবে পাই নাই রোদনের গান,
তুহি দেব তুহি মাতে-সায়েরিতে
তো'রি গান।
একদিন ধরা যাবে প্রান্ত সে কিনারেতে,
কি হবে রে, মাতম আর কান্নাতে
প্রাণ মেতে।
তাই ধারা বয়ে চলি শান্তির কথাকলি,
তরঙ্গ লহরেতে, হৃদ প্রাণ মন মেতে
উড়ে ঘুরে আকাশেতে
বেদনাতে অঞ্জলি।


প্রিয় কবি খসা হক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মধ্যবয়স্ক", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হায় হায়! একি হলো হরপা সে বান নাকি,
ধরা গেল রসাতলে দেখি শুনি কান
পাতি।
বাপ রে বাপ! কেউটে সাপ লকলকে তার ফনা,
চক্ষুগুলি ভাঁটির মতন লকলকে
গনগনা।
উড়িব্বাবা! তেজ কি সেই, বাহাদুরের মতই,
ছাতিম ধরে লাটিম ঘোরায়-
লট লট লট
শতই।
নাই কান্না, না কোরোনা লেমনচুষ দিব,
লিখতে চলো কবি তুমি
নয়ন ভরে
খাব।


রবি ঠাকুর গিতাঞ্জলির ৪০ নম্বর কবিতা নব আঙ্গিকে অঙ্কন
দীর্ঘকাল অনাবৃষ্টি, অতি দীর্ঘকাল


দীর্ঘকাল অনাবৃষ্টি, অতি দীর্ঘকাল
কৃষাণের ধুম যায় আকাশেতে চেয়ে রয়-হৃদয়।
নাদ সে'তো বাজ নাই, ঘন মেঘ কালো নাই,
রুদ্রের প্রহেলিকা। ধরনীর পাদতলে,
রুক্ষ সে ধারা বহে, ভবপুরে কারাগারে,
জীর্ণ সে প্রানো রেখা।
বাজে নাই বাজে নাই, ঊলুধ্বনি বাজে নাই,
দিকে দিকে কান্নাই-উদ্বেল,
হাহাকার ধ্বনিরব, বিহঙ্গ কলরব
নাহি কলি নাহি খেল।
কাননেতে ফোঁটে নাই কাঞ্চন বারিকণা,
সিক্ত সে হয় নাই, ধূপ ছায়া
আনাগোনা।
ব্যাঞ্জনে বাধ সাধে, রন্ধনে কণা নাই,
গনগনে ফটফটে লকলকে
চূলাটাই।


আজি প্রাণ বরুনেতে, জোড় করে শত কেঁদে-আরাধন,
জাগো জাগো জাগো দেব, কর কর বোল মাতো,
সহস্র নিনাদেতে, কনক সে ধারা
শত।


প্রদীপ্ত অশনিতে, আজি প্রাণ ধরা দিতে,
ইন্দ্রের শক্তিতে, শত বল ভক্তিতে,
জ্বালি দ্বীপ অন্তর,
ধারা দেহ, ধারা দেহ, ধারা দেহ,
রুক্ষ সে
প্রান্তর।


প্রিয় কবি মনোয়ারুল আলম মহাশয়ের "কিছু কিছু (গান অথবা কবিতা)", গীতির উত্তরে কমেন্ট বক্সে আমার লেখা গীতিকাব্য।


কেন যেন ভালবাসি চাঁপা হাসি রাশি রাশি
তোমারি অন্তর।
দিবানিশি স্বপনেতে, আসো তুমি পাত পেতে
সে'কি ফাঁদ পাতা জাল সখী,
নয়নেতে প্রাণ ভাসি ভালোবাসি রাশি খুশি
ওহে সখী, দেবে কি অন্তর।
তোমারি অধরে তোমারি আদরে
নিরবেতে আঁখি পাতি,
কি গান সে গাহ তুমি, আমি জানি আমি জানি,
সতত প্রাণ সে বিচরণ,
প্রাণ আর মানে নাতো, সখী হৃদে ফাঁস শত,
যাচনা যাচনা যাচনা যাচন,
সখী গো, পল যে ঘনায়,
সখী আর কাছে আসোন,
সোনা, ও সোনা।


সৌমেন বন্ধ্যোপাধ্যায় (পীযূষ কবি)


দুচোখ বন্যা নামে অন্ধ হল দিশা,
গরল সে বাস উতলা পরাণ
চৌদিকে তমানিশা।
নিশান পথের বাঁক সে নিল
শস্ত্র ধরে মুঠি, দাঁতকপাটি
কর কর কর, হৃদ সে গেল
টুটি।
মা'গো তোমার চরণ তলে
আজকে আমার পণ সে ধরা,
আজ আঁচলের বাঁধ ভেঙ্গেছে
আজ মুষ্ঠি জীবন
ধরা।
মা'গো তোমায় দিলেম কথা
রক্ত নদী বইতে দিশা,
প্রবল সে ঘাত রুদ্ধ সমাজ
কৃপাণ হাতে আমার
নেশা।
মিটিয়ে দিতে কান্না সে রব
প্রতিধ্বনি দিগন্তে ওই
আজ রক্ত খেলব হোলি
জোড় করে মা তোরে
কই।