(সম্পাদনা প্রকাশের পরে করে দেব)


দুপ্রহর ১/৩৭ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৪২ তম কবিতাটি, "কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি", কবিতাটি।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি
যাব অকারণে ভেসে কেবল ভেসে,
ত্রিভুবনে জানবে না কেউ আমরা তীর্থগামী
কোথায় যেতেছি কোন দেশে সে কোন দেশে।


কূলহারা সেই সমুদ্র-মাঝখানে
শোনাব গান একলা তোমার কানে,
ঢেউয়ের মতন ভাষা-বাঁধন-হারা
আমার সেই রাগিণী শুনবে নীরব হেসে।


আজো সময় হয় নি কি তার, কাজ কি আছে বাকি।
ওগো ওই-যে সন্ধ্যা নামে সাগরতীরে।
মলিন আলোয় পাখা মেলে সিন্ধুপারের পাখি
আপন কুলায়-মাঝে সবাই এল ফিরে।


কখন তুমি আসবে ঘাটের 'পরে
বাঁধনটুকু কেটে দেবার তরে।
অস্তরবির শেষ আলোটির মতো
তরী নিশীথ-মাঝে যাবে নিরুদ্দেশে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি",
"কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি"


কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি,
ভবসাগরে ঢেউ তুলে পাল
কাঁটব সাঁতার খানি-
কথা ছিল এক-তরীতে কেবল
তুমি আমি।


কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি,
একই সুরে তান-বিতানে
ধরবো সে গান
খানি,


যে গান উদার প্রাণ বিলাবে,
স্বর্ণ কোমল রঙ গুলাবে,
মাতাল হাওয়ায় লহর উছল
দূর গগনে গাইতে সে তাল
সেতার নূপুর ধ্বনি,
গড়তে সোপান জীবন সে গান
পরম সে সুর
বাণী।


দিব্যর্চ্ছটা অরুণ প্রভা
মাতিয়ে ভুবন দিব্য বিভা,
অরূপ রতন
প্রাণ,


গাইতে মোরা ঈশ্বরেতে
পুণ্য পাপের ইমারতে
গাইতে প্রভুর
গান।


সেদিন রাতে সে সুর কাঁটে
হাজার মুকুল ঝড় সে ফোটে
শঙ্কা জাগে
প্রাণ,


কেন কেন কেন! কেন হে সখী,
হারিয়ে সে সুর-ব্যথায় বিধুর
মরন কেন
গান।


হে ভগবান।


কথা ছিল এক-তরীতে কেবল তুমি আমি,
একই সুরে তান-বিতানে
ধরবো সে গান
খানি,


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজিতে অনুবাদঃ-
“It was the promise”


It was the promise that you and me
Will sail the same boat in life
With the wave,
The glory of love.
It was the promise that you and me.
Will sing the tune of life
Together.
The song will be as generous as holy flame and
You will be the Goddess of religion.
The tune of your anklet
Will rise up to the sky and
The life we will build will glitter
As like as the gold.
We will sing the song of the almaighty
In our heavenly palace of love and
Entire the world will sing
The song of our heavenly life,
The glory of love.
But, that day the dream got an end
When The God called
Upon you.
Why, Why, Why my lord?
It was the promise that she and me
Will sail the same boat in life
With the wave,
The glory of love.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভালবাসায় আপন করো", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"আহ্বান"


তাই কি ভাবি! আজকে ধরা তরিৎ গতি ধনের টানে,
ধন পূজারী মন মেতে গান-দান করে আর
কয় জনে!
অহঙ্কারী গর্বে ভরা ধন বাঢ আর রতির টানে,
কোন জন আর দীন দুঃখীর
চাইতে সে পল-উদার
গানে।
ধন মেতে সুর তুঙ্গে ওঠে অট্টালিকা মগ্ন মন,
উড়তে আকাশ সদাই প্রকাশ
গরল বায়ুর ধরতে সে
গান।
আজ রবেতে বলছি কবি কি হবে রে ধনেই মেতে,
ধন্য ধরা প্রকাশ জ্যোতি-মন দে রে
ঈশ্বরেতে।
ওই খানে তোর আকাশ বাড়ি অট্টালিকায় নাই রে জান,
হৃদয় মাঝে বসত সে তার-দীন দুখী'রে
দে রে আজান।
বইতে রবের ধরাখানি পার হতে রে বৈতরণী,
দান ধ্যানেতে মাতিয়ে সে রব
সুখের সে ঘর-মা
মামনী।
আয় রে সবে আজকে মাতি ঈশ্বরেতে আরাধনে,
দীন দুখীর গাইতে সে গান-আজ আরাধন
সে প্রান তলে।


প্রিয় কবি শিবশংকর মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যখন কবিতা প্রেমে ডাকছে অশান্ত কেউ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ডাকবি কি'রে”


আমি যখন রইব না এ ভবে
আমি যখন ঝরব না প্রাণ এই ভবে,
আমি যখন ক্লান্ত পরান রবির দোলে,
আমি যখন পরম পিতা, প্রজাপতির কোলে।
আমি যখন লিখতে না আর প্রভুর বাণী,
আমি যখন খুলবে না আর আঁখ দুখানি।
আমি যখন হৃদ পারাবার নাই রে দিশা,
আমি যখন নাইরে ভবে তমানিশা।


ডাকবি কি'রে পরান খুলে হাত দু'খানি,
ডাকবি কি'রে হৃদয়পুরে তান সে আনি।
ডাকবি কি'রে গোলাপ বকুল আর শতদল,
ডাকবি কি'রে কলির গানে, তার মেতে দ'ল।
ডাকবি কি'রে প্রাণ যমুনা নিধির পরান
ডাকবি কি'রে হৃদয়পুরে প্রেম
নিবেদন।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অহরহ শুনি সে বাণী-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নিতাই”


আরে দাদা কথার প্যাঁচে জীবন ন্যাতার বাঁধা,
তেল জল আর ক্ষীর দইতে
সাধতে রে সাধ
রাঁধা।
সা রে গা মা বাজান কেন দিন দুপুরে তালতলাতে,
আমরা ফলে আমের খোঁজ
বাতিক যেন বোল
তাতে।
ভ্রমরা খাবে অলির মধু মাছির কেন ভ্যান ভ্যান,
কাব্য গাঁথায় হরেক কিছিম
হন কেন বাপ
হয়রান।
সাতকাহন গাইতে যদি, হতেই যদি সাগর পার,
যান না রবে গাইতে কাহন
ঈশ্বরেতে দর
বার।
আমরা ন্যাতা নিতাই না'রে, সোজা আঙ্গুল উঠতে ঘিঁ
সাধ্য কি আর জনগনের
ধরতে পারে আমরা
মেকি!
আরে দাদা হাঁদার মত, চলতে কি বে কষ্ট রে,
ফষ্টি নষ্টি ধরিস কেন
সাত সকালে নাঁকি
সুরে।
বোল তাল সব বন্ধ হবে হেতাক পানে পরেই যদি,
চাল চিপ্টা চ্যাংদোলা প্রাণ
ছাড়বি রে তুই
ভবনদী।
হ্যালার পো গান গায়!
কানাই,মদনা-তোরা কি ভুইল্যা
গেছস!


প্রিয় কবি মোঃ ফাহাদ আলী মহাশয়ের আলোচনা বিভাগে প্রকাশিত "কবিতার ভাব সাগর", আলোচনার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“সাধনা”


হৃদয় হরণ করিয়াছে মম,
ডাকিতেছে দিবানিশি,
অমোঘ সে ডাক,
উছলে বহিয়া চলি-
দিন কিবা রাত
নিশি।


ফল্গুর ধারা সনে মাতিলে
কি হৃদ মনে, ঈশ্বরে
কই,


হেন মতি সাধনাতে
সাধ্য কি ক্ষমতাতে
প্রাণেতে বহিতে
সই।


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "১৪ই ফেব্রুয়ারি", কবিতার উত্তরে কিছুক্ষণ আগেই লেখা কবিতা।
“কশাঘাত”


নাই নাই নাই, সুরভিতে প্রাণ নাই,
আজি দেশ জাতি কাঁদে
চারিভিতে কান্নাই।
যেন রব কলি ফুটে কাননেতে আড়ালেতে,
রব জান রতি কাম-জান্নাতে
মেতে ওঠে।
কেন যেন মনে হয় ভীমরতি মেতে আছি,
দরিয়ায় শত ঢেউ-পুরাতন
হয়ে গেছি।
আজি প্রাণ খোলামেলা খুল্লাম খুল্লা,
যেন করে উপহাস-দেয়
রসগুল্লা।
সেই দিন মনে আসে স্কুলেতে গণিতেতে,
দুনয়নে ধারা সনে-একাধিক
শূন্যেতে।
আজি তাই ভাবি প্রাণ কশাঘাতই হবে ঠিক,
কবিতায় ঘাত বাড়ি-নহে প্রাণ
মানসিক।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঢাক!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ঢাকেশ্বরী”


ঢাকাঢাকির চল নাই আজ
ঢাক গুর গুর বাজনা বাজে,
ঢ্যামনা পনা মানুষ গুলির
ঢল নেমেছে আজকে
রাজে।


ঢাকেশ্বরী নই মোরা আজ
ঢাকবো শরীর অঙ্গ গুলি,
ঢাক বাজা না যতই জোরে,
ঢাল তরোয়াল নিয়েই
বলি।


ঢালবো মদ কন্ঠ ভরা
ঢক ঢক ঢক করে,
ঢাল তরোয়াল কাম বাধে না
ঢল ঢলানী মোদেরে
দ্বারে।


ঢং দেখালি চোখ রাঙ-আ লি
ঢেমন পনা করিস না'রে,
ঢং দেখিয়ে সং সাজা তোর,
জুই শেফালি, নিপার
ঘরে!
ঢল নেমেছে পশ্চিমী হাওয়ার
আজ।


প্রিয় কবি ড. শাহানার মশিউর মহাসয়ের আজ প্রকাশিত "ক্ষুদ্র প্রাপ্তি বৃহৎ কৃতজ্ঞতা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“সুমতি”


দীন জনে দেহ আলো সেই দেবে বাতি,
কেন ওরে প্রেম লাগি
হীরে আর
জহরতি!


স্বল্প সে দান তব অম্লান ধরে হৃদে,
জীবনেতে নাই ওরে-বিরহেতে
শত কাঁদে।


কণা কণা দানে ওগো কিনে নিতে ধরাটা,
আজ হতে পণ করো-কেটে যাবে
ক্ষরা টা।


আজ প্রভু ধরো দয়া মতি দান সুমতিতে,
ক্ষুদ্র সে কণা সম-যেন প্রাণ
পারি দিতে।


প্রিয় কবি শ ম শহীদের আজ প্রকাশিত "স্বার্থ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“শাহাজাদা”


বোল্লা কেন! বোল্লাকালি,
দেবই এবার পাঁঠাবলি,
গুষ্ঠি মারাই দীন গরীবের
এমন তেমন
কাব্যবুলি।


নামাবলি চড়াই গায়ে
রাম রাম ভাব চোখে,
তাই বলে কি কাঁদতে পরান
দীন দুঃখীর
দুখে।


না বাবা না আমরা আমির,
আমির শাহাজাদা,
ছুঁইলে ওরা জাত যে যাবে-জানিস
হারামজাদা?


প্রিয় কবি আরিয়ান আহম্মেদ সাব্বির মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "স্বপ্ন আমার", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“গলাগলি”


স্বপ্নের আত্মহত্যা, আহ! কি বুলি দিলে কবি!
আজিকে পুণ্য দখিনা বায়ে,
আহা! কি বুলি দিলে কবি-আঁখিধারা প্রাণ
বেয়ে।


রে বুল রে কই গেলি রে-বুলবুলি তুই সোনামনি,
সোগাগ দিমু সোনায় ভরে, আয় না কাছে
দিস না
বলি।


ফাঁসির কাঠে গলাইস না'রে স্বপ্ন গুলি ধইরা,
আয় রে আয় পরান মাতি-গলাগলি
কইরা।