আজ ছিল ব্যস্ততম দিন। অনেক কম লেখা পাঠ করতে পেরেছি। তার খেয়ালে তাও খেয়াল প্রকাশ করতে পারলাম। সম্পাদনা করি নাই। কবিতার নামকরণ আর সম্পাদনা প্রকাশের পরেই করবো।


রাত ১১/০৮ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের লেখা “ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা” অণূ কাব্যটি


ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা


ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা
নৃত্যদোলায় দাও দোলা,
বাতাস আসে কী উচ্ছাসে-
তরণী হয় পথভোলা।


আর আমার লেখা এরকম।
ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা


ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা, পথিক আমি এ রাহা মনভোলা,
তরঙ্গে চঞ্চল তব উছলিত অঞ্চল
ঢেউ বারি, লহরে লহরে
কভু শৃঙ্গেতে কভু তলদেশে
বহিতে সহিতে
নারি।
হিল্লোলে তব বিদূরিত তমা ঝলকে আলোকো বারি,
কুঞ্জবিতানে মৃদু সমীরণে-
কপোত সে নীড়
তারি।
ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা পথিক আমি এ রাহা মনভোলা,
ছলকে ছলকে দুলিতে দোলাতে
হৃদয়েতে দাও
দোলা।
দুলিতে পরাণ ভুলিতে কন্ঠ বুলিতে বারিকো ভাষা,
উছলো লহরো তোমারো কিরণো
জাগিতে প্রাণেতে
আশা।
ছলনা কি দিবি ভাঁটারো দেশেতে দিবারাতি তোরে সাধি,
আলোকো দুয়ারে পথ পানে চেয়ে
ব্যথিত হৃদয়
বাঁধি।
ঊর্মি, প্রিয়তমা হৃদয়ো গাহিতে প্রাণেরো দিশা,
তরঙ্গে চঞ্চল তব উছলিত অঞ্চল
মাগি সে কিরণো
দিশা।
ঊর্মি, তুমি চঞ্চলা, পথিক আমি এ রাহা মনভোলা,
তরঙ্গে চঞ্চল তব উছলিত অঞ্চল
ঢেউ বারি, লহরে লহরে
কভু শৃঙ্গেতে কভু তলদেশে
বহিতে সহিতে
নারি।


আমার লেখা খেয়াল ১৮ তম পর্বের উত্তরে প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের  কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা "কবির সম্মান" কাব্যের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মান দিলে দাও তারে


মান দিলে দাও তারে হৃদয় মন্দিরে
যেথা ধাম ঈশ্বর্,প্রাণ মোর
বন্দিরে।
ঘন ছায়া স্নিগ্ধ সে অপরূপ ধাম সেতো
রচে যান নিত্য সে কবিতায়
শত কত।
তারি বুলি তারি রব ঘন্টি সে বাজে ধ্বনি
ভাব ধারা গতি লয় তারি বাণী
হৃদে শুনি।
নাই মোর সত্তা সে ডুবে রই তারি ভবে
পলে পলে তারে মিলি অনুভবে
অনুভবে।
দিও তারে দিলে মান সবাকার হৃদে যিনি
সুর তাল ভাব লয়ে বাজে রব
রিনিঝিনি।
জোড় করে ঈশ্বরে সবে মোরা জ্বালি দ্বীপ
আলোকেরি ঝর্ণাতে চলো,ধরি তারি
সঙ্গীত।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অহম প্রশ্ন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ঢুলি


আজ আছিলায় লিখতে চলি নেতা সেতার গুন সে রূপ,
ধরতে ধরা বাত বাতেলায়-
অন্তরেতে অন্ধকুপ।
কুপমন্ডুপ নয় কো তারা তরিৎ তাদের গতি,
হিম হারেতে শান্ত হৃদে-
করতে ছলে বজ্জাতি।
নেতা সেতা নট নটিনী মান্য দেশের ওরা,
নেংটি ইঁদুর দেশ জনগন-
মন্ত্রে ওদের ধরা।
লাগাম হাতে দেশ দরদি কুম্ভিরাশ্রু ধরতে প্রাণ,
নকল ধরা রূপের সাঁজে-
স্বাধীন দেশের ধরতে
মান।
মান অপমান নেইকো তাদের অন্তরেতে গরল বহে,
গিরগিট রং পাল্টে নিমেষ-
ছল চাতুরি কথা
কহে।
চৌর্য্যবৃত্তি প্রাণের ভিত্তি দান কি খয়রাত,
চুরির ধন পোদ্দারিতে দিন মানে না
রাত।
লুটের ধনে গর গরিমা উচ্চে ধরে শির,
পঙ্গপালের দল গড়ে নেয়
চর্তুপাশে ভিড়।
চাল শকুনি মামার পাশা খেলেই দিতে ছল,
চামচা আর চোর চাপটা-গড়তে
সৈন্যবল।
আজ ননদী বুঝলি কিনা ওদের মতিগতি,
রইতে সময় সমঝে যা রে
বাঁচতে দারুন ক্ষতি।
এই ক্ষিতি দান ঈশ্বরেতে আজকে পরাণ ধর,
গর্জে উঠে শমন দানের-আজকে
সে পণ কর।
রইবো নাকো ছল তলেতে মিথ্যা ভাষের বুলি,
আজ সে তুফান ঝড় তুলে দে
ভাঙ রে চোখের
ঢুলি।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ছোট ঘর মাটির উঠান" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মনোরমা


শহরেতে নগরেতে তুলসির থান নাই,
সাঁজকালে কোনো ঘরে শাঁকধ্বনি
বাজে নাই।
ধূম্র সে ঘন কালো কামানেতে দিয়ে যায়,
ক্ষণকাল ঘোর কালো মশা মাছি
দূর হয়।
ঘরে ঘরে সাপ্লাই জল ঘাটে নাই বঁধু,
বাড়ি নয় ফ্ল্যাট সেতো প্রান সেথা
করে ধূ ধূ।
অঙ্গনে ফুল নাই অঙ্গন কোথা পাই,
ব্যালকনি ছাদে রাথা টবেতেই
যাহা পাই।
পাশাপাশি বসবাস কেউ কারে চেনে নাতো,
প্রাণ হেথা বয়ে যায় যার যার
তার মতো।
স্ট্যাটাসের বান ছোটে ঝলমলে ড্রেস তাই,
মখমলে ঝিকমিকে রুম তার
ফ্লোর টাই।
বাঙালির সনাতনি শাড়ি সবে ফেলে দিছে,
পুরানো সে ভাবধারা যদি ভাবে
লোকে পাছে।
পশ্চিমী ফ্যাশনেতে রুমা ঝুমা শীলা রমা,
ছোট ছোট কাপড়েতে লাগে বড়
মনোরমা।
পার্কেতে ময়দানে জোড়া জোড়া পেচু বেচু,
বয় আর গার্ল ফ্রেন্ড সারি সারি
গাহে কিছু।
ধূল আর ধূসরেতে শহরটা কেঁদে যায়,
ঝলমলে চকচকা ভাবি তাই
ভালো গাঁ'য়।


প্রিয় কবি নীরা নার্গিস মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "নির্ঘুম রাত" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


নির্ঘুম


রাত বয়ে যায় সকলে ঘুমায় নির্ঘুম একাকিতে চেয়ে,
কি চেয়েছি জীবনে,পেয়েছি কি ধরা
মন ভেবে চলে
বহে।
গুঞ্জনে হৃদ লহমাতে ছোটে শৈশব জীবনেতে,
কত সুখ স্বপ্নের সারি রাশি রাশি
আঁখিপাতে।
সে দিন গেয়েছি কিশোরো সে প্রাণ ভালোবাসা গীত,
উচ্ছল প্রাণের লহরো সে ধারা
প্রেম সঙ্গীত।
তারুন্যে ভেসে গেনু জীবনো নদেতে তরঙ্গ উঁচুনিচু,
বিষয়ো আসয়ে সুখ দুখ বহু বয়ে
সংসার পিছু পিছু।
আজিকে প্রাণেতে জীবনো সায়াহ্নে ভালোবাসা ধরি গীত,
অনেক পাওয়া ও না পাওয়ার ব্যথা-
নাই ব্যথা নাই, হে প্রভু, গাহি
শান্তিরো পরমো
সঙ্গীত।
রাত বয়ে যায় সকলে ঘুমায় নির্ঘুম একাকিতে চেয়ে,
কি চেয়েছি জীবনে,পেয়েছি কি ধরা
মন ভেবে চলে
বহে।


প্রিয় কবি শম্পা ঘোষ মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "অম্বল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ক্ষতি


যেখানে রাগ সেখানেই ক্ষতি,
রে বুলবুল ঠিক কইছি
কি!
শিষ কেন রে বাজাস বুল,
মন কি তোর ধরলো
না-রে!
যেই মেয়েটা মারলো জুতা,
এই বাক্য শিখা
তারে।
বলছি রে বুল দাদা আমি
বলল কবি তাই,
ভাবিস কি-রে লিখতে রই
বুদ্ধি মোটেই
নাই।