সম্পাদনা প্রকাশের পর করে দেব।
(গানে গানে দিগন্ত-০৫)
"চল রে তরুণ অরুন দল"


চল রে তরুণ অরুন দল
সাম্যতারই বইতে ঢল,
আজকে ধরায় মায়ের আঁচল
বইছে লহু গগন
তল। বইছে লহু গগন
তল।
মুক্ত সোপান গড়তে ধরা
প্রেম প্রীতিরই মনোহরা,
লৌহকপাট ভাঙতে সপাট
আয় আয় আয় অরুন
তোরা। আয় আয় আয় অরুন
তোরা
আগুন আজি আয় জ্বেলে দি
পার করে ওই রক্তনদী,
রক্তনদী রক্তনদী
রক্তনদী।
আগুন আজি আয় জ্বেলে দি
পার করে ওই রক্তনদী,
উছল গাঙে প্রেম ভরে গান
আয়রে আজি ফাগুন
মাতি।
মুক্ত সোপান গড়তে ধরা
প্রেম প্রীতিরই মনোহরা,
লৌহকপাট ভাঙতে সপাট
আয় আয় আয় অরুন
তোরা। আয় আয় আয় অরুন
তোরা
চল রে তরুণ অরুন দল
সাম্যতারই বইতে ঢল,
আজকে ধরায় মায়ের আঁচল
বইছে লহু গগন
তল। বইছে লহু গগন
তল।


বইছে লহু গগন
তল। বইছে লহু গগন
তল।


(গানে গানে দিগন্ত-০৬)
"কি লিখি তোমায়" (গানে গানে দিগন্ত-০৫)


কি লিখি তোমায়, আজিকে ধরায়
উতলা বহিছে প্রাণ,
পলে পলে চোট আঘাত সহেছি
গাহিতে বেদন গান।
জীর্ণ ধরা হিংসা ঝরা দীর্ণ হৃদয় প্রাণ,
প্রলয় নাচন বইছে হাওয়া
ধ্বংস সোপান গান।
ওরে কোথা যাসরে ওরে,
রক্ত নদীর কূলে,
একূল ওকূল ভাঙতে পরান
আজকে সে পথ ভুলে।
কি লিখি তোমায় আজিকে ধরায়
উতলা বহেছি প্রাণ,
পলে পলে চোট আঘাত সহেছি
গাহিতে বেদন গান।
রোদন তলে এক পৃথিবী
কাঁদছে শিশু কচি,
বোমার ঘায়ে লাসের সারি
দানব সোপান রচি।
কি লিখি তোমায়!কি লিখি তোমায়!
কি লিখি তোমায়!কি লিখি তোমায়!
ধর্ম আজি কুপিত বারি
বর্ম নাহি বল,
হীনমনেতে হিংসা দ্বেষে
দারুন ছলের কল।
কি লিখি তোমায়!কি লিখি তোমায়!
জীর্ণ ধরা হিংসা ঝরা দীর্ণ হৃদয় প্রাণ,
প্রলয় নাচন বইছে হাওয়া
ধ্বংস সোপান গান।
কি লিখি তোমায়, আজিকে ধরায়
উতলা বহিছে প্রাণ,
পলে পলে চোট আঘাত সহেছি
গাহিতে বেদন গান।
কি লিখি তোমায়!কি লিখি তোমায়!
কি লিখি তোমায়!কি লিখি
তোমায়!


"বন্দে মাতাদি"


আজিকে উছলো প্রাণের ধারায় বন্দে মাতাদি ,
আজিকে প্রেমের ভুবন গানে
গগন চুমেছি।
আজ দরিয়ায় পাল তুলে দি ধন্য মাতাদি,
আজ লগনে ধ্বংস সোপান
মুক্তি আজাদি।
মা তোর দুঃখ কী আজ বল,
মা তোর কপোল কেন
জল!
জল যমুনায় ডুবকি দেব মুক্তি দেব মা,
সন্তান তোর হৃদয় বারি
গঙ্গা যমুনা।
প্রেম যমুনায় ভুবন মাতি আকাশ ধরি গান,
ধন্য কায়া মা যে আমার
প্রেমের আরাধন।
গড়তে শুভ নিলয় মাতে স্বপ্ন ধরি গান,
কর্ম সোপান প্রাণটি মিলি
মানব আরাধন।
ভয় কি মাতে রইতে অযুত বীরের উপাখ্যান,
গড়তে জানি লড়তে জানি
দিতেই যদি
প্রাণ।


"বন্যা"


হোক সে মেকি তাও সমাদর নাই গ্রহনে কৃপণতার দাস,
লোভ লালসায় তাও যদি বা
খুলতে হৃদয় ফাঁস।
মহানতার ছোঁয়াচ যদি নাই বা রচে প্রাণ,
চায় যদি বা আলোক স্রোতের
বন্যা অবিরাম।
নাই বা রয় হৃদয় তাহে নাই বা রহে সুর,
ক্ষণিক দানে মানবতায়
দানব সুরাসুর।
যতন ধরি মুক্তামালা দু'কর করি জোড়,
দাওনা প্রভু দানব সবে
এমন বরাত জোর।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দান সবে তার হিল্লোলে সাগর,
ঘুচতে তুষার গহীন তমা,
আঁধার ঘনঘোর।


"সুতনয়া"


সুতনয়া, আজ তুমি একা নও,
হাজার হাজার সুতনয়ার ঢল,
অস্ত্রে সজ্জিত মেদিনী,
রংনদেহী মূর্তিতে অবতীর্ন ভূমি,
তোমার অগ্নির্চ্ছটায় জাগরনেরি নিনাদ,
সুতনয়া, আজ জেগে উঠেছে,
ফুজিয়ামা, ভিসুভিয়াস আগ্নেয় গিরি,
জলন্ত লাভার স্রোতে ভেসে যায়,
সুজন মাঝিদের সোনার মহল,
সুতনয়া, পুরুষ শাসিত মথিত অন্তর,
জেগে উঠেছে মহাসাগর প্রাণ,
সুনামিতে ধ্বংস বিদ্ধস্থ সে ভূম।
সুতনয়া, বাঢ় করো সুতনয়া,
বাঢ় করো, ভেঙ্গে চুরমার করে দাও
সুজন মাঝিদের গড়া স্বপ্নমহল আর
আর শত শত ললনার সারি,
চাবুকে চাবুকে লোহিত তপ্ত লৌহবরণ,
নিক্ষেপ করে সে পাতাল ভূম।
সুতনয়া পর্ণকুঠির উদ্ভাসিত
পূবের আলোক জোয়ার,
সুতনয়া, প্রেমের সে দ্বীপ আজও
জ্বেলে রয় পর্ণ কুঠির।
সুতনয়া, ওই তো বিহগ কলতান,
বসন্তে মুখরিত ধরা।
শাকে শাখে তরুদল, পহ্লবিত মহীরুহ,
সুতনয়া শিউলী বিতান ফুলে ফুলে সাদা,
সুতনয়া, সে যুদ্ধের সমাপণ আসন্ন,
ডুবে যাচ্ছে শত শত সুজন মাঝিদের তরী,
সুতনয়া একটু একটু করে উদ্ভাসিত হচ্ছে
বিভাবসু, দীপ্ত আলোক ঝলক তোমার চোখে,
সুতনয়া আর কত দিন, আর কত দিন, সুতনয়া
আর কতো দিন! তুমি হেসে উঠবে
বিভাবরি, ঢেউ খেলে যাবে শান্ত লহর,
প্রশান্তি ছেয়ে যাবে উন্মত্ত ধরা,
পর্ণ কুঠিরে হবে তোমার অধিস্থান আর,
আর সুশীতল ঊষার আলোকে
একটি একটি করে শিউলীতে
ভরে উঠবে সে ডালি, আর,
আর আমি হারিয়ে যাব তোমার
অঙ্গভূষণ। হারিয়ে যাব অবনী,
আর, আর তোমার পরশে যখন
চমকে উঠব, কল কল করে হেসে
উঠবে তুমি উদ্ভাসিনী, হাসতেই থাকবে
আর হাসতেই থাকবে।
হাসতেই থাকবে সুতনয়া,
হাসতেই থাকবে।