(আজ খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই সবার কবিতায় যাওয়া সম্ভব হলো না।)


০৮/৫৪ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আজ গড়ি খেলাঘর" অণু কবিতাটি।


রবিঠাকুরের "আজ গড়ি খেলাঘর" মূল অণু কবিতাটি:-
"আজ গড়ি খেলাঘর"


আজ গড়ি খেলাঘর,
কাল তারে ভুলি-
ধূলিতে সে লীলা তারে
মুছে দেয় ধূলি।


আর আমার লেখাঃ-
"আজ গড়ি খেলাঘর"


আজ গড়ি খেলাঘর সখী তোহে কামনাতে,
বাঁধিবারে চাহে প্রাণ-মিলনের সুখে
মেতে।
ঐ অলি গুঞ্জনে রচে দিতে প্রেম সেতু,
পারিজাত কাননেতে-মিলনেতে
কাম হেতু।  
তারা সবে আঁখি মুদে যেন কিছু দেখে নাই,
জ্বল্লজ্বল জ্বলে নিভে-কানামাছি
খেলে তাই।
কলি সবে কাননেতে ফুঁটে নাই লাজে আজ,
শতদল মিলে নাই-দলে দলে
সৌরভ।
আজি প্রাণ মিলি দোহে অধরেতে অধরেতে,
সৃষ্টি সে উল্লাসে-ভৈরবে
কামে মেতে।
আজ গড়ি খেলাঘর সখী তোহে কামনাতে,
বাঁধিবারে চাহে প্রাণ-মিলনের সুখে
মেতে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "নববর্ষের আলোয় ধরা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সাড়া দাও


আজিকে প্রভাতে শুভ নব বরষেতে-


আনন্দে গাহে পাখি মন প্রাণে দেয় দোলা,
হিংসা ও ক্রোধ ভুলে প্রাণ আজি খোলামেলা।
প্রশান্তি দিকে দিকে ঝলমলে আলো বহে,
দিকে রব ধ্বনি শুনি ভাল সবে কথা কহে।


আমি কবি অন্তর আনমনে ভেসে যাই,
করজোড়ে ঈশ্বরে মানবতা ভিখ চাই।
আজি ধরা উষ্ণ সে-যুদ্ধ সে রব ধ্বনি,
চৌদিকে লহু ঝরে জাত জাতি টানাটানি।


দেশে দেশে হানাহানি অণু বোমা ভীতি ভয়,
তর্জনে গর্জনে মানবতা গত প্রায়।
বিষাক্ত হলাহলে নাফ নদী যায় ভেসে,
দানব সে বার্মিজ প্রাণ কাড়ে উল্লাসে।


কাঁদে প্রাণ লহু ঝরে অন্তর বারিধারা,
লাখ লাখ শিশু জরা আজি প্রাণ গৃহহারা।
দেশ হতে বিতারিত শূন্য সে হৃদ ম্লান,
মানবিক বঙ্গেতে আশ্রয়ে নেয় থান।


আজি এই শুভদিনে ঈশ্বরে দোয়া মাগি
নবীন এ বরষেতে শান্তি সে তারি লাগি।
সৌরভে মিলে প্রাণ ভাইচারা মতি দাও
জ্বলছে যে ধরা প্রভু-দাউ দাউ দাউ দাউ।


উদত্ত আহ্বানে ডাকি প্রভু গানে গানে-
সাড়া দাও, সাড়া দাও, সাড়া দাও।


প্রিয় কবি শ.ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শুভ নববর্ষ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জামিন


আহা!
ছন্দে ছন্দে মাতাল হলেম আজ সে প্রথম প্রাতে,
একটি বছর হারিয়ে গেল কালের
মহা স্রোতে।
উঠলো নতুন সূর্য প্রাণে বাজলো মাদল প্রেমের দিশা,
দূর হতে দূর ব্যর্থ প্রণয়-স্বপ্ন অনেক
বাধতে বাসা।
হারিয়ে গিয়ে সেই লগনে মহাকালের অসীম প্রেমে,
লাগামছাড়া বল্গাহারা চিরন্তনের-
কাল ফাগুনে।
রইব নাতো এই ধরাতে-কেউ না অমর রবে,
কালের স্রোতে লহর বিতে-
জীবন জামিন পাবে।
তাই কি ভাই ভাবতে রই জেলখানার এই আঁন্ধেরেতে,
কি আর হবে এই ভবেতে-প্রাণ জ্বালিয়ে
হিংসা দ্বেষে।
আয় রে আয় ফাগুন খেলি রঙ্ মিশালি এই জেলেতে,
বছর বছর যায় রে বিতে-রবের দেশে
জামিন পেতে।
আজ ধরাতে প্রাণের মেলা মিলতে মানবতার গান,
হিংসা দ্বেষ বিষ বর্জন-ভালোবাসায়
মিলতে প্রাণ।
চলকে চল চলরে চল কদম কদম বাড়তে আগে,
লগন প্রহর যায় বয়ে যায়-কি হবে রে-
যুদ্ধ সাঁজে।
সাঁজের বেলায় রবের দেশে মিলতে যবে প্রাণ,
অস্তমিত দিগন্তে ওই-রইতে
অম্লান।
সাগর বুকে ধরতে ধরা গাইতে প্রাণে্র গানটি তোর,
সেই দিশাতে বইতে পরান-ভাসাই লগন
প্রেমের দোর।


প্রিয় কবি এম. ওয়াসিক আলি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তাকিয়েই থাকি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শুভেচ্ছা


শুভ নববর্ষের হার্দিক শুভেচ্ছা জানাই।
সুখ শান্তি সমৃদ্ধিতে ভরে যাক অঞ্চল,
জীবন নামক দূরুহ গিরিখাতে বয়ে যাক
উষ্ণ প্রস্রবণের কুসুমো স্রোতের বান,
সে লহর তরঙ্গ বয়ে আনুক-
হাজার হাজার মুক্তোখচিত ঝিনুকের সারি,
উজ্জ্বল লাবন্য উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক-
গিরিখাতের আনাচ কোনাচ,
দূরুহ প্রত্যন্ত প্রান্তর।
উর্বর হোক প্রতিটি অঞ্চল-
হরিৎ শস্য পেখম মিলে ধরুক সে ভূমে,
চিরবসন্তের সঞ্চারিত হোক
সে ভূবন।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মানবের মনোরথ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ইন্ধন


কাম ক্রোধ রিপু রতি ঈশ্বরে দিল দান,
কতিপয় মানবের জ্ঞান ধন
ইন্ধন।
সার কথা নাহি বোঝে পাষন্ড ধরা সাঁজে
দিশাহীন অবকাশে নাশে সুর
নাশে তান।
তারি মাঝে জয়োগান বেহাগের সুরোতান,
বহে ধরা অপরূপা-বিনাশীতে
শয়তান।
ধর্ম সে রণে ধরা প্রদীপ্ত আলো করা,
রোশনাই জ্বালে দ্বীপ,
ধর্ম সে জয়ী রণে তিক্ষ্ণ সে ফলা বাণে
আলো দিতে দশ
দিক।
শয়তান হাওবান ক্ষণিকের মেহমান বুদ্বুদে উদ্ভুত,
নাহি জয় নাহি জয় যুগে যুগে
কুরু শত।  
আসিছে সে পল ক্ষণ ঊলুধ্বনি রবে মেতে,
বিনাশীতে দিকে ধরা-অণু কণা
মোহনাতে।
ধ্বংসের অবশেষে হর্ষে সে ধরা মেতে
গাহিতে সে আগমনী,
সুখ আর সম্পদে হাসি গানে উল্লাসে
গাহিতে সে
মৌসুমি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৪৪" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আহাম্মক


নিজের দোষ ঢাকতে যারা
রবের ক্ষুতের খোজ,
আহাম্মক হয় যে তারা-
দুঃখ ধরার
বোঝ।
নিজের ঢাক পিটতে যারা
সদাই তৎপর,
নীচ অধম জাত সে তারা-
বালাই ষাট
কর।
এমন লোকে ধরলে পাছে
উড়ছে যারা কাশে,
কক্ষোনো না কক্ষোনো-
ধরতে দিতে
পাশে।
আকাশ ফানুস গল্পে মজে
ভুলিয়ে দিতে মন,
তার গড়েতে গল্পে মেতে-
ছড়িয়ে দিতে
ধন।
কক্ষোনা না কক্ষোনা না
নোনা জলের বইতে বাও,
রইতে সময় নইলে দুখ-
বাইতে যদি
ওদের
দাও।


প্রিয় কবি ফারহাত আহমেদ মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "সাবমেরিন" কবিতার উত্তরে এক্ষুনি লেখা কবিতা।


দিদিমুনি


বাহ রে বাহ!
দ্যাখ রে কানাই,
জলে চলি
না ছুঁই পানি,
যেমন তেমন
দারুন চলে-
ওই যে
দিদিমুনি।