(মাফ করবেন প্রিয় কবিসকল শুরুতেই বলেছিলাম সারাদিন যা লিখব "খেয়ালে" প্রকাশ দেব। আজ সময় ছিল তাই একটু বেশিই লিখে ফেলেছি। যার যতটুকু ইচ্ছে পাঠ করবেন। কমেন্ট দিতে হবে এমন কোনোও বাধ্যবাধকতা নেই। এত লেখা একবারে প্রকাশ করতেই খারাপ লাগছে। তবে প্রতিদিন এত সময় হবে বলে মনে হয় না।শুভকামনা)


জানিনা পাগল হয়ে যাচ্ছি কিনা।
(একটি গদ্য কবিতা)


রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য
আমাদের শিলিগুড়ি শহরের টাউন স্টেশনটি,
কারন-এখান থেকেই ট্রয়টেনে যেতে হয়
দার্জিলিং।
মাস কয়েক হলো আমি এক বদ-অভ্যাসে ভুগছি,
প্রতিদিনই সন্ধ্যায় সেখানে চলে যাই
বিনা কারনেই স্টেশন চত্তর ঘুরে
বেড়াই-
আর মন রবীন্দ্র ভাবনায় লীন।
সিমেন্টের বসবার আসন দেখি আর ভাবি-
এখানেই তো বসেছিলেন তিনি
একদিন।
ওপরে শেডের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি-
তিনিও তো এভাবেই একদিন তাকিয়ে দেখেছিলেন
শিলিগুড়ি স্টেশন লেখাটি।
এরকম আবোল তাবোল ভাবনায় কেটে যায়
প্রায় ঘন্টাখানেক প্রতিদিন।
ফিরে এসে ওনার লেখা একটা কবিতা
আজকের আবহেতে
পুনঃ নির্মানে ব্রতি হই।
জানিনা পাগল হয়ে যাচ্ছি কিনা।


৬/১৮ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আমার এ প্রেম নয়কো ভীরু"


"আমার এ প্রেম নয়কো ভীরু"


আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু নাহিকো সর্বনাশা,
জীয়ন খাতার প্রতি পাতায়
প্রেম সে অমর
গাথা।
ভাবলে তুমি বাসরঘর বাঁধতে সখী প্রাণের আলো,
চুপটি ধরে রইছি আমি-আঁধার চোখে
আলোক গেল।
বসন্ত ওই রূপের সাঁজে স্বপ্নে আমি রই যে ডুবে,
ঊষার আলোক উজল প্রাণে
উঠতে আমার জীবন
পূবে।
ছন্দ পতন সে তার ছিঁড়ে বাজতে নাকো বীণায় তান,
আমায় ছেড়ে অনেক দূরে-অভিসারে
মাতলে লগন।
না সখী না ডুবতে আমি সাগর যাব ডুবে,
কিচ্ছুটি না কিচ্ছুটি না-চুপটি
রব ভবে।
তাই কি জেনো-আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু,
জীবন নদে দুঃখ আমার-আজ হতে প্রাণ-
আজ শুরু।


প্রিয় কবি অরণ্য আশরাফ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিবেকের দরজা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জাগ


জাগরে জাগরে জাগ দেশ-জাতি ইনসান,
কাপুরুষ ভীরু নহে জাত
আজি করিতে
প্রমান।
পুকার কি রব শুনিতে কি প্রাণ
জাগিতে বিবেকের ধবনি,
রবে রবে উত্তাল-তুমি
কি শোননি।
বাতাসেতে কয় গুঞ্জনে অলি
জাগিতে সে মানবো কথা,
লিখিতে সে সাঁজ আজিকে
হৃদয়ের ইতিকথা।
আজি উত্তাল প্রাণ দিশা সে পূবের পানে,
আজিকে আলোক রবিরো কিরণে
ভালোবাসা গানে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিশ্ববাজার-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কারখানা


আজি পরাজিত চিত্ত ব্যাকুল নয়নেতে আঁখিধারা,
দিকে রব ধনপতি কুবেরের-
দেশ দল দিক
গড়া।
একদা সে ব্রিটিশেরা বানিজ্য দখলেতে,
বাংলার বুক হতে-লহমাতে
ক্ষমতাতে।
মসনদে ধরে গান গেয়েছিল শয়তান,
দেশ জাতি স্বাধীনতা-নিয়েছিল
মেরে টান।
সেই দিশা গতি মতি-আধুনাতে আবহেতে,
বেঁধে রেখে জাতি দেশ-নাগপাশে
নাগপাশে।
ভাবি তাই কবিতাই অস্ত্র সে কারখানা,
গড়ে দিতে হৃদ প্রাণে-বিদ্রোহ
বীজ বোনা।


প্রিয় কবি মোঃ আব্দুল কাদের মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জোনাকী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দিশা


আহা! মন ভেসে যায় জোনাক আলো
ধরতে চলি দিশা,
আহা! পরাণ মম জুরতে হৃদয়-
গহীন তমানিশা।
আহা! জোনাক জোনাক জ্বালতে বাতি
দূর আকাশে মন সে ওড়ে,
আহা! আহা! জ্বলজ্বল ওই জ্বলতে পরাণ-
আমার গহীন হৃদয়
দোরে।
আহা! দুলছি আমি ভুলছি আমি
দুঃখ অনেক ব্যথা,
জোনাক আলোয় ভাসতে পরাণ-
জীয়ন ইতিকথা।
জোনাক আমায় দাও না আলো
ধরতে লগন প্রেমের দান,
গাইতে আমার কন্ঠে জ্বালো-
ভালোবাসার প্লাবন
গান।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আয়না সাথে তুই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হৈ চৈ


হৈ চৈ হৈ চৈ আনন্দ দোলা রব
পাখি সবে গাহে গান
আনন্দ কলরব।
হৈ চৈ হৈ চৈ আনন্দ দোলা রব,
খোকা গায় অ আ ক খ
কায় মন খুশি
সব।
হৈ চৈ হৈ চৈ সানন্দে দেশি কই,
হৈ চৈ হৈ চৈ ভত্তা আর
ভাত সই।
হৈ চৈ হৈ চৈ আনন্দ দোলা রব
পাখি সবে গাহে গান
আনন্দ কলরব।
হৈ চৈ হৈ চৈ খোকা যাবে ইস্কুল,
হৈ চৈ হৈ চৈ দশ দিশা
মশগুল।
হৈ চৈ হৈ চৈ আনন্দ দোলা রব
পাখি সবে গাহে গান
আনন্দ কলরব।


প্রিয় কবি মৌটুসি মিত্র গুহ (কেতকী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত আবেশ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


চন্দ্রিমা


ওহো! হৃদয় গেল ভেসে মহাকাশে-
গুঞ্জনে অলি,
আহা! অপরূপ হেরি দিশা-
কবিতার কথাকলি।
জোছনাতে মেখে মৃগাঙ্ক দেশে
তারাদেরই আনাগোনা,
কত স্মৃতি জাগে মনে-কত সুখ কত দুখ
অপরূপা চন্দ্রিমা।
বর্ণ সে রূপ র্চ্ছটা-প্লাবনেতে শত ব্যথা
অব্যক্ত অন্তর,
ধূ ধূ প্রাণে লহরেতে বন্ধ্যা সে
প্রান্তর।
জ্যোছনাতে ভেসে তারাদের দেশে
কুঞ্জনে ওড়ে অলি,
আহা! অপরূপ হেরি দিশা-
কবিতার কথাকলি।


প্রিয় কবি Golam Mustafi মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রেম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কেন?


প্রেম অমর প্রেম অবিনশ্বর প্রেম অনন্ত
শতধায় বিকশিত,
জীবকূলে জীবকূলে প্রেম
শ্বাশত।


নমি তাই বিধাতায় জোড় করে কই,
হে ঈশ্বর আজিকে উন্মত্ত ধরা
কেন ক্রন্দণ দিকে দিকে-
সব কূল শ্রেষ্ট
নরেতেই।