(ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে গীতাঞ্জলির কবিতাগুলির পুনঃ নির্মান এর বৈশিষ্টঃ তার লেখা কবিতা ও আমার লেখা নতুন রূপ সম্পূর্ন ভাবে ভিন্ন দুইটি কবিতা, দু'টি কবিতার বিষয়, ভাব ছন্দ তাল লয় প্রকাশ গতি সম্পূর্ন ভাবে ভিন্ন এবং ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। দু'টি কবিতাই সম্পূর্ণভাবে মৌলিক এবং সম্পূর্ণ। মিল শুধু একটি জায়গাতে, দুটি কবিতারই প্রথম লাইনটি একই। তার লেখা কবিতাটিও আমি প্রকাশ দেই সেই কারণে। আমার লেখার ঘরানা সম্পূর্ন আমার তৈরী করা। এই ঘরানা একটি নতুন সৃষ্টি এবং এযাবতকাল এই ঘরানাতে আর কোনও কবি লিখে নাই বা লিখতে পারে নাই। আমি এই ঘরানার নাম দিয়েছি, "হৃদয় বর্ত্তিকা", যেহেতু এখানে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে বয়ে আসা ভাষা আন্দোলিত হয় কাব্যকথায় আর লেখবার সময় আমি আমার নিজের হুষের মধ্যে থাকি না।)


সন্ধ্যা ৬/৪৭ মিঃ সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হলো রবি ঠাকুরে গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৪৩ তম কবিতাটি। "তখন মনে করিনি, কোনো আয়োজন"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ- "তখন করিনি নাথ, কোনো আয়োজন"


তখন করি নি নাথ, কোনো আয়োজন
বিশ্বের সবার সাথে, হে বিশ্বরাজন,
অজ্ঞাতে আসিতে হাসি আমার অন্তরে
কত শুভদিনে; কত মুহুর্তের 'পরে
অসীমের চিহু লিখে গেছ।


লই তুলি
তোমার স্বাক্ষর আঁকা সেই ক্ষণগুলি-
লেখি তারা স্মৃতি-মাঝে আছিল ছড়ায়ে
কত-না ধুলির সাথে, আছিল জড়ায়ে
ক্ষনিকের কত তুচ্ছ সুখদুঃখ ঘিরে।


হে নাথ, অবজ্ঞা করি যাও নাই ফিরে
আমার সে ধুলাস্তুপ খেলাঘর দেখে।
খেলা-মাঝে শুনিতে পেয়েছি থেকে থেকে
যে চরণধ্বনি-আজ শুনি তাই বাজে
জগৎসংগীত-সাথে চন্দ্রসূর্য মাঝে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ- "তখন করিনি নাথ, কোনো আয়োজন"


তখন করিনি নাথ, কোনো আয়োজন,
জীবন উছল বয়েছি ছলনায়
বুঝি নাই প্রয়োজন।
সে দ্বারে দেব রয়েছে তারণায় করিছে অন্বেষণ
অবুঝ সে দ্বার হেলায় ভুলেছি
সংসার করেছি ভূষণ।
শুনেছি সে দ্বারে তোমারি নিনাদ কানে তুলি নাই পল,
ভুলিতে সে ডাক দেব যোনি জাত
ধরেছি ভূতল।
ভয়ার্ত ছিল হৃদ আরতি সে দেব ভুলেছি আছিলায়
দূর হতে দূর দূরেতে বয়েছি
ভবের সাগর ভেলায়।
আজি প্রাণ সায়াহ্ন ঠেলে নিয়ে গেলে প্রভু
অরূপ রতনো দৃষ্টি দানিলে
ভাবিনি এহেন কভু।
আজি সে পল মিলেছি তোমাতে তোমারি যোনিতে প্রাণ,
আয়োজন আজ করিলে প্রভু
হৃদয় করিলে দান।
হে দয়াময় আজি সে সার বুঝিনু জীবন অবহেলে সংসার,
সন্যাস আজ নিতেই প্রভু
আয়োজনে কাব্যের দ্বার।
তপন দিলে সে কান্তি আমায় জ্যোসস্না আলোকো ভব,
অমৃত দিলে হৃদয় ঢালি
প্রদীপ্ত জ্ঞানের রব।  
তোমারি বিভাতে উজ্জ্বল দিলে দানিতে তোমারি বাণী,
পল পল পল গাহিতে সে গান
ধরাতে আগমনী।
আমি আগুয়ান আজ বিশ্ব দ্বারেতে ফেলিতে তোমারি সন্দেশ,
হিংসা বিষের ধ্বংস নাসে
গড়িতে স্বর্ণ প্রদেশ।
দিবা রাতি তাই জ্যোসস্না আঁকি জ্ঞানেরো আলোকো দীপ,
ছড়াই সে ভব তপনো তেজে
প্রাণ সে অন্তরীপ।
তখন করি নি নাথ, কোনো আয়োজন,
জীবন উছল বয়েছি ছলনায়
বুঝি নাই প্রয়োজন।
সে দ্বারে দেব রয়েছে তারণায় করিছে অন্বেষণ
অবুঝ সে দ্বার হেলায় ভুলেছি
সংসার করেছি ভূষণ।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজিতে অনুবাদঃ-
“The day was when I feel not to think”


The day was when I feel not to think of thee and
Was living as the common people
As they do with so much aspiration
In earthen need of life
I was inconsolable at that period and
Engaged myself into my family affairs
To neglect the call of thy
Which I was continuously received from and
On your end.
I was afraid of monasticism and so
I always keep myself far away from thee
To avoid your call and
Keep myself distant
From the line of producing lyrics
To spread your messages
To the world entire.
Today, at the age of high
You compelled me to join with you and
You give me the divine power of thinking
That I could ever thought in my daydream too.
You have given the gleam of knowledge
As high as sun and as the glory of
The full moon.
I am overwhelmed with such  knowledge and so,
I came in the path of monasticism and
Would like to sacrifice my life
For the upliftment of the society and the people
Those who are suffering form pain and sorrow and
Would like to bring the beam of rising sun
In their life to end their poverty and pain.  
I would like to finish the enmity from this world and
And would like to fire up  the candle of love
In each and every corner of the world.
The day was when I feel not to think of thee and
Was living  as the common people but now
I got mixed up with you and so..........


দুপ্রহর ১/১৪ মিঃ সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হলো রবি ঠাকুরে গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৩৭ তম কবিতাটি। "ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে"
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে
যাত্রা আমার বুঝি থেমে গেছে এসে।
নাই বুঝি পথ, নাই বুঝি আর কাজ,
পাথেয় যা ছিল ফুরায়েছে বুঝি আজ,
যেতে হবে সবে নীরব অন্তরালে
জীর্ণ জীবনে ছিন্ন মলিন বেশে।


কী নিরখি আজি, এ কী অফুরান লীলা,
এ কী নবীনতা বহে অন্তঃশীলা।
পুরাতন ভাষা মরে এল যবে মুখে,
নবগান হয়ে গুমরি উঠিল বুকে,
পুরাতন পথ শেষ হয়ে গেল যেথা
সেথায় আমারে আনিলে নুতন দেশে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে"


ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে,
জীবনো তরনী এমনি ধরনী
বয়ে যাব অব-
লেশে।
না জানি কি বন্দে সুবাসিত গন্ধে জাগিল বকুল কলি,
নীরবেতে দ্বারে সুঘ্রাণেতে মেতে
মিলে দিলে কথা-
কলি।
জীর্ণ সে হৃদে ফুটায়ে সে দ'ল অন্তর নিলে বাস,
বয়ে চলি লহরেতে তোরি ধাম ছলনাতে
কাব্যেতে
রস।
দিব্য সে ছলতাতে জোড় করে প্রণিপাতে তোরি আরাধন,
বিল্বেতে পুষ্পেতে দিবারাতি মন মেতে
বাণী তোর পরি-
ধান।
আসুতোষ মনো দ্বারে আঘাতেতে বারে বাঢ়ে
শাণিত সে বাণী
তোর,
ভবনদী পারাবারে ছড়িয়ে সে দিতে দ্বারে
দিব্য সে পানি
তোর।
হলাহল নিরশনে প্রসস্তি সুধাগানে বিয়োগেতে বিদ্বেষ
গাহি গান দিবানিশি অন্তরে ফল্গুতে
তারি দেই
সন্দেশ।
আজু মঝু কহায়সি এসো ধরা মিলি প্রেম,
কথা দাও কথা দাও
ভালোবাসা ভরা
হেম।
হিংস্র সে বীণ নাহি ছলনাতে নাহি প্রাণ
শঠতাতে নাহি মিলি
প্রেম নদী গাহি
গান।
ভেবেছিনু মনে যা হবার তারি শেষে,
জীবনো তরনী এমনি ধরনী
বয়ে যাব অব-
লেশে।
না জানি কি বন্দে সুবাসিত গন্ধে জাগিল বকুল কলি,
নীরবেতে দ্বারে সুঘ্রাণেতে মেতে
মিলে দিলে কথা-
কলি।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“I had thought nothing of the literature”


I had thought nothing of the literature and
Wanted to lead a lavish life
As like as all and every common people
Of this world.
I don't know how my heart bloom up and
The fragrance of divine love
Has come to me
And I focus mine into the line
Of literature.
My lord, you came and took place
In my heart and soul  and prepared my
Heart and soul according to your wish
To became me as a poet.
Now I have became a poet and
All the day and night I worship
The lyrics as you wish to.
As you want the peace and tranquility
The world entire and so,
I produce it in such a way which
Could be able to hit the mind and soul
Of the worse people of the world and
I try a lot to spread it to each and every
Corner of the world.
These divine thought of love
Which my lord, you want to spread.
I have sacrifice my live
Towards this direction of monasticism and to
Rectify the heart and soul
Of them.
I would like to get the promise from them
That they will not be cruel enough
To the humanity and will not crossed the
Boundaries of love and affection
To make a terrible word.
I had thought nothing of the literature and
Wanted to lead a lavish life
As like as all and every common people
Of this world.
I don't know how my heart bloom up and
The fragrance of divine love
Has come to me


প্রিয় কবি সুপর্ণা ভৌমিক মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "অর্ঘ্যদান", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"সার কথা"


বুঝিলাম সার ভকতি রহে হৃদে
নহে মন্দির নহে নৈবিদ্যে,
নহে হরিবোল নহে
বিগ্রোহে।
আকুলো সে ভবনদী বিরান সে প্রান্তর,
আজু মঝু মজিলাম হেরি প্রাণ
অন্তর।
দিগন্তে বয়ে চলে মোহনাতে মন মেতে,
ধরা হৃদ ভকতি সে প্রেম প্রীতি
কর্মেতে।
জীবনের জয়োগানে জীবে প্রেম মাতি ধরা,
ওই খানে ভকতি সে লভি প্রাণ
মনোহরা।
জীর্ণ সে কুটিরেতে ধীক ধীক প্রাণোধারা
তারি সনে মন মিলি জীবে দিতে
তারি দয়া।
নহে মন্দির নহে মসজিদ নাহিকো তো গির্জা সে,
ভকতি সে ধরা আছে হৃদ প্রাণ
মনোকাশে।
আজু প্রাণ আহ্বানে গাহি গান মানবেতে,
এসো সবে ভকতি সে
পূজা দিতে তারি
মেতে।
সেই খানে ঈশ্বর নিত্য সে দুই বেলা,
আলো ছায় সুখে দুখে
ভাসায় সে তারি
ভেলা।
মন্দিরে নাই মসজিদে নাই গির্জাতে নাই প্রাণ,
দেবা দেব রয় পর্ণ কুটিরে তাহারি
অধিষ্টান।
বুঝিলাম সার ভকতি রহে হৃদে
নহে মন্দির নহে নৈবিদ্যে,
নহে হরিবোল নহে
বিগ্রোহে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ে আমার মাটির বাড়ি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“পুণ্য ভূম”


গাঁ যে আমার মায়ের বাড়া ঠেকাই ভূমে মাথা,
জীবন হেথা প্রাণ অফুরান
পুণ্য জীবন
গাঁথা।
শৈশবে এই সোনার ভূমে জড়িয়ে সোনার মাটি,
হাল বেয়েছি জল খেলেছি
পুতুল খেলনা
বাটি।
শাল পিয়ালের কুঞ্জবিতান অজয় নদীর ধারা,
তাল দীঘির ঐ তালতলাতে
দিব্য মনো-
হরা।
উজান গাঙে সাঁতার কেঁটে জলকেলি আর শাপলা ফুল,
জাল বিছায়ে মাছ ধরা আর
ছলকে বারি উছল
দুল।
অভিসারে যৌবনেতে দুল দুলানী মনের রানী,
অজয় নদীর গাঙ সে কূলে
প্রেম ধরা সে প্রাণের
বাণী।
কুঞ্জ বনে মন ভেসেছি অরূপ রতন দিব্য ধারায়,
মা যে আমার জড়িয়ে প্রাণে
আমার জীবন ধারায়
ধারায়।
মন ভেঙ্গেছে প্রেমের বাড়ি কান্না বহু হৃদ বয়েছি,
অজন নদের উদার সে জল
হৃদ বেঁধে সে প্রাণ
পেয়েছি।
গাঁ যে আমার মায়ের বাড়া ঠেকাই ভূমে মাথা,
জীবন হেথা প্রাণ অফুরান
পুণ্য জীবন
গাঁথা।
তারুণ্যেতে কর্মে ভেসে জীবন জায়া সংসারেতে,
প্রাণ মিলেছি কান্না হাসি
সবুজ ধরা সোনার
ক্ষেতে।
মা যে আমার সোনার বরণ সুধার বারি অমৃত,
জড়িয়ে তারে জীবন দ্বারে
শতেক গাঁথা হাজার
কত।
মা জননী স্নিগ্ধ কায়া প্রাণ অফুরান তোমার দেশ,
জন্মে তোমার বক্ষে মা'গো
ভুলছি মোরা হিংসা
দ্বেষ।
চাতক ফিঙে মধুর বোলে কোকিল কুঁহুতান,
আম্র মুকুল মধুর বোলে
ধন্য তোমার শাল
বীথি বন।
বসন্তের ওর ঐ রঙ গুলাবি তোমার দেশে মা জননী,
সবুজ শ্যামল স্নিগ্ধ কায়ে
লাল পলাশের
হাতছানি।
কৃষ্ণচূরায় রঙ ঢেলে যাও রাধাচূরায় প্রাণ,
নয়ন ভুলি প্রশান্তির ওই
লাস্য মনো-
রম।
তোমার দেশে কাব্যনদী অজয় নদীর ধারা,
দুখু মিঁয়া তোমায় গেয়ে
আজ বঙ্গ
সিতারা।
মাগো বুকে গর্ব ধরি উচ্চ ধরি শির,
একুশেরই আগুন জ্বেলে-
মোরা বিশ্বালয়ে
বীর।
ভাষার টানে ভাটির টানে জীবন করি দান,
মাগো তোমার ভয় নেই মা
করবো অবিরাম।
গাঁ যে আমার মায়ের বাড়া ঠেকাই ভূমে মাথা,
জীবন হেথা প্রাণ অফুরান
পুণ্য জীবন
গাঁথা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হবেনা বলা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অপনাম”


যুগে যুগে কালে কালে ছিন্ন সে মতি তায়,
পাষন্ড নির্মম দানব সে
অতিকায়।
পশিতে প্রাণেতে রুধিরো বাণেতে ভোগ আর মেতে কাম,
মানবতে ক্ষণ প্রভা-দানবতা মেতে বিভা
প্রলয়েতে অপনাম।
প্রস্তর যুগ হতে আধুনিক আধুনাতে চির সে আগ্রাসন,
তির ধনু শেল হতে আধুনাতে অণু মেতে
ধ্বংসেতে মেতে প্রাণ।
উন্নতি শিখরেতে কামনাতে মন মেতে নাই হৃদ উন্নিত,
ব্যভিচার শঠটাতে ছলনাতে ছয়লাপে
অস্ত্রের ঝলকেতে বিজ্ঞান
দান শত।
কি হলি রে মুনি তুই যদি নাই মানবতা?
মানব তো ভেকধারী
নাই হুশ ইতি-
কথা।
বন্য সে প্রণোবুলি আজও সেই কথাকলি,
কি পেলি রে শিখরেতে
বিজ্ঞান ঢুলি
ঢালি।
আজু প্রাণ মঝু কাঁদে ঘৃণ্য সে বুকে বাজে,
মানবের পরিচয়ে-শরমেতে শত
লাজে।
মাধবেতে মাথা পাতি ওগো কূলো প্রজাপতি,
দেহ দানে আলো প্রাণে-দীন গন অজ্ঞানে,
তুহি প্রাণ মহা দেব-আজি দেহ
দেব গতি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-২০০", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“কর্মে জীবন”


আলো আলো আলো, ওরে কোথায় আলো!
আলোক রাশি ঝলকে সে বাঢ়
কর্মে জীবন
ঢালো।
সেথায় আলো সেথায় তমস গহীন আঁধার ঘন,
কর্মে সে থান কর্মে ধরায়
কর্মে ধরে
কালো।
তিমির রাতি তুফান আঁধি দুলতে ফুলে তরী,
বইতে সে নাও ডাগর মাঝি
বৈঠা যে সাথ
তারি।
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাও হৃদে সুহৃদ ধরো গান,
কর্মে সে রব গড়ায় ধরা
মান কি অসম্মান।
তাই কেবলি বইতে তরী আলোক দিশা পানে,
মান ও হুশের সম্মিলনে
আলোক সুধা
গানে।


প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দোলের দিনে দাদুর দোরে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নানার ঘরের হোলি-০3


দোলের দিনে দ্যোদুল দোলে
দুলছিল সে ঘর খানি,
দোল খেলে যায় শালার বাপ
দুলকি চালে নানিরে
টানি।
দহন তখন নানার মনে
দমন তাদের করতে তাই,
দশ লিটার নানার চোনা
দেখলি কেমন ছিটায়
ভাই।
দশ দরোগার থানাবাবু
দশ ঘাটে জল ঘুলা
দিতেই তারে সেলফিখানি
দল ধলানী ছবি
গুলা।


“দূর দূর ভাই করিস কেন
দূর থেকে ভাই তুলেছিলাম,
দুলা ভায়ের মতই
শালা;
দুলছিল ভাই নানির সাথে
দলকচানী রসের
বড়া।“


দুম করে ভাই নানির মাথায়
দর দর দর রক্ত ঝরে,
দৌড়ে ভাগি আর না রই
দর দর ঘাম ঝরছে
ওরে।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চোরের চোর পাহারাদার", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
নানার ঘরের হোলি-০৪


খল সে শালা নানির সাথ
খিলখিলিয়ে নানিও পারে,
খিল দিয়ে সে ঘর সে আঁধার
খর খর সে শব্দ
তোলে।
খাইতেছিলাম তখন আমি
খর বায়ু বইতেছিল,
খিল খিল সে আওয়াজ শুনি
খুজতে পরান মেতে
ছিল।
খাইবার পাস! শালা ব্যাটা
খাইতে ছিল নানির ঘট,
খট খট খট, সেই কি রব
খোটাল যেন ভাঙতে
ঘাট।
খাল কেঁটে নানা আমার
খালের কুমির ঘরে টানে,
খবরদার বলছি আমি
খবর নানার দিওনা
কানে।
খপ করে তাল কাঁটবে গলা
খবর পেলেই নানা,
খল সে শালার জীবন শ্যাশ
খালেই হবে তার
ঠিকানা।
খানিক চুপ রও
কবি।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তাই তাই তাই-২", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ভুল”


না না কত্তা ভুল হইছে
হেইডা ক্যামন
কন,
ছয় খানি লোক মারছিল ভাই;
মামলা চলে ছয় বৎছর
বেকসুর করতে
প্রমাণ।
আজ যে ভাই কাল রে রাজা
ভোট দিতে কেউ ভোলে নাকো,
পার করবে ভোলেবাবা
জীবন কাহন দুঃখ
যত।
ভাই ভাইদের মিনিস্ট্রিতে
জবরদস্ত চলবে দ্যাস
আর গাইবে দ্যাসের মানুষ
হায় হায় হায় হ'লাম
শ্যাস।


আমার লেখা খেয়াল ৬৯ তম পর্বে প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের উত্তরের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ঐ তো মজা তিলের খাজা”


ঐ তো মজা তিলের খাজা
তিল দিয়ে তিল গড়া,
গড়ান দিলে থামতে না চায়
কাব্য হতচ্ছাড়া।
আড্ডাবাজি ধূলায় মিটে
বন্ধুরা কয় থাকিস ক'নে,
কি ভাবে কই তাদের কত্তা
রইছি আমি কাব্য
পানে।
পানের পিকের মতই কত্তা
বার বার পিক ফেলি,
লেপটে গিয়ে পেখম মেলে
কাব্য কথা
কলি।
আর ভুলা মন যেমন তেমন!
সব গুলে খাই শ্যাস,
গিন্নি আমার গরল চোখে
পারলে তাড়ায়
দ্যাস।
সর্যে ফুল সারি সারি
হলুদ বরণ সব,
মাঝে মাঝে পকেট গুলান
করে কলরব।
হেই কত্তা অসুদ কিছু
বলতে পারেন কি?
কাব্যগাঁথার হাল পাগলান
দ্যান না ছুটায়
দি।


প্রিয় কবি ইবনে মিজান মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "কেন মাল খাই", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে কাল রাতে লেখা কবিতা।
"নন্দ ঘোষের কবিতা"


স্বর্গে সুরার ছড়াছড়ি! বলবে কে রে ভাই!
যত দোষ নন্দ ঘোষ, বলছে
যাচ্ছেতাই! (তোর বাবা)
মাল খেয়েছি পয়সা নিজের
টলমল পা আমার হলো,
তোর বাপ তো হার কিপটে
দারুন রকম ভীষণ
জেলো।
মদ খেয়েছি মাতাল হব
বুক ঠুকে ভাই কই,
ফষ্টি নষ্টি করবো রে আজ
আরে! তোর বাপ গেল রে
কই!
শাল! হারামজাদা!
মদ রে ভাই অমৃত রে
খায় জুদি তোর বাপ,
রজ্জু দেখে ভয় পাবে রে
বলবে-সাপ!
সাপ!
পাটিসাপ্টা বানায় দিমু
মদন কি'বা গদাই রে!
সোজা রাস্তায় চলতে গেলে
ড্রেনটা চলে আসে
বে!
আই ড্রেন তুই দিনের বেলায়
ধারেই থাকিস রাস্তামানে
রাত্তিবেলায় জাইতে গেলে
কেন আসিস মধ্যি-
খানে?
মদ খেয়েছি মাতাল হব
নাই বা থাকে আমার হোশ,
স্বর্গে সুরার ছড়াছড়ি!
যত দোষ নন্দ
ঘোষ!


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবিতার শব্দ", কবিতার উত্তরে আমার লেখা এক লাইনের কবিতা।
"চোখ”


"চোখ! তোমার জন্যি যত অনাসৃষ্টি"


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
“সুতনয়া”


সুতনয়া, আর দেরী নয়, জেগে ওঠো সুতনয়া,
চোখ মিলে দেখো, তোমারি মত
হাজার হাজার সুতনয়া,
অশ্রুতে ভাসে অঞ্চল, চঞ্চুর সে চঞ্চলতা,
হারিয়ে ফেলেছে ভূমি,
ঘন ক্রন্দন রত অন্তর,  
মেদিনী হয়েছে রক্ত সিঞ্চিত প্রান্তর,
বিহগ তার ছিনে নিয়েছে
সে মধুর কথাকলি,
সমাজে শত সুজন মাঝিদের গড়া সোনার লঙ্কা
কেড়ে নিয়েছে শত সহস্র হৃদয়ের
কোমল প্রান্তর।
তাদের সিঞ্চিত ফসল
বন্ধ্যা মরুভুমে আছড়ে পরে দিগন্ত,
দিবাকর অস্ত সে ভূমে,
শশী হারিয়ে ফেলেছে রূপ বৈভব।
লালিত্য গরিমা হারিয়ে ফেলেছে সুরমা,
দিক দিগন্তে বয়ে চলে হাহাকার রব।
স্বপ্নের নীড়ভাঙ্গা পাখির দল,
সার বেঁধে অপেক্ষারত, সুতনয়া তোমার
জেগে ওঠার অপেক্ষায়, সুতনয়া
ক্রোধের অগ্নি কর প্রজ্জ্বলিত,
ছুড়ে ফেলে দাও মানবতার মিথ্যে ঢুলি,
খর্গিধারিনী মহামায়া ধর অঞ্চল,
উৎগিরিত হোক লাভার স্রোত,
ঘন কুন্ডলিত ধোঁয়া পরিনত হোক
উত্তপ্ত লাভার মহাস্রোতে,
ব্যপ্ত কর তোমার অঞ্চল,
জীর্ণ পর্ণ কুটির থেকে উত্তরণ হোক
ঊষার স্নিগ্ধ আলোক রাশির মেলা।
হাজার হাজার সুতনয়া মিলে যাক মোহনায়
সৃষ্টি হোক মহাতরঙ্গের অনুররন
ভষ্মিভূত হোক হাজার হাজার সুজন মাঝির গড়া
সে লঙ্কাভুমি।
সুতনয়া হুঙ্কার দিয়ে জেগে ওঠো,
সুতনয়া।
উদ্ভাসিত হয়েছে অঞ্চল সুতনয়া,
শুরু হয়েছে তপ্ত লাভার উৎগিরন,
সুতনয়া দিক বিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
দাও ওই তপ্ত গলিত লাভার
বিষাক্ত নিঃস্বরণ,
ছড়িয়ে দাও সুতনয়া, ছড়িয়ে দাও
আজ। (চলবে)