প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লহ কবি প্রণাম" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা


"শ্রদ্ধাঞ্জলি"


আমি কবি দিল দান মাহাত্ম ভগবান,
যাহা কিছু লিখে যাই সবই তার
অনুদান।
মম চিত্তে বসত সে করে-সুর তোলে অহর্নিশি,
মাতাল কি নেশা যেন তারে বড়
ভালোবাসি।
কাঁদি প্রাণ লেখনীতে আগুন সে ঝরে কভু,
যেই ধারা যেই ভাব লিখে দিয়ে যান
প্রভু।
আমি সং কেহ নহি জোড় করে বলে যাই,
ভালোবাসা প্রেম প্রীতি দানে আমি
মজে যাই।
ধারা বহে আঁখি দুটি কান্না সে হৃদ শুনি
আসরের মহানতা তোহাদের মত
গুণী।
বসন্ত বয়ে চলে শাখা তরু রব তোলে
পুষ্পেতে ডালি সাঁজি তোমাদেরি
দিতে গলে।
জোড় করে বারে বারে তোহাদের স্তুতি গাহি,
জীবনের ধারা নদে-আমি, কণা সম
অবরাহী।


রাত ৮/১৮ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "হাসি মুখে শুকতারা " অণু কাব্যটি।


রবিঠাকুরের লেখা অণুকাব্য "হাসিমুখে শুকতারা" কবিতাটি এরকমঃ-


হাসিমুখে শুকতারা
লিখে দিল ভোররাতে
আলোকের আগমনী
আঁধারের শেষপাতে।


আর আমার লেখাটি এইরূপ:-
"হাসি মুখে শুকতারা "


ভেসে গেনু তারি রূপে কথাকলি দিল রব,
বিহঙ্গ ধরে তান-হৃদ প্রাণে
কলরব।
উছলে সে দিল ধরা কামনাতে ধরে সাধ,
দূর হতে দূর দেখি-ভুলে গেনু
অবসাদ।
ধরা গানে বিহঙ্গ কলতানে কলরবে,
যেন প্রাণ হেসে খেলে-ধরা দিল
এই ভবে।
হাসিমুখে শুখতারা চকিত সে চাহুনি সে,
লহমাতে প্রিয়া গাহি-গেনু প্রাণ
গেনু ভেসে।
ওই তারি বিদ্যুৎ হিরকেতে সাঁজে মেতে,
আজি প্রাণ আনন্দ-রব ধ্বনি
দিকে দিকে।
সৌরভে মাতে প্রাণ যেন হাত মেদিনী,
ধরে নিতে চমকিত-ধরা বাজ
অশনি।
শুকতারা প্রাণ বহে অনন্ত উষা হৃদে,
হাসিমুখে শুখতারা-তারি তান
সুর গীতে।।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যেমন তেমন-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


স্ফুলিঙ্গ


কড়া ঘাতের দিতেই বাড়ি জাগ রে জাগ ইনসান,
সমাজ কোতল করতে দিশা
ছল বলেতে
বেঈমান।
মারতে বাড়ি দিতেই দারি ঢঙ্কা বাজা যুদ্ধ রব,
রক্ত গরম করকরে লাল
তান সে ধর
কলরব।
শ্রমিক কৃষক চাষা ভূষা রব তোল ওই আকাশ পানে,
আজকে ভুবন গুড়িয়ে দিতে-
বদমাস আর
শয়তানে।
জাল জালিয়াত দহন আজি মশাল জ্বালো স্ফুলিঙ্গতে,
কাঠ কুড়ালি শাবল তোল কিংবা কৃপাণ
দুই হাতেতে।
কদম কদম বাড়িয়ে চলো শৃঙ্খলেতে মানব আজি,
তুলতে তুফান হৃদ প্রাণেতে
আজকে ধরো প্রাণের
বাজি।


প্রিয় কবি রিয়াদ মোর্শেদ মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "নীল কতরের ছানা" ছানা কবিতায় আমার উত্তরের পরিপেক্ষিতে তার কমেন্টে জবাবে আজ সেখানে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আহাম্মক


ছোট নাই কিছু ভাই-এই দুনিয়ায়
বড় কিছু নাই,
হৃদ প্রাণ মন একই সবাকার
মানুষের জয়োগান
গাই।
এ আকাশ এ বাতাস সাগর লহর উঁচু,
কভু ছাড়ে নাকো কভু ছাড়ে নাকো
ছুটিতে তটের
পিছু।
বাক্য একই প্রাণ সবাকার হৃদ ও মনন গতি,
আত্ম গড়িমায় যে জন ডুবে
সে জন আহাম্মক
অতি।
সাধন একই পথ সে ভিন্ন দৃষ্টি একই দেখা,
ভাবের জগতে মিলিতে তাহাতে
কবিতার সীমারেখা।
কিছু নাই কিছু নাই বড় কিবা ছোট
একই সে নুরি-ধূলা বালু পলি
মিলেমিশে গড়ে
শত।
পঞ্চতত্ম মিলনে পরাণ পঞ্চভূতেই মিলে যাওয়া,
জীবন সরণি কাহনো গহনে
মানুষের মত রইতে
চাওয়া।
ছোট নাই কিছু ভাই-এই দুনিয়ায়
বড় কিছু নাই,
হৃদ প্রাণ মন একই সবাকার
মানুষের জয়োগান
গাই।


প্রিয় কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় (পীযুষ কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যত মত তত পথ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সমর্পণ


আজিকে
ধরনী
উতলা
বহিছে
আলোকো
পূবের
দিশা,
আজিকে
ভ্রমর
খেলিছে
অলি
দূর
হতে
তমানিশা।
ঘনঘোর
আঁধারিত
তমস
কালো
হৃদয়েতে
মোর,
আজিকে
ঊষার
প্লাবনো
আলোকো
আজিকে
প্রনয়ো
ডোর।
সখী সে
কূজনেতে
আজিকে
ঝরিতে
বারি,
আজি
প্রাণ
চঞ্চল
আজিকে
রুধিতে
নারি।
ওষ্ঠ
আজিকে
চঞ্চল
হলো
নাহি
অবগুন্ঠন,
আজিকে
সখী
দাও দাও
নৈবেদ্য
আজিকে
কবিতে
সমর্পণ।


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মতবদল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জায়স


এযুগে এই তো রীতি প্রিয় কবি,
বদল হয় রাতারাতি,
লাল পাল্টে সবুজ বা কি
ফুল ফোটে
পদ্ম।
গাইতে হয় না সাতকাহন,
দেদার জনগন ছুটতে তাদের
পিছ্ন।
মিটিং মিছিল ধ্যুতরি ছাই-
পাশ সবাই জানে,
ধরতে বল সবই জায়স
প্রেম কি বা রাজ
রণে।
হা!হা!হা!


আমার লেখা "খেয়াল ১৫ তম পর্বে" প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার কমেন্টের জবাবে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কোতল


আই বুলবুল দ্যাখ কি কয় দিদিমুনি বোঝেই না,
কোতল কি কয় আজ দুনিয়ায়
শনশনা গনগনা।
ঘ্যাচ করে প্যাচ চাক্কু চালাই দিলই নলি কেটে,
মা বলতে রা পাবে না-এইটা
কোতল বটে।
বু্ঝলে দিদিমুনি।
আজ দুনিয়ার কোতল চলে
চাক্কু চলে শন শনা শন,
দুধের খোকাও চাক্কু চালায়
ট্রাম বাসেতে দে-
দ্যানাদ্যান।
তাই বলি কি জনগন
চক্ষু মুদে সদাই রন,
নইলে কোতল হতেই জবাই
কালক্ষেপেই
কতক্ষণ।
ঠিক কইছি নারে বুল।


প্রিয় কবি ইবনে মিজান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কোথায় আছেন?" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ডুমুর ফুল


রে বুলবুল কই গেলি রে
ভোটের প্রচার চলছে জোর,
নেতা সেতা বাড়ি বাড়ি
করতে চলে করজোড়।
বাই বিনতি শান কান্তি
মধুর রস পরছে চুই,
দিচ্ছে কথা হরেক রকম
প্রতিশ্রুতির বন্যা বই।
ধরলি বুলি শিষটি তুলি
বলতে কি-রে চাসরে বুল,
ওহো! ঠিক বুঝেছি ঠিক বুঝেছি
ভোটের পরেই ডুমুর ফুল।