বিকাল ৫/৩৪ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২৪ নং কবিতাটি, "দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদ্দি গাহে পাখি"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ "দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদ্দি গাহে পাখি"


দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদি গাহে পাখি
ক্লান্ত বায়ু না যদি আর চলে-
এবার তবে গভীর করে ফেলো গো মেরে ঢাকি
অতি নিবির ঘনতিমিরতলে।
স্বপন দিয়ে গোপনে ধীরে ধীরে
যেমন করে ঢেকেছ ধরনীরে।


যেমন করে ঢেকেছ তুমি মুদিয়া-পড়া আঁখি,
ঢেকেছ তুমি রাতের শতদলে।


পাথেয় যার ফুরায়ে আসে পথের মাঝখানে,
ক্ষতির রেখা উঠেছে যার ফুটে,
বসনভূষা মলিন হল ধুলার অপমানে,
শকতি যার পড়িতে চায় টুটে-
ঢাকিয়া দিক তাহার ক্ষতব্যথা
করুণাঘন গভীর গোপনতা,
ঘুচায়ে লাজ ফুটাও তারে নবীন ঊষাপানে
জুড়ায়ে তারে আঁধার সুধাজলে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ  "দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদ্দি গাহে পাখি"
"দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদ্দি গাহে পাখি"


দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদি গাহে পাখি
তাই কি চাওয়া গহন মনে
মিলতে তোমার
আঁখি।
তোমার আঁখির কাজলধারায় স্বপ্ন অনেক বোনা,
ওষ্ঠ তোমার চাইতে ভূমে
হীরক মোতি
সোনা।
দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদি গাহে পাখি
রূপের সাগর তোমায় ঘিরে
ফাগুন ছবি
আঁকি।
তোমার জ্বালের প্রেমের গানে ভুলতে চলি ধরা,
আকাশ কুসুম হৃদ প্রাণেতে
অবাক মনো-
হরা।
পথ চেয়ে রই অলোক বিতান গুঞ্জে পরান মাতি,
নুপূর ধ্বনি তোমার চরণ
কামনাতে
আঁখি।
আঁখির পাতে ঢেউ খেলে যায় হীরক মালা শত,
হৃদ উছলে শুনলে সে রব
শান্তি প্রতি-
ভাত।
দিবস যদি সাঙ্গ হল, না যদি গাহে পাখি
তাই কি চাওয়া গহন মনে
মিলতে তোমার
আঁখি।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ
“The day is over”


The day is over and the birds stop singing
Now you have come into my mind,
My dear and the mind
Wishes to meet you.
I have a lot of dream with you
My darling.
You are like a diamond pearl and your
Lips are.
I find my dreamland into your eyes.  
You are the wonderful creature
Of the Earth.
I draw a lot of day dream with you and
Would like to flow away in love with you and
I find a lot of pleasure
To think of thy.
I begin waiting to heard the sound of your anklet
In my courtyard excitedly and
As soon as I could hear the sound
I come into calm in my heart
And soul.
I have a lot of dream with you
My darling.


দুপ্রহর ১/২৯ মিঃ পুনঃ রচিত হ'লো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২৩ নম্বর কবিতাটি, "আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার", কবিতাটি।


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-“আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার”


আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার,
পরানসখা বন্ধু হে আমার।
আকাশ কাঁদে হতাসসম,
নাই যে ঘুম নয়নে মম,
দুয়ার খুলি, হে প্রিয়তম,
চাই যে বারে বার।
পরানসখা বন্ধু হে আমার।


বাহিরে কিছু দেখিতে নাহি পাই,
তোমার পথ কোথায় ভাবি তাই।
সুদুর কোন নদীর পারে,
গহন কোন বনের ধারে,
গভীর কোন অন্দ্ধকারে
হতেছ তুমি পার।
পরানসখা বন্ধু হে আমার।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার”


আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার
দোলায় হৃদয় রুদ্র মেতে
সোহাগ খোলে দ্বার।
আজি ঝড়ের রাতে তোমার গোপন
অভিসার।
আজ রিম ঝিম ঝিম বাদল বাজে গান,
আলিঙ্গনে আজ বিতানে
এলাম তোমার
প্রাণ।
রক্ত জাগে পিয়াস লয়ে তাল,
আজ সে ধরা লজ্জা তোমার
গাল।
বিহগ কূজন লাজ সে হ'ল গীতি,
ভূষণ আমার প্রেম সে
পরিনতি।
লজ্জা তোমার সজ্জাতলে আজ,
বেসুর হ'ল স্বপ্ন প্রমের
সাঁজ।
প্রেমের ডিঙা মিলল মিলন ভেরী,
অভিসারের আস্তিনেতে জড়িয়ে
তোমায় ধরি।
প্রলয় বাজে রুদ্র বীণা লয়,
উছাল সাগর প্রেমের
পরিনয়।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ এইরূপঃ
“You are with me on abroad”


You are with me on abroad in journey of love
In this stormy night and both we us
Are overwhelmed and both of us are
Out of control.
The rain is falling continuously
With the great melody
Rim Zhim Zhim.
Your chin has became red
In shy.
As I embraced you in love
To break your shyness.
It is the most romantic moment
In our life.
Today we are going to mature our love.
In such a romantic climate
Around us.
The long fly has come to an end today
We are going to get the
Ultimate significance of love.
You are with me on abroad in journey of love
In this stormy night and both we us
Are overwhelmed and both of us are
Out of control.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয় নদীর কাব্য দ্বিতীয় পর্ব", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দিব্যধারা”


দিব্যধারা অজয় নদ রূপ বাহারি শোভা,
জলের ধারা বইতে নদী রঙ সে
মনোলোভা।
দিব্য ভূমে যুগ যুগ যুগ দিব্য প্রাণের দান
মাতামহী অজয় নদী তার সে
অবদান।
জলের ধারায় মাতিয়ে ভুবন দিব্য কলরোল,
মধুর বাণী বঁধুর কাঁখে কলসের ওই
দোল।
দুই পারে কাশ-বনের সারি হাওয়ায় তারি বোল,
ওই পারেতে শ্মশান ঘাটে রব সে
হরিবোল।
গোরুর গাড়ি পাড় হয় তার হাটুখানিক জল
গাঁয়ের মানুষ হাসে খেলে খোকাখুকির
দল।
বর্ষাকালে গাঙের জলে দুই পার তীর ভাসে
চর এর বালু ওই পারে ওই এই পারেতে
আসে।
বসন্তে সে তির তির তির ক্ষীণ সে জলোধারা,
দুই পারেতে চিক চিক চিক ধরা
বালুর চরা।
ধন্য নদী স্মৃতির প্রাণে কবির দেশের রাজ
অঙ্গ ভাঁজে রূপ সে গ্রামে অজয়
নদীর সাঁজ।
দিন মানেতে অজয় জলে ধবল বকের সারি,
নৌকা চলে বৈঠা জলে ছলাৎ ছলাৎ
বাড়ি।
রাতের কালে আর মনোহর স্নিগ্ধ মনোরম,
চাঁদ জ্যোসস্না অজয় জলে মিলতে
অবিরাম।
সূর্য ওঠে প্রভাত মেতে অজয় নদীর জলে,
দিন মান রব হই চইতে পার সে
কথা বলে।
অজয় মোদের গ্রামের শান ধন্য মাতাময়ী
গীত সে তার গাইতে সুধা আজ সে
আমি গাহি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৯৪", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“দেবা”


মহান তারা ধন বল নয় হৃদয় কমল কথা,
দেশ মানেতে মহান ধরায়
লিখতে কত-
কথা।
আভিজাত্যে গোলাপ রাজা সুঘ্রাণ তাহার গান,
জুই শিউলি পলাশ টগর
মন্দিরেতে
স্থান।
ওইখানে মন হৃদয় দ'লে পূণ্য পাপের হিসেব চলে,
নাই কারবার ধন ব্যাপারীর
ধনের মালার ধান্য
তলে।
জীব সনাতন ধর্ম জীবের ধরতে জীবের সেবা,
ধন সে বনিক পিছেই রয়
দরবেশই
দেবা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অতি-অতি মতি-(ব্যঙ্গ)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আহা! জীবন মেতে ধন সূর্য প্রতাপ অতিশয়,
দম্ভ মেতে নাচলে ধরা-পতন হবেই
ধায়।
একদা সে বৃটিশ রাজ অংসুমানের ছিল বাড়া,
শোষণ আর বঞ্চনাতে-অত্যাচার
সীমাহারা।
সেই ফাগুনে জ্বালল আগুন সাধারণের প্রাণ মিতালি,
অহিংসা আর সত্যাগ্রোহে-লাথ খেয়ে শেষ
দূর হলি।
পাক বাহীনি বাংলা মায়ের হরণ করে সুধা,
জয় মুজিবের হর হর বোলে;
জাব্বাস রফিক আর বরকত
ছিনিয়ে আনে
স্বাধীনতা।  
দেশ বিদেশের ইতিহাতে পতন আছে লেখা,
বাড়লে অহং অহংকারের-মানপত্রে
পতন দেখা।
অহং মেতে গড়তে ধরা নাই রে দিশা নাই,
মিটবে নিশাণ পতঝরেতে
অন্তে হবে ছাই।
তাই কি বলি মিলতে প্রাণে ভালোবাসার সন্দেশে,
প্রেম প্রীতি আর মানব গানে
আত্মশ্লাঘায় না
মেতে।


প্রিয় কবি রণজিৎ মাইতি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "একদিন চলে যেতে হবে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“হলাহল”


গুঞ্জনে প্রাণ কৃষচূয়ায় গহীন ভালোবাসা,
দিন হতে দিন মাস বৎসর
দৌড়ে ভেগে আসা।
আশার তরী বেদন শত কান্না ঝরা প্রাণ,
ধন বল মান-আসয় বিষয়
হলাহলের গান।
রিক্ত ধরা নাই মেদিনী-নাই নাই হৃদ ধরে,
প্রেম পিরিতি বিরহ জ্বালা
সারা জীবন জুরে।
শান্তি কোথায় একটুক নাই অনেক অনেক চাই,
যা পেয়েছি রত্তিখানিক-সুখের দিশা
নাই।
আর ননদি হিংসা দ্বেষে পরান কেন মিলা লি,
রইতে না কেউ ভবের দুয়ার
সবাই পুতুল খিলাড়ি।
খেলার শেষে হুইশেলেতে শ্মশান বাড়ির দিশা,
ধন বাঢ় সুখ সব পড়ে রয়
আঁধার তমানিশা।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শালংকারা নারী", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“শাক চুন্নির ইতিকথা”


শালা আর বলব কি!
শাক চুন্নির ইতিকথা,
শাল কুঞ্জে ঘুরতে সেদিন
শালির সাথে হটাৎ
দেখা।
শন শন তার গতি রে ভাই
শঙ্খ মত নাদ!
শাল বনেতে বেড়ায় উড়ে
শব্দ নিনাদ ভাবি মনে, হলাম
বরবাদ।
শাপ যদি দেয় ভাবি মনে
শঙ্কা জাগে প্রাণ,
শঙ্খ চিলের মতোই যদি
শুলে চরায়
জান।
শুখনা ছিল সেই দিনটা
শব্দ করে হটাৎ বারি,
শালির ডানা ভিজে চুপ
শালা, বেঁচে গেছি বড্ড
ভারি।


প্রিয় কবি শ  ম শহীদের আজ প্রকাশিত "ভালবাসার অনাসৃষ্টি", কবিতার উত্তরে একটু আগেই কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হায় রে! বিয়েবাড়ির গল্পখানি
থেকে থেকে চুলকানি,
হায় রে হায়! মতিভ্রম!
গাইতে সেই গান-
খানি!
তাই কত্তা বিয়ের ভোজ
বড্ড কড়া অতীব মানি,
মানীজনের পুঙ্গ ধরি
হেতাক কেমন
টানাটানি।
অহন দিনে ম্যাক আপেতে
যারে দেহি হেই পরী,
তাই বলে কি সাদীসুদা
থোরাই অদের পায়ে
পরি।
হেই কত্তা! বুঝিলেন
কী?


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
(আজকের পর্বটি প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তেইশের এক চাঁদনী বসন্ত রাতে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা)
"সুতনয়া"


সুতনয়া, এ জীবন নশ্বর
একদিন চলে যেতে হবে এ ধরনীর ওইপারে,
জীবনে ঘাত প্রতিঘাত প্রতিকূলতা,
প্রতি পদে আছড়ে পড়তে থাকে,
আজ যা মোহময় স্বর্ণকমল লতাসম
কাল কালের দোষে বানের স্রোতে ভেসে যায়।
লহুতে ভাসে অঞ্চল, সিক্ত হয় মেদিনী।
সুতনয়া মনে কি পরে সেই দিনের কথা,
যেদিনি হাসি উল্লাসে মাধবিলতা আমারের জীবন,
সুখের প্লাবণে ভেসে গিয়েছিল বসুন্ধরা,
কোকিলের কুহু তানে ভরে গিয়েছিল
জীর্ণ পর্ণ কুটির।
স্বপ্নালোকে দেবারতি সম পারিজাত কাননে,
পুষ্পে পুষ্পে হেসে উঠত অলির গুঞ্জন
অমৃত বইত ধারা।
তারপর সেই ঘন তমানিশা,
ঘন আঁধারে ঢেকে গেল বসুন্ধরা,
কালবৈশাখীর তান্ডবে ছিন্নভিন্ন হল
পর্ণ কুটিরে এক একটি তূণ।
সুজন মাঝির সোনার বৈতরণী
আবেশে আকৃষ্ট হলে তুমি।
হলাহলে ভরে গেল স্বর্ণ কুটির
স্বপ্ন সন্ধানে তুমি ছেড়ে গেলে ধরিত্রী।
ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত হৃদয়ে অনেক
অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছিল আমার।
ঘন তমানিশায় ঢেকে গিয়েছিল আমার অঞ্চল।
আজ তুমি এক আকাশ বেদনার ঢেউ,
আজও মলিনতা গ্রাস করেনি আমার হৃদয়।
সুতনয়া, তাহলে কি ফিরে যাবেনা,
তোমার স্বর্ণ নিলয়ে।
স্বর্ণ কমল সোনার তরী সুজন মাঝি,
সুতনয়া বেলা যে বয়ে যায়।
তাহলে কাঁদ, চিৎকার করে কাঁদ সুতনয়া,
তোমার হৃদয়ের সমস্ত বেদনা
চিৎকার করে কেঁদে বিলীন করো সুতনয়া,
একটি নতুন ঊষার সঞ্চার হবে ধরা।
ভৈরবে ভেসে যাবে সুজন মাঝির
সোনার তরী আর লললার ক্ষেত্রভূমি।
সুতনয়া কাঁদ, কাঁদ, সুতনয়া,
চিৎকার করে কেঁদে ওঠো
আজ।