প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অমর একুশে ভাষা দিবসে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জয় জয় জয় বাংলা মা,
জয় জওয়ানের ভূমি,
আগুন লাগাই তাদের দেশে
কাঁড়তে যারা
বানী।
কন্ঠ মোদের রুদ্ধ করে
পরান বাঁধে শৃঙ্খলে,
তাদের মোরা দেইনা ক্ষমা
মাতম মানাই যুদ্ধ
খেলে।
ও মা'গো সোনার ভূমি
সবার দেশের সেরা,
সন্তান সব হীরের গড়া
বীরের মুকূট
পরা।
দে না মাগো একটি রব
পরান ঝরায় দি,
দুঃখে যে তোর হৃদয় কাঁদে
কৃপাণ তুলে
নি।


4/47  8


রাজার মতো বেশে তুমি সাজাও যে শিশুরে,
দেখতে কি পাও পথের ধূলায় কতই শিশু লুটায় রে।
নাই তো ধরা বেশ তাহারা খাদ্য কণা খুটে,
লুটায় তারা অবহেলে রয় যে তারা ফুটে।
দুঃখ কি প্রাণ জুড়ায় নাকো হৃদ কি পাষাণ তব,
খেদ কি দিয়ে পরান কাঁদে শ্মরণ করে ভব।
অবহেলায় অনাদরে ঘুরতে তারা দ্বারে দ্বারে,
হিসেব কি তার রাখো! জ্বলতে পরান ভবের দোরে
কান্না কি গো মাখো!
নাই দিলে দান দাবব মানি মানবতার নাই ঠিকানা,
ভবের দেশে অনেক পেলে চক্ষু দুটি করলে কানা।
ওরে কানাই কি দিলি তুই মানবতার সাঁজে,
ধন দিলি তুই দুহাত ভরে, মন দিলি না লাজে।
তোর কি ধরা অন্যায়েতে বইতে চিরকাল,
বঞ্চনা আর শোষনেতে কাঁটতে হেতায় তাল।
তাল দিলি রে তাদের ধরা ফুটপাতে কি যায়না চোখ,
দুঃখ কানাই তোর ওই গড়া, গড়তে এমন
ভবলোক।
আজ রে কানাই, কানায় কানায়, পুর্ণ আমার মতি,
আজকে তোরে শাণাই বাণে-তুই রে
মন্দ অতি।


7/02 9
আজ আমায় আমি নিজের শিরে
বইব না, আমার শিরে শিয়র থানে
তিনি স্বয়ং, আমি কইব না।
কইব না , কইব না , কইব না।
কইতে গেলে পরান মণি
ব''কিই শুধু তারে,
ফরমান সে হাজার ধরে
দাড়াই তারি
দ্বারে।
কান্না ঝরা সেই কাহিনী,
যেথায় যখন হৃদ সে শুনি
কইতে তারে কান্না ঝরে,
ঝাকাই তারে বারে বারে,
হৃদয় আমার দেয় যে দোলা,
ভব সাগরের
পারাবারে।
কইব না, সাজায় ডালি দুঃখ দ্বারে
তারে আমি কইব
না।
অনে কাঁদাকাদির শেষে,
অরূপ রতন তাহার দেশে
ভাসতে আমি কালো,
হে ঈশ্বর পরান পাতে
গা না'রে তুই
আলো।
রোজ কি লাগে ভাল,
দিতেই তোকে সন্দেশ,
আজ ভেসে যায় তোর সে ধরা
প্রান্ত সে প্রান দীনের
বেশ।
বেশ তো আছিস, ব্যস্ত আছিস
ধন গলিতে পাল তুলে ঐ,,
তোর সোপানে কান্না কানাই
গাইতে সে প্রাণ
হিংআ ও দ্বেষ।
আজ রে কানাই শুন রে তুই
তোর দ্বারেতে আর না মুই,
তোর দেশেতে বঞ্চনা আর
শোষক ধরে, কান্না পভু
রবেই তুই।
তোর জমানা আজকে নিব
শাসন ধরার ভার রে, ।
দেখিয়ে দিতেই কোন সে রবে
ভাসিয়ে দিতেই দেশ
রে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "স্তব্ধ করে মন!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেকা কবিতা।
“জয় ধ্বনি”


হেই কবিটা কাঁদছে রে বুল,
সান্তনা দে না অরে,
আজ দুঃখ ঘুইড়া ফেরে
মা জননীর দ্বারে
দ্বারে।
ব্যঙ্গ কইরা হেলার পো
লিখলো শতেক গাঁথা,
তাই কি রব জয় ধ্বনি রে
আর দিশাতে কবির
হোতা!
চার দিশাতে ঢোলক বাজে
ব্যঙ্গ রাজে আজি,
মুই তো মারি চটকামারি
হেলায় যেন
কাজি।
কাজ নাই তো গড়তে চলি
কাব্যগাঁথায় মাল্য রে,
তুই বুলবুল হিতাক বারি
কলম কবির মান্য
রে।
তাই কি কই সেলাম কর
আজ কবিরে প্রণাম কর,
আমরা কানাই আমরা ফলে
একটু খানি সবুর
ধর।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নির্ভেজাল বাংলা বলো!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে একটু আগেই লেখা কবিতা।
“নানার কথা”


নানার কথা বলব কি!
নাপিত নানার কাটল নাক,
নানা দিল মাথায় বাড়ি
নানা বাজায় দিল
ঢাক!
নাচতে ছিলাম তা ধেই ধেই
নানার নানা রঙ্গ দেখে,
নানার সাথে দৌড়েছিল
ন'টা কুকুর
একসাথে।
নাই কাম এই গল্প বলি
নানার চোনা চাঁই ছিল,
নানি তখন ডাবের জলের
নানার বাসন খুঁজ
ছিল।
নানার চোনা বাটিত ছিল
নানি ভাবে ডাবের জল,
না'রে বাবা দেয়নি মুখে
নানায় দেবে, প্রেম সে
ঢল!
নানা তো ভাই ভালই ছিল,
নানির প্রেমই বাঁধল সাধ,
নানার চোনা নানাই খেল
নাপিত ছেড়ে নানির
ফ্যাসাদ।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৯১", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আজ ধরা সে অন্ধ মতি
চোখ থাকতে নাই,
এমন ধরা কেনই গড়া
গড়তে রে
কানাই।
কান কি তোর হলোই কালা
শুনতে কি তুই পাস না'রে,
কেমন ধনী ধন বার তার
আর দরবার দুঃখ
দ্বারে।
তুই কি কানাই রব সে কালা,
আলোক বাতি যন্ত্রণায়,
হিতাক বারি চোখের জলে
ফুট সে পাতে কান্না
বয়।
জানিস তো রে সবই তুই
তোর ধারাতে উঁচু নিচু,
বিভেদ গড়ে বড়াই করিস
জনে জনে মাথা
পিছু।
তোরে কানাই আর না পুঁজি,
খোজ রে আজ আপন দ্বার,
তোর দোরেতে আর না ভাগি
না করবো দর-
বার।