(আমার বাড়ির একজন সদস্য কাল সন্ধ্যা থেকে নিখোজ, থানা পুলিশ দৌড়াদড়ি চলছে। তবে খেয়াল সিরিজের পাঠকূলের কথা মাথায় রেখে মাঝে মাঝে এসে লিখে গেছি, এবং প্রকাশও দিলাম। আমায় ভুল বুঝবেন না দয়া করে। আজ সারারাত সবার কবিতা পাঠ করবো)


সন্ধ্যা 3/33 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 39 তম কবিতাটি "জীবন যখন শুকায়ে যায়" কবিতাটি।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


জীবন যখন শুকায়ে যায়
করুণাধারায় এসো।


সকল মাধুরী লুকায়ে যায়,
গীতসুধারসে এসো।


কর্ম যখন প্রবল-আকার
গরজি উঠিয়া ঢাকে চারি ধার,
হৃদয়প্রন্তে হে নীরব নাথ,
শান্তচরণে এসো।


আপনারে যবে করিয়া কৃপণ
কোণে প'ড়ে থাকে দীনহীন মন,
দুয়ার খুলিয়া, হে উদার নাথ,
রাজসমারোহে এসো।


বাসনা যখন বিপুল ধুলায়
অন্ধ করিয়া অবোধে ভুলায়
ওহে পবিত্র, ওহে অনিদ্র,
রুদ্রআলোকে এসো।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"জীবন যখন শুকায়ে যায়"
"জীবন যখন শুকায়ে যায়"


জীবন যখন শুকায়ে যায়
রুদ্রবীণায় তান সে প্রবল,
রক্ষ পুরে নিনাদ ঘন
ঘাত প্রতিঘাত দিতেই
ছোঁবল।
গরল বাতাস দৃষ্টিকোণে
মাতাল বায়ু বয়,
থর থর থর কাঁপতে ধরা
হৃদ প্রাণেতে
সয়।
উছল লহর দৃষ্টিহারা
সুর সুরমার নাইকো গীতি,
হৃদ সে হারা পাগলপারা
ভীম সে মহা
রতি।
পলাশ বনে ফুল ফোটে নাই
কুসুম কলি শুস্ক হল,
কাঁদতে ধরা আপন যারা,
হটাৎ রবে দুরেই
গেল।
চাইনা তোমায় তুলতে টেনে
ভিক্ষা শুধু চাই,
মুষ্টি ধরা শক্ত হৃদে
বলটি শুধু
চাই।
মু্ষ্ঠি ভরে ভিক্ষা দানে
বিন্দু জলের কণা,
চাইনা তোমার চাইনা স্বজন
চাইনা আপন
জনা।
জীবন যখন শুকায়ে যায়
রুদ্রবীণায় তান সে প্রবল,
রক্ষ পুরে নিনাদ ঘন
ঘাত প্রতিঘাত দিতেই
ছোঁবল।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
I need you my lord but an alms


When heart goes in pain and curse everywhere
Each and everything is out of order;
The giants are attacking wildly
To hit the blow and they
Want to cheat
Life.
When I see myself in sorrow
The darkness covered
Each and every field of life,
And all goes far and far away,
I feel shivering the life
With the extreme fear and
Anxiety,
I do not want you, my lord
I don't want to come out
Such a situation
By pity given by you.
I would pray to you to give me
An alms, a little, a little
Strength of my
Soul.
I do not want my near and dear,
Anyone, in this globe and even
You, my lord
Who by their pity pull me out to
Such a situation.
I am able to come out of it
By the strength of my heart and
Soul and the knowledge that I gathered
To voyage the life.  
Oh my lord, none is needed,
I can, I can
I am an able person
To sail the life.
Oh my lord, please give me an
Alms.


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আছে, তবু নাই-(ব্যঙ্গ), কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
এই যে মশাই


এই যে মশাই আপনি কষাই
পড়বো না আজ কাব্য,
ভান্ড জ্ঞানের ফুঁরবো না আজ
আজি হবিতব্য।
নোটিশ বিনে কামাই করেন
চিন্তা কি রব হয়না হৃদ,
কি'যে ভাবেন আপনি আমায়
ভাবেন কি সুহৃদ!
ক'দিন ধরে ভাবনা মনে
আমি আর বুলবুলি,
কি ভাবনাই করলাম যে
তীক্ষ্ণ ব্যথার সুর তুলি।
গরল বাতাস মন সে ধেয়ে
মন্দ কি'বা ভালো,
আকাশ রবে হৃদ প্রাণেতে
শাণিত যেন কালো।
হে ভগবান রব তুলে সে
কুশল কামনায়,
কান্না ঝরা হৃদ যেন প্রাণ
কেমন অন্যায়।
হেথায় বারিক সুহৃদ জনে
রাখতে ধরে হৃদে,
আর কখনো কক্ষনা না
যেতেই নোটিশ বিনে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয় নদীর বাঁকে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মন হারিয়ে পথিক ভোলা”


আহা! মন হারিয়ে পথিক ভোলা
অজয় নদীর পালকি তোলা,
হারিয়ে সে পথ আকাশ নদে
হৃদ প্রাণেতে দেয় যে
দোলা।


দ্যোল দুলানি অজয় রানী
রূপের শোভা মন মাতানি,
কল কল জল লহর ডাগর
মন্দ স্রোতে বইতে
পানি।


সে পথ বাড়া জাহ্নবিতে
মন নদীতে প্রাণটি মেতে,
আকাশ প্রদীপ জ্বালিয়ে হৃদে
অবাক চেয়ে
রই।


শাল পিয়াশাল রাশির মেলা
স্নিগ্ধ জলের আলোক ধারা,
গাইতে সে গান রবির দেশে
প্রাণটি ভুলে
সই।


আজ দখিনা হাওয়ায় মেতে
চলনা সখী অজয় ঘাটে
পরাণ মাঝি দ্বার খুলে দে
আজকে সাঁজের
বেলা।


আজ প্রেমেতে অজয় মেতে
হৃদয় সনে হৃদয় গানে
ফল্গুধারা বইতে প্রেমের
সাক্ষী অজয়
নদ।


আজ তুলেছি পালকি জলে
আজকে পরাণ অজয় জলে
আজ পরিনয় আজকে প্রনয়
অজেয় পানি
কোকোনদ।


প্রিয় কবি রেজুয়ান চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমি আজ কবি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
ও সজনি


ও সজনি সাঁজখানি সেই রূপের যেন অরুপ ধারা,
তোমার হৃদয় আকাশ ফাগুন
দেখলে তোমায়
বাক্যহারা।
ও সজনি মুখখানি তোর চন্দ্রমুখী দুঃখে কাঁদে,
সাগর ভাসায় চোখের জলে
তোর সে রূপের
ফাঁদে।
ও সজনি টোলপরা গাল মিষ্টি তোর ওই হাসি,
তরঙ্গেতে ঢেউ খেলে যায়
তোকেই অনেক ভাল
বাসি।
ও সজনি অঙ্গে অঙ্গে, ঢেউ তোলা তোর আকাশ ছোঁয়া,
স্বপ্ন মহল রঙ মেখে যাই-হৃদ মনেতে খুশির
হাওয়া।
ও সজনি চরণ খানি রক্ত রাঙ-আ পলাশ বকুল,
পাইতে তোরে হৃদয় দোরে
প্রাণটি আমার সদাই
ব্যাকুল।
ও সজনি দে না খুলে আজ আমারে পরাণ তোর,
আজ ফাগুনে লাল আগুনে
আনতে প্রাণে ঊষার
ডোর।


প্রিয় কবি মিলেট্স মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লুপি লুপি কুচকা(ছন্দ নিয়ে খেলা) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মদন খূড়োর গল্প”


মদন খূড়োর গল্প শুনে হৃদপ্রাণেতে জল সে নাই,
ধিতাং ধিতাং রব ওঠে যে,
রাত বারোটায়
রোশনাই।
জ্যান্ত খূড়ো খুমের ঘোরে নাচলে শিয়র থানে,
ঘুম কি আর বাচ্চা পোলায়
সুর ধরা সেই
গানে।
গনগনে লাল চক্ষুগুলি গোলার মতই জ্বলে,
হাউ মাউ খাউ দত্যি বোলে
হল্লা তুলে বলে।
ঘার কাঁমরে দাত বসিয়ে চিঁবিয়ে খেতেই পোলাপানে,
ঘুমাও সোনা চট জলদি নইলে
ছুটে আসবে
প্রাণে।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "করছি জোগাড়" কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।
“চাহিদা”


রে বুলবুল কুড়াল নিয়ায়
কবির বড় চাহিদা,
মারতে মূলে সজোর বলে
নাচ রে আজি তা ধিন
ধা।


তাতা ধিনা ধিন ধিন ধিন
শিষ বাজা রে গন গনা গিন,
আজিকে নাগিন বধ হবে রে,
পার হব রে সকল
বাঁধা।