দুপ্রহর 3/45 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 54 তম কবিতাটি “
"তোমার কাছে চাই নি কিছু" কবিতাটি
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


তোমার কাছে চাই নি কিছু,
জানাই নি মোর নাম,
তুমি যখন বিদায় নিলে
নিরব রহিলাম।  
একলা ছিলাম কুয়ার ধারে
নিমের ছায়াতলে,
কলস নিয়ে সবাই তখন
পাড়ায় গেছে চলে।
আমায় তারা ডেকে গেল
"আয় গো, বেলা যায়'।
কোন আলসে রইনু বসে
কিসের ভাবনায়!  


পদধ্বনি শুনি নাইকো
কখন তুমি এলে!
কইলে কথা ক্লান্ত কন্ঠে  
করুণ চক্ষু মেলে-
'তৃষাকাতর পান্থ আমি'-
শুনে চমকে উঠে
জলের ধারা দিলেম ঢেলে
তোমার করপুটে।
মর্মরিয়া কাঁপে পাতা,
কোকিল কোথা ডাকে,
বাবলা ফুলের গন্ধ ওঠে
পল্লীপথের বাঁকে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"তোমার কাছে চাই নি কিছু"
"তোমার কাছে চাই নি কিছু"


তোমার কাছে চাইনি কিছুই
না ধন না বাঢ়,
চাঁদ রবি বা জ্যোছনা আলোক
মুক্তো হীরে উপহার।
সোনার রথে সাঁজিয়ে ডালি
বকুল ফুলের ঘ্রাণে,
চাইনি মানিক রতন অঢেল
চাইনি তো মোর প্রাণে।
দূর গগনে নেই তো লগন
আকাশ নীলিমায়,
সাগর লহর উছল ধারা
প্রাণের সীমানায়।
চাই যে আমি পর্ণ কুটির
হৃদয় মনোকাশ,
উড়তে হৃদয় প্রেম গরিমায়
সুঘ্রাণ তারি বাস।
নিবাস আমায় দাও গো সখা
অন্তর প্রাণ মন,
চাইনে মানিক চাইনা রতন
তোমায় আরাধন।
দাওনা সখা হৃদয় নীলে
মিলতে দিতেই প্রাণ,
হৃদয় ঢেলে প্রাণটি মিলে
ভালোবাসার গান।


আমার করা লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
I asked nothing from thee


I asked nothing from thee
I don't ask for a lot of money
No jewellery and diamond or
Gems.
I do not asked thee
These in turn may give me
The fragrance of richness, may
I glitter like flower with these
Jewellery and gems.
I do not asked thee to fly
Up above the sky high and
Ocean of abundance to sail life with
These fragrance.
I asked the cottage of love from thee
I would like to fly
Into your heart and soul
I asked for love from thee
Love and the Love
O dear lovely.
I would like to love you.
I like the fragrance of love
Mine and thee in that lovely cottage.
Nothing will be needed
Besides love.
Love me, Love me and
Love me and let me to
Love thy.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাংলা মা'কে ভালবাসি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


প্রণাম মাতে


প্রণাম হে মাতা বঙ্গভূমি,
প্রণাম মাতে,
জয় মুজিব জয় বাংলা হৃদয়
প্রাণোকাশে।
মা কি রঙ্গ হেরি,
মা তোরে সেলাম করি,
তোর ওই সোনার ভূমি,
লক্ষ শহীদ মা
জননী। জঠর গরবিনী।
মা তোর গর্ভে রই,
স্বর্ণসোহাগ হৃদ প্রাণে বই,
সোনার ক্ষেত উজল ধারায়,
মা তুই শ্রেষ্ট ধরায়
প্রাণের সীমানায়।
মা তুই সালাম রফিক,
মা তুই সাহস প্রতীক-
গরিমাতে নেই
মানা।
মা তুই ফল্গুধারা
মা তুই হরিৎ হরা,
শ্যামল দেশের প্রাণ,
জন্মে হেথা গর্ব অতি-
তোর ওই
জয়োগান।


প্রিয় কবি চিত্ত রঞ্জন সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "একটা চাবি যদি পাই", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মিলনখেলা”


মহামানবের মিলনখেলায় মহাপ্রাণের ছল ছলনা,
মহাকালের ঘূর্ণিপাঁকে বাজিয়ে চলে
রুদ্রবীণা।
সুরের মিনায় উচ্চগ্রামে ফল্গু ধারা বইতে পরাণ,
কালের স্রোতে কাল বয়ে যায়-
লহরো উছল নাইকো
বিরাম।
জ্যোর্তিময়ী কৃষ্ণ কালো হৃদয় প্রাণে দ্বীপ সে জ্বালো,
অলকোগঙ্গা আলকো প্রভা-
বিভাভরীর তান
ফুরোলো,
তানপূরাতে তান সে ধ্বনি দিতেই তিনি আকাশবাণী,
জয় মাতাদি ধন্য তুহি-
পুর্ণ হল জয়
জীবনী।


প্রিয় কবি এম. ওয়াসিক আলি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মনের ঠিকানার খোঁজে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“পতঝর”


মরুঝর উঠিছে প্রাণ মাদল রুধিত গীতি,
আজিকে পরাণ অধোগতি প্রায়
প্রনয় বন্ধ্যা প্রীতি।
দিকে দিকে রব-নাই সে মানবো প্রেম,
রক্ষ বিতানে ধেই ধেই নাঁচ
রক্তের লেনদেন।
চিত্তকানন কলি নাই আজ-শুস্ক জীবন মতি,
পতঝর ঝড়, ওরে-বিহঙ্গ প্রাণ নাই
ডানার ঝটপটি।
উত্তাল আজিকে সাগরো দিশা সুনামিত অঞ্চল,
ভেসে যায় ভেসে যায় ওরে, বন্ধ্যা জীবন
তল।
আজ সোপানে কন্টক পথ রক্ত পদতল,
আজ সখী গান নাই যে ধরা
ব্যথার গহীন
তল।
পলাশ বকুল নাই সে দ্যোলুল লালের বাহার র্চ্ছটা,
মিশমিশে রঙ আঁধার কালো, বেণীর হাজার
জটা।
আজ সে আকাশ মুষ্টি ধরি শক্ত সোপান হৃদ,
আজ জাগিতে চিত্ত রবি-নহিকো
ভয়ভীত।
ঝর ঝঞ্ঝা বজ্র তুফান রণ সে প্রতিঘাতে,
লড়বো জীবন কঠিন সে পণ
অমর প্রতিজ্ঞাতে।


প্রিয় কবি মনোজ ভোউমিক (দুর্নিবা কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মায়ের মতো কেউ নেই এ ভুবনে", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ঈশ্বর”


কেউ নেই কেউ নেই কেউ নেই ভবে,
ঈশ্বর দেবাদেব তারে তুমি
পাবে।
হিল্লোলে বায়ুময় মমতার আধারেতে,
হাসি প্রাণ জয়োগান তারি দানে
জঠরেতে।
ক্রন্দনে দুখ প্রাণে অধোপথে যবে প্রাণ,
দিকে ধরা রক্ষ সে-চারিভিতে
শয়তান।
ধরা যবে দূরে যায় কেহ নাহি দৃষ্টিতে,
দুনয়ন ঝরে মাতা-অঝোরেতে
বৃষ্টিতে।
মাতাময়ী জয়োগান করে নাকো শয়তান,
তোহে মাতা পূজি দেব-গাহি তব
জয়োগান।


প্রিয় কবি ইবনে মিজান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "চোখে চোখ পড়েছে যখন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“ও সখী লো”


আহা! আহা! আজ বাদলে মন পুড়েছে
ও সখী লো তোমায় বলি,
কেমন করে শুনাই তোমায় জল কা পরী
কথাকলি। ও সখী।
ও সখী লো দেখলে তোমায়
হার হিম কাঁপা থর থর থর,
ও সখী লো দেখায় দে না
কোন দিশাতে তোর ওই
ঘর।
চরুই পাখি হলেম না হয়,
ঘুলঘুলিতে বাঁধবো বাসা,
ও সখী লো পুড়তে চলি
পেতেই তোর ওই
ভালোবাসা।
ও সখী লো আজকে দুয়ার
নয়ন তারা খোল না রে,
পাল তুলেছে হৃদয় আমার
আগুন ঝরা তোর ওই
রূপে।
আহা! আহা! আজ বাদলে মন পুড়েছে
ও সখী লো তোমায় বলি,
কেমন করে শুনাই তোমায় জল কা পরী
কথাকলি। ও সখী।


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আনন্দ পাঠ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"শিশুশ্রম"


পাঁচ বছরের আগে স্কুল নয় চলো স্লোগান তুলি,
শিশু কচি কাঁচাদের চলো আজি
দলে মিলি।
এক ব্যাগ বই খাতা ওজনটা ভাব কি?
কচিকাঁচা শিশুপ্রাণে বেদনার
ফুলকি।
প্রভাতের মৃদু আলো খোকাখুকি ব্যস্ত কি!
বই খাতা রোদনেতে স্কুল যেতে
বাসটি,
ঘন্টা সে পনের ঘুম লাগে শিশুদের
তিন পোয়া একদিনে  
হক তারি শিশুদের।


জান কি!
বিকাশেতে মানসিক বিজ্ঞানে বলে কি?


আরো চাপ প্রাইভেটে হোমওয়ার্ক গাদা গাদা,
গাধা যেন ধোবিরই সারাদিন ধরে
কাঁদা।
ঘুম নেই ঘুম নেই নাই কোনো খেলাধুলা,
পড়া পড়া পড়া পড়া নিত্য সে
সারাবেলা।
মানসিক বিকাশটা পেতে যদি চাও ভালো,
ঘুম আর খেলাধূলা দিও তারি প্রাণে
আলো।


প্রিয় কবি বিভূতি দাস মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কতটুকু (কাব্য কণীকা-৪)", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অম্লান”


এ আকাশ এ বাতাস এ সাগর ভূমি,
কোন সে ছলনা কোন সে রুপেরি
সংসার ডালা
মেলি।
দিয়েছো প্রাণ করিছো হরণ খেলাতে মাইয়া ভব,
দিবস রজনী উছলো এ ধরা
একি মতি তব
কলরব!
জাগিতে পরান ভালোবাসা হৃদ হরিতে কেন ভগবান,
কোন কি দান আছে ঝুলিতে তোহারি?
দিতে অম্লান।
রবিরো দিশাতে জ্যোছনা আলোকে ধরিতে আলোকো প্রীতি,
চকিত সে ঘাত, বাড়ি আঘাতেতে
জীবনো প্রদীপো
মিটি!
দিলে দিবি গান হাজারো বরষো নাহি ধরে হৃদ ক্ষেদ,
রন্ধে রন্ধে দিবি সে প্রাণ
স্বর্গ নরকো নাহি
ভেদাভেদ।


প্রিয় কবি সাবলীল মনির মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দাঁড়িয়ে থেকো",কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“পরিযায়ী”


জীবনে চলার পথে
কত সুখ দুখ
আসে,
তা'বলে সুখেতে
বিলায় ভুবন দুঃখে
পরিযায়ী?


সে জীবন জীবন নহে
যে নহে দুখে
অনুসারী।