দুপ্রহর ১/৩৭ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলী কাব্য মালঞ্চের ৫১ তম কবিতাটি "তখন রাত্রি আঁধার হল"


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ-


তখন রাত্রি আঁধার হল,
সাঙ্গ হল কাজ-
আমারা মনে ভেবেছেলেম
আসবে না কেউ আজ।
মোদের গ্রামে দুয়ার যত
রুদ্ধ হল রাতে মতো,
দু-এক জনে বলেছিল,
আসবে মহারাজ।
আমরা হেসে বল্ছেলেম,
আসবে না কেউ আজ।


দ্বারে য্ন আঘাত হল শুনেছিলেম সবে,
আমরা তখন বলেছিলেম
"বাতাস বুঝি হবে'।
নিবিয়ে প্রদীপ ঘরে ঘরে
শুয়েহিলেম আলসভরে,
দু-এক জনে বলেছিল,
'দুত এল-বা তবে'।
আমরা হেসে বলেছিলেম
'বাতাস বুঝি হবে'।


নিশীথরাতে শোনা গেল
কিসের যেন ধ্বনি-
ঘুমের ঘোরে ভেবেছেলেম
মেঘের গরজনি।
ক্ষনে ক্ষনে চেতন করি
কাঁপল ধরা থরঘরি,
দু-এক জনে বলেছিল,
'চাকার ঝনঝনি'।
ঘুমের ঘোরে কহি মোরা
'মেঘের গরজনি'।


তখনো রাত আঁধার আছে,
বেজে উঠল ভেরী
কে ফুকারে, 'জাগো সবাই,
আর না করো দেরি'।
বক্ষ-'পরে দু হাত চেপে
আমরা ভয়ে উঠি কেঁপে
দু-এক জনে কহে কানে,
'রাজার ধ্বজা হেরি'।
আমরা জেগে উঠে বলি,
'আর তবে নয় দেরি'।  


কোথায় আলো, কোথায় মাল্য,
কোথায় আয়োজন।
রাজা আমার দেশে এল
কোথায় সিংহাসন।
হায় রে ভাগ্য, হায় রে লজ্জা,
কোথায় সভা, কোথায় সজ্জা।
দু-এক জনে কহে কানে,
'বৃথা এ ক্রন্দন-
রিক্তকরে শূন্য ঘরে
করো আভ্যর্থন।


ওরে, দুয়ার খুলে দে রে,
বাজা, শঙ্খ বাজা!
গভীর রাতে এসেছে আজ আঁ
ধার ঘরের রাজা।
বজ্র ডাকে শূন্যতলে,
বিদ্যুতেরই ঝিলিক ঝলে,
ছিন্ন শয়ন টেনে এনে
আঙ্গিনা তোর সাজা-
ঝড়ের সাথে হঠাত এল
দুঃখরাতের রাজা।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"তখন রাত্রি আঁধার হল"


"তখন রাত্রি আঁধার হল"


তখন রাত্রী আঁধার হল,
নিদ্রাতে যায় রব,
জাগলো সবে হাহাকারে
দারুন কলরব।
নিশীথরাত শোনা গেল
কিসের যেন ধ্বনি-
হৃদ প্রাণেতে দুরুদুরু
কাল সে প্রহর
গনি।


উঠলো বেজে গর্জন সে
ছিন্ন হল মূল,
ধ্বংস পানে মাতলো ধরা
রব সে তুমুল।
ভাঙলো ঘর মারল মানুষ
ভগ্নী মাতা পিতা,
ধর্ষণেতে মাতলো পরান
যুদ্ধ কতকথা।


বায় বাঙালি মানব জাতি
কান্নায় প্রাণ ঝরে,
হাজার হাজার লাখে লাখে
রক্ত ঝরে মরে।
সেই দিনেতে হানলো যে পাক
হানাদারি নৃশংস,
মানবতার প্রাণ মারিয়ে
উদ্যত ধ্বংস।
বীর বাঙালি উঠলো জেগে
তরুন কি বা বৃদ্ধ,
ভগ্নী কি বা সহোদরে
সোপান তলে
যুদ্ধ।


বীর মুজিবে্র লক্ষ্যে মেতে
উঠলো জেগে প্রাণ,
গাইলো ধরা আকাশ রবে
স্বাধীনতার
গান।


রণ দামামা উঠলো বেজে
রক্ত দিতে দান,
বীর শহীদে যুদ্ধে মেতে
রব সে কলতান।
সেই বিতানে লিখতে গাঁথা
আজাদ দেশের বাণী,
ত্রিশ লক্ষ হেলায় প্রাণ
দেশের তরে
কুরবানি।


গর্বেতে প্রাণ লিখলো তারা
বীরের জাতি বাঙালি,
স্বাধীনতার আলোক ঊষায়
লিখতে চলি সেই
কাহিনী।


নিশীথরাত শোনা গেল
কিসের যেন ধ্বনি-
হৃদ প্রাণেতে দুরুদুরু
কাল সে প্রহর
গনি।


জয় স্বাধীন বাংলাদেশ
জয় বীর বাঙালি।
নমস্কার।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
Tis nighit dark


Tis nighit dark,
All were sleeping.
Suddenly they woke up
With loud noise.
All thrilled with
What the sound is!
All could heard the
Beat of their heart
With the terrible fear.
The roaring rises uphigh
The root of life torned out.
The raiders were brutal and
They jump in to destruct the
Bengali men.
They broke the houses,
The people and the life.
Sister mother, father
Rape rape, rape was going on
It was a war.
They killed the Bangalian
Tears and tears,
Blood float down like river,
On that day, attack that was the Pak.
The raiders was brutal,
They killed the humanity.
The mighty Bengalians woke up
Young or old,
Brother and sister
They went on war with the-
With the great inspiration of
Brave Mujib, the son of Bengal,
To get the independence.
They sung the song of freedom.
The song spreaded away and
The Bengjali came out to donate blood
Towards the  
Message in Azad,
Thirty lakh martyrs kurban their life
Without a hassitation.
For heroic nation.
They brought the Light of independence
Let me write the brave history of the
Bengal.


Joy independent Bangladesh
Joy hero bangali
Salute you.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অগ্নিশিশু সুভাষ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পরিচিতি


অমর সে নাম নেতাজী সুভাষ ভুলি নাই মোরা,
ভারত মায়ের সোনার সন্তান,
তুহি প্রাণ আঁখিতারা।
নিত্য দিনেতে ভারত মায়ের শৃঙ্খলে পরাণ হত,
তুহি সে বীর গর্ব বাঙালি
হয়েছিলে উদ্যত।
বীরের সে রব পুকারিল লহু বিনিময়ে স্বাধীনতা
হেলায় দ'লিতে প্রাণ সে ঝুলিতে
যুদ্ধের কতকথা।
সে ধ্বনিতে ভয়ভীত রাজ, কারাগারে নিক্ষেপ
রুধিতে সে প্রাণ করিতে হরণ,
নাই তাহে ভ্রক্ষেপ।
সে ধ্বনিতে জাগে বীরপ্রান সবে ভারত সে ভূমি,
রক্ষ দমনে রণ সে শমনে
আকাশ নিতেই চুমি।
দেশ হতে দেশ জাপান গ'লে গেয়েছিলে হিন্দ,
গড়িতে বাহিনী হরিতে ভূমি
গর্ব আজাদ হিন্দ।
আজি মাতি তোহে জন্মদিনেতে, গাহিতে বন্দনা গীতি,
তুহি সে পরান দামাল সে প্রাণ,
বিশ্ব জানিলো ভারতের
পরিচিতি।


প্রিয় কবি মনোজ ভোউমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এসো না আজকে সর্বান্তকরণে পূজি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ভাস্কর


এসো সবে আজি গাহি সাহস সে বীরগাঁথা,
কল্পনা নহে এতো-বাস্তব
ইতিকথা।
মহান সে বীর অতি সুবাসেতে ভরে প্রাণ,
নেতাজী সে বীরবর-চলো গাহি
জয়োগান।
প্রবাসেতে গড়িল সে আজাদের সেনাদল,
কহিল সে ভিক্ষাতে-নাহি লব
ধরাতল।
স্বাধীনতা কেড়ে নেব কি'বা রাজ ইংরেজ,
হুঙ্কারে রব ওঠে-আজ ছাড়ো
মোর দেশ।
আজাদের পতাকাতে-স্বাধীন ও স্বরাজ,
দ্বীপ দ্বয়ে মেলে দিতে, আপন সে
তারি রাজ।
জোড় করে আজি প্রাণ প্রণামেতে জুড়ি কর,
হৃদ প্রাণে বীর তুমি-অমলিন
ভাস্কর।


প্রিয় কবি আজগর আলী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিদ্রোহের হাহাকার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ইতিকথা


আসিতে হাসিতে হাসিতেছে সে ধরিতে কাব্যগাঁথা,
হেরিতে প্রাণেতে জীবনো দানিতে
লিখিতে ইতিকথা।
আলোকো দিশারী গগনো বিহারি নেহারি কায়া সে তারি,
ঘন পহ্লবো ঘন উছলো সাগরো
লহরো তরঙ্গ বারি।
স্নিগ্ধ জ্যোতি কায় অপরূপ মহিমায় গাহিতে সে গীতি,
আজিকে ফাগুনে পতঝর প্রাণে
দ্যোদুল দুলিতে মোতি।
ঝুলিতে আজিকে সঞ্চারি প্রাণ দৃষ্টি প্রখরো দিশা,
ঘন অঞ্জন কায়, ঘুচিতে নিমেষে
গহীনো তমানিশা।


প্রিয় কবি ড. শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "মনের জানালায় নিরাপদ নেট" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রোগ


ও কবি গো তোমায় সাধি, সাধ্য আমার নাই,
রাগ ক্রোধ আর হিংসা দ্বেষে
জর্জরিত সদাই।
ও কবি গো তোমার চরণ পূজ্য আরতি,
সেই দিশাতে ভাসতে পরাণ
বইতে ভারতী।
ভাব লেষ হীন চিত্ত মম-রতি আর সম্ভোগ,
বইতে প্রানে বিষয় সোপান
প্রান ধরা সে রোগ।
বইতে লহু কান্না ঝরা নিঃশ্বাসে মোর বিষ,
গরল বাতাস বইছে হৃদে
অহঃ অহঃনিশ।
আজিকে উদয় প্রাণ সে মেতে বুঝিতে তত্ব সার,
আজ ঝরেছে পত ঝরেতে
জীবন কাহন
দ্বার।


প্রিয় কবি ডা. প্রদীপ কুমার রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রাণ পাখি উপহার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কান্না


হায় রে! আর দু'বছর পর-আমার পঁচিশ হবে রে বুল-
বুলি তুই কোথায় গেলি,  
দেখ না বুল-গাইছে কবি-কেমন
তেমন কথাকলি।
না'রে বুল বুক দুরদুর হলকা বায়ুর বাণে,
হায় হায় হায়-এমন দশা
দিতেই ভগবানে।
কান্না পায় জানিস বুল-বুলি সেই রবধ্বনি,
বাপ রে বাপ-এমন বেজার
পঁচিশ এর ওই
কথাখানি।
তাও ভাল রে কাব্যে মাতি মারতে গুলি সংসারটা,
দিব্যি আছি ভালোই রব-পঁচিশ কিবা
পঞ্চাশটা।


প্রিয় কবি রণজিত মাইতি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ক্ষুদার সামনে দাঁড়ালেই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ক্ষুদা


ক্ষুদা মানে না দিক দিশা
দিগন্ত তার রবধ্বনি,
ক্ষুদার রাজ্যে দিবাকর মুদে আঁখি-
জ্যোছনার সুরোবাণী।
হায় রে ক্ষুদা হায় বসুধা
হায় রে কোকিল কুঁহু,
কি'বা প্রাণ রহে কাব্যেতে-
ধান্য ও গেঁহু।
ওইখানে কাব্য রুটি আর অন্ন,
গাহে পাখি গুঞ্জনে-
ওইখানে ধন্য।


প্রিয় কবি মোঃ আব্দুল কাদের মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মহাকবি মাইকেল" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সদ গতি


ভাবি তাই ইংরাজি
বাংলাজি ভাল
মতি,


কবি তায় কবিতায়,
ধরি প্রাণ অফুরান
বাংলাতে সদ
গতি।