(পারিবারিক বিপর্যয়ের কারনে রাত ১২ টায় প্রকাশ দিতে পারি নাই তাই আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী) রাত ২/৫৮ মিঃ আজ প্রকাশিত হল।


সন্ধ্যা 06/34 মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের 65 তম কবিতাটি "চাই গো আমি তোমারে চাই"।


“হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ”
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-


হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
কি অমৃত তুমি চাহ করিবার পান।
আমার নয়নে তোমার বিশ্বছবি,
দেখিয়া লইতে সাধ যায় তব কবি,
আমার মুগ্ধ শ্রবণে নীরব রহি
শুনিয়া লইতে চাহ আপনার গান
হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
কী অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান।


আমার চিত্তে তোমার সৃষ্টিখানি
রচিয়া তুলিছে বিচিত্র এক বাণী।
তারি সাথে প্রভু মিলিয়া তোমার প্রীতি
জাগায়ে তুলিছে আমার সকল গীতি,
আপনারে তুমি দেখিছ মধুরসে
আমার মাঝারে নিজেরে করিয়া দান।
হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
কী অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-“হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ”
“হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ”


হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
দিবানিশি নিশি দিন করো কি'বা
আরাধন।
জাগিতে এ হৃদ প্রাণে ধরা সুর গানে গানে
জপিতে সে গাঁথামালা হৃদয়ের
নিবেদন।
ওগো প্রাণ দিবাকর হিল্লোলে তব গাহি
তব পুরে ভরপুরে আমি কবি
অবরাহী।
চকিতে সে প্রাণে মিশে হারিয়ে সে সেই দেশে
নিমিলিত আঁখিপাতে বাজিতেছে সুরোধ্বনি,
প্রাণ মিলে যায় তোহে
গাহিতে সে
আগমনী।
তুহি প্রাণ ভাবধারা ভাবে সবে মোর গড়া
সঙ্গীত সুরোগাঁথা লিখনীতে সুধা
ঝরা।
হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
দিবানিশি নিশি দিন করো কি'বা
আরাধন।
ওগো প্রাণ প্রজাপতি গাহি গান তো'রি গীতি
সাধনাতে সাধ্য। তুহি প্রাণ তুহি গান
বাজে তো'রি
বাদ্য।
দামামা সে ধ্বনি শুনি আঁখিপাতে অলি গুনি,
বাসন্তি ফাল্গুনী, ভাবেতেই ভেসে গিয়ে
আনমনে তুলি
ধ্বনি।
নীখিলেতে নীখিলেতে তরঙ্গ যায় দুলে
হাসি গান কান্নায় প্রাণ তোহে যাই
ভুলে
ত্রীলোকের স্বামী তুমি ওগো মম ভূস্বামী
তব লোকে অবলোকে লিখে যাই
তোর'ই বাণী।
যেই ভাবে যেই রেখা, রেখা দিলি আঁকাবাকা
অনন্ত প্রাণে মেতে লেখনীর ঝর্নাতে
প্রাণামীতে তো'রি
আঁকা।
হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহ প্রাণ
দিবানিশি নিশি দিন করো কি'বা
আরাধন।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
O my lord


O my lord what are you playing with me!
Taking me as a doll
What do u want to
Serve.
You are singing the song to rouse the world
As they could realize the
The love.
I am playing just with your instruction
The poet I am.  
I  loss my consciousness  as an when you ask me to write
Your instructions at a stretch
As a poetry.
You create , you are the creater
All the world think that I am the
Writer.
You give me the tune  of my voice,
Yes yes, I pursuit you my best
To earn you,
The tune of my voice
O god all day and night I worship you.
The rhythm of your heart is
The music of my writings.
I lough I cry and sometimes
Float in air with the moments
When I write.
You are the lord of the entire Universe
and I am medium
For the expression of you.
As you like to, I write
My lord, Oh my lord.


প্রিয় কবি মোঃ জসিম উদ্দিন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "স্মৃতিচারণ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (গতকাল লেখা, প্রকাশ দিতে ভুলে গেছিলাম)


প্রান্তরে


ফুল ঝরে যায় ঘ্রাণ সে সুধা,
শুখায় কি রে অন্তরে,
সুবাস সে ঘ্রাণ বইতে চলি,
জীবন নদের
প্রান্তরে।
ঐ প্রান্তে জীবন ভবে,
আজ কি'বা কাল যেতেই হবে,
ডাক সেদিনের ফেলতে নারি,
জীবন নদে পরতে দারি-
শেষ হবে রে ঠিকাদারি-
ভব ঠিকানার
প্রান্তরে।
সেদিন কি'রে বাস সে রবে
হৃদ প্রাণের ঐ অন্তরে।
কেউ কি পরাণ ডাক দেবে সই,
আপন ভেবে
অন্তরে।
সেই দিশাতে গান বেঁধে যাই
আজকে হৃদয় পরাণ মেতে,
ডাক সে এলে ফেলতে নারি,
ভব সাগরের কালের
স্রোতে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্রভাত হাওয়া বয়", কবিতার উর্ত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


(এক প্রভাতে চা খেতে পার্কের পাশে রাস্তার দোকানে গেলে দেখতে পাই ঠিক আমার মেয়ের মত একই বয়সী একটি মেয়ে বস্তা নিয়ে ডাস্টবিন ঘেটে নোংরা প্লাস্টিক এটা সেটা তুলছে। আমার হৃদয়ে আলোরন তুলেছিল সে দৃশ্য। নির্বাক চেয়ে ছিলাম তার দিকে, দু-একজন সেকারনে বাঁকা চোখেও চেয়েছিল আমার দিকে, মুচকি হাসিতে কিছু বলতে চাচ্ছিল। খুবই লজ্জা লেগেছিল তখন। ঘটনাটি অনেক দিন আগের। কি চিন্তা করছিলাম তখন আজ কবিতাতে প্রকাশ দিলাম। )


কথাকলি


প্রভাত হাওয়ায় মন ভেসে যায় ধরতে মনের কলি,
গুঞ্জনেতে জাগলো প্রভাত-প্রানের
কথাকলি।
চাইতে দিশা স্নিগ্ধ আলোক পথের পানে চেয়ে,
আকাশ রবে কান্না জাগে-দুচোখ
ধারা বেয়ে।
ফুটফুটানি রানীর সে সাঁজ বস্তা ধরা আস্তিনেতে,
পথের সে ধূল উড়িয়ে খোজে
ডাস্টবিনেতে দস্তাবেজে।
চাইতে পরাণ কন্যা সে মোর চিত্তে এল ভাবনাতে,
গরল বাতাস ঢেউ খেলে যায়
হৃদয় দুয়ার
আঙ্গিনাতে।
দুর বহুদূর হারিয়ে গেলাম চাইতে সে প্রাণ দেশের তরে,
মাংস পোলাও কোপ্তা সে গোস্ত-
গিলতে পরাণ হৃদয়
ভরে!
আর পারিনে হৃদ সে বুলি সহ্য কি আর হয় তাতে,
পণ ধরিনু প্রাণ সে দিব-তাদের দিশায়
আজ হতে।


প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অনুকাব্য (১৩৬) পথের সাথী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(গতকাল লেখা, প্রকাশ দিতে ভুলে গেছিলাম)
সাঁজ


এমন কি আজ হতে ধরা-ক বুলবুল আজ,
হিংসা ঝরা আজ দুনিয়া, প্রেম ধরা
কি সাঁজ!
আজ পরাণ কপট ছল দিন দরিয়া গরল মাতে,
প্রেম কলি সে কৃষ্ণচূরা, আজ বয়ে যায়
মো্হনাতে।
সেইখানে জল খর অতি, লবন ধারা বহে,
আজ কলরব মিথ্যে কলা, ভেক সে
হৃদে কহে।
জান জানেমন আর রাত্তির কাল সে তো কাল সাপ,
ধন গরিমায় চলতে ধরা, আস্তিনেতে
পাপ।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৬৯" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বিচরণ


জ্ঞানের ভান্ডার হন যিনি তার পরিশীলিত আচরণ,
বিপদ আপদ দুঃখ সুখে-
একই সে হাল
বিচরণ।
গাইতে ধরা উছল রবে দীন সে গরীব জনে,
ধন্য ধরা প্রাণ সে দানে-সাধ্য
কি আর মানে?
দীন দুখিনী সাগর ভেলায় দিবস অবসান,
গাইতে তিনি গর্ব হৃদে-মানবতার
জয়োগান।
কি হবে বুল আজ ধরাতে কাল কি জানে কেউ,
কলকি টানে রব জবানে-বন্ধ হতেই
ঢেউ।
তাই তো মাতি হৃদ সে মোতি দুঃখ সোপান তলে,
জোড় করেতে গাইতে সে গান
প্রাণ ফাগুনের
বোলে।


প্রিয় কবি ডলি পারভীন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত অণু কবিতা ২৯ এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বাজি


তুমি চাইলে গরল পানি,
খাইতে আমি রাজি,
চাইলে তুমি পাহার কু'দি
জীবন রাখি
বাজি।


চাইলে তুমি পাহার নদী
ঝাপ দিতে প্রাণ আজি,
চাইলে আগুন প্রমাণ দিতে
কইল যদি
কাজি।


তোমার প্রেমে পাগলপারা
সত্তা আমার নাইকো কিছু,
জনম জনম তোমার আমি,
চলছি সময় আগু
পিছু।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "টাকা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ব্যথা


ঠিক বলেছো ঠিক বলেছো গান গেয়েছো কবি,
ভাবছি তাই আসরেতে-বকরা বলির
কেনই হ'বি।
তাই কি কাজ নাই কোনো কি সকাল থেকে রাত,
পৌষ ফাগুন শীতের দিনে পাইসা বিনে
বাত।
বাত তো হবে বলছে রে বউ সকাল থেকে চেয়ার ধরা,
আজ ভাবিনু কয় তো ঠিকই-ব্যথা কেন
কোমর ভরা।
তাও কি সাহেব পারবো কি আর ছাড়তে কাব্য গাঁথা,
বলতে কি আর থামতে পারি-গাইতে
মনের ব্যথা।
তাই বলি কি চিন্তা ধরুন দু'চার ট্যাহা গল্প গাজন,
নইলে পরাণ কোতল তলে, গিন্নি আমার
নিবেই জান।
নমস্কার।