সকাল ১১/৪৪ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৯৬ তম কবিতাটি


"যাবার দিনে এই কথাটি"
রবিঠাকুরের লেখাটি এইরুপঃ-


যাবার দিনে এই কথাটি
ব'লে যেন যাই-
যা দেখেছি যা পেয়েছি
তুলনা তা নাই।


এই জ্যোতিঃসমুদ্র-মাঝে
যে শতদল পদ্ম বাজে
তারই মধু পান করেছি
ধন্য আমি তাই-
যাবার দিনে এই কথাটি
জানিয়ে যেন যাই।


বিশ্বরূপের খেলাঘরে
কতই গেলাম খেলে,
অপরূপকে দেখে গেলেম
দুটি নয়ন মেলে।


পরশ যাঁরে যায় না করা
সকল দেহে দিলেন ধরা।
এইখানে শেষ করেন যদি
শেষ ক'রে দিন তাই-
যাবার বেলা এই কথাটি
জানিয়ে যেন যাই।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"যাবার দিনে এই কথাটি"


"যাবার দিনে এই কথাটি"


যাবার দিনে এই কথাটি
বলে যেন যাই,
মুগ্ধ আমি জোড় করেতে
গান সে তারই
গাই।


তার সে সুরে মাদল হাওয়ায়
তার প্রেমেতে ধন্য ধরায়
ধন্য জীবন
তাই।


মুগ্ধ আমি ভব দরিয়ার
গান সে তারই
গাই,


পুঞ্জে পুঞ্জে ফুলের দ'লে
গাইতে সে গান গগন তলে,
দ্যোদুল দোলা দুল দুলেছি
ভব সাগরের
সংসারে।


আকাশ বাতাস সাগর নদী,
মন মিতালি হাওয়ায় মেতে,
মেলতে ডানা আকাশ অনেক
কনক ধারা সোনার
ক্ষেতে।


গাইতে রবি জ্যোছনা আলোক
বিহঙ্গের ওই কলতান,
প্রাণ ভুলে সে হৃদ মেতেছি
গাইতে উদার গাইতে সে
গান।


আকাশ ফাগুন রঙ-এর মেলায়
বসন্তের ওই স্নিগ্ধ ভেলায়,
সেই গাঁথা প্রাণ লিখতে ভুবন
তার সে রূপের সাজে্র
ডালায়।


যাবার দিনে এই কথাটি
বলে যেন যাই,
মুগ্ধ আমি জোড় করেতে
গান সে তারই
গাই,


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
On the day of parting


On the day of parting,
Let me say these words,
Oh lord, I am very pleased,
And I have sung your songs
Like birds.
I got myself in your love
To be extremely happy
I love, love you
God.
I have sung the flowers, I sung the sky,
I have got pleasant air,
I found the peace
In my mind  and my
heart.
In the ocean of life.
The sky the sea and the river
Has given me  
Great rhythm in life.
And I have played with
The golden field of farm
With that rhythm.
I have sung the sun, the moon
With its glory divine.
I got myself as a bird
To sing these songs.
I have gone through the vigorous colours
In the sky and the spring,
To write my life.
That is marvelous gift to me
Given by you.
On the day of parting, these words
Let's say,
I'm fascinated to do so.
I love, love you
God.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অজয় নদীর কাব্য" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গরবিনী


গরবিনী মাতাময়ী অজয় সে জলোধারা,
নদী প্রাণ গ্রাম মোরা, হই দিন
মাতোয়ারা।
চঞ্চলা নদী বহে বুকে ধরে গাঁথা ক্ষণ,
নজরুল জয়দেব ভান্ডারী
লক্ষ্ণন।
তোহে মাতা পূজি মহি,মহিমায় অপরূপ,
কুলুকুলু জলোধারা-প্রশান্ত হেরি
রূপ।
শুভ্র সে বলাকা সে প্রভাত ও সাঁজকালে,
সারি সারি কূলে তোহে,খাদ্য সে
সুরে ভোলে।
আমি কবি গাহি গান মল্লার দেশ চলে,
মাঝি আর তরী বেয়ে-প্রাণ যাই
নিজ ভুলে।
বঁধু কাঁখে ধীর মতি পানি জল আছিলায়,
যুগ হতে যুগ পার, দিন সে তো
বয়ে যায়।
গাঁথা শত গেঁথে প্রাণ কবিদল দলে মাতে,
তোহে পূজি কর জোড়ে-আজি মাতা
প্রণামেতে।


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের "অজয় নদীর কাব্য" কবিতার উত্তরে ওনার কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মিলন ধারা


আজিকে প্রভাত গগত তলে বইছে আলোক ধারা,
পুঞ্জে পুঞ্জে গাইছে অলি-স্নিগ্ধ সুরের
মিলন ধারা।
আজ সেদিনের সুবাস মাখা জীবন জয়োগান,
আজ ধরাতে পা রাখিলেন-কাব্যতারা
লক্ষ্ণণ।
শুনলো প্রহর মধুর রসের-মূর্ছনা রব তার ওই ধ্বনি,
আজ আসরে মুগ্ধ মোরা-প্রণাম জানাই
হে গুণী।
গনগনিয়ে শন-শনিয়ে লিখতে চলো রবির দিশা,
তোমার লেখায় চমক বারি-আনন্দে বহে
দশটি দিশা।
আজ তোহাতেই প্রাণটি মেতে গাইতে সে গান রব,
হাজার হাজার বরষ ভুবন- তান সে
কলরব।
জন্মদিনের প্রভাত আলোক মুক্তো হয়ে ঝরুক প্রাণ,
হাজার বছর করতে অমর, গাইতে সে গান
ভগবান।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৬৫" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কদর


অন্তর যার শুদ্ধ চিত্ত ধন কিবা দরকার,
মানব প্রেমে তার জীবনী-
আলোক একাকার।
মুষ্ঠি ভরে ভিক্ষা করে জীবন আলোক দানী,
পুষ্প হয়ে ঝরতে ধরায়-তাহার
কুরবানী।
নকুল দানা হরির লুটের লুটেরা নেয় মান,
দেশ খুবলে নাঙ্গা করে
কে দেয় তারে
সম্মান!
পালকি করে হালকা হাওয়ায় দোলেন দ্যোদুল দুলে,
কেউ রাখেনা কেউ রাখে না-
মরলে যায় রে
ভুলে।
প্রাসাদ তলে পাষাণ বেদি লিখতে তারি ইতিকথা,
জ্ঞানীর কদর আকাশ চুমে,
হাজার বরষ-রয় যে
লেখা।


প্রিয় কবি শ. ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মেঘ সন্নাসী” কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সই


অমন কেন তুলছো রব
চাইতে দিশা আকাশ পানে,
দোল দুলানি হৃদয় আমার
ভুলতে আজি তোমার
গানে।
প্রেমের কানন ফুটতে কলি
ভ্রমর অলি গুঞ্জনে,
ব্যথায় পরান আমার কাঁদে
সঙ্গোপনে ওই
বিজনে।
আজকে মাদল উঠল বেজে
ঝঙ্কারেতে তানপুরা ওই,
গাইতে আজি প্রেমের ভুবন
হাতটি আমার ধরতে
সই।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পাটের বিবি! প-বর্গ (ব্যঞ্জন বর্ণ) কবিতার উত্তরে লেখা কবিতা।


প-বর্গ


পালায় তুমি ভাবছো দিশা
পাবে নাকো কোথা!
পা'বন্দি করবো রে সই
পাইলে তোমার দেখা।
পালক তোমার কৃষ্ণচূরা
পাইতে তোমায় নাগড় ঘুরি,
পাবদা মাছের ঝর্ঝরা ঝোল
পাইতে তোমায় আকাশ উড়ি।
পাইসা খানা সেই উড়ালাম
পাইতে রে সুখ সখী,
পালাইস না'রে অমন দূরে
পার করে রে আমায় দুখী।
পাল তুলে ওই দখিন বায়ে
পালকি করে আনুম ঘরে,
পাইলি কিনা মোর জবানী
পাত কূয়াতে ডুবিস
না'রে।