রাত ১১/১৬ মিঃ ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন রূপে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের "ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু" গীতিকাব্যটি গীতিকাব্য রূপেই।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপ
  
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু,
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু।
এই-যে পথ থরোথরো কাঁপে আজি এমনতরো
এই বেদনা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।
এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু,
পিছন-পানে তাকাই যদি কভু।
দিনের তাপে রৌদ্রজ্বালায় শুকায় মালা পূজার থালায়,
সেই ম্লানতা ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।


আর আমার লেখাটি এইরূপ।
"ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু"


ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু, এই রাহেতে জীবনপথে
ভুল দিশাতে বইতে কভু,
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।  
নিশান পথের উড়িয়ে ধূলো-আকাশ যদি হলোই কালো,
পত ঝড়েতে হারিয়ে পথিক
ক্লান্তি সোপান তল,
নিভু নিভু প্রাণের দিশা-গহীন কালো তমানিশা-
ঢাকতে আকাশ প্রাণোকাশে বাদল মেঘের
ধরলে তান;
কুঞ্জবিতান পরাগ হারা-করুণ সুরের গান।
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু,
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু।
অনেক ঘাতে সংসারেতে হারিয়ে পরাণ জীবন খাতে,
সইতে যদি নাই বা পারি
বিহগ কলতান;
ক্লান্তি ধরা আলোক হারা গগন ধরি গান।
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু।
কোকোনদ্রের দল ছুটে যায়
গোলাপ বকুল ঘ্রাণ সে হারায় প্রানের কিনারায়;
ভ্রান্ত জীবন ক্লান্ত প্রাণ কান্তি ধরা পাগলপারা
প্রাণের আঙ্গিনায়।
ক্ষমা কোরো, ক্ষমা করো প্রভু,
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক (দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লাটাই ঘুড়ি ও সম্পর্কের সূতো" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তমানিশা


এই তো জীবন সবাই নিজেতেই মশগুল,
দুনিয়াদারির জঞ্জালে প্রাণ
ধরতে দিশা দূর সে
কূল।
ঝড় ঝঞ্ঝা বজ্র তুফান উছল ওঠে আঁধি,
নিত্য সে ঝড় সামলে চলি
জন্ম নিরবধি।
সুতোর টানে হাওয়ায় উড়ি লাটাই পেঁচান তিনি,
মায় মানবের সৃজন থান-ওপার ভবে
থাকেন যিনি।
অনেক যোনি পার পারাবার মানব জনম হেথা,
তাও বুঝিনে রব ধ্বনি তার
সৃজন ইতিকথা।
উল্লাসে প্রাণ মাততে চলি আন্ধারের ওই অন্ধ গলি,
বিষয় আসয় ধন পারাবার-ক্রোধ কামনা
কথাকলি।
হ্যাচকা টানে কাটেন তিনি ভব পারাবার চলতে দিশা,
আঁধার আলোক দূর করে সে-গরল প্রাণের
তমানিশা।


প্রিয় কবি সমীর পামাণিক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নলেন গুড়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লখা কবিতা।


রসে বশে


অমৃত বিষ মিলিয়েই আধুনিক জীবন প্রাণ,
জীবন সরণিতে গান গেয়ে যায়
হাজার শতেক
শয়তান।
বাসা আর বাসা নাই আশা সৎ কাম,
ধরাতলে আজ মোহ মাক্কারি
কালোধন।
প্রেম প্রীতি ভালোবাসা দূর আজ অস্ত সে,
গরল আর বিষ ভাপে আজ ধরা
রসে বশে।
মৃত্যু সে বয়ে চলে নিরভেতে নির্ভিতে,
কটু প্রান আজি ধরা লেখা লাখ
শত ইঁটে।
বিহঙ্গ কাঁদে প্রাণ আজি ধরা চৌদিকে
প্রতি পলে প্রতি খাতে জীবনের
রং ফিকে।
হিল্লোলে দুল্লোলে বায়ু আজি দোলে নাকো,
মরন আর জীবনটা আজ ধরা
ছোট সাঁকো।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অন্ধবিশ্বাসীর আত্মকথা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জাগ না মা


হায় রে হায় পরাণ যায় মর্ম যায় মরিয়া,
পাতার পরে কাতার ধরি জীবন ধরে
পড়িয়া।
দে না কালি মাতা মোদের পয়সা ট্যাহা করি,
জোড়া পাঠা দিলাম বলি-ব্যাবাক
ভক্তি ধরি।
বাবার নামে জপ করি রে নিত্য সকাল দুই বেলাতে,
ভোগের পায়েস কতই দিলাম, হায়রে মা-রে
দুই হাতেতে।
মুষ্ঠিতে মোর মন্ত্র দিছে তন্ত্র দিল তান্ত্রিকেতে,
রুদ্রাক্ষের মালাও দিল মন্ত্র পড়া
তাবিজ বিছে।
গ্রহশান্তি রত্ন পরি বাবায় দিল চারখানি,
দিলাম ধরে হাজার পচিশ
চার আনা নয়
আট আনি।
তাও কেন রে টানাটানি ফুটফুটানি জাগ না মা-রে,
মন ভরে তো দিলাম করি মাগনা তো আর
চাইছি নারে।
একবার নয় দুবার নয় দিলাম মা বারে বারে,
ওঝায় দিলাম ভুত তাড়াতে হাজার দুয়েক
আমার দ্বারে।
ঘর হতে ভুত তাড়াই দিল ঝাটায় দিল রগর ভাল,
তাও জাগে না কপাল কেন তমস ঘেরা
রাত্রি কাল।
কোন ঠিকানা এবার দিশা বোল্লাকালি হল্লা বোলে,
কুম্ভমেলায় ধরবো এবার ন্যাংটা ওই
নাগার কোলে।
কুষ্টি বিধান করতে এলায় ধরবো এবার নাঙ্গা সাধু,
মন্ত্র তন্ত্র তুক তাকেতে খাবই এবার
ধনের মধু।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "পৌষ সংক্রান্তি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ক্রান্তি


সংক্রান্তি শহরেতে হেলায় বিকোয়,
দোকানিরা থরে থরে লাভ গুনে
ঘরে নেয়।
পিঠে পুলি ঘরে নয় দোকানেতে ভারি ভীড়,
টাকা আছে বন্যায় বানানো সে
ঝক্কির।
নাই মহা ধুম হেথা হিসেবটা রাখে নাকো,
ঘরে ঘরে ক্রান্তি, ধুম হেথা
পাবে নাকো।
আহা! ইংলিশ কালচার ধুম হেথা বড়দিনে,
নেচে গেয়ে খ্রীশমাস কেক হয়
বিকিকিনে।
সনাতনি খ্রিস্টান হিন্দু সে রর তোলে,
পশ্চিমী হাওয়ারই নাচে গানে
প্রাণ ভোলে।
মকর কি কুম্ভ নাই হেথা বাড়াবাড়ি
কেহ নাই কেহ নাই যায় কেহ
কারো বাড়ি।
ধূম্র কি জ্বাল বোনে সীমারেখা এঁকে এঁকে
সর্পিল দুরুহ-জীবনেতে
পাঁকে বাঁকে।
ভাবি প্রাণ গাঁয়েতেই শহরটা ছেড়ে দি
কভু যদি ত্রাণ মিলে বইব সে
ভবনদী।