রাত ৯/৩০ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের লেখা "খেলা" কাব্যটি


রবিঠাকুরের লেখাটি এরকম;
খেলা


এই জগতের শক্ত মনিব সয় না একটু ত্রুটি,
যেমন নিত্য কাজের পালা তেমনি নিত্য ছুটি।
বাতাসে তার ছেলেখেলা, আকাশে তার হাসি,
সাগর জুড়ে গদগদ ভাষ বুদবুদ এ যায় ভাসি।
ঝরনা ছোটে দূরের ডাকে পাথরগুলো ঠেলে-
কাজের সঙ্গে নাচের খেয়াল কোথার থেকে পেলে।
ঐ হোথা শাল, পাঁচশো বছর মজ্জাতে ওর ঢাকা-
গম্ভীরতায় অটল যেমন, চঞ্চলতায় পাকা।
মজ্জাতে ওর কঠো শক্তি, বকুনি ওর পাতায়-
ঝড়ের দিনে কি পাগলামি চাপে যে ওর মাথায়।
ফুলের দিনে গন্ধের ভোজ অবাধ সারাক্ষণ,
ডালে ডালে দখিন হাওয়ার বাঁধা নিমন্ত্রণ।


আর আমার লেখাটি এইরূপ;
খেলা


দিবানিশি বিধি পরাণ পিতা
মাতিলো নানান রঙ-এ,
ঢেউ এ সাগর লহর দোলায়
বিবিধ তেমন
ঢঙ-এ।
খেয়াল তারি বিভিদতায়
দুঃখ সুখের লহর তানে,
ভব দরিয়ায় দেখান খেলা
মিহিন সুতোর দারুন
টানে।
টানাটানির এই জগতে
মাপেন তিনি নিক্তিতে ওই,
বাজার দড় মেপে মেপে
ধরেন তিনি উড়ো
খই।
হরেক কিসিম মালমসলায়
মানুষ গড়া কাজ যে তারি,
পাপের ঘড়া ভরলে গরল
পাঠান তিনি যমের
বাড়ি।
সেই দিনেতে খুলতে খাতা
পূণ্য পাপের হিসেব ধরা,
নিক্তি মেপে চালান করেন
স্বর্গ কিবা নরক
পোড়া।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "কবির সম্মান" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (আমার লেখা কবিতাটির গতকাল প্রথমাংশ প্রকাশ দিয়েছিলাম, আজ দ্বিতীয়াংশ সমেত পুরো কাব্যটি প্রকাশ দিলাম। দ্বিতীয়াংশ আজ লেখা)


মান দিলে দাও তারে


মান দিলে দাও তারে হৃদয় মন্দিরে,
যেথা ধাম ঈশ্বর্,প্রাণ মোর
বন্দিরে।
ঘন ছায়া স্নিগ্ধ সে অপরূপ ধাম সেতো,
রচে যান নিত্য সে কবিতায়
শত কত।
তারি বুলি তারি রব ঘন্টি সে বাজে ধ্বনি,
ভাব ধারা গতি লয় তারি বাণী
হৃদে শুনি।
নাই মোর সত্তা সে ডুবে রই তারি ভবে,
পলে পলে তারে মিলি অনুভবে
অনুভবে।
দিও তারে দিলে মান সবাকার হৃদে যিনি,
সুর তাল ভাব লয়ে বাজে রব
রিনিঝিনি।
জোড় করে ঈশ্বরে সবে মোরা জ্বালি দ্বীপ,
আলোকেরি ঝর্ণাতে চলো, ধরি তারি
সঙ্গীত।


আজ ধরা অগ্নিতে লহুস্রোতে ভাসে ধরা,
পূব কিবা পশ্চিমে, উত্তর দক্ষিনে
নাই নাই নাই-নাই প্রাণ
মনোহরা।
আজি হৃদ রুদ্ধ সে হতাসার গহীনেতে,
বিহঙ্গ কলরব-সেথা বিঁধা তীর
বুকে।
কাঁদে প্রাণ বসুমাতা নিহারি সে নাফ নদী,
শরনাং গচ্ছামি-বুদ্ধের বাণী
নীধি।
আজ মসি অসি তোল লিখিতে সে রব ধ্বনি,
আকাশেতে বাতাসেতে-এনে দিতে
মৌসুমী।
তব হৃদ মহানতা প্রতি প্রাণে প্রাণে চাহি,
আজি প্রাণ মর্মরে-জোড় করে
আজি গাহি।
দিও তারে দিলে মান সবাকার হৃদে যিনি,
সুর তাল ভাব লয়ে বাজে রব
রিনিঝিনি।
জোড় করে ঈশ্বরে সবে মোরা জ্বালি দ্বীপ,
আলোকেরি ঝর্ণাতে চলো, ধ্বনি তারি
সঙ্গীত।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বীর সন্ন্যাসী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


উন্মেষ


এক সে নরেন সন্নাসী বীর উদিত মানব ভবে,
জয়ী সে ধরা ধর্ম তারা
মানবতা অনুভবে।
জীবে দিতে প্রেম কহিলেন চরাচর বিশ্ব,
দানিতে সে জ্ঞান শিকাগো সম্মেলন
দিলে্ন ধারাভাস্য।
ভেসে যায় ধরা সনাতন প্রেমে জাগিতে হৃদয় গাথা,
গাহিলেন তিনি বিশ্ব অপরূপ
ধর্মের ইতিকথা।
বহু ধর্মের মাঝে মিলন সঙ্গীত গাহিলেন প্রেম প্রীতি,
বাঁধিতে সকল ধর্মের বীণ-রজ্জুতে
সম্পৃতি।
আজি ধরা কাঁদে জাত জালিয়াতে ধর্মেতে বহুধা,
হানাহানি টানাটানি-লহুস্রোতে ভাসে
মাতা বসুধা।
আজিকে গাহিতে তোমারি গীতি কবিতায় গাহি গান,
হে বিবেক আনন্দ ধরা-মহাপ্রান অতি
মানবেতে করো
দান।


প্রিয় কবি মোঃ নিজাম গাজী মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত কবিতা "পাগলা ঢেউয়ের মেলা" কবিতার উত্ততে কথপোকথনে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।


সুতোর টান


হৃদয়ের গহীন তলে সেই করে
জীবনকে ওলটপালট।
তার তরঙ্গ লহরেই বয়ে
যেতে হয় তরী,
তার ঈশারাতেই জীবন ওঠে মধুময়
অথবা পঙ্কিল তমস
ঘন ধরি।
দিবানিশি তারে নিত্য পূজিনু
কূজনে গাহিনু গীতি,
চঞ্চল মম চিত্ত মাঝারেতে তার
পরিচিতি।
হাসিতে গাহিতে ধরিতে ফুলিতে
ডালিতে তাহারি সাজি,
মূরত মাটিরো ঢেলাতে রয়েছি
তিনিই কাজের
কাজি।
উড়েছি গেয়েছি কেঁদেছি বহিতে
জীবনেতে রণে,
ফেলেছে তুলেছে মেলেছে ডানা
সুতো টেনে
টেনে।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের একটু আগেই প্রকাশিত কথা অমৃত-১৫৪ কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দিশা


যে জন সাগর উচ্চ রবে ধরতে কালের গাথা,
তাল মিলে ওই সময় কালে
লিখতে ইতিকথা;
তার দ্বারেতে পূণ্য জমা হাসতে আকাশ রব,
তার দুয়ারেই লক্ষ্মী মাতা
বসত করেন ভব।
যে জন ঞ্জানি পূণ্য ধরে আকাশ ধরে কাল,
লক্ষ্মী বাঁধা তার দুয়ারেই
জানবে চিরকাল।
যে জন মূঢ় সময় কালে রচতে থাকে যতি,
নাই সে রব লক্ষ্মীছাড়া
করুণ পরিনতি।
তাই কি বলি সময় ধরে ভাঙ্গতে তমানিশা,
আজ আগুয়ান হও রে সবে
ধরতে কালের
দিশা।


কবি মিলন মেলায় যেতে পারি নাই। দুলাইন ফোনে শেয়ার করবো বলে লিখেছিলাম। ফোন ও করেছিলাম সৌহার্দ্য বিনিময়ের তরে তবে ফোন পাই নাই। এখানে সে কলি প্রকাশ দিলাম।


অপরূপা


যদিও বা নেইকো সাথে
হৃদ প্রাণেতে বইতে রই,
জাগুক দিশা অপরূপা-
সম্মেলনে কবিতারই।


প্রিয় কবি জসীম উদ্দীন মুহম্মদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমাকে নিয়েই যতো ভয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অপরাধ


রে বুলবুল কয় কি-রে ভয় ধরিলে প্রেম কি হয়,
বুকের পাটা রাখতে সিধা
যোগ ব্যামেতে
ঠান্ডা রয়।
শিষ দিয়ে বুল বলিস কি-রে প্রেম ভাবনায় গাইছি কলি,
তুই তো শালা হটাৎ প্রেম
ধরতে চলিস চিপা
গলি।
বলছি আমি প্রেম সে হৃদ গহীন তলে বইতে রয়,
যেমন রাধা করলো প্রেম যুগান্তরের
ভাবনায়।
নাই বা পেলাম কথাকলি নাই বা সাধ্য সাধ,
প্রেম ভাবনায় মজতে ভাই-নাইকো
অপরাধ।