লতিকা প্রকাশনীর বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ-এর যে গীতাঞ্জলি বইটি আমার কাছে আছে তার ৯২ তম লেখা রবিঠাকুরের "একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ" কবিতাটি দুপুর ৩/৫৫ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক লিখিত হল।


রবিঠাকুরের লেখাটি এইরূপঃ-


একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ,
পড়িবে নয়ন-'পরে অন্তিম নিমেষ।


পরদিনে এইমতো পোহাইবে রাত,
জাগ্রত জগত-'পরে জাগিবে প্রভাত।


কলরবে চলিবেক সংসারের খেলা,
সুখে দুঃখে ঘরে ঘরে বহি যাবে বেলা।


সে কথা স্মরণ করি নিখিলের পানে
আমি আজি চেয়ে আছি উৎসুক নয়ানে।
যাহা কিছু হেরি চোখে কিছু তুচ্ছ নয়,
সকলি দুর্লভ ব'লে আজি মনে হয়।
দুর্লভ এ ধরণীর লেশতম স্থান
দুর্লভ এ জগতের ব্যর্থতম প্রাণ।


যা পাই নি তাও থাক্,যা পেয়েহি তাও,
তুচ্ছ ব'লে যা চাই নি তাই মোরে দাও।


আর আমার লেখাটি এইরূপ
একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ,


একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ,
হরিতে পরাণ জীবন তলে
প্রাণোবায়ু নিঃশ্বেষ।
সুললিত ধ্বনি রিনিঝিনি উঠিবে না ঝঙ্কার
পঞ্চ ভূতেরো সোপানো তলেতে
মিলেমিশে একাকার।
গাহিতে কূজন রবির গান জ্যোছনা আলোক ধরা,
রইব না তাও উঠতে লহর
গাইতে মনোহরা।  
ঝর্ণার তান বইবে বেগে আকাশ মেঘের সারি,
কিচ্ছুতে না কিচ্ছুতে না পরবে
নাকো দারি।
আয় সখী আয় মিলনমেলায় প্রাণটি উজার করি,
দে না আমায় প্রেম বাসনায়
হৃদ সে উজার ধরি।
শতদল দল খুলতে আজি সৌরভেতে দিক বিদিকে,
কান্না হরণ করতে দিশা টেনেই নিতে
উদার বুকে।
বসন্তের ওই রঙ সুরমায় ভাসিয়ে দে না জীবন তরী,
আজ সখী চল সদ্ভাবনায় জ্বালতে ধরায়
প্রেমের কুঁড়ি।


কবিতাটির ইংরাজিতে আমার করা অনুবাদ (যেহেতু অনুবাদ বৈধ এখানে) । কবি পরিচিতি তো জানাই আছে আপনাদের প্রিয় কবি।
One day it will be finished


One day it will be finished,
i will be taken by the almighty and
Have to die.
The sound of the sunny voice
Will not rise or grow Harmonious,
And my body will be blended
With the soil and other five creatures
That I made up of.
The sun will glitter and the moon will
Sing in light of light,waves will be flooded
Though no me here.
The fountain will flow with its speed
And clouds in the sky and nothing
Will be changed.
So I would request my sweet friends to broaden their mind
In the  get-together of the people
To spread love to human beings.
As like as as blooming petal of lotus
Along with the smell sweet.
To call her to spread herself with all the
Colors of the spring to rise love
In this World.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "kobita samragri" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কবি প্রণাম


এক সে লক্ষ্ণণ,ভান্ডারী-ভান্ডার  জ্ঞানের  আলো
কবিতায় কবিতায় দূর করে
পাপ কালো।
মধুময় বয়ে চলে ভাব ধারা কাল লয়
প্রণমি তোমারে কবি অন্তর
গীত গায়।
ছন্দেতে মেতে হৃদয়ের দেশে অমূল্য রচনা তারি,
ডালি সাজে অপরূপা আমি গুণ
কবি গাহি।
কভু ফাল্গুনী কভু বসন্ত কভু প্রতিবাদী যুগ যুগান্তকারী,
ভান্ডার জ্ঞানেরো দীপ্ত শিখা প্রতিবাদে
তরোবারি।
হে কবিবর প্রণমি তোহারে অন্তঃকরন সুধা,
তোমারি লেখাতে তোমারি কথাতে
ধন্য বসুধা।


প্রিয় কবি রেজুয়ান চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "সময়ের বিবর্তনে" কবিতার উত্তএ কমেন্ট বক্সে হিন্দিতে লেখা কবিতা।


সিতারা


পল পল বিত চালা যাতা হ্যায়
কভি রুখ না জরা,
একদিন বন জায়েঙ্গে হম-
আসমান কা
সিতারা।
মঞ্জিল ওহি হ্যায় পাতা নেহি কিউ,
শোচ মে আতা হি নেহি
সম্পদ আর হিনসা মে
বিখর রহতা
হুন।
পল পল বিত চালা যাতা হ্যায়
কভি রুখ না জরা,
একদিন বন জায়েঙ্গে হম-
আসমান কা
সিতারা।]


প্রিয় কবি সৌমেন বন্ধ্যোপাধ্যায় (পীযুষ কবি)  মহাশয়ের আজ প্রাকাশিত "বিবর্তন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সমতা


গেয়ে চলি গীত মাধুরী সঙ্গীত অবসানে কালো,
উদিবে কি রবি কিরণ কি দেবে
লাবন্য ধরা ভাল।
ধরিবে কি তান কূহক কলতান সবুজেতে ধরা,
আজি প্রাণ মর্মরে-সুর তাল
দূর হরা।
সুষম কি হবে প্রাণ জীবনের জয়োগীতে,
মাদল কি বাজে ধরা-আজি রণ
সঙ্গীতে।
ধরি প্রাণ ঈশ্বরে গাহি গান একতার,
মিলেমিশে ধরা গাবে-ধরা প্রাণ
সমতার।
আজি রোল তুলি তাই বিষন্ন সুরে ভেসে,
কবিতায় কবিতায়-দিবা রাতি
অক্লেশে।


শীতের কাব্য


রে বুলবুল শীত পরেছে লিখছে সবাই কাব্য গীতি,
পিঠে পায়েস পাটীসাপ্টার-সুবাস চল
প্রাণটি মাতি।
মাতলে হলো ঐ শিশুটার হার জিরজির কায়া ধরা,
হু হু করা চরম শীতে-প্রাণটা দেখ
কান্না ঝরা।
লিখছি আমি ঘেন্না লাগে নিজেই আমার নিজেকে,
বলছি মানুষ লিখছি গাথা-ব্যস্ত থাকি
সাজাতে।
তুই ও ভারি শিষ বাজালি ব্যঙ্গ কেন করিস ওরে,
নুন আনতে পান্তা ফুরায়-কি আর দেব
ওদের দোরে।
কান্না ঝরে নয়ন বেয়ে ঝাপসা হল আঁখি,
লাজ শরমে মনটা খারাপ-
ওদের ছবি আঁকি।
সাধ্য নাই তাও রে বুল আজকে চল পরাণ মাতি,
পুরান সুরান গরম জামায়-আজকে চল
ওদের ভাতি।
কায় কখনো সাধলে প্রভু দিতেই মোরে আলো,
করছি পণ ঈশ্বরেতে-ঘুচতে ওদের
কালো।


প্রিয় কবি মৌটুসি মিত্র গুহ (কেতকী) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "দুঃখে যে যায় চেনা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


হতচ্ছারা


কোন সে জন কোন সে দিশা
হরিৎ বলয় পল,
যোজন দূরে আপন ঘুরে
অন্তরে হলাহল।
গাহিনু যেদিন ব্যথার গীতি
দূর হতে চায় ধরা,
পল পলেতে পালিয়ে বেড়োয়
বেদম হতচ্ছারা।
তোমায় জীবন কাহন শুধু
ব্যথাই দিলাম ভবে,
আজ বুঝিনু পরাণ তব
আপন অনুভবে।


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি)  মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মৃত্যু ঘুড়ি" কবিতায় কথপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শয়তান


বেদনায় ভরে গেল মন জীবন সাধন,
সাধ্য কি আর মানবের রুধিতে
কোতল নিধন।
নির্বল ধরা তাহারি দোরেতে ঈশ্বর ভগবান,
কাহারি স্কন্ধে কভু দিতে বাড়ি-কোতল
ধরিতে নিধন।
তাহারি কি ছল, ছলনা কিবা জানি
কভু যেন শয়তান,
শুনিতে তাহারি ভক্তির গীতি,
বঞ্চিত ধরা তিনি কি
করুনা নিদান?
জানি রব ধ্বনি তারে জোড় করে
বারে বারে, হে ঈশ্বর হে প্রভু,
করুনা ঝরাও আজিকে ধরায়
পলে পলে দ্বারে
দ্বারে।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "ঝরা পাতার বচন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সায়াহ্ন

সেদিন গাহিনু সাধেরো জীবন
অন্ত স্রোতের ধারা,
আজিকে পরাণ নিভু নিভু প্রাণ
আসিতে জরায় ধরা।
গেয়েছি ফিরেছি উড়েছি ধরেছি
বয়েছি লহরো তরঙ্গ স্রোতে,
দিবানিশি কতনা জাল সে বুনেছি,
রম্য সে ভালোবেসে।
হৃদয় দিয়েছি হৃদয় নিয়েছি
অমোঘ বিধান কাল,
আজিকে পরাণ বেদনার তিরে
ব্যথিত সে হলাহল।
কালেরো স্রোতেতে ভেসে গেনু ধরা
জীবনো সায়াহ্ন,
গোধুলীর রঙ্গে রাঙ্গিত সে দিশা
গত অপরাহ্ন।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৫৮" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মাঙ্কি


তাও ঋণ করে লোকে অভাবের সাগরেতে,
না করিলে বিধিভাম-চুলা জ্বলে নাকো
পেটে।
স্বভাবটা নষ্ট অভাবেতে স্পষ্ট কি জানি কি-
কি যে দায়,
ভাবে নাকো আগুপিছু-কি বা আছে
ভোগ তায়।
সমাজটা শোধনেতে আগে দিতে হবে মন,
সুষম বল্টন গড়ে দিতে
জনধন।
যত লিখি কাম নাই পেট জ্বালা জতুগৃহ,
সন্তান জায়া আর পিতা মাতা
আরো কেহ।
দেশটাই দিশা নাই কবিতাতে বাণ কি!
ঘুরে ফিরে মনে হয়-আমি কবি
মাঙ্কি।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত পঞ্চবাণ... কবিতার উত্তরে কথপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মাতাল


হেই বুলবুল মুন্ডুটা কি গুলাই আমার গেল নাকি!
কি লিখতে কি লিখে দি-অনেক রয়
কইতে বাকি।
পাগল টাগল হই নাই তো লিখতে চলে কবিতা,
বাজা বাজা ব্যঙ্গ কর রাস্তায় প্রাণ
বিতা।
হেথায় আমার নাক কাটা যায় ভাবতে সবাই আমায় বেতাল,
রাত্রি কালে তুই আর আমি-
ভাবছে ওরা আমরা
মাতাল।
নাক ধরেছি কান ধরেছি আমরা অমন নই কো বোন,
ভাবের দেশে হারিয়ে যাই
ভুল হবেনা আর
কখন।


প্রিয় কবি রাহাত হোসেন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দোষ যতো হয় আমার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আগুন কথা


পকেট ভরান পকেট ভরান নইলে পরাণ দুখ,
আহা! দু কদম এগিয়ে গেলেই
বক্ষ ধুকপুক।
হরপা বানের স্রোতের টানে ভাসিয়ে দিতে রব,
চৌদিকেতে সর্ষে ফুলের
উছল কলরব।
ফসকে গেড়ো ফসকে গিয়ে পিছল পরে ধুম,
অন্ধছায়ে আকাশ কালো হারিয়ে যাবেই
ঘুম।
দুনিয়াদারি করির টানে হর হর হর চলে,
মিথ্যা গুলি সত্যি হয়ে
আগুন কথা
বলে।
তাই বলি কি বুদ্ধি বুলি খুবলে দিয়েই টান,
পকেট ভরান চট জলদি
বাঁচতে গেলে
প্রাণ।