(আজ আবার অনেক বেশি লিখে ফেলেছি। দু একটা পাঠ করলেই খুশি হব)


রাত ৪/৩৯ মিঃ পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "স্মৃতিকাপালিনী পূজারতা, একমনা" অণূ কাব্যটি।


রবিঠাকুরের লেখা অণুকাব্যটি এইরূপ।


স্মৃতিকাপালিনী পূজারতা, একমনা,
বর্তমানেরে বলি দিয়া করে
অতীতের অর্চনা।


আর আমার লেখা এইরূপঃ
স্মৃতিকাপালিনী পূজারতা, একমনা


স্মৃতিকাপালিনী পূজারতা, একমনা
নয়নোযুগলো আঁখিধারা বরষনে
আনমনা।
কাপালিনী কাপালিনী সুদূরো অতীতে ভেসে ভেসে,
ঘন ক্রন্দন রোল ছড়াইছে শতধায়
আকাশেতে বাতাসেতে।
কাল সে তো হায় বহিয়া চলি যায় ক্ষণ নাহি রোখে,
চাহে হাসি গান কলতান দুঃখ কি
শোকে।
অতীতের ব্যথা সনে দিন গত হয় কত,
কাপালিনী কাপালিনী আজ আর কাল পোড়ে
দিবানিশি শত কত।
রোদনেতে হায় বহিতে ধরা যতিকো নাহিকো লাভেরি ধন,
কাপালিনী কাপালিনী আজ ধরা কান্না সে
অরন্য রোদন।
কাপালিনী কাপালিনী উঠ জাগ হেরো ধরা,
বসন্ত ধ্বনিরব পারিজাত কলি
ধরা।
কাননেতে কাননেতে সবুজ সে সমারোহ,
কাপালিনী ক্রন্দনে বারিকো নাহি লাভ
কেবলি অবরোহ।
অতীতটা ফেলে দিতে আমি কবি দেই বল,
ওঠো জাগ, ওঠো জাগ কাপালিনী
নহে তুমি নির্বল।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আগাছায় জল-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ভাও


হাঃ হাঃ হাঃ বলেন কি কত্তা ন্যাতা স্যাতার ভাও,
ভারের চোটে দুলছে দারুন
ডুবতে যেন
নাও।
ধর ধর ধর ধরধরিয়ে রমরমিয়ে ব্যাবসা ফাঁদে,
আহা! আহা! কথার ফেনায় হারিয়ে গিয়ে
জন জনতা সদাই
কাঁদে।
কাঁদতে কেন ছিচকাঁদুনে জানই তো ভাও ন্যাতা স্যাতা,
চাল পেয়াজের দাম চিবলে-খামচি বোলে
মুখেই ব্যথা।
দাদার দাদা গদির টানে হালকা বোলে মুচকি হাসেন,
পালকি চলেন দুলকি চালে-স্পিকটি নট
এমনি বাঁচেন।
হবেটা কি! কান্নাকাটি করে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "গাঁয়ে অজয় নদী বয়ে চলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গর্বিত নদী-ফুলেশ্বরী


ফুলেশ্বরী আমাদের শহরের ছোট নদী,
কত সুখের স্মৃতি জড়ানো
এই নদীর সঙ্গে,
যখন ছোট ছিলাম মাছ ধরতে যেতাম এই নদীতে,
চিক চিক বালুপাড় ঝির ঝির জলোরাশি
রূপের শোভা ছিল তার
অঙ্গে অঙ্গে।
আমার প্রিয় বন্ধুর নাম ছিল বাবুনি,
আমিই শুধু তাকে ডাকতাম
বা'নি বলে।
আর আমি ভোম্বল ছিলাম ভোলা;
সে সকল স্মৃতি আজ মনের
মণিকোঠায় তোলা।
ফুলেশ্বরী নদীর কথা স্মরণ করলেই
বা'নি সামনে চলে আসে কারন-
একবার মাছ ধরবার কালে
ওর পায়ের ওপর দিয়ে একটা
সাপ চলে যায়।
ফিরে এলে সেকথা জানাজানি হতেই,
ওর বাবা একটা লোহার শিকের ছাতা
বাঁকা করে ফেলেছিল ওকে
পিটায় পিটায়।
সে রূপ লাবন্য আর নেই ফুলেশ্বরী,
নগরায়নের উষ্ণ প্রস্রবণে-
সে রূপে পরেছে দারি।
দু পাড় বাঁধা বড় নর্দমায় পরিনত,
সহস্র জঞ্জালের পূতিময় আবহেতে
মস্তক অবনত।
তবু সে ফুলেশ্বরী ধন্য হৃদয় তারি,
বয়ে চলে নিরবেতে-শহরের শত
জঞ্জাল বুকে ধরি।
গর্বিত নদী-ফুলেশ্বরী।


প্রিয় কবি এস এম নূরনবী সোহাগ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বন্ধুত্ব" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শুকতারা


বন্ধু বিনে জীবন অচল বন্ধু প্রাণের ধারা,
বন্ধুতে প্রাণ মগ্ন ধরে-বন্ধু
শুকতারা।
একতারার ওই বীণ সেতো-লগন তালের ধন্য রব,
বন্ধু সখা হৃদ প্রাণেরই-প্রভাত বিতান
কলরব।
গাইতে জীবন ভবের নদী লহর প্রাণের দিশা,
সখ্যতারই মধুর রসে-দূর সে
তমানিশা।
গাইতে পাখি মধুর বুলি মিলতে ডানা আকাশ নীলে,
বইতে সাগর জীবন তরী-দুঃখ দরদ
দারুন ভুলে।
ও সখা তোর ধন্য হৃদে দে না পরাণ মোর ঠিকানা,
ঝড় ঝঞ্ঝা জল তুফানে-আকাশ নীলে
মিলতে ডানা।


প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "এও কি প্রলয়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অবগাহন


সৃষ্টি আর ধ্বংস এই তো মহারথীর খেলা,
আজ আগুন তো কাল হিম এর
মেলা।


হাঃ হাঃ হাঃ


অবনী গড়িতে ভগবান আগুনেতে করিল অবগাহন,
আজিকে মানব সৃষ্টি বিনাশে
লিখিতে সাতকাহন।


মন্দের মতি ধন্দ অতি মহাশয় অতিশয়,
রতি কাম আর ধ্বংসেতে মেতে
মহাকালে পেতে
লয়।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "চর্তুবাণ" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ত্রিলোক


বাজার


রে বুলবুল পিঁয়াজ ছাড়া আজ রান্না কর,
শাক সবজি নাই বা খেলাম
ডাল সিদ্ধ  
ধর।


রাজনীতি


চল রে বুল নীতির বানে
রাজনীতির ওই চটকা খেলা,
মদ মদিরায় ডুবে গিয়ে
অম্বল ওই ঢেঁকুর
তোলা।


সুপ্রিম কোর্ট


শেষ বিচারের কর্তা তিনি
বিষম খেলেন আজি,
আর ক'বিনা হেই কথাটা
হেলায় সবার
কাজি।


প্রিয় কবি টি এইচ বিল্লাল মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আমি ভন্ড" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আরাধন


রে বুল রে বাটাম তোল হাড্ডি গুড়া করতে চলি,
কেমন দ্যাখ বেশরম-বলছে কেমন
কথাকলি।
তুই হারামি রক্তচুষা মারতে বাড়ি গুতাই তোরে,
বুলবুল তুই শিষ বাজা না
ল্যংরা করে ছাড়ব
ওরে।
হুতুম প্যাচার থোবরা বানাই ছাল ছাড়বো বাছাধন,
তুই চুষিস মেয়েছেলেদের
আমি ও বুল-দেই
আরাধন।
পিন্ডি গেলে আজ আছিলায় হাত ধুয়ে ভাই মারবো তোরে,
বুলবুলি তুই শিষ বাজাবি-পাঠাই ওরে
যমের দোরে।
আরে ভাই! মেয়েছেলে মায়ের জাত ভগ্নি সহোদরা,
তেত্রিশ তোর ঠুকবো আজি
দিতেই বাড়ি দারুন
কড়া।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অবশেষে, নিশ্চুপ নিথর" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অসহায়


বেদনায় সিক্ত হল হৃদয় স্তম্ভিত হল পল,
আবেগ মথিত ঘন ধরা রাশি
অন্তরে কোলাহল।
হে প্রভু কেন প্রাণ পৃথিবীতে দুঃখতে কাঁদে,
কেন ধরা মলিনেতে ঘন
অবসাদে।
সাম্যের বাণী কোথা মানবতা গত প্রায়,
দিকে দিকে কান্না সে-দুখী প্রাণ
অসহায়।
ধনী ধন লুটে চলে পাহার সে রাশি রাশি,
এক ধরা পৃথিবীর-কেড়ে নিতে মুখে
হাসি।
ভাবি মন কবিতায় লিখে লিখে ডাকি তোরে,
সাম্যের বাণী গাথা-দিতে দান
অন্তরে।


প্রিয় কবি আহমাদ সা-জিদ(উদাসকবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শতাব্দী সেরা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কর্ষণ


রে বুলবুল জলদি আয় সঠিক কথা কইছে কবি,
উল্টাপানে দৌড় দেয় সব
কইলে পরেই আমি
কবি।
হতচ্ছাড়া মতিগতি কবিতারে খুবলে খায়,
যেমন তেমন যাচ্ছেতাই
কবিতাতে কইতে
রয়।
তুই আর আমি শিষ বাজালে কি আর হবে ভায়,
মেয়েছেলেরাও আজ দুনিয়ায়
রুমাল পরে-অঙ্গ
দেখায়।
রেপ রেপ রেপ-মাঠে ঘাটে রেপ রে ভাই,
কবিতারই ধর্ষণ,
করতে চলে নিত্য দিনে
কর কর কর
কর্ষণ।