গায়ত্রী পাল


আমি তোমাতে হয়েছি হারা
আমি নিত্য প্রেমের ধারা।
তোমারি মাঝেতে খুঁজেছি নিজেকে
পাইনি তোমার সাড়া।
তুমি রয়েছো মোর মনে
হয়ে ফল্গু ধারা।
স্মরি গো তোমারে দিবসরজনী
যে মতো যোগিনিপারা।
প্রবল গীষ্মদিনে
তুমি হয়েছো মোর ছায়া।
ক্লান্ত পথিক আমি
তবু কাটেনি তোমার মায়া।
আমি ফিরে ফিরে আসি
তোমারি দ্বারেতে।
ভিক্ষুক হয়ে নয়
পূজারিনী বেশে।
যদিও জানি শূণ্য দুহাত লয়ে
ফিরিব আমি শেষে।
তবুও কভু না আমি ভুলি
তোমারে ভালোবাসিতে।


সঞ্জয় কর্মকার


আবার!!বাবার কাছে নালিশ দিবো বুঝবে তখন বোন
বলছি না ঝড় তুলবি না আর আমার কথা শোন।
জানিস যখন শূণ্য কলস ফিরতে হবে বুনু
তাইলে শুধুই কাঁদিস কেনেই, ওরেই ভাবিস কানু!!
বাবায় কী তোর নাই রে পরাণ দিবেই না তোর বিয়া
তুই তো মোদের প্রাণের প্রদীপ জ্যোৎস্না আলোক দীয়া
তুই কী বুনু দুখ ই দিবি ভাবিস না এক পল
রূপ আর গুণে তুই তো সুশীল তুই তো কলির দল।
করবি যা বোন হিসেব করিস রাখিস স্নেহের মান
এবার তোর ওই ইচ্ছে যা হয় কর রে আমার বোন।


গায়ত্রী পাল


মন্দির মঠ হয় মোর ঘর।
পিতামাতা মোর জগদীশ্বর।
জীবনে কোন কিছুরই করি না আশা
তবু মরমে আছে নিঃশ্বার্থ ভালোবাসা।
নাকরিব প্রকাশ তার কাছে কভু একটিও কথা
তবু না করি ক্রন্দন, নেই মনোব্যথা।
থাকি সদা হাসি মুখে;
চলি আমি অন্য পথে।
জীবনের ঐ হিসাবখাতা
তাতেই লিখি বিষাদগাথা।
তা পড়ে নীরবে হাসে
আমার ভাগ্য বিধাতা।


সঞ্জয় কর্মকার


ভাগ্য নিয়েই থাক বোন যা হবে দেখা যাবে
আমি তো আগেই জানতাম রক্ত আমার
এমন ওই কিছু ক'বে।
তোর তরে বোন রক্ত আমার চাইলে জীবন মোর;
শান্তি তোর ওই দেখতে পরাণ-
চাই যে জীবন ভর।