"গৌরব"

কবিতাটির সারমর্মঃ এক সহানুভূতিশীল পথিক এক সুশ্রী মহিলাকে পথের ধারে জীর্ণ বেশে ভাজাভুজি বিক্রি করতে দেখে তার সাথে কথা বলে, জানতে চায় তার এমন করুণ অবস্থা কেন। স্বামীহারা ও দুই সন্তানের জননী সে, তাকে সেকথা জানালে সহানুভূতিশীল মানুষটি তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে থাকে দিনের পর দিন এবং তাকে সচ্ছল করে তোলে কিন্তু বিনিময়ে মানুষটি কিছুই চায়নি প্রতিদানে আর তাই মহিলাটি চিন্তা করে আজকের দুনিয়াতেও এমন মানুষ কী আছে এই পৃথিবীতে যেখানে যাদের উচিৎ ছিল তাকে সাহায্য করবার যারা সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন , যারা পারতো তাকে সাহায্য করতে তারা বিভিন্ন ছলনায় তাকে উপভোগ করতে চায়। কবিতাটি আমার এক বন্ধুর অনুরোধে লেখা। তার নাম শ্রী দিলীপ বিশ্বাস। কাহিনী তার থেকেই শোনা।


একদা চাহুনি হানিলো শানিত প্রশ্ন বাণেতে পাতি
অবলা আমারে পথমানে রই বহিতে
জীবনভাতি।
ছোট ছাউনিতে মোর জীর্ণ কুঠিতে চলে বেচাকেনা
তেলেভাজা আর পেঁয়াজ পাঁপড়ি
আর আছে ধার দেনা।
সে চাহিল পানেতে মোর সহানুভূতির আঁখে
পুছিল কেন সে রয়েছি;
আমি পথ মাঝে।
কহিনু তাহারে স্বামীহারা হই নাহি মোর কেহ
দুইখান প্রাণ ছোট্ট শিশু মোর
রয়েছে আপন গৃহ।
নীরব তো রবিলো না সে রাহী অপরূপ
দিল সে দানেতে আমায়
জ্যোছনায় ফুটফুট।
ভরা কোটালেতে হৃদ বাদ্য বাজিলো, গগন আসিলো নীচু
রাহী সে চাহিলো না সে; প্রতিদানে
আগুপিছু।
ক্ষণিকো উজারে ধরা ভাবি আপনাহে
এমতো উদার বাহুতে সে বল-দানিলো
কে হে!
সহসা ধাবিনু ঈশ্বর পানে হৃত গৌরব আজি
লুপ্ত না হয়; ধরায় বাজিছে!
কামেতে মজেছে
কাজী।